★ছেলের স্কুলের কিছু কথা★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব আমার ছেলেটার স্কুলের কিছু অনুভূতি ।ছেলেটাকে নতুন স্কুলে দিয়েছি তাই প্রতিদিন ওকে নিয়ে আমার স্কুলে যেতে হয়। শুধু যেতে হয় না ওকে নিয়ে ক্লাসে বসেও থাকতে হয়। কারণ ও আমাকে ছাড়া এক মিনিটও ক্লাসে থাকে না, তাই সেই কারণে ক্লাসে ওর সাথেই থাকতে হয় । আবার মাঝে মাঝে বাইরে এসে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে থাকি। এজন্য ক্লাসের সব কিছু আমি খুব কাছ থেকেই দেখতে পারি। ক্লাসে মিসরা বাচ্চাদেরকে খুবই আদর করে প্রত্যেকটা বাচ্চাই তাদের কাছে সমান। কিছু কিছু বাচ্চা আছে খুব বেশি ডিস্টার্ব করে তারপরও তারা একটুও বিরক্ত হয় না খুব ধৈর্য সহকারে তারা প্রতিটি বাচ্চার কেয়ার করে। যেটা আসলেই বিরাট বড় একটা ব্যাপার। এতটুকু ছোট ছোট বাচ্চাদের একসাথে সামলে রাখা আসলেই অনেক বড় একটা ধৈর্যের প্রয়োজন হয়। ধৈর্য না থাকলে কখনোই এসব কাজ করা সম্ভব নয়। আমরা তো একটা বাচ্চা সামলাতে গিয়েই হিমশিম খেয়ে যায়।
ওদের স্কুলের নিয়মগুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। ওরা বাচ্চাদেরকে সবকিছু একেবারে হাতে ধরে শিখিয়ে দেয়। ঐদিন দেখলাম যে থ্রি ফোর এর বাচ্চাদেরকে গাছ লাগানো শেখাচ্ছে। একেবারে ফুলের টব থেকে শুরু করে কিভাবে মাটি দিতে হয় এবং কিভাবে একটা গাছ রোপন করতে হয় সেটা ওদেরকে খুব সুন্দরভাবে শিখিয়ে দিচ্ছে। যেটা দেখে আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে । অন্যান্য স্কুলে কি করে সেটা তো দেখার সুযোগ হয়নি এই স্কুলে এটা আমি খুব কাছ থেকে দেখেছি যেটা আমার কাছে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে।
তারপর আবার দেখি নার্সারি মানে আমাদের ছোট ছোট বাচ্চাদেরকে বড় একটা হলরুমে নিয়ে গিয়ে বড় বড় তিনটা ঝুড়িতে কিছু ফল রেখেছে । প্রায় ৮-১০ রকমের ফল তারা রেখেছে এবং প্রত্যেকটা ফল তারা হাতে ধরে বাচ্চাদেরকে নাম গুলো শেখানোর চেষ্টা করছে। যেটা সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। আমি বাচ্চাদের সাথে ভেতরেই ছিলাম এজন্য আমি অনেক কাছ থেকে দেখেছি। ওদের ক্লাসে মোট ৩০-৩৫ জন বাচ্চা এবং প্রত্যেকটা বাচ্চাকে একজন একজন করে ডেকে প্রত্যেকটা ফলের নাম ওরা চিনিয়েছে, যেটা সত্যি অনেক ভালো লাগলো।
বাচ্চাদেরকে যখন ফলের নাম গুলো শেখাচ্ছিল তখন দেখি ওদের রুমের পাশে একটি জানালার উপরে একটা কাক বসে রয়েছে। সেই কাকটা দেখে বাচ্চারা খুব আনন্দ পেয়েছে এবং যখন ওরা ক্লাসে ঢুকে গেল তখন দেখলাম যে একজন টিচার সেই কাকটাকে কিভাবে যেন ধরে ফেলেছে। প্রত্যেকটা ক্লাসে বাচ্চাদের দেখিয়ে আনন্দ দেওয়ার চেষ্টা করছে এবং ওদেরকে ছিনিয়ে ওটার নাম যা দেখে বাচ্চারা খুবই মজা পেয়েছে। এভাবে যদি সব স্কুলের বাচ্চাদেরকে সবকিছু হাতে ধরিয়ে শেখানো হয় তাহলে বাচ্চারা খুব তাড়াতাড়ি সবকিছু শিখে ফেলতে পারবে।আমি আমার ছেলেকে আগে কিছুই শিখাইনি এখান থেকে ও আস্তে আস্তে সব শিখছে।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
এই স্কুলে টিচাররা মনে হচ্ছে অনেক বেশি আন্তরিক। তাছাড়া ফলের সঙ্গে পরিচয় করানোর বিষয়টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। অন্যান্য স্কুলে বইয়ে ফলের ছবি দেখিয়ে ফলের সঙ্গে পরিচয় করায়। এখানে সরাসরি ফল দেখিয়ে পরিচিত করছে। তাছাড়া ঠিকই বলেছেন এসব ছোট ছোট ক্লাসের বাচ্চাদেরকে অনেক ধৈর্যশীল হতে হয়। তা না হলে এতগুলো বাচ্চাকে সামলানো আসলেই খুব মুশকিল। ভালো লাগলো স্কুলের টিচারদের কেয়ারিং দেখে।
আপু, আমার অর্ধাঙ্গিনীও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা। তাই আমারও খুব কাছ থেকে এই দৃশ্যগুলো দেখার সৌভাগ্য হয়েছে। যেখানে আমরা আমাদের একজন সন্তানকে সামলাতে হিমশিম খেয়ে যাই, সেখানে অগণিত বাচ্চাদের সামলানোর দায়িত্ব তারা নিয়েছে। এবং কখনো কোন শিক্ষার্থীর ওপর তারা কোন খারাপ ব্যবহার করে না। আদর যত্নে তাদের সন্তানের মতই রেখেছে। আপনার পোস্ট পড়ে, আপনার ছেলের স্কুলের কথাগুলো পড়তেই আমার এসব কথা মনে পড়ে গেল। তবে খুবই ভালো লেগেছে ঝুড়িতে ভিন্ন ভিন্ন ধরনের ফল রেখে তা শিক্ষার্থীদের দেখিয়ে দেখিয়ে শেখানোর চেষ্টা করা। ধন্যবাদ আপু, আপনার ছেলের স্কুলের কথাগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ছোট ছোট বাচ্চাদের সামলানো আসলেই অনেক মুশকিল ব্যাপার। তবে যদি একসাথে 40-50 জন হয় তাহলে তো আরো কঠিন ব্যাপার হয়ে যায়। তবে স্কুলের টিচাররা এদিক থেকে মনে হচ্ছে যথেষ্ট ধৈর্যশীল।সেটা না হলে এই বাচ্চাগুলোকে কন্ট্রোল করা প্রায় অসম্ভব। তবে আমার কাছে একটা বিষয় বেশ ভালো লাগলো সেটা হচ্ছে, ফলগুলো দেখিয়ে দেখিয়ে তাদের ফলের সাথে পরিচয় করিয়ে দিচ্ছে। এই স্কুলের শিক্ষাব্যবস্থাটা মনে হচ্ছে বেশ ভালো।
আপু আপনি দেখি আপনার ছেলের স্কুলে বেশ ভালো একটি সময় কাটিয়েছেন। আসলেই বাচ্চাদের নতুন কিছু শিখতে দেখলে বেশ ভালো লাগে। আর আসলে আপনার ছেলের স্কুলের শেখানোর কার্যক্রম দেখে আমারও বেশ ভালো লাগলো। আপনার এবং আপনার ছেলের জন্য শুভকামনা রইল।
আসলেই শিক্ষকদের অনেক ধৈর্য। এত এত বাচ্চাদের একসঙ্গে সামলায়।একটুও বিরক্ত হয় না।আমিও দেখেছি আমার বাচ্চার ক্লাসের বাচ্চাদের দুষ্টামি।আসলে হাতে ধরে শিখানোর ব্যপারটা আমার কাছেও ভালো লেগেছে। ছোট ছোট বাচ্চারা অনেকেই এমন মা ছাড়া ক্লাসে থাকতে চায় না,আর কয়েকদিন গেলে হয়ত আর বসে থাকা লাগবে না আপনার।ধন্যবাদ