একটি জীবনের গল্প পর্ব:১
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করতে চলে এসেছি । আসলে জীবনের গল্পের কোন শেষ নেই । মানুষের জীবন নিয়ে অহরহ গল্প ঘটে চলেছে এবং সেটা আমাদের চোখের সামনে ঘটে থাকে । সেটা যদি আমরা খুব সুন্দরভাবে গল্প আকারে লিখতে যাই তাহলে সুন্দরভাবে জীবনের কিছু অংশ থেকে একটা গল্প তৈরি করে নেয়া যায় । এ ধরনের গল্প গুলো লিখতে সবসময় ভালো লাগে আর এ ধরনের গল্পের মধ্যে কোন বানানো জিনিস থাকে না একেবারে বাস্তব জীবনের কাহিনী সুন্দরভাবে চোখের সামনে তুলে ধরা যায় । আর বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখতে গেলে অনেক সময় এলোমেলো গল্প হয়ে যায় এবং অনেক গল্প আছে অনেক কিছুর সাথে মিলে যায় তখন সেটা আর নিজের কাছেই ভালো লাগেনা । আজকে আমি একজনের জীবন কাহিনী নিয়ে ছোট্ট একটা গল্প আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি ।
মৃদুল নামে একটা ছেলে । তারা তিন ভাই এবং চার বোন ।তিনটি বোনের বিয়ে হয়ে গিয়েছে শুধুমাত্র ছোট বোনটির বিয়ে হয়নি । সেই বোনটিও বিয়ের উপযুক্ত বোন তবে সেই বোনটির বিয়ে ওরা দেয়নি এবং বোনও কখনো বিয়ে করবে না বলে বসে রয়েছে । ওই বোনটি নাকি অসুস্থ যার কারণে তারা ওই বোনের আর বিয়ে দেয়ার কোন চিন্তাই করেনি ।এদিকে তিন ভাইয়ের একটি বোন ও তাদের মা নিয়ে তাদের সুন্দর সংসার । আর অন্যান্য বোনগুলো বিয়ে করে যার যার সংসার নিয়ে ভালো আছে । মৃদুলের ছোট বোনটার বিয়ে না হওয়াতে ভালোই ছিল কারণ সে অসুস্থ ছিল সেটা তার সংসারের লোকজন জানতো এবং সেটা নিয়েই সংসারের লোকজন তার সাথে ভালো ছিল । মৃদুলের মায়ের বয়সও অনেক বেশি ছিল যার কারণে একটা বোন থাকতে তাদের সুবিধাই ছিল ।
ভাই তিনজন যারা ছিল তারাও বিয়ের উপযুক্ত ছিল কিন্তু তারা কোন কারণে কেন যেন বিয়ে করছিল না ওভাবেই তারা রয়েছিল । আর বাড়ির রান্না বান্নার কাজ ওই বোনটি করত ভাইদের সব ব্যাপারে সেই ছোট সাহায্য করতো । ওরাও বোনটাকে অনেক বেশি পরিমাণে ভালোবাসতো এবং সেই বোন খুশি মনে ভাইদের সাথে থাকত । আর মৃদুলদের অবস্থাও অনেক ভালো ছিল । শহরের উপরে অনেক বড় একটা প্রপার্টি তাদের ছিল একেবারে মেইন টাউনের উপরে তাদের অনেক জায়গায় উপরে তাদের বাড়িটা ছিল এবং তাদের বড় একটা লন্ড্রি ছিল বাড়ির সাথেই । সেখানে বেশ কয়েকজন লোক কাজ করতো সাথে তার বড় ভাই সেটা চালাতো । আর মেজ যে ভাই তার মার্কেটে বড় একটা দোকান ছিল । ভালো একটা প্লেসে দোকানটা সে নিজেই চালাতো । আর ছোট যে মৃদুল সে একটা কিন্ডারগার্ডেন স্কুলের শিক্ষকতা করত সাথে সে অনেক ভালো আর্ট জানত । আর্টের শিক্ষক হিসেবে তার অনেক নাম ছিল । বিভিন্ন জায়গা থেকে ছেলেমেয়েরা তার কাছে এসে আর্ট শিক্ষতো ।
সবকিছু মিলিয়েই মৃদুলরা খুব ভালোভাবে চলছিল । স্কুলে ছোট বাচ্চাদের ক্লাস নিত এবং সেই পাশাপাশি বাসায় অনেক বড় করে কোচিং সেন্টার চালাত মৃদুল । স্কুলে ভালো একজন শিক্ষক হিসেবে অনেক পরিচিত ছিল । এই কারণে অনেক গার্ডিয়ানরা তাকে বাসায় নিয়ে যেত তার বাচ্চাদেরকে পড়ানো ও পাশাপাশি আর্ট টা শেখানোর জন্য । বেশ মোটা অংকের টাকা সেখান থেকে পেতো । কারণ বাসায় একজন শিক্ষককে নিয়ে যাওয়া মানে বেশ বড়সড়ো অঙ্কের অ্যামাউন্ট তাকে দিতে হতো ।
এভাবে করে ছোট্ট একটা মেয়ের বাসায় মৃদুল পড়াতে যেত । সেখানে ওই মেয়ের একটা আন্টি ছিল আন্টি ওদের বাসাতে থেকেই পড়াশোনা করতো । সেই আন্টি মাঝে মাঝে ওকে নিয়ে স্কুলে আসতো । সেখান থেকেই মৃদুলকে দেখে এবং মনে মনে মৃদুল কে খুব পছন্দ করত । তারপর সে যখন তাদের বাসায় গিয়ে পড়াতো সেই সুযোগে মেয়েটা মৃদুলকে আরো বেশি ভালোবেসে ফেলে এবং একটা সময় মৃদুলকে প্রপোজ করে বসে । মৃদুলও মেয়েটাকে মনে মনে পছন্দ করায় সেও রাজি হয়ে যায় । ওদের ব্যাপারটা জানতো বোন সেও এই ব্যাপারটা জানার পরে রাজি হয় । কারন মৃদুল ছেলেটা ভালো ছিল সবাই তাকে পছন্দই করত এবং ছেলে হিসেবে সে ভালো ছিল । এভাবে করেই তাদের প্রেমের সম্পর্কটা আস্তে আস্তে অনেক গাঢ় হতে থাকে ।মেয়েটাও মৃদুলদের বাসায় যাওয়া আসা শুরু করে । মৃদুলের মায়ের সাথে অনেক ভালো সম্পর্ক গড়ে ওঠে এবং মৃদুলের মা ও মেয়েটাকে পছন্দ করে ফেলে । বাসায় আসতে আসতে মৃদুলের বোন ও মায়ের সাথে অনেকটা সময় কাটাতো যার কারণে তারা আস্তে আস্তে মেয়েটাকে ভালোবাসতে শুরু করে । আর মেয়েটাও ওর মাকে মা বলেই ডাকতো ।
চলবে..........
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস| samsung Galaxy si plus
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
মৃদুল কে দেখছি মেয়েটা পছন্দ করে ফেলেছিল। আর পরবর্তীতে আস্তে আস্তে সে ভালোবেসে ফেলে। তারপর যখন মৃদুল কে প্রপোজ করে তখন সেও রাজি হয়। মেয়েটার সাথে সবার এরকম ভালো সম্পর্ক হয়েছে জেনেই আমার কাছে বেশি ভালো লেগেছে। মৃদুলের বোন এর বিয়ে তারাও দেয়নি এবং বোনও বিয়ে করেনি কারণ সবাই জানে তার সমস্যার কথা। কিন্তু সে খুব ভালোই রয়েছে বাবার বাড়িতে। এখন দেখা যাক মৃদুল আর ওই মেয়েটার সম্পর্কের কি হয়।
এ ধরনের ক্ষেত্রে ছেলে মেয়ে উভয়ের পরিবারের সাথে ভালো সম্পর্ক হলে সম্পর্কটা আরও বেশি শক্ত হয় ।
একটি জীবনের গল্প আপনি প্রথম পর্বের মাধ্যমে আমাদের মাঝে সুন্দর করে কিছুটা অংশ শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো। ছোট বোনটার অসুস্থতার কারণে তাকে আর বিয়ে দেয়নি, এবং বোনটাও বিয়ে করেনি। এরপর থেকে কিন্তু তারা বাড়িতে ভালোই ছিল। পরবর্তীতে দেখছি মৃদুলের সাথে আর একটা মেয়ের সম্পর্ক হয়। আর ওই মেয়েটার সাথে তার ফ্যামিলির ও ভালো একটা সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এখন দেখা যাক এই গল্পের পরবর্তীতে কি হয়।
আমার পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে ।
বেশ ভালই তো যাচ্ছিল মৃদুল এবং তার সংসার। মৃদুল যে মেয়েটিকে ভালোবেসে ফেলল সেও তাদের বাড়ির সঙ্গে বেশ ভালো মানিয়ে নিয়েছে। যেহেতু মৃদুল ছোট এবং তার বড় দুই ভাই বিয়ে করেনি সে তো এখন বড় দুই ভাইয়ের আগে বিয়ে করতেও পারবেনা। যাই হোক পরবর্তীতে কি হয়েছিল জানার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।
বড় দুই ভাই যেহেতু বিয়ে করবে না বলে ঠিক করেছে তাহলে মৃদুল তো বিয়ে করতেই পারে ।
বেশ ভালো লাগলো এই গল্পের প্রথম পর্বটি পড়ে৷ এই গল্পের প্রথম পর্ব এর মধ্যে আপনি অনেকগুলো বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন৷ ছোট বোনের অসুস্থতার জন্য তাকে বিয়ে দেয়নি এবং ছোট বোনও বিয়ের জন্য রাজি ছিল না৷ অন্যদিকে দেখতে পাচ্ছি যে মৃদুলের সাথে অন্য একটি মেয়ের সম্পর্ক হচ্ছে এবং তার পরিবারের সাথেও তার সম্পর্ক খুব ভালোভাবে গড়ে উঠছে৷ পরবর্তী পর্বগুলো পড়ার আশায় রইলাম৷ অসংখ্য ধন্যবাদ নতুন একটি গল্প শেয়ার করার জন্য৷
অন্য একটি মেয়ের সাথে সম্পর্ক হয়ে ভালই হয়েছে তা না হলে তো তারা বিয়ে করবে না বলে পন করে বসেছিল।
পরবর্তীতে কি হবে জানতে ইচ্ছে করছে। কে ভিলেন হবে মৃদুল আর মেয়েটির মাঝখানে। বিশেষ করে কাহীনিতে এগুলোই হয়৷ গল্পের টুইস্ট জানতে ইচ্ছে করছে। পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম আপু্।
এ ধরনের গল্পগুলো পড়তে ও লিখতে দুটোই ভালো লাগে ।ধন্যবাদ আপু আপনি আমার পোস্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন ।
জীবনের গল্পের প্রথম পর্বটি পড়ে আমার কাছে বেশ ভালই লেগেছে। ছোট বোনটা অসুস্থ থাকায় বিয়ে করেনি এবং ভাই বোনের সাথে বেশ ভালই আছে জেনে বেশ ভালই লাগলো। ছোট ভাইয়ের সাথে একটি মেয়ের ভালো সম্পর্ক হলো। এবং সব ঠিকঠাক চলছে।যাইহোক পরবর্তীতে কি হলো তা জানার অপেক্ষায় রইলাম।
ছোট বোনের সাথে নরমালি ভাইদের ভালো সম্পর্কে থাকে ।এখানেও বোনটা ভাইদের সাথে অনেক ভাল রয়েছে । যেহেতু ভাবি নেই সেহেতু ভাইরাই বোনটাকে দেখে শুনে রাখে ।
বেশ ভালো লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে।দুইজনের প্রেমের সম্পর্ক তো বেশ ভালই চলছিল না জানি সামনে কি আছে।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ।
প্রথম প্রথম প্রেমের সম্পর্ক ভালোই চলে পরবর্তীতে তা অন্যদিকে মোড় নেয় অপেক্ষায় থাকুন জানতে হলে ।
আসলে মৃদুলের বাকি বোন গুলোর বিয়ে হয়ে গেলেও তার ছোট বোনের অসুখের কারণে তার বিয়ে হচ্ছিল না। কিন্তু আবার তারা ভাই বোন মিলে বেশ সুন্দর বেশ ভালই দিন কাটাচ্ছে। ভাইদের কাজগুলো এবং মায়ের দেখাশোনা, মৃদুলের ছোট বোন করত। সে তার ভাই এবং মাকে বেশ ভালোবাসতো। তাছাড়া মৃদুলের ওই মেয়েটাকে পছন্দ করত শেষ বেশ দুজন দুজনের সাথে কথা বলে সম্পর্কটা এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছিল। মেয়েটা তাদের বাড়িতে আসার কারণে মৃদুলের মাও তাকে বেশ পছন্দ করতে লাগলো। জানিনা পরবর্তীতে কি হবে। কিন্তু পরবর্তী পর্বের জন্য বেশ অপেক্ষা নিয়ে বসে আছি।
নিজের মেয়ে যেমন মায়ের দেখাশোনা করে অন্য বাড়ির মেয়েরা তেমন একটা দেখাশোনা করে না । মেয়েটা বাড়ি থাকাতে তাদের সুবিধাই হয়েছিল ।
তিন ভাই ও চার বোনের সুন্দর গোছানো সচ্ছল সংসার মৃদুলের।ছোট বোনের সমস্যা তাই বিয়ে করবে না কিন্তুু ভালোই হয়েছে মৃদুলের মা যেহেতু বয়স্ক তাই ছোটবোন সব কাজে সাহায্য করতে পারে।মৃদূলকে মেয়েটি ভালোবাসে ও মৃদুলও ভালোবাসে জেনে ভালো লাগলো।মেয়েটি মনে হয় ভালো প্রকৃতির সেজন্য মৃদুলের মা কে আপন করে নিয়েছে ও মা বলে ডাকে।পরবর্তী পোস্টের অপেক্ষায় রইলাম।ধন্যবাদ আপনাকে।
দুজনের ভালোবাসার সম্পর্কটা অনেক দূর এগিয়েছে । ধন্যবাদ আপু পোস্টটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ।