★চিকেন চাপ ও লুচি খাওয়ার অনুভূতি★10%shy-fox

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



Picsart_22-10-10_23-04-39-291.jpg

আজ আমি আপনাদের সামনে আবার একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। বেশ কয়েকদিন আগে রাস্তার পারের লুচি ও চিকেন চাপ খেতে যাওয়ার অনুভূতি আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আমাদের বেইলি রোডে বিভিন্ন ধরনের খাবারের দোকান বসে রাস্তার পাশ দিয়ে।ফুচকা ,চটপটি, চিকেন ,কাবাব লুচি চাপ আরও অনেক কিছু, এগুলো দেখলেই খেতে মন চায়। আমি বেশিরভাগ সময় রাস্তার পাশে খাবার খেলে ফুচকা চটপটি খেয়ে থাকি। বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি যে লুচি চাপের দোকানে বেশ খানিকটাই ভিড় থাকে একেবারে জায়গা থাকে না বললেই চলে ।আমার কিছুদিন ধরে খাওয়ার ইচ্ছা ঠিক করেছি এখানে একদিন খাবো, কিন্তু যতবারই বেইলি রোডে যাই কিন্তু তখন আর বাইরের দোকানগুলোতে খাওয়া হয়না, কারণ ছেলেটা তখন জিদ ধরে রেস্টুরেন্টে ঢোকার তাই রেস্টুরেন্টে গিয়ে বার্গার পিজ্জা অন্যান্য জিনিস খেয়ে থাকি। আজ বাসা থেকে ঠিক করেছি যে আজকে কোন রেস্টুরেন্টের খাবার খাব না আজকে রাস্তার পাশে বসে লুচি আর চিকেন চাপ খাব।

20220927_195731.jpg

20220927_195723.jpg

হাজবেন্ডকে বললাম তুমি না আমাকে বেইলি রোডের লুচি ও চিকেন চাপ খাওয়াতে চেয়েছিলে ।সে শোনার সাথে সাথেই বলল তাহলে আজকেই চল। তখন ঝটপট রেডি হয়ে বেরিয়ে পড়লাম আর ছেলেটাকে আগে থেকেই বলে নিয়ে গিয়েছি যে আজকে কিন্তু আমরা কোন রেস্টুরেন্টে যাব না। আজকে আমরা রাস্তার পাশে বসে খাব তখন সেও রাজি হল পরে ঝটপট বেরিয়ে পড়লাম সন্ধ্যার পরে।
বেইলি রোড আমাদের বাসা থেকে একেবারে কাছে আমরা সবসময় এখানে হেঁটে যাওয়া আসা করি। কারন রিক্সা করে যেতে হলে অনেকটা রাস্তা ঘুরে আসতে হয়। সেজন্য হেটে যাওয়াই আমাদের জন্য সুবিধা। কিন্তু যখন আমরা বেইলিরোডে গিয়ে পৌছালাম তখন তো একেবারে আমি হতাশ হয়ে গেলাম কারণ সেখানে গিয়ে দেখি আজকে রাস্তার ধারে কোন দোকান বসেনি পুরা রাস্তা একেবারে পরিষ্কার। সারা রাস্তায় শুধু পুলিশ টহল দিচ্ছে , আজকে মনে হয় কোন কারণে রাস্তার পারে দোকানগুলো পুলিশ বসতে দেয়নি ।তখন কি আর করার হাঁটতে হাঁটতে আরো বেশ খানিকটা দূরে চলে গেলাম খুঁজতেই থাকলাম যে অন্য কোথাও পাওয়া যায় কিনা। তখন বেশ খানিকটা দূরে যাওয়ার পরে দেখলাম যে অন্য পাশে রাস্তাটা এখন পর্যন্ত জমজমাট আছে এখানে সব ধরনের দোকান বসা ।তখন আমরা খুঁজে খুঁজে ভিকারুননিসা স্কুলের গেটের সামনে একটা দোকান আছে সে দোকানটাতে গিয়ে বসলাম। এখানে এতটাই ভিড় ছিল যে আমাদের বসার মত কোন জায়গা ছিল না। তখন তারা বলল যে আপনারা পাশের দোকানের সামনে বসুন সেটা ফুচকার দোকান এটাও মনে হয় তাদের দোকান। সেখানে বসার সাথে সাথে দেখলাম যে ওই স্কুলের গেটের সামনে কয়েকটা চেয়ার খালি হয়েছে ।আমরা ঝটপট সেখানে গিয়ে বসে পড়লাম।

20220927_195747.jpg

তখন আমরা ওখানে লুচি আর চাপ অর্ডার করলাম ওরা এক এক প্লেটে চারটা লুচি ও একটা বড় চিকেন দেয় সাথে বিভিন্ন ধরনের টক জাতীয় সস থাকে। কিন্তু ওদের লুচির সাইজ এতটাই ছোট যে একটা লুচি একগালেই শেষ হয়ে যায় ।আমরা মোট ১৪টা লুচি নিয়েছিলাম আর এই খাবারটা এতটা ঝাল যে না খেলে কেউ বিশ্বাসই করবে না কারণ সেই ঝালের কারণে খাবারটা এতটা মজা লাগে। আমরা খাওয়ায় এতটাই ব্যস্ত ছিলাম আর এতটাই ভিড় ছিল যে খাওয়ার সময়ের খাবারটার কোন ছবি তুলতে পারিনি ।খাবার শেষ করে আশেপাশে কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছি যেটা আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। মাঝে মাঝে রাস্তার পাশে বসে এ ধরনের খাবার খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আমাদের খাবারের মোট বিল এসেছিল ২৯০ টাকা সাথে একটা পানিও নিয়েছিলাম। এরপর আমরা খাওয়া-দাওয়া শেষ করে রিক্সা করে বাসায় চলে এলাম। কারণ খাওয়ার পরে আর হাঁটতে ভালো লাগে না আমরা মোটামুটি পেটটা ভরে খেয়েছিলাম এর জন্য রিক্সা করে আসাটা আমাদের কাছে ভালো লেগেছে। ছেলেটারও রিক্সা পছন্দ আমিও রিকশায় ঘুরতে ভালোই পছন্দ করি বিশেষ করে রাতের বেলায় রিকশায় ঘুরতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে।

20220927_195753.jpg

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  
 2 years ago (edited)

আহা আপু!কল্পনাতে মনে হলেও যেন জিভের পানি আটকাতে পারিনা।খেতে বসলে উঠতে মন চায়না।
কলেজের সামনেই চাপের দোকান।প্রতিদিন কলেজে যাওয়ার সময়-আসার সময় চাপের গন্ধে নিজেকে বারবার হারিয়ে ফেলি।আমার কিন্তু সর্বোচ্চ ২৩ টা লুচির রেকর্ড আছে।
সুন্দর সময় কাটিয়েছেন দেখে বুঝলাম।শুভ কামনা রইলো 💓

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন এ ধরনের দোকানগুলোর পাশ দিয়ে আসলে হেঁটে যাওয়া যায় না গন্ধ শুনলেই জিভে পানি চলে আসে । আমি একা খাইনি ১৪ টা লুচি দুইজন মিলে ১৪ টা খেয়েছি।

 2 years ago 

এ হে আপু এত কিছুর ছবি দিলেন আর আসল জিনিস লুচি টার ছবিই দিলেন না হি হি। সাধারণত এই রকম দোকানের লুচি গুলো ছোট হয়ে থাকে অনেক গুলো খেয়ে নেওয়া যায়। লুচি এবং চপ খাওয়ার জন্য এতো স্ট্রাগেল এতো ঘোরাঘুরি। যাইহোক শেষ পযর্ন্ত যে পেয়েছেন এটা দেখে ভালো লাগল।।

 2 years ago 

খাওয়ার সময় এতটাই ব্যস্ত ছিলাম আর খাবারটা এতই ঝাল ছিল যে ছবি তোলার কথা মাথাতেই আসেনি খাবার শেষ হওয়ার পরে মনে পড়েছে।

 2 years ago 

বাজারের রাস্তার পাশে দোকান গুলোতে বেশ ভিড় জমে ৷ আর সেখানকার খাবার গুলো বেশ মজাদার ৷ রাতের বেলা গিয়েছেন তার জন্য ছবি গুলো ভালো ভাবে বোঝা যাচ্ছে না ৷
১৪ টা লুচি খেয়েছেন ৷
আমি তো সর্বোচ্চ ৩ টা পারবো ৷
যা হোক আমি বাইরের খাবার খুব খাই ৷

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন এ খাবারগুলো বেশ মজাদার হয় আর এই খাবারের দোকানগুলো রাতের বেলায় অনেক জমে। লুচির সাইজটা দেখলে আপনি আর তিনটা খেতেন না তখন বিশটা খেতেন এতটাই ছোট ছিল।

 2 years ago 

আপু আপনি একদম ঠিক বলেছেন মাঝে মাঝে রাস্তার পাশে বসে এ ধরনের খাবার খেতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। আমি তো মাঝেমধ্যে খেয়ে থাকি এরকম বিভিন্ন জিনিস। এইরকম জিনিস গুলো ঝাল হলে খেতে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনি খেতে খেতে এতই ব্যস্ত হয়ে পড়েছিলেন যে আমাদের জন্য ছবি তুলতে ভুলে গিয়েছেন। যাইহোক ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার আজকের এই পোস্ট।

 2 years ago 

আমার কাছে তো মাঝে মাঝে এই খাবার গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে আর সবাই মনে হয় এই খাবারগুলো পছন্দ করে এর জন্যই তো এই দোকানগুলোতে অতিরিক্ত ভিড় থাকে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আপু অনেক সস্তায় পেয়েছেন।আমাদের এখানে শুধু মুরগীই ৩৬০টাকা।আর প্রত্যেকটি লুচি ৫টাকা।খেতে গিয়ে ছবি তুলতে ভুলে গেছেন এ থেকেই বোঝা যায় খাবার কত টা সুস্বাদু হয়েছে।ধন্যবাদ সুন্দর একটি রিভিউ দেওয়ার জন্য।

 2 years ago 

এটা তো রাস্তার পাশের ছোট ছোট দোকান মুরগির ছোট রোস্ট এটাতো গ্রিল না গ্রিল তো 380 টাকা করে বিক্রি করে ।গ্রীলতো সবসময় খাওয়া হয় এ ধরনের খাবার খুব একটা খাওয়া হয় না এজন্য রাস্তায় একটু খাবার খেয়ে দেখলাম।

 2 years ago 

এরকম রাস্তার পাশে তৈরি করা দোকানগুলোতে দাম কম হলেও খাবারের মানটা অনেক বেশি থাকে। খাবারটা অনেকটাই সুস্বাদু লাগে। আমরা এরকম রংপুর শহরে রাস্তার পাশে দোকানগুলোতে মাঝে মাঝে অনেক কিছু খেয়ে থাকি।
আর আপনার সেই চপ ও লুসি খাওয়ার গল্পটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।
আপনাদের জন্য শুভকামনা রইল

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন এই খাবারগুলো খেতে ভালোই লাগে আর দামও কিছু কিছু দোকানে বেশি আর কোন দোকানে কম কিন্তু খেতে ভালো লাগে দেখে সবাই এখানে বসে খাবার খায়।

 2 years ago 

চিকেন চাপ সবসময় নান রুটি দিয়ে খাওয়া হয়েছে, কখনো লুচি দিয়ে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার কথা শুনে মনে হচ্ছে চিকেন চাপ লুচি দিয়ে খেতেও খুবই স্বাদ লাগে। আপু রাস্তার ধারে ছোট ছোট দোকানগুলোতে যে মুখরোচক খাবার গুলো তৈরি করে তা সত্যিই দারুণ লাগে। হয়তোবা সব দোকানের নয় তবে কিছু কিছু রাস্তার ধারে দোকান গুলো অনেক নাম করে ফেলে। খাবারের মানগুলো তারা অনেক ভালো ও মানসম্মত করে থাকে। চিকেন চাপ ও লুচি খাওয়ার সুন্দর অনুভূতি টুকু শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।

 2 years ago 

লুচি দিয়ে আমিও এই প্রথম খেয়েছি অনেক মজা লাগে খেতে। ঠিকই বলেছেন ছোট ছোট দোকানগুলোতে অনেক সময় খুবই সুস্বাদু খাবার পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

চিকেন চাপ ও লুচি আমার ও পছন্দের একটি খাবার। ভার্সিটি গেলে প্রায়ই খাওয়া হয়। ফুচকার দোকানে বসে খেতে হয়েছে ভীড় এর জন্য। এর মানে এখানের খাবার এর মান ভালোই। লুচি গুলো কত টাকা করে পিছ ছিলো?

 2 years ago 

ফুচকার দোকানে খাওয়ার জন্য বসেছিলাম কিন্তু শেষ পর্যন্ত লুচির দোকানে বসেই খেয়েছি। লুচি গুলো পাঁচ টাকা করে ছিল। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।

 2 years ago 

আপু রাস্তার পাশের খাবারগুলো আসলেই অনেক মজার হয়। আপনাদের বিল ২৯০টাকা সেটা কিন্তু খুব বেশি না, এতা রেস্টুরেন্টে হলে মিনিমাম ৫০০ টাকা বিল আসতো, এতা শুনে খারাপ লাগলো যে আপনার টার্গেট জায়গায় লুচিটা আজকে বসে নাই, তাই অনেক দূর হেটে যেতে হয়েছে। তারপর ও পেয়েছেন এটা কিন্তু ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

যেখানে প্রতিদিন বসে সেখানেই খাওয়ার ইচ্ছা ছিল কিন্তু পাইনি, তবে ভবিষ্যতে ওইখানে খাওয়ার ইচ্ছা আছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.16
JST 0.033
BTC 64373.04
ETH 2775.53
USDT 1.00
SBD 2.66