★কাতল মাছের মজাদার রেসিপি★

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



PhotoEditorPro_1690217075275.jpg


আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । নতুন নতুন রেসিপি পোস্ট করতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে । আজকে আমি কাতল মাছের মজার রেসিপি শেয়ার করেছি । কাতল মাছ খেতে ভালোই লাগে । আমি তো সবসময় কাতল মাছ কিংবা রুই মাছ খেয়ে থাকি ।বাজার গেলে এ দুটি মাছের কোন একটা কেনাই হয় । আর এ মাছটা মোটামুটি ভালোই লাগে খেতে । এজন্য আমি এক এক সময় এক এক রকম করে এই মাছ রান্না করি থাকি । আমি বেশিরভাগ সময় সবজি দিয়ে রান্না করি । আজকে আমি সবজি ছাড়াই রুই মাছটা ভেজে একটু ঝোল ঝোল করে রান্না করেছি । বেশি করে ঝাল দিয়ে মজা করে রান্না করলে আমার ছেলেটাও খেতে খুব পছন্দ করে । আর ছোট বাচ্চাদের জন্য মাছ মাংস খাওয়াটা জরুরি । আমার ছেলেটা এমনি মাছ মাংস খুব একটা খেতে চায় না যদি ঝাল ঝাল মজা করে রান্না করা হয় তবেই ও খায় ।

02design-down.png

প্রয়োজনীয় উপকরণ

কাতল মাছ
পেঁয়াজ
মরিচ
হলুদের গুঁড়া
মরিচের গুঁড়া
জিরার গুঁড়া
পেঁয়াজ বাটা
আদা বাটা
রসুন বাটা
লবণ
তেল

02design-down.png

PhotoEditorPro_1690217094401.jpg

02design-down.png

কার্যপ্রণালী

02design-down.png

20230724_224103.jpg20230724_224035.jpg
20230724_224022.jpg20230724_224049.jpg

প্রথমে মাছগুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি । তারপর মাছের ভেতরে হলুদের গুড়া , মরিচের গুড়া ও লবণ দিয়ে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছি । এরপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে তেল দিয়ে দিয়েছি ।

20230724_224006.jpg20230724_223953.jpg
20230724_223940.jpg20230724_223916.jpg

এরপর ওই তেলের ভিতরে মাছের টুকরোগুলো নিয়ে ছেড়ে ছেড়ে দিয়েছি । এখানে তেলটা অনেক বেশি পরিমাণে গরম করে নিয়েছি যাতে মাছটা নিচে লেগে না যায় । এরপর মাছগুলো একেবারে কড়া করে ভেজে নিয়েছি । তারপর ভাজা মাছগুলো তুলে রেখেছি । এরপর তেলের ভিতরে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও মরিচ দিয়ে দিয়েছি ।

20230724_223903.jpg20230724_223848.jpg
20230724_223834.jpg20230724_223814.jpg

পেঁয়াজ ও মরিচ নরম হয়ে আসলে তার ভিতরে পেঁয়াজ বাটা, আদা বাটা, রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি । তারপর তার ভেতরে গুড়া মসলাগুলো ও লবণ দিয়ে দিয়েছি । সবকিছু দিয়ে নেড়েচেড়ে মসলাটাকে মিশিয়ে নিয়েছি সবকিছুর সাথে ।

20230724_223759.jpg20230724_223745.jpg
20230724_223727.jpg20230724_223714.jpg

এরপর মসলাটাকে বেশ সময় ধরে কষিয়ে নিয়েছি যতক্ষণ না তেল উপরে ভেসে ওঠে । তারপর সে মসলার ভেতরে ভেজে রাখা মাছগুলো একটা একটা করে বিছিয়ে দিয়েছি ।এরপর হালকা হাতে নেড়েচেড়ে তার ভিতরে মাছ রান্নার জন্য পানি দিয়ে দিয়েছি । এরপর একটু রান্না হয়ে পানিটা কমে আসলে তার ভিতরে দিয়ে দিতে হবে ।

20230724_223700.jpg20230724_223646.jpg

জিরার গুড়া দিয়ে আরও একটু সময় জ্বাল করে নিয়েছি । তারপর রান্না হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি । এরপর গরম গরম বাটিতে ঢেলে পরিবেশন করেছি ।

20230724_223630.jpg

20230724_223614.jpg

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  
 last year 

ভাতের সাথে খেতে খুবই ভালো লাগে আমার যে কোন মাছের ঝোল দিয়েই। আপনার রেসিপি একটু ঘন ঝোল ঝোল হয়েছে । আর কালার টা দেখেও বোঝা যাচ্ছে এটি কতটা সুস্বাদু হয়েছিল। তার পরিষ্কার পরিচ্ছন্নভাবে রেসিপি দিয়ে রন্ধন প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন।

 last year 

এটাতো ভাতের সাথে খাওয়ার জন্য একটু ঝোল ঝোল রেখেছি । ধন্যবাদ আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।

 last year 

আপনার কাতল মাছের রেসিপির কালারটা জাস্ট অসাধারণ ছিল আপু।রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব সুস্বাদু ছিল।আপনি রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন,এটা দেখে অনেক ভালো লেগেছে।রেসিপি পরিবেশন দুর্দান্ত হয়েছে।ধন্যবাদ সুন্দর রেসিপি পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

কালারটা যেমন অসাধারণ হয়েছে খেতেও কিন্তু খুব ভালই হয়েছিল ।

 last year 

আপু আপনার রেসিপি দেখে খিদা লেগে গিয়েছে।কাতলা মাছের খুব সুন্দর রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় দেখাচ্ছে। এভাবে মাছ ভুনা করলে খেতে খুবই সুস্বাদু লাগে। ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

এ ধরনের রেসিপি দেখলে খিদা লাগারই কথা আপু খাবার বলে কথা ।

 last year 

কাতলা মাছ আর রুই মাছ আমার খুব পছন্দের। আজ আপনি খুব সুন্দর ভাবে কাতল মাছের খুবই লোভনীয় রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। রেসিপি বেশ অসাধারণ হয়েছে। মাছ আগে ভালো করে ভাজি করছেন দেখে ভালো লাগলো। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।

 last year 

এ দুটো মাছ একেবারে একই রকম কোনটা কাতলা মাছ আর কোনটা রুই মাছ আমি তো আলাদাই করতে পারি না । না বললে বুঝতেই পারি না কিন্তু খেতে ভালই লাগে ।

 last year 

আপনাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়ত নতুন নতুন রেসিপি দেখতে খুবই ভালো লাগে।
কাতলা মাছের মজার একটি রেসিপি প্রস্তুত করেছেন। দেখেই লোভ হচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছিল মনে হচ্ছে।
রেসিপি প্রস্তুত প্রণালী সুন্দর উপস্থাপনা করেছেন শুভেচ্ছা রইল।

 last year 

আমাদের কাছ থেকে নতুন নতুন রেসিপি দেখে শিখে নেবেন আর পরে নিজে ট্রাই করবেন ।

 last year 

আপনাদের কাছ থেকে তো বেশ কিছু রেসিপি প্রস্তুত শিখে নিয়েছি ।আরো শেখার চেষ্টা করছি।

 last year 

কাতল মাছের মজাদার রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই খেতে ইচ্ছা করছে।এতো মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে উপস্থাপন দেখে শিখতে পারলাম।

 last year 

সুস্বাদু মনে হচ্ছে না শুধু সুস্বাদু হয়েও ছিল । খেতে খুব মজা হয়েছিল ।

 last year 

কাতল মাছ আমার খুব পছন্দ। তাই বেশীর ভাগ সময় কাতল মাছটাই খাওয়া হয়।আপনি দারুণ মজার রেসিপি শেয়ার করলেন। মাছ ভেজে নিলে খেতে ভীষণ মজার হয়।রান্নার ধাপগুলো সুন্দর ভাবে তুলে ধরার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।

 last year 

মাছ ভেজে এভাবে রান্না করলে সেটা খেতে বেশি ভালো লাগে ।আমি তো কষ্ট হয় দেখে এমনি রান্না করে থাকি মাঝে মাঝে ভাজি ।

 last year 

যদিও কাতলা মাছ খুব একটা খাওয়া হয় না তবে বাসায় আমাদের সবাই রুই মাছ খুবই পছন্দ করে। আপনি কাতলা মাছের দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন যা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। আর মাছের এমন পাতলা ঝোল খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

রুই মাছ আমি অনেক বেশি পরিমাণে খাই আমার কাছে রুই আর কাঁতাল একই রকম লাগে । আমি মাঝে মাঝেই খাই সব ধরনের মাছই ।

 last year 

কাতাল মাছের বেশ মজাদার রেসিপি শেয়ার করলেন অসাধারণ হয়েছে। কালার কম্বিনেশন এবং রেসিপির ধাপ গুলো খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করলেন। এত মজার করে ভিন্ন ভাবে তৈরি করলেন সত্যি খেতে অনেক মজার হবে। কাতাল মাছ তো এমনিতে মজার মাছ আপনি খুব মজার করে তৈরি করলেন। ধন্যবাদ আপু।

 last year 

মাছ সুন্দরভাবে ভেজে এভাবে রান্না করলে খেতে একটু বেশি মজা লাগে আমার কাছে ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.14
JST 0.029
BTC 66599.39
ETH 3336.69
USDT 1.00
SBD 2.70