★আমার গৃহ বন্ধী ঈদ★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি ব্লগ শেয়ার করতে চলে এসেছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিভাবে গৃহবন্দী ঈদটা কেটে গেল সেটাই । আমি সবসময় ঈদের আগেই ঠিক করে রাখি ঈদের দিন অবশ্যই একটু ঘুরতে যাব, কারণ এটা আমার সারা জীবনের অভ্যাস ।কারন ঈদের সময় অনেক কর্মব্যস্ততা থাকে সব কিছু কাটিয়ে উঠতে হলে বাইরে একটু রিক্সায় করে খোলা আকাশের নিচে ঘুরতেই হবে তা না হলে কিছুতেই ঈদটা পূর্ণ হয় না। এবারও ইচ্ছা ছিল কোথাও যাবো না এই বৃষ্টির দিনে শুধু মাত্র বিকেল বেলা যে দিকে মন চায় সেদিকে একটু ঘোরাঘুরি করব। আমরা যখন সবাই মিলে আমার বাবার বাসাতে থাকতাম তখন বিকেলবেলা আমরা সবাই মিলে একসাথে ঘুরতে বের হতাম । আমরা সব খালাতো ভাইবোনরা মিলে একসাথে দুই তিনটা রিক্সা নিয়ে বের হতাম এবং ঘুরতে ঘুরতে রাত করে তবেই বাড়ি ফিরতাম । কখনো রিক্সায় করে ঘুরেছি কখনো অটো নিয়ে ঘুরেছি। সেই দিনগুলো আসলেই খুব মিস করি। দিনগুলো তো আর কখনো ফিরে আসবে না।
ঈদের সময়টা ঢাকা শহরে রিকশা নিয়ে ঘুরতে অনেক ভালো লাগে । এই সময় পুরো ঢাকা শহরের লোকজন গ্রামে চলে যায় ঈদ করতে। এসময় পুরো ঢাকা শহর একেবারে ফাঁকা থাকে বললেই চলে। যে কোন জায়গা দিয়ে রিকশা নিয়ে ঘুরতে তখন অনেক বেশি ভালো লাগে এবং বিভিন্ন জায়গায় গিয়ে ফটোগ্রাফিও করা যায় । সেরকমই ইচ্ছা ছিল তবে বৃষ্টি সবকিছু একেবারে নষ্ট করে দিয়েছে । ঈদের দিন এত বেশি পরিমাণে বৃষ্টি ছিল তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না। মনে করেছি রান্নাবান্না সেরে খাওয়া দাওয়া করে বিকেলবেলা বের হব কিন্তু বৃষ্টি কিছুতেই থামল না যার কারণে আর ঐদিন বের হওয়া হলো না ।
সাধারণত আমাদের ফ্লোরের সব লোকজনই ঈদের ছুটিতে বাড়িতে যায় শুধুমাত্র আমরা দুইটা ফ্যামিলি এখানে থাকি এবং আমরা দুজন মিলে একসাথে খুব সুন্দর ভাবে ঈদটা পালন করি । ঈদের দিন আমার প্রতিবেশী বাসার সব লোকজন আমার বাসায় খাওয়া দাওয়া করেছে। খাওয়া-দাওয়া শেষ করে আড্ডা দিয়ে ঘুমাতে যেতে প্রায় সাড়ে তিনটা চারটা বেজে গিয়েছিল। যথারীতি পরের দিন আবার আমাদের ওই বাসায় রাতের বেলা দাওয়াত ছিল । যে কারণে পরের দিন আর কোনো কাজকাম আমার ছিল না । ঈদের পরের দিন নরমালি রান্না করা লাগে না। কারণ ঈদের দিনে এত বেশি পরিমাণে রান্না করা হয় যে খাবার কিছুতেই শেষ হয় না। এজন্য ওই দিন সম্পূর্ণ ফ্রি ছিলাম। যার জন্য ইচ্ছা ছিল বিকেলবেলা আজকে বের হব কিন্তু আবার সে বিকেল বেলা বৃষ্টি । কিছুতেই বের হতে পারলাম না । কি আর করা মন খারাপ করে বাসাতেই বসে রইলাম আর বারান্দায় বসে বসে বৃষ্টি দেখতে থাকলাম । বৃষ্টি দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে ।
তারপর রাতের বেলা আটটা সাড়ে আটটার দিকে উনাদের বাসায় চলে গেলাম এবং সেখানে গিয়ে কিছু হালকা নাস্তা করে আমরা একটা মুভি দেখতে বসলাম সবাই মিলে। মুভি শেষ হতে হতে রাত দেড়টা বেজে গিয়েছিল । তারপরে আমরা সবাই খেতে বসলাম । খাওয়া দাওয়া শেষ করে আড্ডাটা দিতে দিতে আজও তিনটা বেজে গিয়েছিল । সবাই মিলে বাসার ভিতরে খুব মজা করেছি শুধু একটা জিনিস খারাপ লেগেছে বাইরে একটু শান্তি মত ঘুরতে পারলাম না । আজও মনে মনে ইচ্ছা ছিল বাইরে যাওয়ার কিন্তু সেই দুপুর থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে একনাগারের নেমেই চলছে থামার কোন নামই নেই । যাই হোক সব মিলিয়ে ঘরের ভিতরে মোটামুটি ঈদটা ভালোই কেটেছে । যে দিনটা যায় সেদিনটা আল্লাহর রহমতে ভালই যায় ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
বৃষ্টির কথা আর বলেন না তো আপু। সেতো মনে হয় একটি নিয়ম করেই নিয়েছে যে সে প্রতিদিন বিকেলে আসবে। আর আমাদের কে ঘরে বসিয়ে ঈদ করাবে। কি যে যন্ত্রণা। প্রতিদিন বাহিরে যাওয়ার জন্য কাপড় পড়ি আর খুলে ফেলি। এভাবে কি হয়? ঈদ তো পুরাই নষ্ট হয়ে গেল। তবুও তো আপনারা বেশ মজাই করছেন এ বাড়ী আর ও বাড়ী করে। ভালো লাগলো আপনার এবাড়ি আর ও বাড়িরর কাহিনী।
তা ঠিকই বলেছেন আপু বৃষ্টির কারণে বাইরে যাওয়া হয়নি, তবে দু পরিবার মিলে খুব ভালো এনজয় করেছি ।
আসলে বৃষ্টি ভালো লাগলেও কিছু কিছু সময় বৃষ্টি কিছুটা বিরক্তির কারণ হয়েও দাঁড়ায় । যেমন আপনার ঈদের দিন এবং ঈদের পরদিন কোনদিনই ঘুরতে পারলেন না এই বৃষ্টির কারণে ।আসলে ছোটবেলায় আমরা ঈদের দিন অনেক আনন্দ করতাম সেগুলো এখন শুধুই স্মৃতি ।তারপরেও আপনি আপনার পাশের বাসার ফ্যামিলির সঙ্গে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে ।
প্রতিবার ঈদ আসলে সে আগেকার স্মৃতিগুলো মনে পড়ে যায় । সেদিন গুলো কি আর ফিরে পাওয়া যাবে । ভালো ছিল আগেকার দিনগুলো ।
ঈদের দিন আমাদের এদিকে অবশ্য বৃষ্টি ছিল না। তবুও বাহিরে কোথাও যাওয়া হয়নি। আসলে আগের মত সেই আনন্দ এখন আর করা হয় না। সময় যেমন বদলে গেছে তেমনি আনন্দ গুলো বিলীন হয়ে গেছে। যাই হোক কি আর করার প্রতিবেশীরা ছিল বলেই কিছুটা সময় তাদের সাথে কাটিয়েছেন। না হলে তো আরো কষ্ট পেতেন আপু।
ঠিকই বলেছেন আপু আগের সে আনন্দে এখন আর খুঁজে পাওয়া যায় না । যত দিন যাচ্ছে তত ঈদটা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে ।