★অবশেষে ঈদে বাবার বাড়িতে চলেই এলাম★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে ঈদে বাড়ি ফেরা নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আমি আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলাম এবারের ঈদ ফরিদপুরে আমি আমার আম্মার সাথে পালন করব, তাই আগে থেকে প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছিলাম। এজন্য ৪-৫ দিন আগে গিয়ে টিকিটটা কেটে রেখেছিলাম যার কারণে টিকিট কাটা দিয়ে শেষের দিকে আর ভোগান্তি হয়নি। দু-তিনদিন আগে সবকিছু গুছিয়ে ফেলেছিলাম । আমাদের টিকিট ছিল তিনটা ৩৫ মিনিটে আমরা বাসা থেকে রেডি হয়ে দুটার দিকে বের হয়ে গেলাম। আমরা একটু আগে বের হয়েছি যাতে রাস্তায় জ্যাম হলেও কোন অসুবিধা না হয়।
কাউন্টারে গিয়ে যে দৃশ্য দেখলাম তার কথা আগে থেকে কখনো চিন্তাই করিনি। এতটা পরিমাণ ভিড় ছিল যে একটু দাঁড়ানোর জায়গা ছিল না। তিন চারটা এসি চলছিল তারপরও এতটাই গরম ছিল যে কি আর বলবো। মানুষজন বসে আছে এবং দাড়িয়েও রয়েছে। আমরা কিছু সময় দাঁড়িয়ে থাকার পরে কাউন্টার থেকে লোকজন বলল যে তাদের নিচেও আরো বসার জায়গা রয়েছে। সেখানে গিয়ে একটুখানি নিচে বসি তারপর স্বস্তি। আমরা যখন গিয়ে পৌঁছেছি তখন আড়াইটা বাজে। আড়াইটার সময় একটা গাড়ি আসলো বললো এটা একটার গাড়ি। এভাবে একটার পর একটা গাড়ি আসছে অনেক বেশি লেট হচ্ছে। কারণ রাস্তায় গাড়ি আসতে অনেক বেশি লেট হয়েছিল । এজন্য এক একটা গাড়ি সময় এর এক দেড় ঘন্টা পরে আসছিল । আমরা তো একেবারে বসে আছি আর ভাবছি হয়তোবা আজকের ইফতারি রাস্তায় করতে হবে। কিন্তু কিছু সময় বসে থাকার পর দেখলাম যে আমাদের গাড়ির সময় প্রায়ই কাছে চলে এসেছে । অল্প কিছু সময় পর বলল যে আমাদের গাড়িটা এসেছে।
আমরা তাড়াতাড়ি করে গাড়িতে গিয়ে বসলাম । গাড়ি চলতে যতটুকু অসুবিধা হয়েছিল ঢাকার ভেতরে পড়ে ঢাকার ভেতর থেকে বের হয়ে যাওয়ার পরে আর কোন জ্যাম ছিল না। খুব সুন্দর ভাবে গাড়িটি চলে এসেছে ।একেবারে ২ ঘন্টার ভিতরে আমরা ফরিদপুরে পৌঁছে গিয়েছি। আমাদের বাসার ঢোকার পাঁচ মিনিট মিনিট আগে মাগরিবের আযান দিয়ে দেয়। আমরা গাড়িতে বসেই পানিটুকু খেয়ে নেই। বাসায় এসে সুন্দরভাবে ইফতারি করতে পেরেছি। আমরা সরাসরি আমাদের বাসায় না এসে আগে আমার শ্বশুর বাড়িতে ঢুকেছি। কারণ সেখান থেকে বারবার ফোন দিচ্ছিল এজন্য ওখানে গিয়ে ইফতারিটা সেরে তারপর আরো কিছু সময় রেস্ট নিয়ে আমাদের বাসায় চলে এসেছি। আমার শ্বশুর বাড়িতে শুধু আমার দেবর তার ফ্যামিলি নিয়ে থাকে শ্বশুর শাশুড়ি বেঁচে নেই । এজন্য খুব তাড়াতাড়ি সেখান থেকে চলে আসতে পারি। কারণ আমি এবার এসেছি আমার আম্মার সাথে ঈদ করার জন্য তাই ওখানে আর বেশি সময় অপেক্ষা করিনি। সুন্দরভাবে আল্লাহর রহমতে বাসায় পৌঁছে গিয়েছি আল্লাহর কাছে হাজার শুকরিয়া। এখন ঈদ আর বৃষ্টির জন্য অপেক্ষা।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
পরিবারের মানুষের সাথে ঈদ উদযাপন করার মধ্যে অন্য রকমের একটা আনন্দ রয়েছে। খুব ভালো করেছেন একটু আগে থেকেই বের হয়ে কেননা ঈদের সময় রাস্তাতে প্রচুর পরিমাণে জ্যাম দেখতে পাওয়া যায়।
ঠিকই বলেছেন নিজের পরিবারের সাথে ঈদ করার মজাই আলাদা। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
শুরুতেই ঈদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি আপু ঈদ মোবারক। ঈদের আগে বাসের টাইম সিডিউল নিয়ে একটু ভোগান্তিতে পড়তে হয় মাঝেমধ্যে। কিন্তু তারপরেও প্রিয়জনের সাথে উৎসব ভাগাভাগি করে নেওয়ার আনন্দে এ কষ্টগুলো যেন নিমিষেই দূর হয়ে যায়। আশা করি প্রিয়জনদের পাশে পেয়ে খুব মজা করে আজকের ঈদের দিনটা অতিবাহিত করছেন। সবার জন্য অনেক শুভেচ্ছা রইল আপু।
ঠিকই বলেছেন রাস্তায় যতই কষ্ট হোক না প্রিয়জনের সাথে দেখা হলে তখন আর কষ্ট গুলো মনে থাকে না। ভালই লাগে কষ্ট করে হলেও সবার সাথে মিলে ঈদ করার মজাই আলাদা।
প্রথমে আপনাকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাই ঈদ মোবারক। আশা করি অতি আনন্দঘন মুহূর্তের মধ্য দিয়ে ঈদের দিনটা পরিবারের সাথে উদযাপন করতে পেরেছেন। কারণ ঈদের দিন যদি নিজের পিতা-মাতার সাথে উদযাপন করতে পারা যায় এর চেয়ে বড় সুখ কোথাও নেই বললে চলে। তাই আপনজনদের টানে দূর-দূরান্ত থেকে সবাই ফিরে আসে আর এই সামান্য সময়টা জেনো স্বর্গের সুখ নেমে আসে যদি এক সাথে ঈদ উদযাপন করতে পারা যায়।
ঠিকই বলেছেন নিজের বাপ মা ভাই বোনের সাথে ঈদ করার মজাই আলাদা তো অন্য কোন কোথাও পাওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।