★বোনকে নিয়ে দাঁতের ডাক্তার এর কাছে যাওয়া★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে আবার একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব বোনকে নিয়ে দাঁতের ডাক্তারের কাছে গিয়েছিলাম সেখানকার কিছু কথা। আমার বোন বেশ কিছুদিন ধরে দাঁতের সমস্যায় ভুগছিল তারপর সে ব্যথা নিয়ে একজন ডাক্তারকে দেখায়। সেই ডাক্তার তার দাঁতের চিকিৎসা করে দেয় বেশ কিছুদিন আগে। সেটা আমি ঢাকায় বসে শুনলাম যে ওর দাঁতে খুব সমস্যা হচ্ছে এজন্য ও দাঁতের ডাক্তারকে দেখিয়েছে। আমি একজন ডাক্তারের কথা বলেছিলাম তাকে দেখাতে, কারণ আমি যখন ফরিদপুরে ছিলাম তখন আম্মাকে নিয়ে ওই ডাক্তারকে দেখাতাম। আব্বুকেও একবার দেখিয়েছিলাম আব্বুর কিছু দাঁত ওই ডাক্তারকে দিয়ে বাধানো হয়েছিল। তাছাড়া ওই ডাক্তারকে আমি অন্যভাবেও চিনতাম। ডাক্তারটার চিকিৎসা আমার কাছে ভালো লাগতো। এজন্য আমি ওকে বলেছিলাম ওই ডাক্তারের কাছে যেতে কিন্তু ওরা ওদের কাছে না যেয়ে ওদের পরিচিত এক ডাক্তার এর কাছে গিয়েছে। আমাদের ফরিদপুরে আরো একজন ভাল ডাক্তার আছে সেও ভালো তবে তার কাছে গিয়ে একটা খারাপ অভিজ্ঞতা হয়েছিল। আমার আপুর কয়েকটা দাঁত ক্যাপ পরানোর কথা ছিল, তবে প্রথমে আমি আমার পরিচিত ডাক্তারের কাছে গেলে তিনি বলেছিলেন অল্প সময়ের করা যাবে না কারণ আপু সময় ছিল কম ও দেশের বাইরে চলে যাবে। তাই আর অন্য আরেকজন তার কাছে গিয়েছিলাম সে অল্প সময় টাকার জন্য ক্যাপ দিয়েছিল কিন্তু সেটি নষ্ট হয়ে গিয়েছিল আবার করতে হয়েছিল। এজন্য ওই ডাক্তারকে আমার ভালো পছন্দ না উনি টাকাটাই আগে দেখে। আমার ছোট বোন দাঁতের চিকিৎসা করার বেশ কিছুদিন পরে ওর দাঁতের ব্যথা রয়ে গিয়েছিল, ব্যথা কিছুতেই সারছিল না।
তারপরে আমি ফরিদপুর আসার পরে ও আবার ওই ডাক্তার এর কাছে যায় তখন সে ডাক্তার ওর দাঁত দেখে বলে যে আরো সমস্যা হয়েছে এখানে আরো দুটো দাগ রুট ক্যানেল করতে হবে। তখন ও ডাক্তারকে দেখিয়ে চলে আসে। তারপর আমি আমার পরিচিত ডাক্তারের কাছে ওকে নিয়ে গেলাম সেখানে গিয়ে ডাক্তার দাঁতটা ভালো করে দেখলো এবং আগের এক্সরে রিপোর্ট দেখে সে প্রবলেমটা ধরতে পারলো। বলল যে ফিলিং করলেই হয়ে যাবে। প্রথম দিন গিয়েছিলাম তিনি টেম্পোরারি ফিলিং করে দিয়েছিল। পরে আরো ১ সপ্তাহ পরে আসার জন্য বলল। প্রায় ১০ বছর পরে এই ডাক্তারের সাথে আমার দেখা তারপরে উনি আমাকে চিনতে পেরেছে, ওনার ব্যবহারটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। তারপরে আমরা আবার সাত দিন পরে গিয়েছিলাম ডাক্তারের কাছে। তিনি আবার দাঁতের এক্সরে দেয়।
আমরা পাশের বড় একটা ডায়াগনস্টিক সেন্টার থেকে এক্সরে করতে চেয়েছিলাম। উনি বলে যে এখান থেকে এক্সরে করার কি দরকার এখানে টাকা বেশি নিবে। পাশে অন্য আরেক জায়গায় আছে সেখানে দেখিয়ে দিল এবং হেসে দিয়ে বলল যে তোমাদের যদি টাকা বেশি থাকে তাহলে তোমরা এখানে দিয়ে আসতে পারো আমার কোন সমস্যা নেই। তখন আমরা তার কথামতো সে যেখানে বলেছে সেখানে গেলাম সেখানে সেখানে অল্প টাকা এক্সরে করে দিল। এই কাজটা ডাক্তার না করলেও পারত, আমাদের যেখানে খুশি আমরা এক্সরে করতে পারি উনি শুধুমাত্র আমাদের টাকাটা বাঁচানোর জন্যই আমাদের ভালো একটা সিদ্ধান্ত দিয়েছিল যেটা আমার কাছে ভালো লেগেছে। দাঁতের ভেতরের কিছু প্রবলেম দেখে নিলেন তারপরে পার্মানেন্টলি দাঁতের ফিলিং করে দিলেন। এখন মনে হচ্ছে সমস্যাটা সমাধান হয়ে যাবে। না হলে ডাক্তার বলেছে পরবর্তীতে হয়তো আগের রুট ক্যানেল ফেলে দিয়ে নতুন করে রুট ক্যানেল করতে হবে, তা নাহলে সমস্যা থেকে যাবে।
ওখান থেকে আসার সময় আমরা ওষুধ কেনার পথে রাস্তার পাশে বড় একটি সন্ধ্যা মালতি ফুল গাছ দেখতে পেলাম। এখানে ফুলের কালার ছিল হলুদ ও লাল একই গাছে দুই রঙের ফুল যেটা দেখে আমার কাছে খুবই ভালো লাগছিল। আমরা গাছের কাছে যেয়ে খুব খোঁজাখুঁজি করেছিলাম দেখি কোন বিচি পাই কিনা কিন্তু রাত হয়ে গিয়েছিল দেখে কোন বিচি পাইনি। পরে আমরা কিছু ডাল ভেঙে নিয়ে এসেছিলাম লাগানোর জন্য। ডাল ৩-৪ দিন লাগানোর পরে একেবারে হেলে পড়েছিল আমি উঠে ফেলে দিয়েছি। আবার সাতদিন পরে যখন গিয়েছিলাম তখন আবার দিনের বেলা ওই গাছের কাছে গিয়ে দেখি গাছ ভর্তি বিচিতে ভরা। তখন আমরা এখান থেকে কিছু বিচি নিয়ে আসলাম। তখন ওইখানের একটা ছেলে বলল যে কিছু ডাল ভেঙে নিয়ে যান, আমরা ডাল ভেঙে লাগিয়েছি, সেখান থেকে আমাদের গাছগুলো এত বড় হয়েছে। ছেলেটা নিজেই গাছের বড় বড় কয়েকটা ডাল ভেঙে দিল। পরে আমরা ডালগুলো নিয়ে বাসায় এনে আবার লাগিয়েছি দেখা যাক গাছগুলো হয় কিনা হলে আপনাদের সাথে ছবি শেয়ার করবো। তাড়াহুড়া করে আসার কারণে গাছের কোন ছবি তুলতে পারিনি। তবে গাছটা দেখার মত সুন্দর ছিল একই গাছে দুই রঙের ফুল ফুটে আছে অসম্ভব রকমের সুন্দর লাগছিল গাছটি।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
প্রথমে বলবো আপনার বোনের দাঁতের সমস্যাটি আল্লাহ যেন তাড়াতাড়ি সুস্থ করেদেন। যার দাঁতের সমস্যা সেই বুঝে দাঁতের মর্ম। খুব সুন্দর পরামর্শ দিয়েছে ডাক্তার ভালো না হলে আবার দেখানোর জন্য ডাক্তারদের এই নিয়ম। বাইরে এসে একটি ফুলবাগান দেখতে পেলেন। রাত হওয়াতে কিছু ডাল ভেঙে নিয়ে আসলেন। পরবর্তীতে আবার যাওয়ার পর গাছটিতে কিছু বিচি এবং ফুল ফুটেছে। সময়ের কারণে ফুলগুলো ফটোগ্রাফি করতে পারেন। খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপু দাঁতের সমস্যা যার আছে সেই বুঝবে দাঁতের কষ্ট। ধন্যবাদ আপু আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আজ যখন ডাক্তারি পেশা ছেড়ে দিয়েছি , তখন দেখি চতুর্দিকে শুধু দাঁতের রুগী । দাঁতের রুগীদের কথা শুনলেই, সেই চেম্বার জীবনের কথা মনে পড়ে যায় ।
আমি এই পোস্টটি পড়ছিলাম আর মনে মনে শুভ ভাইয়া আপনার কথাই ভাবছিলাম। ভাবছিলাম যে নিশ্চয়ই শুভ ভাই এই পোস্টটি পড়বে এবং কমেন্ট করবে। নিচে এসে ঠিক তাই দেখলাম। কারণ দাঁতের ডাক্তার বিষয়ক কোন কিছু দেখলে ভাইয়ার পুরনো চেম্বারের কথা মনে পড়ে যায় তা আমার জানা।
অতীত বড়ই আবেগপ্রবণ আপু । ডাক্তারির কথা শুনলেই অতীত মনে পড়ে যায় ।
রোগী যেহেতু বেড়ে গিয়েছে তাই আবার চেম্বার শুরু করুন আমরা আসছি রোগী নিয়ে।
হাহাহা , আর ইচ্ছা করে না আপু । তবে আপনার বোনের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি । শুভেচ্ছা রইল।
বাংলাদেশের ডাক্তারের সংখ্যা এমন ভাবে বেড়ে গেছে , ভালো ডাক্তার খুঁজে পাওয়ায় মুশকিল এত কিছুর ভিড়ে। তবে যারা প্রকৃতই ভালো মানুষ এবং ভালো সেবা করার জন্য মনস্থির করেন তারা সব সময় রোগীর দিক টা বিবেচনা করে সব ধরনের কাজ করেন। অন্তত এইবার যে ভালো চিকিৎসাটা পরেছে আপুর দাঁতে এটা জেনে খুব ভালো লাগলো। আর ডাক্তার নিয়ে যেটুকু শুনলাম এবং বুঝলাম তাতে তো খুব ভালো একজন মানুষ বলে মনে হয়েছে এবং প্রকৃত পক্ষেই ভদ্রলোক।
আর আপু বিচি থেকে সত্যিই কি গাছ হতো!!!একদিন আপনার সেই গাছটার ফুলের ছবি শেয়ার করবেন অবশ্যই।
ঠিকই বলেছেন বাংলাদেশ আনাচে কানাচে ডাক্তার এর কোন অভাব নেই, কিন্তু ভালো ডাক্তার খুঁজে পাওয়া আসলে অনেক কষ্টকর। অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া। আর সেই গাছ থেকে ফুল ফুটলে অবশ্যই শেয়ার করব।
আপু আগে যে ডাক্তারের কাছে গিয়েছিল ওই ডাক্তারের কাজ আমার একদমই পছন্দ হয়নি। ওকে বারবার করে বলছিলাম যে এই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার জন্য। ইনি অনেক ভালো। যাক অবশেষে এই ডাক্তারের কাছে গিয়ে সমাধান পেয়েছে জেনে ভালো লাগলো। আশা করি এতেই কাজ হবে। আর ইনার ব্যবহার আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। যে গাছের বিচি নিয়ে এসেছেন গাছ ভালো মতো হলে আমাকেও কিছু দিয়েন।
ওই ডাক্তারের নাম শুনেই তো আমার কাছে ভালো লাগেনি। ফুল তো আগে ফুটুক তারপর দেখা যাবে।