বেগুন দিয়ে ঝিঙে ভাজি রেসিপি,10%shy-fox
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে খুবই মজাদার একটি ভাজি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি আর এই ভাজিটি হল ঝিঙে ভাজি রেসিপি। ঝিঙে আমার কাছে খুবই ভালো খেতে একটু মিষ্টি মিষ্টি লাগে আর সাথে যদি একটু বেগুন দেওয়া হয় তাহলে আরো মজা হয় ।ঝিঙে ও বেগুন দুটিই নরম সবজি দুটি মিলে একাকার হয়ে যায় খাওয়ার সময় একটু অন্যরকম টেস্ট লাগে। আজ আমি ঝিঙে ও বেগুন মিলিয়ে যে মজাদার ভাসিটি করেছি সেটি এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
বেগুন ―১টি
পেঁয়াজ―২টি
মরিচ―৬টি
হলুদ ―পরিমাণমতো
লবণ― পরিমাণমতো
তেল― পরিমাণমতো
কার্যপ্রণালী
 |  |
|---|
প্রথমে ঝিঙে আর বেগুন গুলো গোল গোল করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। তারপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তার ভিতরে তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তেলের ভিতরে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও মরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি। পেঁয়াজ ও মরিচ দিয়ে একটু নাড়াচাড়া দিয়ে তার ভিতরে কেটে রাখা ঝিঙে ও বেগুনগুলো দিয়ে দিয়েছি।
 |  |
|---|
তারপর হলুদ ও লবণ দিয়ে নেড়েচেড়ে সবকিছু মিশিয়ে নিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি ।ঢাকনা খুলে পড়ে দেখবো যে ঝিঙের ভিতর থেকে বেশ খানিকটা পানি উঠে এসেছে এই পানিটা দিয়ে আমার রান্নাটা হয়ে যাবে।
 |  |
|---|
তারপর আরো একটু নেড়েচেড়ে ঝিঙের ভিতরে কিছু ধনিয়া পাতা দিয়ে নেড়েচেড়ে আবার অল্প সময়ের জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
 |  |
|---|
তারপর ঢাকনা খুলে ভালো করে নেড়ে চেড়ে পানিটা শুকিয়ে নিয়েছি ।পানিটা যখন পুরোটাই টেনে আসবে তখন বুঝতে হবে যে ভাজিটা হয়ে গিয়েছে তখন চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
এখন একটা বাটিতে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করেছি। খেতে কিন্তু খুবই মজাদার হয়েছিল বেগুন দেওয়ার কারণে অন্যরকম মজা লাগে খেতে। আপনারা চাইলেই একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন।
আশা করছি আমার আজকের এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
| ফটোগ্রাফার | @tauhida |
|---|---|
| ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।
@tauhida
ঝিঙ্গা ভাজি খেয়েছি তবে বেগুন দিয়ে কখনও ঝিঙ্গা ভাজি রেসিপি খাওয়া হয়নাই। নতুন ধরনের একটি রেসিপি দেখলাম। আপনি খুব সুন্দর করে ঝিঙ্গা ভাজি রেসিপির প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন। যা দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে এরকম সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঝিঙে ভাজিতো সবসময় একাই ভাজি করা হয় মাঝে মাঝে এ ধরনের বেগুন কিংবা অন্যকোন নরম সবজি মিশিয়ে করে দেখবেন খেতে অনেক ভালো লাগে।
সুস্থ থাকার জন্য সবজি খাবার কোন বিকল্প নেই কিন্তু দুঃখের বিষয় ঝিঙ্গা এবং বেগুন দুইটি আমার ভীষণ অপছন্দের। বেগুন কোনরকমে খেতে পারলেও ঝিঙ্গা আমি কোনদিনও খাইনি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে অনেক ভালো লাগছে। মনে হচ্ছে সামনে পেলে একটু চেখে দেখতাম। ধন্যবাদ
আমিতো অনেক বেশি পরিমাণে সবজি খাই প্রতিদিনই সবজি আমার থাকতেই হবে। আর বেগুন ঝিঙে দুটোই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি খান না তবে একবার খেয়ে দেখবেন এভাবে করে ভালই লাগে খেতে।
আপনার বেগুন দিয়ে ঝিঙে ভাজি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে ভীষণ সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছে এই রেসিপিটি। আপনারা কি চোখে দেখে আমার খুবই খিদে পেয়ে গেছে। ইচ্ছে করতেছে আপনার কাছ থেকে নিয়ে খেয়ে নিতে। গরম গরম ভাতের সাথে এই রেসিপি খেলে ভীষণই ভালো লাগবে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এ ধরনের সবজি গুলো দিয়ে গরম গরম ভাত খেতে অনেক ভালো লাগে একদিন করে দেখবেন ভালো লাগবে খেতে ধন্যবাদ।
আপু আপনি বেগুন দিয়ে ঝিজ্ঞের মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আমারতো দেখেই জিভে জল এসেছে।ইচ্ছে করছে একটু খেয়ে নেই।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপু আমি বাটি ধরে দিয়ে রেখেছি আপনি এখান থেকে নিয়ে একটু খেয়ে দেখতে পারেন আমি কিছু মনে করব না অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি বেগুন দিয়ে ঝিজ্ঞের মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আমারতো দেখেই জিভে জল এসেছে।ইচ্ছে করছে একটু খেয়ে নেই।আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।আপনার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আপু বেগুন দিয়ে ঝিঙে ভাজি দেখেই যেন কোনভাবে লোভ সামলাতে পারছিনা। প্রথমে দেখে খুবই লোভনীয় লাগছিল এবং খেতেও ইচ্ছে হয়েছিল। কারণ রেসিপির কালার টা দেখতে বেশ ভালো ছিল। আপনি প্রতিটা স্টেপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এ ধরনের খাবার গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আমি তো এ ধরনের সবজি গুলো প্রায় প্রতিদিনই খেয়ে থাকি ।ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
ওয়াও! কি লোভনীয় একটা রেসিপি দেখতে যেরকম অসাধারণ, খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সত্যি আপু এই রকম রেসিপি দেখলে লোভ সামলানো মুশকিল। যদিও বেগুন ও ঝিঙ্গা এই দুইটা একসাথে করে কখনো রান্না করে খাওয়া হয়নি।
খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ভাইয়া একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন ভালো লাগে খেতে অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আলাদাভাবে বেগুন ও ঝিঙা দুটোই আমার খুব পছন্দের সবজি। বেগুন ও ঝিঙা ভাজি আমার কাছেও খুব ভালো লাগে। কিন্তু আমি কখনো বেগুন দিয়ে ঝিঙা একসঙ্গে ভাজি করে খাইনি। আপনি খুব চমৎকার করে বেগুন দিয়ে ঝিঙা ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।সুস্বাদু এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
এ ধরনের তরকারি আমারও অনেক বেশি পছন্দ তবে আমি এরকম মিশিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি ভাজি করে খেয়ে থাকি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনিও একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন খুবই মজা লাগে খেতে ধন্যবাদ আপনাকে।
বেগুন দিয়ে ঝিঙে ভাজি আমি আগে কখনো খাইনি। বেগুন দিয়ে আলু অথবা ঝিঙে দিয়ে আলু অনেক খেয়েছি। বেগুন দিয়ে ঝিঙে রেসিপি তৈরি করা যায় তা জানতাম না। তবে আপনার তৈরি বেগুন দিয়ে ঝিঙে ভাজি রেসিপি দেখে দারুণ লাগছে। মনে হচ্ছে খেতে অনেক অনেক মজার হয়েছে। আর তাই পরবর্তী সময়ে আমিও এই রেসিপিটি বাসায় তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করব। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য ধন্যবাদ।
বেগুন দিয়ে ঝিঙে বাজি করলে খেতে অনেক ভালো লাগে বেগুনও নরম তরকারি ঝিঙেও অনেক নরম দুটি মিলে করলে খেতে খারাপ লাগে না আমার কাছে তো অনেক ভালো লাগে ধন্যবাদ আপনাকে।