আসসালামু আলাইকুম

---

---

আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।

---

---

আজ আমি এসেছি আপনাদের সাথে কিছু রেন্ডম ফটোগ্রাফি শেয়ার করে নিতে। আমি তো খুব একটা বাসার বাইরে যাই না তাই হঠাৎ করে ঈদের দিন যাওয়ার একটা সময় সুযোগ হয়ে গেল তাই ছবি তুলতেও কিন্তু আমি সুযোগ মিস করিনি । অনেক ছবি তুলে ফোনটা ভরে ফেলেছি তবে সব ছবিতো শেয়ার করা যায় না তাই কিছু কিছু ছবি আপনাদের সামনে শেয়ার করতে চলে এসেছি। বোঝেনি তো অনেকদিন পরে খাঁচার পাখি মুক্ত খোলা আকাশের নিচে ঘোরার একটু সুযোগ পেয়েছে তাই সেটা কি আর মিস করা যায়। যদিও আমরা যখন বাইরে বের হয়েছিলাম তখন আকাশে একটু রোদ ছিল কারণ একটু দিনে দিনে বের না হলে দূরে রিকশায় করে যাওয়া যায় না ।তাই আমরা দিনের বেলায় বাইরে বের হয়েছি আকাশের ছবিগুলো তখন যখন তুলেছি তখন আকাশের দিকে তাকিয়ে ছবিগুলো তুলতে একটু কষ্টই হয়েছিল। তারপর আবার চলন্ত রিক্সা থেকে কিছু ছবি তুলেছি বারবার আমার হাজব্যান্ড বলছিল তুমি কিন্তু ছবি তুলতে তুলতে রিক্সা থেকে পড়ে যাবে তারপরও আমি কিন্তু ছবি তোলা বাদ দেইনি। ছবিগুলো তুলে নিয়েছি এখন কিছু ছবি আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করব।

এখন যে ছবিটি দেখছেন সেটা পার্লামেন্টস মেম্বার ক্লাব সেখানে দাঁড়িয়ে বাচ্চাকে বললাম যে তুমি এখানে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলো। বাচ্চার তো মনটা খারাপ তাই দেখুন ছবিতেই বোঝা যাচ্ছে যে তার মন খারাপ নিয়ে এসে ছবিটা তুলেছে মুখে একটু হাসি নেই হাসি দিতে বললেও সে হাসেনি, কারণ তাকে রিক্সায় করে ঘুরতে নিয়ে আসা হয়েছে সেজন্য তার মনটা খুব খারাপ।

এখন যে আকাশের ছবিযোগ গুলো দেখছেন এটা সংসদ ভবনের প্রায় কাছাকাছি রিকশায় বসে ছবি দুটো তুলেছি ।খোলা আকাশের নিচে আকাশের দিকে তাকালে কি যে ভালো লাগে এরকম আকাশ দেখলে একেবারে মনটাই ভরে যায়। মনে হয় সমস্ত আকাশটাকে এক ক্যামেরায় বন্দি করে ফেলি কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব নয় যেটুকু পেরেছি তুলেছি।

এখন যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলোও সংসদ ভবনের আশেপাশেই তোলা ছবি। ঈদের সময় রাস্তাঘাট একদমই ফাঁকা থাকে বললেই চলে তাই সেই সময়টাতে রাস্তায় বের হয়ে অনেক ভালো লাগে। কারণ তেমন একটা গাড়ি থাকে না ফাঁকা রাস্তার দিকে তাকালেও কেমন যেন একটা শান্তি শান্তি লাগে। ঠিক সন্ধ্যার আগ দিয়ে দেখুন সূর্যটা একেবারে মুখের উপর এসে পড়ছে যেন আগুনের গোলা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল।

এই ছবিটিতে আমার বাচ্চার শখ জেগেছে সে সোজা রাস্তা রেখে বাঁকা রাস্তা টুকু ধুয়ে হেঁটে যাবে তখন কিছুদূর একা একা যাওয়ার পরে তাকে হাত ধরিয়ে সেই রাস্তা দিয়ে হাঁটিয়ে আনা হয়েছে এতেই সে খুব খুশি হয়েছে।

সংসদ ভবন এলাকায় আশেপাশে শুধু গাছ আর গাছ, গাছের ভিড়ে আকাশের দিকে তাকিয়ে আকাশটাকে তেমন একটা ভাল দেখা যায় না গাছের ফাঁকা দিয়ে আকাশ যতটুকু দেখা যায় দেখতে ভালোই লাগে তাই ছবিটা তুলে নিয়েছি।

এখনকার ছবিটিতে আমরা যখন সংসদ ভবনের কাছে গিয়ে একটা জায়গায় বসে বসে আইসক্রিম খাচ্ছিলাম হঠাৎ আমার বাচ্চা বলে মা দেখো আকাশ দিয়ে একটা প্লেন যাচ্ছে। আমরা নিচ থেকে যখন দেখতে পেলাম প্লেনটি অনেক বড় দেখা যাচ্ছিল যখন ছবিটি তুললাম তখন একেবারে ছোট্ট একটি প্লেন যেন চোখেই পড়ে না।

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার	@tauhida
ডিভাইস	samsung Galaxy s8 plus

Link:https://what3words.com/punk.wasps.pressing

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

@tauhida