★স্পেশাল দিনের কিছু আনন্দময় মুহুর্ত★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজ আমি বেশ কিছুদিন হলো সময়ের স্বল্পতার কারণে তেমন করে কিছু আর্ট কিংবা বানানোর সময় পাচ্ছিনা । বেশিরভাগ সময় ব্যস্ততার ভিতর দিয়ে চলে যাচ্ছে। সেরকম করে আর্ট এবং ডাই পোস্টগুলো তৈরি করা হয়ে ওঠে না । সময় চেষ্টা করি নতুন নতুন ব্লগ আপনাদের সাথে শেয়ার করার। আজ কর্মব্যস্ততম দিনের কিছু আনন্দময় সময়ের অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজ আমার জন্য ছিল একটি স্পেশাল দিন এবং স্পেশাল দিনে স্পেশাল মানুষের কাছ থেকে গিফট পেতে কার না ভালো লাগে বলুন। আমি পেয়ে গেছি খুব সুন্দর সুন্দর কয়েকটি গিফট এবং সুন্দর একটি মুহূর্ত। আজকে ছিল আমার জন্মদিন সেই জন্মদিন উপলক্ষে ছেলে আর ছেলের বাবার তো খুবই আনন্দ।
আমরা জন্মদিন সেই রকম ভাবে কখনোই পালন করি না শুধু মাত্র ছেলের কারণে ছেলের জন্মদিনটা আশেপাশে দুই এক ফ্যামিলি নিয়ে পালন করা হয়। আমার জন্মদিনে কেক কাটাতো দূরের কথা কোন কিছুরই তেমন কোন আয়োজন করি না। বাইরে গিয়ে কিছু সময় কাটিয়ে তারপর কোন একটা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করে তারপর বাসায় চলে আসি। কিন্তু আজ বেশ কিছুদিন ধরে দেখছি আমার হাসবেন্ড বলছে একটা এবার ছোট একটা কেক নিয়ে আসবো, আমরা তিনজন মিলে কেকটা কেটে তোমার জন্মদিনটা পালন করব রাত বারোটার সময়।
বিকেলবেলা আমি শুয়ে আছি সে এসে আমাকে বলল যে চলো কেকটা কিনে নিয়ে আসি। আমার ভালো লাগছিল না আমি যেতেই চাইলাম না তারপরও সে আমাকে জোর করেই নিয়ে গেল। আমরা তিনজন মিলে বাইরে চলে গেলাম এবং যাওয়ার আগে আমার ছেলেটা আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানাচ্ছে এবং অনেক আদর করছে। আমাকে বলছে যে তোমার জন্য নেল পলিশ লিপিস্টিক কিনে দেবো। আমি বলছি যে বাবা এগুলো তো আমার অনেক আছে আমি তো কখনোই লাগাই না তখন ও বলল যে তাহলে তোমার জন্য শাড়ি কিনে দেবো। তুমি অনেক সুন্দর শাড়ি এর আগে আমাকে দেখিয়েছিলে সেটা তোমাকে কিনে দিবো। আমি তো শুনে খুবই খুশি হয়ে গিয়েছি কারন আমার এতটুকু ছেলে আমার জন্মদিনে গিফট দেওয়ার জন্য অস্থির হয়ে গিয়েছে ও ছোট মানুষ বলেছে তাতেই আমার অনেক খুশি লেগেছে। তখন আমরা রেডি হয়ে তিনজনে বের হয়ে গেলাম কেক কেনার জন্য। কেক কিনতে গিয়ে দেখি আমার হাজব্যান্ড কেকের দোকানে না গিয়ে আমাকে শাড়ির দোকানের নিয়ে গেল। আমি তখন ওকে জিজ্ঞাসা করলাম ওখানে কেন যাব তখন বলল যে তোমার জন্য একটা শাড়ি কিনব। আমি কিছুতেই নিতে চাইলাম না তখন ও আমাকে জোর করে একটা শাড়ি কিনে দিল। আমি এবং আমার হাজব্যান্ড দুজনই অবাক হলাম আমার হাজব্যান্ড বলল যে আমি তো মনে মনে ঠিক করেছি তোমার শাড়ির কথা তাহলে তোমার ছেলে কিভাবে জানলো। আমি বললাম যে ছেলে এমনিতেই আমাকে গিফট দেয়ার জন্য বলেছে কিন্তু তোমার সাথে মিলে গিয়েছে। শাড়িটা পেয়ে আসলেই আমার খুবই ভালো লেগেছিল। তারপর আমাকে দুই জোড়া স্যান্ডেল কিনে দিয়েছে একটা ঘরে পড়ার জন্য এবং একটা বাইরে পড়ার জন্য। এরপর আমরা রাস্তার ধারে বসে চিকেন চাপ ও লুচি খেয়েছি। প্রতিবার রেস্টুরেন্টে খাওয়া হয় এবার রাস্তার ধারে বসেই খেতে মন চাইছিল তারপর চিকেন চাপ ও লুচি খেয়ে আমরা বাসায় চলে আসলাম ।
বাসায় আমি কিছু খাবারের আয়োজন করেছিলাম আমাদের তিনজনের জন্য। এছাড়া কেক কাটার সময় আমাদের পাশের বাসার বাচ্চারা এবং ভাই ভাবি উনাদেরকে দেখেছিলাম। ওনারা এসে একসাথে আমরা কেক কেটেছিলাম সাথে ছিল কোল্ডড্রিংকস। আমার ছেলেটা আমাকে আগেই বলে রেখেছিল মা তোমার সাথে কিন্তু আমিও কেকটা কাটবো, কারণ আমাদের ও আমাদের পাশের বাসার যারই জন্মদিন হোক না কেন কেক কাটার দায়িত্বটা আমার ছেলেই পালন করে ওকেই কেক কাটতে দিতে হবে এবারও তার ব্যতিক্রম হলো না। আমরা দুজনে মিলে সুন্দর করে কেকটা কেটে তারপরে সবাই মিলে খেয়ে নিলাম। কেকটা কিন্তু অনেক মজার ছিল আর আমার গিফট গুলো কিন্তু খুব ভালো ছিল।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার পোস্টটি পড়ে খুব সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। ভালো লাগলো আপনার মন্তব্যটি পড়ে।
জন্মদিনটা আমারও পালন করা হয় না। আপনি জন্মদিন পালন না করলেও ভিন্ন রকম ভাবে খুব সুন্দর উদযাপন করেছেন এই দিনটিকে। আপনার ছেলের সঙ্গে ভাইয়ার মনের কত মিল যে দুজনই আপনাকে শাড়ি কিনে দেওয়ার কথা চিন্তা করেছে। সবশেষে সুন্দর একটি শাড়িও কিনে দিয়েছে। স্যান্ডেল দুটি খুব সুন্দর হয়েছে। আমার পছন্দের ব্রান্ড। শুভকামনা রইল আপনাদের জন্য।
তাই তো দেখছি দুজনের মিলে গেল কিভাবে তবে দিনটি আসলেই অনেক ভালো কেটেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।