খানাস রেস্টুরেন্টে কাটানো আমাদের কিছু সময়,10%shy-fox
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে একটি ভিন্নধর্মী পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। বেশ কিছুদিন হল বাসার বাইরে ছিলাম অনেকদিন পরে বাসায় এসেছি বাসায় আসার পরে শরীরটা খুব একটা ভালো যাচ্ছে না খাবার-দাবার খেতে খুব একটা ভালো লাগছে না। তাই ভাবলাম কি অনেকদিন তো হলো রেস্টুরেন্টে যাওয়া হয়না এতদিন রোজা থেকেছি রোজা থেকে বাইরের খাবার একেবারে খাওয়া হয়নি। তাই একটু চেঞ্জ আনার জন্য রেস্টুরেন্টে যাওয়ার উদ্যোগ নিলাম। রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ খানিকটা সময় কাটিয়ে আসার পরে কিছুটা ভাল লাগছে। আমি এর আগে কখনো রেস্টুরেন্ট এর তেমন কোনো পোস্ট আপনাদের সামনে শেয়ার করিনি ।আজ আমি রেস্টুরেন্টে সময় কাটানো কিছু মুহূর্ত আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।এই রেস্টুরেন্ট আমাদের বাসার কাছেই বেইলি রোডে রয়েছে । আমি প্রথমে এই রেস্টুরেন্টে খেয়েছি খিলগাঁও। খিলগাঁও যখনই রেস্টুরেন্টে যায় তখনই রেস্টুরেন্টের খাবার গুলো আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। বিশেষ করে এখানের বার্গার স্যান্ডউইচ এই সব ধরনের খাবার পাওয়া যায় ।এই খাবারগুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে রেস্টুরেন্টে গেলে আমরা এই খাবারগুলোই বেশি খেয়ে থাকি । তার কিছুদিন পরে আমাদের বেইলি রোডের একটি শাখা খোলা হয়েছে। রেস্টুরেন্টের নাম হল খানাস। বিশেষ করে এখানের বার্গারটা খুব মজা লাগে খেতে গার্লিক সস দিয়ে ওরা যে বার্গারটা দেয় আমার কাছে অনেক ভালো লাগে ।আমি আমার বাচ্চা ও আমার হাজব্যান্ড আমরা তিনজন মিলে গিয়েছিলাম রেস্টুরেন্টে এখন আপনাদের সাথে শেয়ার করছি সবকিছু।
উপরে যে ছবিটি দেখছেন এই ছবিটি আমরা লিফটের সামনে দাঁড়িয়ে ছিলাম যখন তখন তুলেছি। এই বিল্ডিং এর লিফট এর থার্ড ফ্লোরে রেস্টুরেন্টটি রয়েছে।
রেস্টুরেন্টের ঢুকার পরে হাতের বাম সাইডে ক্যাশ কাউন্টার ও এখানে খাবারের অর্ডার গুলো নেয়া হয়ে থাকে ও পেছনে খাবার তৈরি করা হচ্ছে ।
রেস্টুরেন্টের ঢুকার পরে দেখলাম যে রেস্টুরেন্টে খুব ভিড়। এখানে বসার কোন জায়গায় নেই। খালি পাচ্ছিলাম না তখন একেবারে রাস্তার দিকে সিট খালি ছিল ওখানে আরো একটি চেয়ার দিয়ে আমাদেরকে বসার ব্যবস্থা করে দিল। জায়গাটা খুব সুন্দর বাইরে থেকে পুরো রাস্তাটা দেখা যাচ্ছে দেখতে খুবই ভালো লাগছিল। আমি ওখানে বসে কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছি।
উপরে খাবারের মেনু দেওয়া হয়েছে এখানে বিশেষ করে বার্গার, স্যান্ডউইচ, ফ্রেন্স ফ্রাই, লেমন জুস, কোল্ড কফি স্ট্রবেরি শেক এসব খাবার বেশি পাওয়া যায়। এখান থেকে এই খাবারগুলো আমরা অর্ডার করেছিলাম।
খাবার দেওয়ার আগে বিলটা পরিশোধ করতে হয় এখানে। এখানে আমাদের মোট বিল এসেছিল বারোশো পঞ্চাশ টাকা। খাবারের দাম গুলো মোটামুটি রিজেনেবল ছিল
আমরা এখানে দুটো ফ্রেন্স ফ্রাই অর্ডার করেছিলাম একেকটা ফ্রেন্স ফ্রাই এর মূল্য ছিল ১৩৯ টাকা করে সাথে যে গার্লিক সসটা দিয়েছিলে সেটা খেতে যে কি মজা আমার বাচ্চাতো খেতে খুব পছন্দ করে রেস্টুরেন্টে গেলে ফ্রেন্স ফ্রাই চাইই চাই ।
এরপর আমরা একটা স্যান্ডউইচ অর্ডার করেছিলাম সেটার মূল্য ছিল ১৯৯ টাকা। ওটা কেটে কেটে চার খণ্ড করে দেয়া হয়েছিল ওটার দুইপিছ খেলে মোটামুটি পেটটা ভরে যায়। বার্গার অর্ডার করেছিলাম দুইটা এক একটার দাম ছিল ২৬৪ টাকা করে। তারপর কোল্ড কফির মূল্য ছিল ৮৪ টাকা লেমন জুস দাম ছিল ১২৪ টাকা ।দাম হিসেবে এখানের খাবারগুলো আমার কাছে খুবই মজা লাগে খেতে এটিই হল বড় কথা। ফ্রেঞ্চ ফ্রাইয়ের দাম আমার কাছে একটু বেশি মনে হয়েছে তারপরও ফ্রেন্স ফ্রাই খেতে ভালো লাগে দেখে আমরা সব সময় এগুলো খেয়ে থাকি ।আর একটা খাবার ছিল নাগা উইংস এই খাবারটি খুবই মজা কিন্তু অনেক বেশি ঝাল হওয়াতে খাবারটি অর্ডার দেইনি। আগেরবার যখন খেয়ে ছিলাম তখন একেবারে ঝালে অস্থির হয়ে গিয়েছিলাম, এই জন্যে এবার আর অর্ডার দেইনি ।সবকিছু মিলিয়ে রেস্টুরেন্টের খাবার এবং সময়টা অনেক ভালো কেটেছে।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ছবির লিংক:Link
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।
খানাস রেস্টুরেন্টের খাবার অভিজ্ঞতাটি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো। সেই সাথে আমরাও কিছুটা ধারনা পেলাম। দেখেই মনে হচ্ছে রেস্টুরেন্টের পরিবেশ খুব সুন্দর। এবং খাবারের মানটাও ভালো মনে হচ্ছে। আসলেই প্রাইস গুলো খুব রিজনাবল ১২৫০ টাকায় আপনি বেশ অনেক প্রকারের অর্ডার করেছিলেন। খানাস্ রেস্টুরেন্টের অভিজ্ঞতা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলেই এখানে খাবারের দাম তুলনামূলকভাবে অন্য জায়গার থেকে অনেকটাই কম এবং খাবারের মানও অনেক ভালো ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মতামত দিয়ে পাশে থাকার জন্য।
আপু আপনার খাবার দেখে তো লোভ লেগে গেলো। এই ভাবে একা একা খেলেন ।ফেঞ্চ ফ্রাই আমার অনেক অনেক ভালো লাগে। রেস্টুরেন্ট দেখতে অনেক সুন্দর। নিঃসন্দেহে আপনি দারুন সময় কাটিয়েছেন। এত সুন্দর সময় অনুভূতিগুলো বাংলাদেশকে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ফ্রেন্স ফ্রাই আমাদের তিনজনেরই অনেক পছন্দ তাই রেস্টুরেন্টে গেলে ফ্রেন্স ফ্রাই থাকতেই হবে। আসলেই আপু অনেক সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি খানাস রেস্টুরেন্টে ঘুরতে গিয়েছেন শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু। রেস্টুরেন্ট এর ছবিগুলো দেখে মনে হচ্ছে রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা অনেক সুন্দর। এবং খাবারের মান ও অনেক ভালো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু এত সুন্দর রেস্টুরেন্টের সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।
আসলে আপু রেস্টুরেন্টের পরিবেশটাও ভালো আবার খাবারের মান গুলো অনেক ভালো খুব মজাদার ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
খানাস এর আরেকটি ব্রাঞ্চ আমাদের ধানমন্ডি জিগাতলাতে আছে। খেয়েছি আমি। খাবারের মান সত্যিই ভাল। দামও মোটামুটি মেনে নেয়ার মতো। আপনার অভিজ্ঞতা আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। ভাল লাগল পড়ে। ধন্যবাদ আপনাকে
এই খানাস রেস্টুরেন্টের শাখা মনে হয় আরও কয়েক জায়গায় আছে আমি অন্য একটা ব্রাঞ্চেও গিয়েছি সেটাও ভাল লেগেছিল আমার কাছে ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।