★রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া ও খেলাধুলা★

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



Polish_20230808_005030604.jpg


আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । প্রতিদিন নতুন নতুন ব্লগ নিয়ে হাজির হতে ভালোই লাগে । তবে প্রতিদিন কি দিব কি দিব করে সেটাও মাথার ভিতরে সব সময় ঘুরপাক খেতে থাকে । এই চিন্তা থেকে যেন কখনোই বাইরে বের হওয়া সম্ভব হয় না । উঠতে বসতে হাঁটতে সব সময় শুধু আমার বাংলা ব্লগের পোস্ট দেওয়া নেওয়া নিয়ে মাথার ভিতরে ঘুরপাক খেতে থাকে । আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব হঠাৎ করে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার সুন্দর মুহূর্ত ।


আজ কদিন ধরেই বাইরে খুব বৃষ্টি নামছে এজন্য বাইরে বের হওয়ার কথা চিন্তাই করা যায় না । প্রতিদিন ছেলেকে নিয়ে স্কুলে যেতে হয় তখনই মাঝে মাঝে বৃষ্টিতে ভিজতে হয় । এজন্য বাসায় এসে পরে আর বের হতে মন চসি না । কদিন ধরে ভাবছি যে একটু বাইরে কাজ আছে সেখানে যাব । কিন্তু বৃষ্টি এবং এই আবহাওয়ার কারণে শরীরটা কেমন হয়ে থাকে বাইরে কোথাও যেতেও মন চায় না । কিন্তু কাজ আছে যেতেই হবে ।এদিকে গল্প আড্ডা দিতে দিতে সন্ধ্যা পার করে ফেলেছি ।আমার হাসবেন্ড বাইরে হাঁটতে যাচ্ছে তখন মনে হল যে আমরা একটু যাই দেখি মার্কেট যদি খোলা থাকে তাহলে কাজ সেরে আসবো । আমরাও মার্কেটে ঢুকেছি তখন দেখছি সবাই দোকানপাট বন্ধ করতে শুরু করেছে । আমরা সেই মুহূর্তে বললাম যে আমরা একটু ভেতরে ঢুকবো অল্প সময়ের জন্য ।তারপর আমরা ভেতরে ঢুকেছি একটা ঘড়ি কেনার জন্যই গিয়েছিলাম । সেখানে গিয়ে সেরকম ঘড়ি পছন্দ হলো না কারন আমি যেটা চেয়েছিলাম সেটা সেখানে পাওয়া যাচ্ছে না ।যার কারণে আমরা আর সময় নষ্ট না করে সেখান থেকে বেরিয়ে পড়লাম ।


আমার হাজব্যান্ড বললো আমি হাঁটতে যাব তোমরা কি যাবে নাকি । আমরাও হাঁটার জন্য সাথে সাথে গেলাম । কিছুদূর যাওয়ার পরে ছেলে বায়না ধরলো মা রেস্টুরেন্টে যাব । কারণ দুদিন আগে আমাদের রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কথা ছিল কোন কারণবশত সেটা আর যাওয়া হয়নি । এই কারণে ছেলে বলছে যে সেদিন না যাওয়ার কথা ছিল তুমি যাওনি আজকে যেতেই হবে । আমরা হাঁটতে বের হয়েছি তখন কি আর রেস্টুরেন্টে যাওয়া যায় । কিন্তু রেস্টুরেন্টে যাওয়ার কথা শুনলে আমারও কেন জানি যেতেই মন চায় । হাজবেন্ডকে বললাম যে চলো আমরা রেস্টুরেন্টে যাই সে বলল যে আমি হাটতে বের হয়েছে কিভাবে রেস্টুরেন্টে যাব । আমি বললাম আমরা নিচে বসে ওয়েট করি তুমি রেডি হয়ে আসো । তখন সে বলল যে অত সময় নেই কারণ ৯ টা বেজে গিয়েছে । তারপর কি আর করার ওই অবস্থায় আমরা রেস্টুরেন্টে চলে গেলাম ।


আমাদের বেইলি রোডে ক্যাপিটাল সিরাজ মার্কেটে ফুড কোর্ট নতুন চালু হয়েছে । এখানে রাত বারোটা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত লোকজনের সমাগম থাকে এবং অনেক মজার মজার খাবার এখানে পাওয়া যায় । এজন্য লোকজন একটু বেশি পরিমাণে ভিড় জমায় । এখানে আমরাও আজকে দিয়ে দুদিন গেলাম ।এখানের খাবার আসলে অনেক মজা ছিল । ছেলেটা এখানে গিয়ে প্রতিদিন চিকেন খাওয়ার জন্য বাইনা ধরে । আজকে আমরা চিকেন রাইস এবং সাথে হায়দ্রাবাদি বিরিয়ানী অর্ডার করেছিলাম । যেটা খেতে আসলেই অনেক মজা ছিল । সাথে ছিল কোলড্রিংস ।


এরপর আমরা খাওয়া-দাওয়া সেরে বের হবো তখন ছেলে আবার আয়না ধরেছে যে আমি একটু খেলব । সেখানে আবার খেলার জন্য বাচ্চাদের সুন্দর ব্যবস্থা রয়েছে । প্রতি ছয় মিনিট ১৬০ টাকা করে ওরা নিচ্ছে । সেখানে বসে ছেলেটা বেশ কিছু সময় খেললো তারপর আমরা সেখান থেকে বের হয়ে চলে আসলাম ।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  
 last year 

হ্যাঁ আপু বাংলাদেশের প্রায় সব এলাকাতেই আজ কয়েকদিন যাবৎ বৃষ্টি হচ্ছে আমাদের এলাকায় ও তিনদিন ধরে একটানা গুড়ি গুড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। তবে ছেলের বায়না রাখতে আপনি রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া দাওয়া করেছেন আর সেই খাবারগুলো খুবই লোভনীয় ছিল। তাছাড়া রেস্টুরেন্ট টা রাত বারোটার পরেও খোলা থাকে এই বিষয়টা বেশি ভালো লেগেছে কারণ সেই সময়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়ার আলাদা একটা মজা।

 last year 

বৃষ্টির নামে না নামেনা আর এখন বৃষ্টি থামার কোন নামই নেই ।আসলে এই রেস্টুরেন্টে যেকোনো সময়ই যাওয়া যেতে পারে ভালো লাগে এজন্য ।

 last year 

বাহ খাবার এত লোভনীয় ছিল আপু দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না। কারণ আমরা বাঙালিরা খাওয়া-দাওয়া প্রতি একটু অন্য ধরনের। আর বাচ্চারা থাকলে তো কোন কথাই নেই বাচ্চাদের সুবাদে বাইরে খাওয়া দাওয়া করা যায়। আর খাওয়া দাওয়ার কথা বললে বাচ্চারা সেগুলো ভুলে যায় না মনে রাখে। একদিন মিস হয়েছে বলে কিন্তু অন্যদিন আর ছাড় দিল না। বেশ ভালই করলেন বাচ্চার সাথে আপনারাও খাওয়া দাওয়া করলেন। অনেক সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটালেন ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।

 last year 

এ ধরনের খাবার গুলো দেখলে আসলেই খেতে মন চায় । আর বাচ্চারাতো বাইরে গেলেই খেতে চায় । তখন আমারও খেতে মন চায় আমিও চলে যাই ওর সাথে সাথে ।

 last year 

অনেক সময় পছন্দের জিনিসগুলো যখন মার্কেটে গেলে না পাওয়া যায় তখন অনেক খারাপ লাগে। যেমন আপনি মার্কেটে গিয়ে আপনার পছন্দের ঘড়িটি পেলেন না। আপনি এবং আপনার হাসবেন্ড বাহিরে ঘুরতে যাবেন এমন সময় আপনার ছেলে বায়না ধরেছে রেস্টুরেন্টে যাবে। তবে রেস্টুরেন্টে খাবার গুলো দেখে মনে হচ্ছে ওখানে খাওয়া-দাওয়া গুলো খুব ভালো মানের। এবং রেস্টুরেন্টে ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার জায়গা আছে শুনে ভালো লাগলো। আপনি এবং আপনার হাসবেন্ড ও বাচ্চাকে নিয়ে খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

খাবার-দাবার গুলো আসলেই খুব টেস্টি যখন তখন গেলেই খেতে ইচ্ছা করে ।

 last year 

আপনি এবং আপনার হাসবেন্ড যখন বাইরে ঘুরতে যাবেন তখন আপনার ছেলেও বায়না ধরল আপনাদের সাথে যাওয়ার জন্য। সেই সুবাদে আপনারা রেস্টুরেন্টে খাওয়া দাওয়া করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। আপনি মার্কেটে গিয়ে আপনার পছন্দের ঘড়িটি খুঁজে পাননি জেনে বেশ খারাপ লাগলো আমার কাছে। আসলে আমাদের এলাকাতে রেস্টুরেন্টে খেলাধুলার জায়গা নেই। কিন্তু এত সুন্দর একটি রেস্টুরেন্টে খেলাধুলার জায়গা দেখে আমার কাছে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।

Posted using SteemPro Mobile

 last year 

খুঁজে পাইনি তবে খুব শিগগিরই কিনে ফেলবো । আর এসব রেস্টুরেন্টে খেলাধুলার জায়গা আছে বলেই বাচ্চারা আরও বেশি যেতে চায় ।

 last year 

নিজের প্রিয় মানুষগুলোর সাথে যদি মাঝেমধ্যে বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে যাওয়া হয় তাহলে অনেক ভালো লাগে। আপনার খাওয়া দাওয়া রেসিপিগুলো ফটোগ্রাফি দেখে অনেক ভালো লাগলো। যদিও আপনার ছেলে আপনাদের সাথে বাইরের যাওয়ার জন্য বায়না ধরেছে। এই কারণে আপনি এবং আপনার হাসবেন্ড রেস্টুরেন্টে গেলেন ডিনার করার জন্য। তবে এ ধরনের রেস্টুরেন্ট গুলোর মধ্যে ছোট বাচ্চাদের খেলাধুলার সরঞ্জাম থাকলে অনেক ভালো হয়। যাইহোক রেস্টুরেন্টে আপনার ছেলে খেলাধুলাও করলো। অসংখ্য ধন্যবাদ খুব সুন্দর করে পোস্টে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

বাচ্চারা এই কারণে আরো বেশি যেতে চায় ও তো প্রায়ই বায়না ধরে যে ওখানে খেতে যাব না চলো একটু যেয়ে খেলে আসি ।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.028
BTC 58544.56
ETH 2629.02
USDT 1.00
SBD 2.44