★মজাদার পায়েস রান্নার রেসিপি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
পোলাও এর চাল
কনডেন্সড মিল্ক
ডিপ্লোমা গুঁড়ো দুধ
এলাচ
লবন
দুধ
কার্যপ্রণালী
প্রথমে আমি দুই মুঠ চাল নিয়ে 10 মিনিটের জন্য চালটাকে পানি দিয়ে ভিজিয়ে রেখেছি।
এরপর চুলায় একটি পাতিল বসিয়ে তার ভিতর দেড় লিটার পরিমাণে দুধ দিয়ে দিয়েছি।
এরপর দুধের ভিতরে সামান্য পরিমাণে লবণ দিয়েছি।
এরপর চারটা এলাচ দিয়ে দিয়েছি , মুখের সাইডটাকে সামান্য একটু ছিড়ে তারপর দিয়েছি।
দুধটা বলক আসলে এবার চালটা 10 মিনিট পরে পানি থেকে তুলে দুধের ভেতরে দিয়ে দিয়েছি।
চাল দেওয়ার সাথে সাথে আমি ভাল করে নেড়ে দিয়েছি যাতে চালটা দুধের ভিতরে দলা পাকিয়ে না থাকে।
নাড়তে নাড়তে চালটা অনেকটাই প্রায় সিদ্ধ হয়ে এসেছে এবং দেখুন দুধের উপরে কত সুন্দরভাবে দুধের সর পড়েছে। সরটা আমি হালকা হাতে এক সাইডে সরিয়ে রাখবো, একেবারে ভেঙ্গে গুলিয়ে দিব না পরে পায়েসটা রান্না হয়ে গেলে সরসর একটা ভাব ভিতরে থেকে যায় খেতে ভালো লাগে।
এরপর আমি কনডেন্সড মিল্ক এর পুরা এক কৌটা কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে দিয়েছি।
কনডেন্সড মিল্কটা দিয়ে নেড়েচেড়ে ভালো মতো দুধ ও চালের সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
এরপর আরো একটু সময় ভালোভাবে রান্না করে নিয়েছি চালটা ভালোভাবে সিদ্ধ হয়ে আসা পর্যন্ত।
এ পর্যায়ে ডিপ্লোমা গুঁড়ো দুধ দিয়েছি
দুধ দিয়ে আরও কিছু সময় রান্না করে নিয়েছি। তারপর রান্না হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।
তারপর একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি এরপর ঠান্ডা হলে ফ্রিজে রেখে দিয়েছি ঠান্ডা হওয়ার জন্য। কারণ এই পায়েসগুলো ঠান্ডা ঠান্ডা খেতেই বেশি ভালো লাগে। পায়েসটা কিন্তু অসম্ভব টেস্ট হয়েছিল। আপনারা আমার মতো করে রান্না করে দেখতে পারেন ভালো লাগবে।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
পায়েস খেতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছে।আর আমাদের যেকোনো ধর্মীয় অনুষ্ঠানে পায়েস থাকবেই তাই মাঝে মধ্যেই পায়েস খাওয়া হয়ে থাকে।আপু আপনি চিনি ছাড়া কনডেন্স মিল্ক দিয়ে অনেক সুস্বাদু একটি পায়েসের রেসিপি করেছেন যা দেখতে খুবই লোভনীয় হয়েছে।অনেক সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ উপস্থাপন করেছেন আপু।মজাদার রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
শুধু কনডেন্স মিল্ক ও সাথে গুড়া দুধ মিশিয়ে পায়েস রান্না করলে সেটি খেতে অনেক টেস্ট হয়। সুন্দর একটি ফ্লেভার পাওয়া যায় । ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার উপস্থাপনা দেখে আর লোভ সামলাতে পারছি না। এই গরমে এমন ঠান্ডা পায়েস খেতে দারুণ লাগে। আপনারা নিশ্চয়ই অনেক মজা করে খেয়েছেন। আমি আর আমার ছেলের খুব পছন্দ তারজন্য মাঝে মাঝে তৈরি করা হয়। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
একদম তাই আপু গরমের ভিতরে ঠান্ডা বয়স খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আহা!! আপু, কি লোভনীয় রেসিপি দেখালেন, এই লোভনীয় রেসিপি দেখামাত্রই তো খাওয়ার জন্য ভীষণ লোভ হচ্ছে। এমনিতেই মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আমার ভীষণ দুর্বলতা আছে। তার উপরে আবার কনডেন্সড মিল্ক ও গুড়া দুধ ব্যবহার করার কারণে পায়েসের স্বাদ দুর্দান্ত হয়েছে বলে মনে হচ্ছে। আহারে স্বাদের পায়েস একটু খেতে পারলে মন্দ হতো না। যাইহোক আপু, খুবই খুবই সুস্বাদু ও মজাদার পায়েস রান্না রেসিপির প্রতিটি ধাপ দেখিয়ে দেওয়ার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মিষ্টি জাতীয় জিনিস আপনার পছন্দ তাহলে এরকম করে একদিন রান্না করে খেয়ে দেখবেন খুবই ভালো লাগে খেতে ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মজাদার পায়েস রান্নার রেসিপি। পায়েস খেতে আমি বেশ পছন্দ করি। কিছুদিন আগে বাড়িতে পাইসের রেসিপি তৈরি করেছিল খেতে বেশ মজা লেগেছে। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য।
খেতে আসলেই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
বাহ্ আপু চিনি ছাড়া শুধুমাত্র কনডেন্স মিল্ক দিয়ে পায়েস এতো দেখি একটি ইউনিক রেসিপি। আমার তো বেশ খেতে ইচেছ করছে। খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপ আপনি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপিটি দেখে যে কেউ সহজেই রেসিপিটি তৈরি করে নিতে পারবে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আমার রেসিপিটা আপনার কাছে ইউনিক লেগেছে, দেখে খেতে ইচ্ছা করছে শুনে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু আপনাকে মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মজাদার পায়েস রান্নার রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপি পরিবেশন অসাধারণ হয়েছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আমার পায়েস আপনার ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।
পায়েস আমার অনেক বেশি পছন্দের। আমি অনেক বেশি ভালোবাসি পায়েস খেতে। আপনি চিনি ব্যবহার না করে কনডেন্সড মিল্ক ব্যবহার করে পায়েস তৈরি করে থাকেন এটা জেনে ভালো লাগলো। নিশ্চয়ই অনেক মজাদার হয়েছিল আপনার এই রেসিপিটা। রেসিপিটা দেখেই বুঝতে পারছি খুবই সুস্বাদু এবং ইয়াম্মি হয়েছিল। ঠান্ডা হওয়ার জন্য ফ্রিজে রেখে দিয়েছিলেন। ঠান্ডা ঠান্ডা খেতে অনেক বেশি ভালো লেগেছিল মনে হয়। সম্পূর্ণ রেসিপিটা দেখে ভালো লাগলো।
চিনির পরিবর্তে কনভেন্স মিল্ক দিলে চিনির প্রয়োজন হয়না এবং সেটা খেতে অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
পায়েস আমার খুব পছন্দের একটি খাবার। পায়েস পছন্দ করে না এমন মানুষ খুব কমই আছে। খাওয়ার পর ডেজার্ট হিসেবে পায়েস এর চেয়ে ভালো খাবার আর কি বা হতে পারে। দারুণ একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে। যাইহোক এতো মজাদার একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।