আজ আমি আপনাদের সাথে আবার একটি পোস্ট শেয়ার করতে চলে এসেছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব কিছু ফটোগ্রাফি ও ঘোরাঘুরি মুহূর্ত। বেশ কিছুদিন আগে রমনা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে অনেকগুলো ছবি তুলেছেন এবং বেশ খানিকটা সময় কাটিয়েছিলাম। রমনা পার্ক আমাদের বাসা থেকে বেশি একটা দূরে নয় রিক্সায় করে যাওয়া যায় আবার ইচ্ছা করলে হাঁটার উদ্দেশ্যে হেঁটে চলে যাওয়া যায়। আর রমনা পার্কটা এমন বিশাল একটি এরিয়া এখানে সবাই হাঁটার জন্য আসে। আমি বাসা থেকে যদি হাঁটার উদ্দেশ্যে বের হয় তাহলে রমনা পার্কে গিয়ে একেবারে হাঁটাহাঁটি শেষ করে ফিরে আসতে পারি তাহলে বেশ খানিকটা হাঁটা হয়ে যায় কিন্তু একা একা হাঁটার সঙ্গী নেই বলে তেমন একটা যাওয়া হয় না।অনেকেই দেখি রমনা পার্কে হাঁটার জন্য আসে ব্যায়াম করে খেলাধুলা করে ভালোই সময় কেটে যায়। আমরা যেদিন রমনা পার্কে গিয়েছিলাম সেদিন পার্ক অনেকটাই লোকে লোকারণ্য ছিল কারণ সেদিন ছিল বন্ধের দিন অন্যান্য দিনের তুলনায় ঐদিন পার্কের লোকজনের সংখ্যা খুব বেশি ছিল তাই সেদিন হেঁটে খুব একটা মজা পাওয়া যায়নি ।তারপরও কিছু কিছু জায়গায় ভালো লেগেছে এবং এই সময়টাতে রমনা পার্কে বিভিন্ন গাছে ফুলে ফুলে পরিপূর্ণ ছিল যা দেখতে খুবই ভালো লাগছিল ।আমরা সন্ধ্যার আগে গিয়েছি এবং আসতে আসতে প্রায় সন্ধ্যার বেশ খানিকটা সময় পার হয়ে গিয়েছিল। এখন আমি আমার তোলা কয়েকটি ফটোগ্রাফি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। |
প্রথম যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন এই ছবিটি গেট দিয়ে ঢোকার পরেই তোলা হয়েছে। ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন দূরে কত লোকজন এমনি সময় গেলে এই রাস্তাটা পুরোপুরি ফাঁকাই থাকে তেমন একটা লোকজন দেখা যায় না, কিন্তু এখানে ঢোকার পরে বোঝা গেল যে আজকে এখানে খুবই লোকজন রয়েছে যা ছবিটা দেখে বোঝা যাচ্ছে কিছুটা। |
এই ছবিটা ঠিক সন্ধার পরে তোলা হয়েছে। এই ছবিটাতে দেখা যাচ্ছে যে বাচ্চাদের জন্য এখানে পার্কের খেলার ব্যবস্থা করা হচ্ছে কাজ চলছে তাই ঢেকে রাখা হয়েছে এবং চারদিক দিয়ে বাউন্ডারি দেওয়া কাছে যাওয়া যায় না দূর থেকে ছবিটা তুলেছি এবং দেখে ভালই লাগলো আরো কিছুদিন পরে গেলে হয়তো ছেলেটা আরো অনেক বেশি আনন্দ করতে পারবে এখানে। |
পার্কের ভেতরে বিভিন্ন ধরনের গাছের সমারোহ তার ভেতরে কিছু কিছু জায়গায় বড় বড় বকুল ফুল গাছ রয়েছে চারিদিকে অনেক সুগন্ধ খুব ভালো লাগে। রাস্তা দিয়ে হাঁটার সময় দেখলাম যে রাস্তায় অনেক বকুল ফুল পড়ে আছে মানুষ ফুলগুলো তুলে নিচ্ছে সেটা দেখে আমিও কয়েকটা ফুল তুলে নিলাম। বকুল ফুল আমার কাছে খুব ভালো লাগে এর ঘ্রাণটা একেবারে অসাধারণ। |
এই ছবিটাতে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে যে আজকে পার্কে কতটা লোকজন ছিল দূরে সাইড দিয়ে তাকালেই বোঝা যাচ্ছে যে লোকজনে ভরা ছিল। এটা কিন্তু পার্কের ভেতরের একটা অংশ। সামনের সাইডটা আজকে বন্ধ ছিল এজন্য এপাশে ওঠা যায়নি দূরের ওই সাইডে আমরা যায়নি লোকজন বেশি ছিল বলে কিন্তু একটা ছবি তুলে রেখেছি। |
রমনা পার্কের ভিতরে বিভিন্ন ধরনের ফুল গাছ দিয়ে সাজানো হয়েছে। পার্কের রাস্তার পাশ দিয়ে এরকম রঙ্গন ফুল এবং বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ আছে আবার কিছু কিছু জায়গায় বাউন্ডারির মতো ঘেরা আছে তার ভেতরে বিভিন্ন ধরনের ফুলের গাছ দিয়ে সাজানো ভিতরে যাওয়া যায়না বাইরে থেকে ছবিগুলো তুলতে হয় দেখতে খুব ভালো লাগছিল তাই আমি কিছু কিছু ছবি তুলে নিয়েছি। |
এটা হল ঐতিহাসিক রমনার বটমূল এই জায়গাটার নাম সবসময় শুনেছি , রমনা পার্কে বহুবার গিয়েছি কিন্তু রমনার বটমূল কোনটা সেটা কখনো দেখিনি আজকে সেটা দেখে নিলাম এবং সাথে সাথে ছবিও তুলে নিয়েছি। এই রমনার বটমূলকে ঘিরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় আজকের সেটা দেখে নিলাম । |
শেষে পার্কের গেটের বাইরে বিভিন্ন ধরনের হকাররা বসে থাকে কারণ লোকজন হাঁটাহাঁটি করে ফেরার সময় এখান থেকে অনেক কেনাকাটা করে থাকে ,বিশেষ করে হাঁটাহাঁটি করে ক্লান্ত হয়ে যাওয়ার পরে ডাবের খুব বিক্রি হয় লোকজন বাইরে বের হয়েই দেখি ডাবের দোকানে চলে যাচ্ছে এবং আমরাও বের হয়ে এখান থেকে ডাব কিনেছি এক একটা ডাব ১৩০ টাকা করে বিক্রি করছে। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
রমনা পার্ক ঘুরার জন্য খুব সুন্দর একটি জায়গা। ঢাকায় এই একটি পার্ক আছে যেখানে ঢাকার মানুষ একটি বিশাল খোলামেলা জায়গা পায় হাটাচলার জন্য। আমার বাসা থেকেও খুব দূরে নয় রমনা পার্ক। আপনি বিকেল বেলায় গিয়েছেন তাই ভীড় পেয়েছেন। সকাল ৮ টার দিকে গেলে এত মানুষ থাকে না তখন নিজের মত করে ঘুরাফেরা করা যায়। ইদানীং অনেক রেনুভেশন করেছে ভেতরে, যা রমনার সৌন্দর্য আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। আপনার ছবিগুলো বেশ সুন্দর হয়েছে। ধন্যাবাদ আপু।
আসলে এই রমনা পার্কটা এত বিশাল যে হেঁটে শেষ করতে পারেনি আমি এখন পর্যন্ত ।গেলে ভালই লাগে বিভিন্ন ধরনের মানুষ এখানে হাঁটতে আসে আসলেই হাঁটার জন্য এটা একটা পারফেক্ট প্লেস।
রমনা পার্কে ঘুরাঘুরি করে খুব সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে খুব সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন খুবই ভালো লাগলো।। আসলে জায়গাটির সাথে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে প্রায় দেড় বছর মত হল সেখানে আর যাওয়া হয় না।। আপনার ফটোগ্রাফি গুলা দেখে খুব আগ্রহ হচ্ছে পুরানো স্মৃতি বিজড়িত জায়গাটি আবারও ঘুরে আসতে।।
রমনা পার্কটা হাঁটার জন্য এবং ফটোগ্রাফি করার জন্য অনেক সুন্দর একটি জায়গা বিভিন্ন ধরনের গাছ গাছালি আছে দেখলেই মনটা ভরে যায় অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
ঢাকা শহরের যখন প্রথম কোচিং করতে এসেছিলাম সেই সময়টাতে রমনা পার্কে প্রচুর ঘোরাঘুরি করতাম। বয়সের দোষ যাকে বলে 🤪😀। বেশ লম্বা সময় হয়ে গেল আর যাওয়ায় হয় না পার্কের ভেতর। অনেকদিন পর পার্কের ভেতরটা দেখে বেশ ভালো লাগলো আপু। সেই রমনার বটগাছ,, কুড়ানো বকুল ফুল অনেক স্মৃতি মনে করিয়ে দিল। আর ডাবের দাম তো দেখছি বেশ বেড়ে গিয়েছে।
হ্যাঁ রমনা পার্কের ভিতরটা এখন অনেক পরিবর্তন করেছে এবং এখনও অনেক কাজ চলছে খুবই ভালো লাগে পার্কের ভিতর ঢুকলে ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি তো রমনা পার্কে বেশ সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন। ঠিকই বলেছেন আপু যদি কোথাও হাঁটতে যাওয়ার সময় একটি সঙ্গী থাকে তাহলে কথা বলতে বলতে যেতে বেশ ভালোই লাগে। খুবই সুন্দর ছিল পার্কের ভিতরের পরিবেশটি। অনেক লোকজন রয়েছে এই পার্কটিতে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
একদম তাই হাঁটার সময় একজন সঙ্গী হলে গল্প করে সময়টা পার করে দেওয়া যায় কিন্তু একা একা হাঁটলে মনে হয় যে সময়টা অনেক লম্বা শেষই হতে চায় না।