★ছেলের জন্মদিনের ছোট্ট আয়োজন★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে আবার নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব নিজেদের মতো করে ছেলের বার্থডে পালন করা । ১০ তারিখে ছিল আমার ছেলের বার্থডে। এবার বার্থডে করার মত কোন মন মানসিকতাই আমার ছিল না । কিন্তু ছেলের বাইনার জন্য ছোটখাটো করে হলেও করতে হয়েছে। তবে বাসায় কোন আয়োজন আমি করিনি, এজন্য একটা রেস্টুরেন্টে আমরা কয়েকজন মিলে চলে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমাদের বেইলি রোডে এখানে অনেক রেস্টুরেন্ট রয়েছে যে রেস্টুরেন্ট গুলোতে আমরা সব সময় যেয়ে থাকি। এজন্য এবার মনে হয়েছিল নতুন একটা রেস্টুরেন্টে আমরা যাই। অনলাইনে সার্চ দিয়ে সেরকম ভালো কোন রেস্টুরেন্ট খুঁজেই পাচ্ছিলাম না তাই পরে ডিসিশন হলো যে বেইলিরোডে যে বুমার্স রেস্টুরেন্ট রয়েছে সেখানেই আমরা যাব। এখানে বাচ্চাদের সুন্দর খেলার ব্যবস্থা রয়েছে এবং এখানে খাবার গুলো অনেক ভালো।
আমরা মোট ১০-১২ জন লোক ছিলাম এখানে অনায়াসে সুন্দরভাবে চলে আসতে পারবো। সেই মতো সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু পরের দিন ফোন ঘাটতে ঘাটতে ফেইসবুকে হঠাৎ করে দেখি যে একটা রেস্টুরেন্টে অফার প্রাইসে খুব ভালো খাবার তারা দিচ্ছে। এবং জায়গাটাও দেখে খুব ভালো লাগলো আর সেটা ছিল খিলগাঁও । আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে যাওয়ার ইচ্ছে ছিল সেই জন্য আমরা সেই রেস্টুরেন্ট সার্চ করে দেখে সেখানে যেতে রাজি হলাম। কেকের ব্যবস্থাও আমরা অনলাইনেই করেছি, কারণ বাসায় কোন ব্যবস্থাই রাখিনি। পরে জন্মদিনের দিন সন্ধ্যার সময় কেক আসলো এবং আমরা সন্ধ্যার পরে রেডি হয়ে চলে গেলাম রেস্টুরেন্টের উদ্দেশ্যে। তবে সেখানে গিয়ে জায়গাটা একটু ছোটই পেয়েছিলাম যেটা আমরা ছবিতে দেখেছিলাম তার থেকে বেশ খানিকটা ছোটই ছিল ।ছবিতে ওরা খুব সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেছে যার কারণে দেখতে বেশি ভালো লেগেছে। যখন খাবারগুলো ওরা সার্ভ বলল এবং খাবার গুলো খেয়ে তখন মন ভালো হয়ে গিয়েছিল। কারণ খাবারের মানটা ওদের অনেক ভালো ছিল। অফার প্রাইসে দিলেও খাবারের মানটা খুব ভালো ছিল। আমরা সবাই মিলে অনেক মজা করে খাবারগুলো খেয়ে নিলাম এবং সব শেষে কেকটা কেটে তারপর যার যার বাসার উদ্দেশ্যে চলে আসলাম।
বাসায় এসে আমাদের পাশের বাসার আমার ছেলেটার একজোড়া বাবা মা ভাই বোন রয়েছে তারা ওর জন্য একটা সারপ্রাইজ গিফট রেখেছে। যেটা আমরা দেখার জন্য ওদের বাসাতেই চলে গেলাম। ওই বাসার ভাই বারবার বলছিল যে তোমার জন্য সুন্দর একটা গিফট রয়েছে । কি গিফট দিবে সেটা জমি বারবার জিজ্ঞেস করছিলাম এবং গেস করার চেষ্টা করছিলাম কিন্তু কিছুতেই সেটা মিলল না। পরে উনি আসলেই একটা সারপ্রাইজ গিফট আমার ছেলেটাকে দিল। একটা সাইকেল কিনে রেখেছে। তারা ছেলেটাকে একটা সাইকেল দিবে এটা আমি কখনো কল্পনাই করিনি। সে আমার ছেলেটাকে সব সময় ভালো ভালো গিফট দেয় তবে সাইকেল দেওয়াটা আসলেই মাথাতেই আসিনি। সাইকেলটা পেয়ে আমার বাচ্চাটা তো একেবারে খুশিতে কেঁদেই দিয়েছে। সে কিছুতে সাইকেলে উঠবে না সে মনে করেছে এত বড় সাইকেল আমি কিভাবে চালাবো। পরে বাসার ছেলেমেয়েগুলো ওকে একটু বুঝিয়ে শুনিয়ে সাইকেলে উঠলো। ও খুব সুন্দর ভাবে সাইকেল চালাতে পেয়েছে কারণ আগে থেকে সে তার ছোট রিক্সা চালায় দেখে তার সাইকেল চালানোটাও ইজি লেগেছে। ছোটর ভিতর জন্মদিনটা ভালই কেটেছে তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
যদিও আপনার ছেলের জন্মদিন সেলিব্রেশন করার মত কোন আগ্রহ ছিল না আপনার তবুও ওকে খুশি করানোর জন্য পরে সেলিব্রেশন করেছেন জেনে ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর একটা সাইকেল গিফট পেয়েছে দেখছি আপনার ছেলে। দেখে বুঝতে পারছি অনেক খুশি হয়েছে, সে এই সাইকেলটি পেয়ে।আপনাদের কাটানো এত সুন্দর একটা মুহূর্ত সবার মাঝে ভাগ করলেন দেখে একটু বেশি ভালো লেগেছে।
প্রথমেই আপনার ছেলেকে জানাই শুভ জন্মদিন। ওর বাকি সারা জীবন যেন খুবই সুন্দর এবং হাসি খুশি ভাবে কাটুক। ছেলেকে খুশি করার জন্য কেক কাটার মুহূর্ত আর খাওয়া দাওয়া হয় যেন করবেন। সাইকেলে বসে খুবই সুন্দর ছবি তুলেছে আপনার ছেলে। সাইকেলটা উপহার পেয়ে অনেক খুশি হয়েছে মনে হয়। ছোট বাচ্চাদের কোন গিফট দিলে তারা খুবই খুশি হয়ে যায়। আপনাদের এত সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপু আপনার ছেলের জন্য রইল প্রাণঢালা শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। ও বড় হয়ে যাতে একজন ভালো মানুষ হয়ে উঠতে পারি এই কামনা করি। ছেলেকে খুশি করানোর জন্য ছোটখাটো হলেও খুব সুন্দর একটা আয়োজন করেছেন। ওর জন্মদিনের কেকটা আমার খুবই পছন্দ হয়েছে। আর খুব সুন্দর একটি সাইকেল গিফট পেয়েছে জেনে আরো ভালো লাগছে। আসলে বাচ্চাদের মন খুশি রাখতে হলে মাঝেমধ্যে ছোটখাটো করে হলেও সেলিব্রেশন করা উচিত। ধন্যবাদ আপু আপনার ছেলের জন্মদিনের ছোট আয়োজন আমাদের সাথে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
প্রথমে আপনার ছেলেটার জন্য জন্মদিনের অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা। অনেক বড় হোক আব্বুটা। ছোট খাটর মধ্যেও খুব সুন্দর একটি আয়োজন করেছেন। সবাই মিলে বেশ ভালো সময় কাটিয়েছেন। যেসব রেস্টুরেন্টে খেলার বিভিন্ন জায়গা থাকে, সেসব রেস্টুরেন্টে বাচ্চাদেরকে নিয়ে গেলে ওরা খুব খুশি হয়। আপনাদের বাসার পাশের লোক যে ওকে একটা সাইকেল গিফট দিয়েছে সেটা দেখে আমারও খুব ভালো লাগছে। আসলে এটা মাথায় না আসারই কথা। সাইকেলটা দেখে বেশ সুন্দর লাগছে।
প্রথমে আপনার বাবুর জন্য অনেক শুভকামনা এবং দোয়া রইলো জন্মদিনের। ছোট বাচ্ছারা বায়না করে আর এগুলো এড়িয়ে যাওয়া যায় না ওদের কাছ থেকে। তবে সুন্দর সময় অতিবাহিত করেছেন অনেক ভালো লেগেছে। একটা বিষয় ভীষণ ভালো লেগেছে আপনার ছেলেকে ভালোবেসে খুব সুন্দর একটি সাইকেল গিফট করলেন সে তো অনেক খুশি হয়েছে সাইকেল পেয়ে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে ব্লগ টি আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।