আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফুলের অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি । আসলে ফুল ভালোবাসে না এমন মানুষ মনে হয় নেই বললেই চলে । আর ফুল যেমনই হোক না কেন দেখতেই খুব ভালো লাগে ।বিশেষ করে ফুল গাছেই বেশি মানায় । গাছে যতটা সুন্দর লাগে ছিঁড়ে এনে সাজিয়ে রাখলে ততটা সুন্দর লাগে না । এজন্য যার যেটা জায়গা তার সেখানেই থাকতে দেওয়া উচিত । অনেকে দেখা যায় যে ফুল কিনে এনে খুব সুন্দর করে ঘর সাজায় সেটাও খুব ভালো লাগে তবে নিজের যদি একটা ফুলের বাগান থাকে তাহলে সেটা মনে হয় অনেক বেশি ভালো লাগে ।

আমার খুব ইচ্ছা ছিল নিজের বড়সড়ো করে একটি বাগান করব । ঢাকা শহরে যারা ফ্ল্যাট বাড়িতে থাকে তাদের এই সুযোগটা খুব একটা হয়ে ওঠে না । আমার যদিও বড়সড় বারান্দা রয়েছে তবে সেখানে রোদ না থাকার কারণে তেমন একটা ফুল আমি ফোটাতে পারি না । যার কারণে ফুল গাছ লাগানোর সৌভাগ্য আমার হয়ে ওঠে না । তারপরও মাঝে মাঝে চেষ্টা করি লাগানোর জন্য । আজকে যে ফুলের ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি সেগুলো রমনা পার্কের ছবি । রমনা পার্কে শীতের সময় গেলে একেবারে মনোমুগ্ধ হয়ে চারিদিকে তাকিয়ে থাকতে হয় । চারিদিকে শুধু ফুল আর ফুল দেখা যায় আর পরিবেশটা সত্যি অনেক সুন্দর লাগে । আমরা এর আগে যখন শীতের প্রথম দিকে গিয়েছিলাম তখন দেখলাম যে এই গাছগুলোতে সুন্দরভাবে কেবলমাত্র কলি আশা শুরু করেছে । তখন তেমন একটা ভালো লাগেনি ।কিন্তু এইতো কদিন আগে যখন গিয়েছি তখন চারদিকে শুধু ফুল আর ফুল । আমরা যাওয়ার পরপর সন্ধ্যা লেগে গিয়েছিল বিধায় ফুলের ছবিগুলো ভালোভাবে তুলতে পারিনি ।তারপরও সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।

প্রথম যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটি দেখুন লাল রঙের কত সুন্দর ফুল । একেবারে চারদিক দিয়ে ফুটে রয়েছে এবং ওরা চারপাশটা এমন সুন্দরভাবে ঘিরে একটা ডিজাইনের মতো করে রেখেছে যার কারণে ফুল গুলো গোল হয়ে চারদিকে ফুটে রয়েছে এবং দেখতে সত্যি খুবই ভালো লেগেছিল । দূর থেকে ছবিটা তুলে নিয়েছি । অন্ধকার হলে কি হবে ফুল গুলো দেখতে কিন্তু সত্যি অনেক বেশি সুন্দর লাগছিল ।

এখন দেখতে পাচ্ছেন গাঁদা ফুলের খুবই সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি । গাদা ফুল গুলো দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে । বিশেষ করে এই গাঁদা ফুল গুলো শীতের সময় এত বেশি পরিমাণে ফুটে এবং এতটাই ভালো লাগে দেখতে তা কল্পনার বাইরে । গাঁদা ফুল গাছটাকে ওরা এত সুন্দর ভাবে ছোট করে কেটে গোল গোল করে সাজিয়ে রাখে একেবারে গাছ ভর্তি ফুলগুলো খুব সুন্দর ভাবে ফুটে থাকে । এখানে দুই রকমের গাঁদা ফুল দেখতে পাচ্ছেন একটা একেবারে হলুদ কালার আরেকটা একটু বাসন্তী কালার । একটা ফুলের গাছগুলো ওরা লম্বালম্বি ভাবে সুন্দর করে সাজিয়েছে আর একটা গাছ সুন্দর করে গোল করে লাগিয়ে একটা ডিজাইন করে সাজিয়েছে দেখতে ভালই লাগছিল ।

আর এখানে আমি ডায়ান্থাস ফুলের বিভিন্ন কালারের কয়েকটা ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করেছি । আসলে এই ফুলগুলো শীতের অসাধারণ একটি ফুল। এই ফুলগুলো শীতের সময় ছাড়া ফোটে না আর এই ফুলগুলো এত কালারের রয়েছে তা মনে হয় গুনে শেষ করা যায় না । যখন একসাথে অনেকগুলো ফুল ফুটে থাকে তখন মনে হয় ফুলের রাজ্যে চলে এসেছি । আর বিভিন্ন কালার হওয়াতে আরো বেশি সুন্দর লাগে । আর এই ফুলগুলোর যে এত কালার হয় তা আমার আগে জানাই ছিল না । ওরা রমনা পার্কের ভিতরে একটা জায়গায় বিরাট এরিয়া নিয়ে শুধু ডায়ান্থাস ফুল গাছ লাগিয়েছে । এই ফুলগুলো মাটিতে লাগালে মনে হয় খুব ভালো হয় । বাড়িতে এনে টবে লাগালে অল্প ছায়াতে এগুলো তেমন একটা বাড়ে না ।আমি কয়েকবার লাগানোর চেষ্টা করেছি কিন্তু ব্যর্থ হয়েছি ।

এখানে ডায়ান্থাস ফুলের গোলাপী কালারের কতগুলো ছবি দেওয়া হয়েছে । দেখুন গোলাপী কালার সবগুলোই তবে এক একটা গোলাপী কালারের ভিতরে একটু পার্থক্য রয়েছে ।কোনটা হালকা কোনটা গাঢ় আবার কোনটা শেড । এই পিংক কালারের ভিতরে অসংখ্য ফুল ফুটে থাকে যেগুলোকে আলাদা করার কোন উপায় নেই তবে সেগুলো কিন্তু আলাদাই কাছ থেকে দেখলে বোঝা যায় ।

এখানে মোরগ ফুল ও গাঁদা ফুল দিয়ে সুন্দর করে একটি এরিয়া সাজিয়েছে । মোরগ ফুলের টকটকে লাল কালার গুলো দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগে । ছোটবেলায় আমরা যখন গ্রামের বাড়িতে যেতাম তখন দেখতাম যে আমার চাচতো বোনেরা মোরগ ফুল গাছ দিয়ে সুন্দরভাবে সাজিয়ে রেখেছে দেখতে সত্যি খুব ভালো লাগতো । আর এর বিচি ছোট ছোট হয়ে থাকে এবং সেগুলো বুনলে সুন্দরভাবে গাছ হয় । এই মোরগ ফুল গাছের ভেতরে সুন্দরভাবে গাঁদা ফুল গাছ লাগিয়েছে ওরা । একেবারে কোনা করে এমন ভাবে লাগিয়েছে দেখতে ভালই লাগছিল এলাকাটা ।