একজন মায়ের গল্প পর্ব:১
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করবো । আসলে বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখতে গেলে একই রকম গল্প হয়ে যায় কারণ চোখের সামনে যেসব গল্প আমরা দেখি সেগুলোই বারবার ভেসে উঠে । এই জন্য কোন মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে লিখতে গেলে সেটা সুন্দরভাবে গুছিয়ে লেখা সম্ভব এবং সুন্দর একটি গল্প তৈরি হয় । মানুষের জীবনে প্রতি নিয়ত বিভিন্ন গল্প ঘটে থাকে আর প্রত্যেকটা ঘটনায় তো আর গল্প আকারে লেখা সম্ভব না । গল্প আকারে লিখতে গেলে গুছিয়ে সুন্দর একটি কাহিনী যদি হয় তখনই সেটা লেখা সম্ভব হয় । সুখ দুঃখ মিলিয়ে মানুষের জীবন । সেই জীবন থেকে সবকিছু মিলিয়ে কিছু একটা তুলে ধরেই আজকে আমি আমার গল্পটি সাজিয়েছি । খুবই সাধারন কিছু কথা নিয়ে নিয়েই একটি মায়ের গল্প আমি আপনাদের সামনে তুলে ধরবো ।
জোসনা নামের একটি মেয়ে তারা ছিল ৫ বোন । তাদের কোন ভাই নেই, ওরা খুবই গরীব ফ্যামিলির সন্তান ছিল । । সব বোনদের বিয়ে হয়ে গিয়েছে জোসনা ছিল সবার মধ্যে ছোট । ছোটবেলা থেকে জোসনার একটা সমস্যা ছিল কোন একটা কারণে এক্সিডেন্ট করে ওর একটা পা কিছুটা খোঁড়া হয়ে গিয়েছিল । যার কারণে বিয়ে দিতে একটু কষ্ট হয়েছিল । ছোট রেখে ওদের বাবা অনেক আগেই মারা গিয়েছিল ।যার কারণে তাদের বিয়ে দিতে তাদের মায়ের কষ্ট করতে হয়েছিল ।অন্যান্য বোনদের বিয়ে হয়ে যাওয়ার পরে জোসনার বিয়ে হয়ে গেল । বাড়ির পাশে একটা ভালো পরিবার দেখে জোসনার বিয়ে দেওয়া হলো ।
জোছনা সংসার ভালোভাবেই চলছিল । দেখতে দেখতে জোসনার সংসারে দুটি মেয়ে সন্তান জন্মগ্রহণ করে । জোছনার স্বামী তাদের নিজের যা জমি জমা ছিল এবং ছোটখাটো কাজ কাম করত তা দিয়ে খুব সুন্দরভাবে চলে যাচ্ছিল । আর জোসনার স্বামীর অন্যান্য ভাইদের অবস্থা ওদের থেকে ভালো ছিলো যার কারণে সব মিলিয়ে ভালোই চলছিল । দেখতে দেখতে জোসনার মেয়ে দুটো কিছুটা বড় হয়ে ওঠে । এর ভেতরে একদিন শোনা যায় জোসনার স্বামীর অন্য একজনের সাথে সম্পর্ক আছে । এই নিয়ে তাদের সংসারে অনেক অশান্তি শুরু হয়ে যায় । তাকে কিছুতেই ওখান থেকে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হচ্ছিল না ।
জোসনার স্বামী হুট বিয়ে করে একদিন বিয়ে করে নিয়ে আসে । তখন তো একেবারে জোসনার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়ার অবস্থা । তার স্বামীর কথা হলো দুজনকেই আমি রাখবো কিন্তু জোসনা তো একেবারে দিশেহারা অবস্থায় পড়ে গেল । কারণ একে তো অভাবের সংসার তারপরে আবার স্বামী নতুন বিয়ে করে নিয়ে এসেছে । বাচ্চা দুটাও ছোট কি থেকে কি করবে কিছুই বুঝে উঠতে পারছিল না । জোসনার পরিবারের অন্য সবাই একটু ভালো ছিল তার স্বামীর এরকম অবস্থা দেখে তাদের সম্পত্তির কিছুটা অংশ জোছনার নামে লিখে দেয় যাতে জোসনা একটু ভরসা পেয়ে সেখানে টিকে থাকে । কিন্তু কোন ভাবে সেখানে টিকে থাকা জোসনার পক্ষে সম্ভব হয়ে উঠছিল না কারণ নতুন বিয়ে করার কারণে সেই বউয়ের দাপটটা একটু বেশিই ছিল । তারপরও জোসনা বাচ্চা দুটোর কথা চিন্তা করে টিকে ছিল ।
চলবে.............
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস| samsung Galaxy s8 plus
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আপু আপনার গল্পটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। বেশ ভালো লিখেছেন। জোছনার সুখের সংসারে হঠাৎ করে কালবৈশাখী ঝড় নেমে এলো যেন ।জোসনা কি পারবে তার সংসারের টিকে থাকতে দেখার অপেক্ষায় রইলাম। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
হঠাৎ করেই মানুষের সুখের সংসার এভাবে ঝড় নেমে আসে সে ঝড় এর মধ্যে টিকে থাকা আসলেই কষ্টকর ।
জোসনার অভাবের সংসার তারপর যদি তার স্বামী আরেকটা বিয়ে করে নিয়ে আসে তাহলে তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়া স্বাভাবিক। তাছাড়া কোন মেয়েই চায় না তার স্বামী আবার একটি মেয়েকে বিয়ে করে নিয়ে আসুক। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
বেশিরভাগ গরিব মানুষই এরকম অভাবের জালাই বাঁচে না অথচ বিয়ে করে নিয়ে আসে হুট করে আরো একটি ।
খুবই সুন্দরভাবে আপনি এই গল্পটি তৈরি করেছেন। আপনার এই গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো৷ জোছনার এই সুখের সংসারে তো মনে হয় না আর বেশি দিন সুখ থাকবে৷ জোছনা কি পারবে তার সংসারের সুখ বজায় রাখতে, তা পরবর্তী পর্বে দেখার অপেক্ষায় রইলাম৷ অনেক ধন্যবাদ আপনাকে৷
জোসনা পরবর্তীতে কি হয় সেটা জানতে হলে পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় থাকতে হবে ।
আজকে আপনি আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর একটা গল্প শেয়ার করেছেন। আপনার লেখা গল্পটা পড়তে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। জোসনার শেষ পর্যন্ত বিয়ে হলেও, তার দুটি মেয়ে হওয়ার পর পর দেখছি তার স্বামী আরেকজনকে বিয়ে করে নিয়ে এসেছে। আসলে একটা মেয়ের পক্ষে কখনোই সম্ভব হয় না সতীনের সাথে ঘর করতে। তবুও কিন্তু জোসনা চেষ্টা করছে সন্তানদের জন্য হলেও থাকার। এখন দেখা যাক পরবর্তীতে কি হয় জোসনার জীবনে।
এসব পুরুষ মানুষ আসলেই খারাপ একটা বউ থাকতে ও ছেলে মেয়ে থাকতে আবার হুট করে বিয়ে করে নিয়ে আসে ।
আপনি আজকে জোসনার জীবনের ঘটনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন প্রথম পর্বের মাধ্যমে। জোসনার এই গল্পটা পড়তে প্রথম থেকে যদিও একটু ভালো লাগছিল, তবে শেষের দিকটা পড়ে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো। জোসনার স্বামী দ্বিতীয় বিয়ে করেছে এটা ভাবতেই খারাপ লাগতেছে। জোসনার পক্ষে এটা সম্ভব হচ্ছিল না, সতীনের সাথে সংসার করতে বুঝতেই পারছি। তবুও সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে তাকে থাকতে হলো। পরবর্তী পর্বে আশা করছি পরবর্তীতে কি হয়েছে এটা জানতে পারবো।
গরিব মানুষের সুখ বেশিদিন সয় না কোন না কোন ভাবে অশান্তির সৃষ্টি হয় এটা বেশিরভাগ সময়ই দেখা যায় ।