মজাদার ইফতারির কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো মজাদার ইফতারির আইটেমের কিছু ছবি । রোজা আসলে মানুষের খাওয়া দাওয়ার ধুম পড়ে যায় । ইফতারিতে কোনটা রেখে কোনটা খাবে এবং কত কিছু আয়োজন করবে সেটা নিয়ে চলতে থাকে সারাদিন মানুষের ব্যস্ততা । বিশেষ করে খালি পেটে যা দেখি তাই যেন অমৃত মনে হয় । সারা পৃথিবীটাকে মনে হয় খেয়ে ফেলতে পারব । কিন্তু যখনই টাইম আসে তখন এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত খাওয়ার পরে তখন আর কোন কিছুই খেতে ভালো লাগে না । আর আয়োজনটা তো একেবারে ধুমধাম করে করতে হয় । কোনটা রেখে কোনটা যেন বাদ না পরে । বিশেষ করে ভাজাপোড়া আইটেমগুলো তো একেবারে বাদ পড়াই যাবে না । ফ্রুটস যদিও বাদ দেওয়া যেতে পারে কিন্তু এই ভাজা আইটেমগুলো আমি কিছুতেই বাদ দিতে পারি না । পরে যদিও এগুলো খেয়ে বিছানায় পড়ে থাকি গ্যাস্টিকের প্রবলেম অতিরিক্ত বেরে যায় তারপরও খেতেই হবে । আর ছোলা মুড়ি তো একেবারে কমন আইটেম এগুলো কিছুতেই বাদ পড়ার উপায় নেই । সবকিছু খাওয়ার পরে নামাজ পড়ে ছোলা মুড়ি খাওয়ার ভিন্ন রকম একটা মজা রয়েছে । এটার সাথে ছোটবেলায় যে কত রকম কত স্মৃতি জড়িয়ে আছে সেটা বলে বোঝানো যাবে না । সারাদিন রোজার ক্লান্তি এই এক ইফতারি দেখেই দূর হয়ে যায় অনেক সময় ।আজকে আমি আপনাদের সামনে মজার মজার কিছু ইফতারির ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হয়েছি ।
প্রথমে শুরু করছি ছোলা ভুনা ও ডাবলি ভুনা দিয়ে । এই ছোলা ভুনাটা বেশি করে ঝাল ঝাল দিয়ে আলু দিয়ে মজা করে ভুনা করলে মুড়ি দিয়ে খেতে সত্যি আমার কাছে অমৃত লাগে । তাছাড়া ছোলা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী । আর অন্যটা হচ্ছে চটপটি বানানোর ডাবলি । মুড়ি দিয়ে সুন্দরভাবে মাখিয়ে এর সাথে যদি একটু হালিম যোগ করা যায় তাহলে খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে । এই মজার খাবার গুলো আমরা তো প্রতিদিন খেয়ে থাকি । এগুলো ছাড়া তো ইফতারি একদমই অচল আমার কাছে মনে হয় ।
এই খাবারটা খুবই মজার একটি খাবার । এটা হচ্ছে চিকেনের পুড়ে ভরা মজাদার একটি খাবার । এ খাবারটি খেতে খুবই মজা বড় করে তৈরি করা হয় । চিকেন এর পুর সাথে আরও বিভিন্ন উপকরণ দিয়ে এই খাবারটি তৈরি করা হয় । এটি একটু বড় করে বানানো হয় ইফতারির সময় এই খাবারটি একজন খাওয়া খুবই কষ্টকর । এটা আমাদের পাশের বাসার ভাবী প্রতিনিয়ত তৈরি করে এবং আমাদেরকে দিয়ে থাকে খেতে কিন্তু ভালো লাগে । বিশেষ ইফতারি ছাড়া অন্য সময় নাস্তা হিসেবে এটি খেতে খুবই মজাদার ।
এটি হচ্ছে মজাদার বুন্দিয়া । ছোলা মুড়ির সাথে কিছুটা বুন্দিয়া মিশিয়ে খেতে কিন্তু আমার কাছে খুব ভালো লাগে । ঝাল ঝাল মিষ্টি মিষ্টি করে খাওয়া আর কি । ছোট বেলায় এই খাবারটা অনেক পরিমানে খেয়েছি ইদানিং খুব একটা খাওয়া না । রোজা আসলে কিছুটা খাওয়া হয়ে থাকে । আমার কাছে ভালো লাগে । এটা বেসন দিয়ে নিজেরাই বাসায় ঝটপট তৈরি করে নেয়া যায় । এটা তৈরি করা অনেক ইজি বাইরে থেকে কেনার থেকে নিজেরা বানিয়ে খাওয়াই ভালো ।
এটা হচ্ছে সবার প্রিয় বেগুনি এ বেগুনি ছাড়া যেন ইফতারি চলেই না । বেগুনিটা সবাই এত বেশি পরিমাণে খেয়ে থাকে যে বাজারে বেগুনের দাম অনেক পরিমাণে বেড়ে যায় । তারপরও মানুষ বেগুনিটা কিছুতেই বাদ দিতে পারেনা । ভাজাপোড়া আইটেমের মধ্যে এটি পপুলার একটি খাবার এবং এটি খুবই মুচমুচে করে গরম গরম খেতে খুব ভালো লাগে । আর নিচের খাবারটি হয়েছে পিয়াজু । পিয়াজু আর বেগুনি যেন একটার সাথে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে আছে একটা ছাড়া একটা চলে না । আমি তো এই খাবারগুলো প্রতিদিন খেয়ে থাকি যতই কষ্ট হোক না কেন তারপরও বাদ দিতে পারি না ।
এখানের আর একটা মজার আইটেম হচ্ছে ছোট ছোট রেশমি জিলাপি । এ জিলাপি গুলো মুচমুচে খেতে খুব ভালো লাগে । ইফতারের সময় প্রতিটা রাস্তার মোড়ে মোড়ে এই জিলাপি গুলো পাওয়া যায় এবং এই জিলাপি গুলো ইফতারিতে যেন অনেক বেশি পরিমাণে মজা লাগে খেতে । অবশ্য এগুলো রোজার টাইম ছাড়া অন্য সময় তেমনটা খাওয়া হয়না ইফতারিতে খেতেই অনেক ভালো লাগে ।
এটা মজার একটি ইউনিক খাবার । এই খাবারটি আলুর পুরে ভরা একটি নাস্তা । এটি ময়দা দিয়ে তৈরি করা হয়ে থাকে ।ময়দার ডো করে তার মাঝখানে আলু দিয়ে এভাবে পেঁচিয়ে পেঁচিয়ে সুন্দরভাবে এই নাস্তাটি তৈরি করা হয় এবং এটিও খেতে কিন্তু খুবই মজাদার । আর খেজুর অন্যতম একটি আইটেম । খেজুর ছাড়া ইফতারি কোনভাবে সম্পন্ন হয় না ।রোজা ভেঙে প্রথমে একটি খেজুর দিয়ে শুরু করা হয় । খেজুর খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে । আজকাল বাজারে দাম প্রচুর পরিমাণে বেড়ে গিয়েছে তারপরও মানুষ কিন্তু খেজুর খাওয়া কোন ভাবে বাদ দিতে পারেনি । এত দাম দিয়ে খেজুর কেনা হলেও কিছু কিছু খেজুরের মধ্যে আবার পোকা পাওয়া যায় যেটা সত্যি খুব কষ্টকর ।
এখানে বিভিন্ন ফল ফ্রুসের ছবি দেখতে পাচ্ছেন । এই ফল ফুলগুলো ইফতারির সময় পরিবেশন করা হয় যদিও আমি খুব একটা খাই না । কিন্তু তারপরও ইফতারিতে এগুলো রাখতেই হয় । নাশপাতি খেতে আমার কাছে মোটামুটি ভালো লাগে । বিশেষ করে ইফতারিতে যখন ঠান্ডা ঠান্ডা নাশপাতি মুখে দেই তখন কিন্তু ভালোই লাগে । এখানে আপেল মালটাও রয়েছে ।এগুলো ইফতারিতে পরিবেশন করা হয় সব সময় খাই আর না খাই । তারপরে নিচের খাবারটি রয়েছে ডিমের পুডিং । পুডিংটি পাশের বাসার ভাবিরা খুব মজা করে তৈরি করে । আজকের গুলো ছোট ছোট এই সাইজটা করে তৈরি করেছে দেখতে সুন্দর ছিল এবং খেতেও খুবই মজাদার ছিল ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
ঠিক বলেছেন আপু যখন ক্ষুধা লাগে তখন মনে হয় পৃথিবীতে যেসব খাবারগুলো আছে সব খেয়ে ফেলি। রোজার মাসে ইফতারের সময় মনের অবস্থাটা ঠিক এমনই হয়। আপনি আজকে খুব মজাদার কিছু ইফতারির ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ইফতারের জন্য খুবই পারফেক্ট খাবার। শেয়ার করা ফটোগ্রাফি হল আমার কাছে ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে।
রোজা থেকে যা দেখি তাই খেতে ইচ্ছা করে ইফতারি করার পর আর সেগুলো খেতে মন চায় না ।
বেশ কিছু মুখ রোচক ইফতারির খাবারের ফটোগ্রাফী আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তোলা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফী আমার কাছে বেশ পরিচিত। আসলে আমি প্রতিদিন এই খাবার গুলো দিয়ে ইফতারী সম্পন্ন করে থাকি। আপনি বেশ কয়েকটি ফলের ফটোগ্রাফী শেয়ার করেছেন, ফলের ফটোগ্রাফী গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
সবাই কমবেশি খাবারগুলো দিয়ে ইফতার করার চেষ্টা করে ।ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য ।
বাহ আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে বেশ মজার কিছু ইফতারির ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আসলে আমাদের প্রায় প্রতিনিয়ত ইফতারিতে অনেক ধরনের আইটেম থাকে খেতে সত্যি বেশ মজা লাগে। তবে ইফতারের সময় তেলেভাজা কিছু খেতে আমি বেশি পছন্দ করি না। ইফতারির জন্য আমার সবথেকে পছন্দের হল খীরখেজুর। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ইফতারের সময় খাবার যতই খাওয়া হোক না কেন সাজানো হয় অনেক বেশি পরে আর সেগুলো সব খাওয়াই হয় না । ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপু আপনার শেয়ার করা ইফতারির আইটেমগুলো আমাদের বাঙালিদের যেনো প্রধান আর কমন ইফতার আইটেম।।যতই বলি তেলে ভাজা এসব আইটেম খাবো না।তারপরেও প্রতিদিনের ইফতারে এই আইটেমগুলো আমাদের থাকেই ই।আপনার ইফতারের আইটেম গুলো দেখে এই কথাগুলোই ভাবছিলাম আমি।
আসলে এই খাবারগুলি আমরা প্রতিনিয়ত খেয়ে থাকি এবং সবার ঘরে এ ধরনের আয়োজন করা হয়ে থাকে ।
দারুণ দারুণ লোভনীয় বেশ কিছু ইফতার আইটেম এর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন আপু। এসব খাবার আইটেম সামনে পেলে নিজেকে কন্ট্রোল করা বেশ কঠিন হয়ে পরে! তবে রোজা রেখে, ইফতারে ভাজাপোড়া আইটেম কম রাখাটাই ভালো। আর আলুর পুর দিয়ে তৈরি নাস্তা টা দেখতে বেশ লাগছে৷ ওটা কি আপনি বানিয়েছেন আপু? তাহলে রেসিপি দিয়েন...
না আপু এই রেসিপিটি আমি তৈরি করিনি ওটা পাশের বাসা থেকে দিয়েছিল খেতে কিন্তু অনেক মজা লাগে । ওই ধরনের অন্য ডিজাইনের আমি একবার বানিয়েছিলাম খেতে একই লাগে ।
বাঙালি ইফতারে ভাজাপোড়া খাবে না এমনটা তো হতে পারে না। যতই গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা হোক ইফতারে এসব ভাজা জিনিস খেতেই হবে। আপনার মত আমারও এই একই সমস্যা আপু। আমারও ছোলা মুড়ি এবং বিভিন্ন রকম ভাজা আইটেম না হইলে একদমই ইফতার জমে না। ইফতারিতে শুধু এক গ্লাস ঠান্ডা শরবত খেয়ে নামাজ পড়ে এই ভাজা আইটেমগুলো শুয়ে শুয়ে আরাম করে খেতে খুবই ভালো লাগে। খুব ভালো লাগলো আপু মজাদার ইফতারির কিছু ফটোগ্রাফি দেখে ।
একদম তাই আমি তো বেশিরভাগ দিনে এসব ভাজাপোড়া খেয়ে পরবর্তীতে অনেক কষ্ট করতে হয় । তারপরও আবার পরের দিন খেয়ে থাকি এসব ছাড়া কি ইফতারি জামে নাকি ।
রোজার মাস সংযমের মাস হলে কি হবে আমার মনে হয় এই রোজার মাসেই মানুষের খাবারের পরিমাণ বেশি হয়। সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতারিতে কি রেখে কি খাব তাই খুঁজে পাই না। ঠিকই বলেছেন এই ভাজাপোড়া খেলে প্রচুর গ্যাসের প্রবলেম হয়। তারপরও এগুলো খাওয়া বাদ দিতে ইচ্ছা করে না। বেশ মজাদার কিছু ইফতারের খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। এগুলো দেখে আবারও খেতে ইচ্ছা করছে।
রোজার মাস সারাদিন সংযম করা হয় কিন্তু সন্ধ্যার পর থেকে তো আর সংযম থাকে না শুধু খাওয়া আর খাওয়া ।
আসলেই আপু সারাদিন রোজা রাখার পরে সামনে খাবারগুলো যেন অমৃত মনে হয়। তবে যখনই পানি খাওয়া হয় তখনই যেন খাবারগুলো খাওয়ার প্রতি আগ্রহ কমে যায়। তবে আমি ইফতারের সময় ভাজাপোড়া খাবার গুলো খুব কম খাওয়ার চেষ্টা করি। যাই হোক ইফতারের সময় যে খাবারগুলো খাওয়া হয় সেগুলি নিয়ে আজকের পোস্ট সাজিয়েছেন, ছোলা আর খেজুর প্রতিনিয়ত খাওয়া হয় তবে এরকম ভাজাপোড়া আইটেমগুলো সামনে থাকলে হালকা করে টেস্ট করব এতে কোন সন্দেহ নেই।
ভাজাপোড়া খাবার যতই এভোয়েড করার চেষ্টা করি আবার সামনের উপর দেখলে না খেয়ে পাড়াও যায় না।
ইফতারের জন্য খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আসলে রমজান মাসে বিভিন্ন প্রকার ইফতার দেখতে যেমন ভালো লাগে, তেমনি খাওয়ার বেলাও ধুমধাম হয়। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
খাওয়ার থেকে এগুলো দেখতেই বেশি ভালো লাগে পানি খাওয়ার পরে তো আর তেমন একটা খাওয়াই হয় না ।