আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে কিছু ফুলের ফটোগ্রাফির সাথে দুই একটা অন্য ছবিও শেয়ার করছি । আজকে আমরা সবাই মিলে আমার বোন ওয়াহিদার বাসায় বেড়াতে গিয়েছিলাম । ওর একটি সুন্দর ছাদ বাগান আছে তাই মনে মনে আগে থেকে ঠিক করে রেখেছিলাম যে ওদের বাসায় গেলে ছাদে উঠে সুন্দর সুন্দর কিছু ছবি তুলব ।ওদের বাসায় আজকে আমাদের সবার দাওয়াত ছিল ।এজন্য আমরা সবাই মিলে দুপুরের দিকেই চলে গিয়েছি ।আমরা খাওয়া-দাওয়া করার একটু আগেই গিয়ে উপস্থিত হয়েছি যাতে সবাই মিলে বসে একটু গল্প গুজব করতে পারি এবং সুন্দরভাবে সময়টা কাটাতে পারি ।

সেখানে গিয়ে দেখি ওর রান্না করা এখনো কমপ্লিট হয়নি ।আস্তে আস্তে রান্না শেষ হলে আমরা সবাই মিলে একসাথে খাওয়া দাওয়া করলাম । এরপর বিকেল বেলা ভাবলাম যে একটু ছাদে গিয়ে ঘুরে আসি আর কিছু ছবি তুলে আসি । আমি ছাদে গিয়ে তো অবাক যে ওর গাছগুলো একেবারেই নেই বললেই চলে । কারণ বাগান করতে গেলে বাগানের পেছনে অনেক সময় দেওয়া লাগে এবং পরিচর্যা করতে হয় । সোমা হয়তো সেই সময়টুকু দিতে পারে না দেখে আজ গাছের এই অবস্থা ।তারপরেও দু-একটা গাছে কিছু ছবি ছিল সেখান থেকে কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছি ।

ওর ছাদে দেখলাম বেশ কয়েকটা কাটা মুকুট গাছ রয়েছে । কাটা মুকুট গাছ আমার কাছে খুব ভালো লাগে ।এই গেছে অনেক সুন্দর সুন্দর ফুল ধরে থাকে । রোদে এই গাছে ফুল অনেক বেশি পরিমাণ হয় এবং একটু বেশি সুন্দর হয় । রোদ না পেলে ফুলের কালারও চেঞ্জ হয়ে যায় । এই গাছ আমার বারান্দায় একটি রয়েছে ওর কাছ থেকে ডাল নিয়ে লাগিয়েছিলাম । আমার ফুলের কালার আর এই ফুলের কালার সম্পূর্ণ ভিন্ন । একই গাছ অথচ দুই রকমের ফুল ফোটে । এত সুন্দর লাগছিল এই গাছটি একেবারে গাছ ভর্তি ফুল ফুটে রয়েছে সত্যিই অপূর্ব সুন্দর ছিল ।

কিছু দূর এগিয়ে যেতে আরো একটি কাটা মুকুট গাছ দেখতে পেলাম । এই গাছের ফুলগুলো অনেক ছোট ছোট । এই গাছের ডালো আমি একটি নিয়ে লাগিয়েছি আমার গাছেও ফুল ফুটেছে তবে সেই ফুলের কালারও ভিন্ন হয়েছে । আমার বারান্দায় যদি রোদ পেতো তাহলে সুন্দরভাবে হয়তো ফুলগুলো ফুটতো । এই গাছের ফুলের কালার অনেক সুন্দর ছিল ।

আরও একটি কাটা মুকুট গাছ দেখতে পেলাম যেটা ছোট ছোট ফুল ফোটে তবে সেই কালারটা একটু ভিন্ন ছিল ।আবার নিচে দেখছেন আরো একটি কালার । এই ফুলের ডালটা আমি ওকে দিয়েছিলাম । আমার বারান্দায় এই গাছটা অনেক বড় হয়েছে কিন্তু ওর গাছটা দেখলাম একটু ছোট্ট তবে সুন্দরভাবে ফুল ফুটে রয়েছে ।

সিঁড়ি দিয়ে ছাদে ওঠার সময় সিঁড়ির মাথায় দেখলাম যে ওরা কিছু গাছ রেখেছে সেখানে এই মরিচ গাছটা দেখতে পেলাম । এত সুন্দর মরিচ ধরে রয়েছে দেখতে খুবই ভালো লাগছিল । একেবারে মোটা মোটা মরিচ গুলো চকচক করছিল । এটা কি ধরনের মরিচ বুঝতে পারলাম না তবে মরিচ খুব ভালোভাবে ধরেছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে এবং সুন্দর ছিল মরিচের চেহারাগুলো । নিচের গাছটি হলো লজ্জাবতী গাছ । ওদের একটি লজ্জাবতী গাছও রয়েছে আমরা টোকা দিতে গাছগুলো কেমন নুয়ে পড়ল । এই গাছগুলো আমাদের কাছে খুব ভালো লাগে ছোট বেলায় আমরা এই গাছগুলো অনেক দেখেছি ছুঁয়ে দিতাম সেটাই আমাদের একটা খেলা ছিল ।

শেষমেষ ওর বাগানে অনেকগুলো নয়নতারা গাছ দেখতে পেলাম । নয়নতারা গাছগুলো এমন যে এগুলোর কোন পরিচর্যা করতে হয় না একা একাই গাছগুলো বেড়ে ওঠে । ছাদ ভর্তি অনেক নয়ন তারা গাছ যেগুলোতে একা একাই ফুল ফোটে দেখতে ভালোই লাগে । আমার কাছে খুব ভালো লাগে এই গাছগুলো ।

শেষের এই ফুলটি ও সুন্দর ছিল । এই গাছ অনেক ছিল তবে এবার দেখলাম যে সব গাছগুলোই মরে গিয়েছে ।শুধুমাত্র একটা গাছে এরকম ফুল ফুটে রয়েছে ভালোই ছিল ফুলটা । নামটা এই মুহূর্তে ভুলে গিয়েছি ।