একটি জীবনের গল্প শেষ পর্ব
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করতে চলে এসেছি । আসলে জীবনের গল্পের কোন শেষ নেই । মানুষের জীবন নিয়ে অহরহ গল্প ঘটে চলেছে এবং সেটা আমাদের চোখের সামনে ঘটে থাকে । সেটা যদি আমরা খুব সুন্দরভাবে গল্প আকারে লিখতে যাই তাহলে সুন্দরভাবে জীবনের কিছু অংশ থেকে একটা গল্প তৈরি করে নেয়া যায় । এ ধরনের গল্প গুলো লিখতে সবসময় ভালো লাগে আর এ ধরনের গল্পের মধ্যে কোন বানানো জিনিস থাকে না একেবারে বাস্তব জীবনের কাহিনী সুন্দরভাবে চোখের সামনে তুলে ধরা যায় । আর বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখতে গেলে অনেক সময় এলোমেলো গল্প হয়ে যায় এবং অনেক গল্প আছে অনেক কিছুর সাথে মিলে যায় তখন সেটা আর নিজের কাছেই ভালো লাগেনা । আজকে আমি একজনের জীবন কাহিনী নিয়ে ছোট্ট একটা গল্প আপনাদের সামনে তুলে ধরার চেষ্টা করছি ।
গত পর্বে শেষ করেছিলাম মৃদুলের ভাই মারা যায় তার পর থেকে শুরু করছি ।
এভাবে চলতে থাকে । বড় ভাইয়ের মৃত্যতে সবাই কেমন যেন হয়ে যায় । তারপর এক বছর পরে যেতে না যেতেই মৃদুলের অন্য যে আরও একটা ভাই ছিল সে ভাইটিও হঠাৎ করে স্ট্রোক করে মারা যায় । তখন তো সবাই একেবারে ভেঙে পরে যে কেন হঠাৎ করে তাদের ফ্যামিলির এরকম হচ্ছে । তখন তার মা খুব বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তার বোনও অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে । মৃদুলের বোন তখন এবনর্মাল আচরণ করতে থাকে । তার হার্টের সমস্যা রয়েছে এবং সহ্য করতে না পেরে আরো বেশি অসুস্থ হয়ে পড়ে।
এখন পুরো পরিবারের দায়িত্বএকমাত্র মৃদুলেরই । তার বোনকে সুস্থ করে এবং অন্যান্য বোনরা এসে দেখে যেত । কিন্তু দায়িত্ব পুরোপুরি মৃদুলের উপরই পরে তার মা-বোনের ।এদিকে তার মা ও দুই ছেলেকে হারিয়ে সে আর তার ওই বাসায় থাকতেই চাচ্ছিল না । তখন মৃদুল বাধ্য হয়ে অন্য একটা ভাড়া বাসাতে চলে যায় । সেখানে গিয়ে মৃদুল খুব একাকীত্ব অনুভব করতে থাকে ।
এর ভিতর তার বন্ধুবান্ধবরা দেখে শুনে মৃদুলকে জোর একটা বিয়ে দেয় । কিন্তু বউ উঠিয়ে আনার আগেই মৃদুলের বউ প্রেগনেন্ট হয় এবং উঠিয়ে আনার আগেই প্রেগন্যান্ট হওয়ার কারণে তাদের বাসায় আসা যাওয়া চলতে থাকে । এভাবে করে মৃদুলের বাচ্চাটার জন্ম নেওয়ার সময় এসে যায়। কিন্তু বাচ্চাটার জন্ম নেওয়ার কিছুদিন আগেই হঠাৎ করে বউটা অসুস্থ হয়ে পড়ে এবং তাকে যে ডাক্তার দেখানো হচ্ছিল সে ডাক্তার দেখেশুনে বলে যে ইমিডিয়েটলি আপনার বউকে ঢাকাতে নিয়ে যেতে হবে এবং সেখানেই রেখে তাকে ট্রিটমেন্ট করাতে হবে । এরপর তারা সঙ্গে সঙ্গে ঢাকাতে চলে আসে ।
বাচ্চাটার নাকি বড় একটা প্রবলেম ছিল এই কারণে বাচ্চা হওয়ার আগেও পরে সব মিলিয়ে তিন থেকে চার মাস তাদেরকে হসপিটালে ভর্তি থাকতে হবে । এখানে প্রচুর পরিমাণে টাকা খরচ করে তাদেরকে থাকতে হয় । এরপর আল্লাহর রহমতে বাচ্চার জন্ম হয় এবং আস্তে আস্তে সুস্থ হতে থাকে । তখন তারা বাড়িতে নিয়ে আসে এবং আস্তে আস্তে বাচ্চাটা সুস্থ হয়ে উঠছে এবং আগের থেকে অনেকটা সুস্থ হয়ে উঠেছে । মৃদুলের মাও বাসাটা পরিবর্তন হওয়ার পরে এবং মৃদুলের বিয়ের পর নিজেকে একটু সামলিয়ে নিয়েছে । তার মায়ের বয়স হয়েছে বয়স্ক মানুষ সব দিক দিয়েই তাকে দেখা শোনা করেই রাখতে হয় । সবকিছু মিলিয়ে এখন ফ্যামিলিতে মোটামুটি সবাই ভালোই রয়েছে ওরা । যাইহোক মানুষের বিপদ আসতেও যেমন সময় লাগে না আবার আল্লাহই মানুষকে ধৈর্য ধারণ করে বিপদ কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করে ।এখন বাচ্চাটাকে নিয়ে ভালো মতো মৃদুলদের ফ্যামিলি ভালো থাকলেই হয় । আর যে তার জীবন থেকে চলে
গিয়েছে সেটাকে নিয়ে পড়ে না থেকে সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়াই ভালো ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
একটি জীবনের গল্পটার শেষ পর্ব আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। মৃদুল এর আরেকটা ভাই ও মারা গিয়েছিলো শুনে খারাপ লেগেছে। আমার অন্যদিকে এসব কিছুর কারণে তার মাও অনেক বেশি অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। আর তার বোনও অসুস্থ হয়ে গিয়েছিল। আপনি মৃদুল বিয়ে করেছিলেন দেখে ভালো লেগেছে। সুস্থভাবে শেষ পর্যন্ত মৃদুলের সন্তান জন্ম নিয়েছে দেখেই ভালো লাগলো। এখন সন্তান এবং ফ্যামিলিকে নিয়ে সবাই বেশ ভালোই রয়েছে দেখে ভালো লেগেছে।
এসব জীবনের গল্প গুলো পড়তে সত্যি ভালই লাগে আপু । আসলেই পরিবার টার উপর অনেক ঝড় গিয়েছে এখন মোটামুটি একটু শান্ত হয়েছে ।
গল্পের শেষটা ভালো লাগলো। কেননা সবকিছুই অনেকটাই স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে তার সন্তান সুস্থ ভাবে পৃথিবীতে এসেছে। হ্যাঁ এই গল্প থেকে একটা শিক্ষা নেয়া যায় সেটা মানুষের বিপদ আসতে সময় লাগে না আর বিপদ থেকে সৃষ্টিকর্তাই আমাদেরকে রক্ষা করে।
মোটামুটি প্রথম দিকে কষ্ট হলেও এখন আস্তে আস্তে সব কিছু একটু স্বাভাবিক হয়ে আসছে । আমার গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ।
আগের পর্ব গুলো চোখে পড়েনি, তবে এই পর্ব পড়ে আফসোস করছি কেন আগের গুলো দেখলাম না। আসলেই বিপদ আসতে সময় লাগে না সেজন্য ধৈর্য ধরতে হয়। যেমন মৃদুলের উপরে যে পরিমাণ বিপদ গিয়েছে সে ধৈর্য ধরাতে অবশেষে তার পরিবারে শান্তি ফিরে এলো। গল্পটির শেষ পর্ব পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু ধন্যবাদ।
আফসোস করার তো কিছু নেই আগের পর্বগুলো দেওয়াই আছে কষ্ট করে গিয়ে একটু পড়ে নিবেন আর আফসোস থাকবে না । ধন্যবাদ আপনাকে আমার গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মতামত দেয়ার জন্য ।
মৃদুলের মা এবং বোনের অসুস্থতার কথা শুনে খারাপ লেগেছে। তার থেকেও বেশি খারাপ লেগেছে মৃদুলের আরও একটা ভাই মারা গিয়েছে শুনে। সবকিছু মৃদুলের কাঁধে এসে উঠেছিল। বন্ধুদের জোরের কারণে মৃদুল বিয়ে করতে রাজি হয়েছিল। এবং তার বিয়ে হলেও তার স্ত্রী প্রেগন্যান্ট হয়ে গিয়েছিল বলে, প্রেগন্যান্ট হওয়ার পর অনেক রকম সমস্যা দেখা দিচ্ছিল। অনেকদিন পর্যন্ত দেখছি হাসপাতালে থাকতে হয়েছিল। যাইহোক এখন তার ফ্যামিলিটা সুখেই রয়েছে শুনে ভালো লেগেছিল। আর বাচ্চাটার কারণে ঘরটাও আলোকিত হয়েছে।
বিয়ে করার কারণে সংসার টার উপর একটু শান্তি বর্ষিত হয়েছে তা না হলে ছন্নছাড়া হয়ে যেত ।
মৃদুলের জীবনের যে মর্মান্তিক ঘটনা সেটা আগের পর্বে কিছুটা পড়েছিলাম। তবে এই পর্বে দেখলাম যে, আবার তার আরেক ভাইয়ের মৃত্যু হল এবং হঠাৎ করে তাকে বিয়ে দিয়ে দেয়া হলো । বিয়ের পর পরই আবার শোনা গেল যে তার বউ প্রেগন্যান্ট। তারপরে আবার বউ কিছুদিন পর অসুস্থ হয়ে গেল। যদিও পরবর্তীতে যখন বাচ্চা হল তখন আস্তে আস্তে সব ঠিক হয়ে গেছে এবং সবাই সুস্থ হয়ে গেছে, এটা অনেক বড় এবং ভালো একটা বিষয়। আসলে মানুষের বিপদ আসতে সময় লাগে না। তাই আমাদের সবসময় সচেতন থাকা উচিত।
কেন যে পরপর ওদের দুই ভাই মারা গেল সেটা আমিও বুঝতে পারলাম না । তখন সবাই ভেঙ্গে পরল এখন মোটামুটি আস্তে আস্তে সব কিছু একটু স্বাভাবিক হয়ে আসছে ।
আচ্ছা আপু বুঝলাম ব্যাপারটা।
আসলেই বেশ খারাপ লাগলো মৃদুলের দুটি ভাই এভাবে হঠাৎ করে মারা গেল। এভাবে চোখের সামনে ছেলে দুটি মারা যাওয়ার পর তো মৃদুলের মা ভেঙে পরবেই। যাইহোক অবশেষে মৃদুল বিয়ে করলো এবং এতো কষ্ট করে বাচ্চাটা দুনিয়াতে আসলো। এখন বউ বাচ্চা এবং মা বোন নিয়ে মৃদুল সুখের সংসার করবে,সেই কামনা করছি। তিন পর্বের এই গল্পটি পড়ে সত্যিই ভীষণ ভালো লেগেছে আপু। আশা করি নতুন কোনো গল্প নিয়ে হাজির হবেন আমাদের মাঝে।
এরকম জলজ্যান্ত ছেলে যদি কোন মায়ের সামনে মারা যায় তাহলে তো মায়েরও বেঁচে থাকা কষ্টকর তারপরও উনি যে বেঁচে আছেন এটাই বড় কথা ।বধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করার জন্য ।