আজ আমি আবার আপনাদের সামনে একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। বেশ কিছুদিন হল ফরিদপুর এসেছি কিন্তু বাসা থেকে বের হওয়ারই তেমন একটা সুযোগ হচ্ছিল না কারণ আমরা ফরিদপুর আসার পরে বাসায় বসে থাকতে থাকতে আমাদের সময় চলে যায়। আমাদের বাবা একটু অসুস্থ তাকে নিয়ে সারাদিন আমাদের সময়টা কোথা দিয়ে চলে যায় আবার দেখতে দেখতে যাওয়ার সময় হয়ে যায়। এবার আমরা আসার কয়েক দিন পরেই আমাদের দুলাভাই এসেছে লন্ডন থেকে উনি আসার আগেই আমরা ঠিক করে রেখেছি তাকে নিয়ে এবার কিছুটা সময় আমরা ঘুরবো তাই আসার পর দিনই আমরা বাইরে বের হওয়ার একটা প্লান করে ফেললাম, কিন্তু প্লান করলে কি হবে সবকিছু তো আর আমাদের নিজের হাতে নেই। আমরা ভেবেছিলাম যে আমরা সকাল ৯ঃ০০ টায় বাসা থেকে বের হব কিন্তু সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে নাস্তা করতে করতেই প্রায় দুপুর হয়ে গেল। তাই আমরা দুপুরের পরেই যাওয়ার প্লান করলাম। আমরা এবার আমাদের নানা বাড়িতে যাওয়ার একটা প্ল্যান করেছি কিন্তু দুপুরের পর থেকেই প্রচন্ড পরিমানে বৃষ্টি শুরু হয়েছে বাইরে বের হওয়া কিছুতেই সম্ভব হচ্ছিল না। এদিকে ভাই আবার মার্কেট থেকে কিছু শপিং করে তারপর একবারে একটা গাড়ি ঠিক করে রেখেছে সারাদিনের জন্য। সারাদিন আমরা ঘুরবো তারপর বাসায় আসব কিন্তু আমরা যখন বের হবো তখনও বৃষ্টি থামছিল না তাই আমরা কোন রকম বৃষ্টির ভিতর গাড়িতে উঠে পড়লাম। তারপর রাস্তায় যাওয়ার পথে আমরা একটা মিষ্টির দোকানে ঢুকে পড়লাম সেখান থেকে বেশ কিছু মিষ্টি কিনলাম। |
এই মিষ্টির দোকানের নাম বাগাট রাজকুমার। আমাদের ফরিদপুরের বিখ্যাত একটি মিষ্টির দোকান এখানের মিষ্টি খুবই মজাদার আমরা যখনই ফরিদপুর আসি কোথাও গেলে কিংবা নিজেদের জন্য এখান থেকে মিষ্টি কিনে থাকি। ঢাকায় বসে এই মিষ্টিকে আমি খুব মিস করি। এখান থেকে আমরা বেশ কিছু মিষ্টি কিনে নিলাম সাথে ঘি।এখানের ঘি খুব মজা লাগে এখান থেকে আমরা মিষ্টি দই অন্য আরো কিছু শুকনা খাবার কিনে নিয়ে আবার গাড়িতে উঠে আমাদের গন্তব্যের উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। |
আমরা যখন রাস্তা দিয়ে চলছিলাম তখনই অনেক বৃষ্টি পড়ছিল বাড়ির কাছে যেতে যেতে বৃষ্টি অনেকটাই দেখলাম কম তখন আমরা গাড়ি নিয়ে বাড়ির একেবারে উঠানে গিয়ে নামলাম। সেখানে গিয়ে দেখলাম যে কিছু কিছু জায়গায় অনেক সুকন্যা সেখানে গিয়ে জানতে পারলাম যে ওই জায়গায় খুব একটা বৃষ্টি হয়নি হালকা বৃষ্টি। তারপর আমরা বাড়িতে ঢুকে সবার সাথে আলাপ করে খেতে বসে গেলাম আমরা খেতে বসার কিছুক্ষণ আগেই কারেন্ট চলে গেল আমরা চার্জার লাইট দিয়ে সবাই খাওয়া-দাওয়া করলাম এই কারণে খাবারের ছবিগুলা তুলতে পারিনি। তারপর আমরা খাওয়া-দাওয়া করে একটু রেস্ট নিলাম এরপর আমি আশেপাশের বেশ কিছু ছবি ঘরের ভিতর থেকে তোলার চেষ্টা করলাম। ঘরের ভেতর থেকে তেমন একটা ভালো প্রকৃতি দেখা যায় না ।বাইরে গিয়ে একটা ছবি তোলারও সুযোগ হয়নি কারণ বাইরে বৃষ্টি ছিল। মামাতো বোনরা দেখলাম আশেপাশে কিছু ফুলের গাছ লাগিয়েছে সেখান থেকে দু একটা ছবিও তুলে নিলাম। |
বাইরে জানালা দিয়ে দেখলাম যে পেছনে একটা গাছের সাথে ওরা একটা দোলনা বেঁধেছে দোলনাটা দেখে খুব চড়ার ইচ্ছা করছিল কিন্তু বৃষ্টির কারণে তাই আর দোলনায় ওঠা হয়নি ।কিন্তু বাচ্চারা গিয়ে দোলনায় চড়েছে এবং বৃষ্টির ভিতর তারা আছাড়ও খেয়েছে এটা তাদের জন্য অন্যরকম একটি অভিজ্ঞতা। তারপর আমরা আরো কিছু সময় বসে বৃষ্টিটা কিছুটা থামলে আমরা সেখান থেকে আবার বাসার উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম ।আমাদের আরো বেশ কিছু জায়গায় যাওয়ার কথা ছিল কিন্তু বৃষ্টির কারণে আমাদের সবকিছুই নষ্ট হয়ে গেল। যার কারণে আমরা সারাদিনের জন্য গাড়ি ঠিক করলেও শুধু এক জায়গায় গিয়ে ফেরত চলে আসলাম। পরের দিনও আমাদের আবার বের হওয়ার কথা ছিল কিন্তু দুঃখের বিষয় সেদিন আগের দিনের তুলনায় আরো অনেক বেশি বৃষ্টি ছিল যার কারণে আমরা বাসা থেকে বের হতে পারি নাই। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
লোকেশন | ফরিদপুর |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
সুন্দর কিছু মূহূর্ত ছবি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। আসলে কোথাও যাওয়ার সময় বৃষ্টি পরলে মনটা অনেক খারাপ হয়ে যায়। তারপরও বৃষ্টি শেষে ঘুরতে গিয়ে সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন। দোলনায় উঠতে আমার কাছে বেশ ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
একদম ঠিক বলেছেন এমনি সময় বৃষ্টি হয় না কিন্তু এক জায়গায় যাওয়ার কথা শুনে বৃষ্টি একেবারে জোরে আসে ।ঠিক তাই বৃষ্টির ভিতরে একটু মজা করে ঘুরতে পেরেছি এটাই বড় কথা।
আপনাদের আজ ভ্রমনটা পুরোপুরি সাক্সেস্ফুল হয়নি শুনে খারাপ লেগেছে। বৃষ্টি বা প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারনে এমন অনেক প্ল্যান ভেস্তে চলে যায়। আশা করি পরবর্তীতে খুব মজা করবেন। আপনার তোলা দোলনার ছবি দেখে আমার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল, আমিও এইভাবে দোলনায় চড়েছি। ধন্যবাদ আপু।
দোলনায় চড়তে আমারও অনেক ভালো লাগে কিন্তু দুঃখের বিষয় বৃষ্টির কারণে দোলনায় চড়তে পারিনি তবে ঘোরাঘুরিটা অনেক ভালো হয়েছে । ধন্যবাদ আপনাকে।
ঘুরতে গিয়ে সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি দেখালেন দিদি। প্রত্যেকটা ছবি খুব সুন্দর লাগলো দেখে। ভিন্ন রকমের ছবি।
এখন তো কোথাও ঘুরতে গেলে ছবি তোলাটাই প্রধান কাজ হয়ে যায় ঘোরাঘুরি থেকে। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
আপনার পোস্ট পড়ে আমার কাছে একটুও ভালো লাগলো আবার একটু খারাপ লাগলো। আপনারা অনেক জায়গায় যাওয়ার জন্য প্ল্যান করেছিলেন কিন্তু বৃষ্টির কারণে যেতে পারেননি শুনে এটা খুবই খারাপ লাগলো। অনেক বার প্ল্যান করেছিলেন একবার সকালে একবার দুপুরে। শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র একটি জায়গায় যাওয়া হলো কিন্তু ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
একদম ঠিক ভাই বৃষ্টি আমাদের সব রকমের প্ল্যান একেবারে নষ্ট করে দিল শুধুমাত্র এক জায়গায় ঘোরাঘুরি করে তারপর বাসায় ফিরে আসতে হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে কষ্ট করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য।