আজ আমি আপনাদের সামনে একটি মজাদার রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি,আর এই মজাদার রেসিপিটি হল চিনির খাজা তৈরির রেসিপি। এর রেসিপিটি তৈরি করা মোটামুটি সহজ আছে খেতে কিন্তু খুবই মজার। বিকালের নাস্তা হিসেবে রেসিপিটি একদম পারফেক্ট আমার কাছে তো অনেক ভালো লাগে ঝটপট ইচ্ছা করলে এটি তৈরি করে ফেলা যায়। এখন আমি আমার এই মজাদার খাজাটি আপনাদের সামনে তৈরি করে দেখাবো। |
প্রথমে একটা বাটিতে দের কাপ পরিমাণ ময়দা নিয়েছি। তারপর ময়দার ভেতরে একটি লবণ দিয়ে দিয়েছি। তারপর তেল দিয়ে ময়দাটাকে ভালো মতো তেলের সাথে মেশিয়ে নিয়েছি। তারপর অল্প অল্প করে পানি দিয়ে ময়দাটাকে মাখিয়ে নিয়েছি ।ময়দাটাকে একটু বেশি সময় হাত দিয়ে মোথে নিতে হবে। তারপর ময়দাটা মোথে নেওয়া হয়ে গেলে আধা ঘন্টার জন্য ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রেখে দিতে হবে ।সেই সুযোগে আমি চিনির সিরাটা তৈরি করে নেব। চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে দের কাপ পরিমাণ চিনি ও এক কাপ পরিমাণ পানি দিয়ে দিয়েছি। |
তারপর চিনিটা পানির সাথে মিশে গেলে আমি চিনির পানিটাকে একটা পাতিলে ঢেলে নিয়েছি ও তার ভিতরে চারটা এলাচ দিয়ে দিয়েছি। পানিটা যখন হাত দিয়ে ধরলে এক তার তৈরি হবে তখন বুঝতে হবে যে আমার শিরাটা তৈরি হয়ে গিয়েছে। তারপর আমি ময়দাগুলোকে ছোট টুকরা করে নিয়েছি। |
তারপর আমি একটা ময়দার টুকরা নিয়ে পিরিতে নিয়ে ময়দা দিয়ে বেলে নিয়েছি একেবারে পাতলা করে ।তারপরে একটু তেল দিয়ে চারদিক দিয়ে মাখিয়ে তারপরে আবার ময়দা দিয়ে দিয়েছি। |
একই রকম ভাবে আমি মোট চারটা রুটি বেলে নিয়ে একটা রেখে তেল দিয়ে আমার ময়দা দিয়ে তারপর বসিয়ে দিয়েছি এবং গোল গোল করে রুটি একসাথে পেঁচিয়ে নিয়ে এক সাইডে পানি দিয়ে লাগিয়ে দিয়েছি। তারপর ছুরি দিয়ে এক সাইড থেকে একটু একটু করে কেটে নিয়েছি। |
তারপর একটা একটা করে নিয়ে হাত দিয়ে হালকা হাতে একটু চেপে চেপে দিয়েছি। তারপর একটা একটা করে নিয়ে আবার ময়দা দিয়ে হালকা হাতে বেলে নিয়েছি। |
আবার চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তেল হালকা গরম হয়ে গেলে তার ভিতরে একটা একটা করে ছেড়ে দিয়ে বাদামি কালার করে ভেজে নিয়ে একটা প্লেটে তুলে রেখেছি। |
তারপর একটা একটা করে চিনি শিরাতে ডুবিয়ে নিতে হবে। |
চিনির শিরাতে ডুবিয়ে নিয়ে আমি একটা প্লেটে তুলে রেখেছি দেখুন আমার খাজা গুলো তৈরি হয়ে গেছে। খেতে কিন্তু খুবই মজা হয়েছিল আপনারা চাইলে এভাবে করে তৈরি করে খেতে পারেন। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
আপনি ঠিকই বলেছেন বিকেলের নাস্তা হিসেবে এটা একদম পারফেক্ট। আপনার রেসিপিটি দেখে দেখে জিভে জল চলে এসেছে। খাজা খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
এটা আমি বিকালের নাস্তা হিসেবে বানিয়ে খেয়েছি ।খাজা কিন্তু আসলেই অনেক মজা হয়েছিল ।আপনি এভাবে করে একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু,চিনির খাজা সত্যিই অনেক সুস্বাদু।বিকেলের নাস্তা হিসেবে আমিও মনে করি এই রেসিপিটি একদম পারফেক্ট।খাজা রেসিপি তৈরি করা মোটামুটি সহজ আমি কয়েকবার ঘরে তৈরি করে খেয়েছি।আপু,তৈরি করা যেমন সহজ কিন্তু খেতে অনেক সুস্বাদু 😋আপু,চিনির খাজা রেসিপি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু, এতো মজার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন আপু এটি তৈরি করা মোটামুটি সহজ আছে তবে রুটি বেলাটা আমার কাছে একটু ঝামেলা লেগেছে তাছাড়া সব কিছু ভালই লেগেছিল ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপনি যে বললেন রেসিপিটি সহজ আমার কাছে তো খুব সহজ লাগলো না। খুবই কঠিন মনে হলো। অবশ্য আমি রুটির কোন রেসিপি তৈরি করতে পারি না। এজন্য হয়তো আমার কাছে কঠিন লেগেছে। কিন্তু এরকম ভাবে বানালে খেতে মনে হয় খুবই মজা লাগবে। শিরা একতার হলে বুঝতে হবে যে শিরা তৈরি হয়ে গিয়েছে। এই টিপসটি ভালো লেগেছে আমার কাছে। যাতে সকলের খুব সহজে বুঝতে পারে। দেখে তো মনে হচ্ছে খাজাটি খুবই মুচমুচে হয়েছিল খেতে।
রুটি বানানোটা আসলে একটু কঠিন ছিল তারপরেও খেতে ইচ্ছা করছে দেখে বানিয়ে নিয়েছি। চিনির শিরাটা একতার হলে বুঝতে সুবিধা হয়। ধন্যবাদ আপনাকে আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
আমাদের এদিকে এটাকে তারখাজা বলে।ছোট তে সকাল বেলা ২টাকা নিয়ে দোকানে দৌড় দিতাম এটা খাওয়ার জন্য।রেসিপি টি অনেক সহজ সরল সাবলীল ভাবে ব্যাখ্যা করেছেন।এতে বুঝতে সুবিধা হচ্ছে।ধন্যবাদ আপু।
আগে এগুলোর দাম কম ছিল সব জায়গায় পাওয়া যেত এখন তো এগুলো পাওয়াই যায় না অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
মজাদার খাজা তৈরির রেসিপি বাহ্ দারুন হয়েছে। মজাদার খাজা বেশির ভাগ দোকানে খাওয়া হয়। তবে বাসায় কখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। আজকে আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম আপু। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এগুলো নরমালি কিনেই খাওয়া হয় আমিও এই প্রথম বাসায় তৈরি করেছি আমারটা খুবই মজা হয়েছিল। আপনিও একদিন ট্রাই করে দেখতে পারেন অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনার তৈরি খাজা রেসিপি দেখেই খেতে খুব ইচ্ছা করছে। আসলে আমি ভেবেছি আপনি ফটোগ্রাফি করেছেন। প্রথম ফটোগ্রাফি দেখেই আমি মুগ্ধ এত সুন্দর ভাবে তৈরি করেছে মনে হচ্ছে একদম বাজারে তৈরি খাজা। খুবই সুন্দর ভাবে ধাপে ধাপে তৈরি করলেন দেখে শিখতে পারলাম। পরবর্তীতে তৈরি করবেন ইনশাল্লাহ।
ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আমার খাজাটি দেখতে আপনার কাছে একেবারে দোকানের মত মনে হয়েছে জেনে সত্যিই অনেক ভালো লাগলো।
চিনির খাজা খেতে আমার খুব ভালো লাগে। বেশ মুচমুচে আর মিষ্টি লাগে।চিনির খাজার রেসিপি টি আমার জানা ছিল না। আপনার রেসিপি টি দেখে শিখে নিলাম। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
খাবারটি আসলেই মুচমুচে হয়েছিল আমার রেসিপিটি দেখে আপনি শিখে নিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
মুখে রুচি নেই একদমই কিন্তু অনেক দিন পর চিনির খাজা দেখে মুখটা যেন শিরশির করছে এক কামড় দিয়ে খাওয়ার জন্য। কি দূর্দান্ত বানিয়েছেন আপু 👌👌। রুটি বানিয়ে ছোট ছোট করে কেটে সেপ বানানো টাই কঠিন কাজ। আপনি চমৎকার করেছেন সেই দিক দিয়ে।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া এটার রুটি বানানো টাই কষ্ট তা ছাড়া অন্যান্য কাজ মোটামুটি সহজই আছে। আর খাজাটা কিন্তু আসলে অনেক মজা হয়েছিল। আপনি অসুস্থ মানুষ আপনাকে আমি লোভ দিতে চাইনি কিন্তু তারপরও আপনার লোভ লেগে গেল কি আর করার।
খাজা গুলো দেখতে একদম দোকানের মত লাগছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে সুস্বাদু হয়েছে। নাস্তা হিসেবে খুবই মজাদার একটি রেসিপি। আমাদের মাঝে দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি। তৈরি করা দেখে নিলাম বাসায় একদিন তৈরি করে দেখব। তবে আমার কাছে মিষ্টি জাতীয় নাস্তা থেকে ঝাল নাস্তাগুলো বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার চিনির খাজা গুলো আসলেই খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছিল এটি নাস্তা হিসেবে খুবই পারফেক্ট একটি খাবার ।ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
ওয়াও আপু আমার অনেক অনেক বেশি পছন্দের একটা রেসিপি করেছেন।ছোট বেলায় যখন বাজারে যেতাম বাবার সাথে তখন এই খাজা গুলো কিনে খেতাম দারুন লাগতো আজ রেসিপিটা শেয়ার করেছেন দারুন হয়েছে শুভ কামনা আপু।
অনেক ভালো লাগলো আমার খাজা গুলো দেখে আপনার ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।