আজ আমি আবার রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো জিনিস নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। রঙিন কাগজ দিয়ে আজ আমি একটি শিয়াল তৈরি করেছি দেখতে খুবই কিউট হয়েছে। আজ বেশ কিছুদিন ধরেই ভাবছি এই শিয়ালটি তৈরি করব কিন্তু সময় করে উঠতে পারছি না আর কোন কিছু বানাতেও ভালো লাগে না ,কিন্তু আবার পোস্ট দেওয়ার কিছু নেই কি দেব ভাবছি তাই ভাবতে ভাবতে একটু কষ্ট করে হলেও বসলাম কাগজ নিয়ে তারপর অনেক চেষ্টার পরে শিয়ালটি বানিয়েছি। শিয়ালটি বানানো মোটামুটি ভালোই কঠিন ছিল। অনেকগুলো ভাঁজে ভাঁজে ভাঁজ করে বানাতে হয়েছে, একটু সময় লেগেছে ভালোই। তারপর বানানোর পরে যখন জিনিসটি দেখেছি তখন ভালো লেগেছে। এখন আমি আমার বানানো শিয়ালটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। |
প্রথমে a4 সাইজের একটি রঙিন কাগজ নিয়ে কোনা করে একটি ভাঁজ দিয়ে নিচের বাড়তি অংশটুকু কেটে দিয়েছি ।তারপর কাগজটি মাঝখান থেকে সোজাসুজি ভাবে দুটো ভাঁজ দিয়েছি এবং কোনাকোনিভাবে দুটো ভাঁজ দিয়েছি। তারপর এক সাইডের একটি কোনা ধরে একটু ভেঙে দিয়েছি। |
তারপর কাগজটা উল্টিয়ে দিয়ে আরও একটা ভাঁজ দিয়ে নিয়ে নিচের কোনা অংশটুকু বাইরে বের করে দিয়েছি। তারপর দুই সাইডের কোনা ধরে দুপাশে সোজাসুজি ভাবে দুটো ভাঁজ দিয়ে ভেঙ্গে নিয়েছি, কাগজটি উপরের ছবিতে যেভাবে দেখতে পাচ্ছেন ঠিক সেই রকম ভাবে। |
উপরের ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন যে আরো কয়েকটি ভাঁজ দেওয়া হয়েছে। প্রত্যেকটি ভাঁজ ছবিতে যেভাবে করে দেখানো হয়েছে ঠিক সেই রকম ভাবেই আমি ভাঁজগুলো দিয়েছি। ভাঁজগুলো দিয়ে একবার খুলে নিয়ে আবারো ভাঁজ দিতে হয়েছে তাই একই রকম ভাঁজ দেখতে লাগছে। তবে প্রত্যেকটা ভাঁজ আমি ছবির মত করেই দিয়েছি। |
তারপর কাগজটি মাঝখান থেকে ভাঁজ দিয়ে ভেঙে নিয়েছি। তারপর দুই সাইডের কোনা ধরে কান তৈরি করে নিয়েছি ও আরেকটি কোনা ছিল সেটা দিয়ে মুখ তৈরি হয়ে নিয়েছি। |
তারপর কাগজটা উপরে সাইডে দুটো কোনার মত তৈরি হয়েছিল সেই কোনা দুটো ভাঁজ করে ভেতরের দিকে ভেঙে দিয়েছি। তারপর লেজের দুই সাইডে একটু ভাঁজ দিয়ে কাগজটা ভেঙ্গে লেজের অংশ তৈরি করে নিয়েছি। ছবিতে সবগুলো ভাঁজ যেভাবে দেখানো হয়েছে ঠিক সেই রকম ভাবে। |
এ পর্যায়ে লেজটাকে মাঝখান থেকে আরো একটি ভাঁজ দিয়ে লেজটাকে ছোট করে নিয়ে সুন্দর একটা শেপ দিয়ে নিয়েছি। তারপর কালো কলম দিয়ে চোখ ও ঠোঁট এঁকে নিয়েছি। |
ব্যস এভাবেই তৈরি হয়ে গিয়েছে আমার রঙিন কাগজের তৈরি খুব সুন্দর একটি শিয়াল। শিয়ালটি তৈরি করতে কিন্তু ভালোই কঠিন ছিল আপনারা ছবিতে দেখেই বুঝতে পারছেন। শেষ পর্যন্ত আমি যে শিয়ালটি বানাতে পেরেছি এটাই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
শিয়াল পন্ডিত 😊😊।আসলেই অনেক কিউট।আসলে মাঝে মাঝে পোস্ট করার কিছুই থাকে না।যাই হোক প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ
আমার বানানো শিয়ালটি আপনার কাছে কিউট লেগেছে শুনে সত্যি খুশি লাগলো আপু ধন্যবাদ।
আপু কিছুদিন পুর্বেই আমি একটা পাঠশালা তৈরি করেছি শেয়াল পণ্ডিতের জন্য । ভাবছি এই পন্ডিত শেয়ালটিকে সেখানে নিয়োগ দিলে কেমন হয় ।
ভালোই হয় ভাইয়া দিয়ে দিন।
রঙিন কাগজ দিয়ে শিয়াল পন্ডিত তৈরির প্রক্রিয়াটি অনেক চমৎকার হয়েছে আপু। অনেক সুন্দর ভাবে ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন। তবে আমার মনে হয় রঙিন কাগজটি যদি শিয়ালের শরীরের কালারের হতো। তবে আরো অনেক বেশি ভালো লাগতো। অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে এবং অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপু আমার কাছে এই কালারটি বেশি ভালো লেগেছে তাই আমি এই কালারটি বানিয়েছি। অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।
আপনার রঙিন কাগজ দিয়ে শিয়াল তৈরির কৌশল আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপু। সত্যি বলতে রঙিন কাগজের কাজ গুলো অনেক ভালো লাগে তবে আমি পারি না খুব একটা।
আসলেই ভাইয়া রঙিন কাগজের কাজগুলো দেখতে ভালই লাগে আপনিও চেষ্টা করেন পারবেন এটা কঠিন কিছু নয় প্রথম প্রথম একটু কঠিন লাগবে পরে আস্তে আস্তে পারা যায়।
রঙিন কাগজ দিয়ে আপনি খুবই সুন্দরভাবে শিয়াল পন্ডিত তৈরি করেছেন দেখতে অসাধারণ লাগছে এবং আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে বর্ণনা করেছেন। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার শিয়াল পন্ডিত আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে সত্যি ভালো লাগলো আর ধাপগুলো সুন্দর পাবে একটু বর্ণনা করার চেষ্টা করেছি যাতে সহজভাবে বোঝা যায়।
রঙীন কাগজ দিয়ে শিয়াল পন্ডিত তৈরি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম। চমৎকার একটি আইডিয়া শেয়ার করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
আমার রঙিন কাগজ দিয়ে শিয়াল পন্ডিত বানানোর আইডিয়াটি আপনার কাছে পছন্দ হয়েছে জেনে খুশি হলাম।
আপু আপনার রঙিন কাগজের শিয়াল পন্ডিতের অরগেমি টা বেশ দারুন লাগছে। দেখে শিখতে পারলাম নতুন একটা জিনিস। তবে আমি কাগজ দিয়ে তেমন কিছু তৈরি করতে পারি না এবং কি তৈরি করার সুযোগ হয়ে ওঠেনা। আমাদের সাথে এত সুন্দর করে শিয়াল পন্ডিতের অরগেমিটা শেয়ার করার জন্য শুভেচ্ছা রইল।
আমার রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো শিয়ালটি দেখে আপনি শিখতে পেরেছেন জেনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো ধন্যবাদ আপনাকে।
রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর করে শিয়াল পন্ডিত তৈরি করেছেন আর রঙিন কাগজের ভাজে কিভাবে শিয়াল পন্ডিত তৈরি করতে হয় সেটা পর্যায়ক্রমে দেখিয়েছেন। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপু।
শিয়ালটি বানিয়ে প্রতিটি ভাজ একটু সুন্দরভাবে তুলে ধরার চেষ্টা করেছি যাতে আমারটা দেখে কেউ বানাতে পারে।
ভালো ছিল তৈরির ধাপগুলো সাথে আপনার সুন্দর উপস্থাপন।দুইয়ে মিলে ভালই লাগছে লাজুক মশাই কে।
আমার লাজুক মশাই তৈরির ধাপগুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে সত্যি অনেক ভালো লাগলো অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।