ফুলের মায়ের গল্প
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । আজকে আপনাদের সাথে আবার নতুন একটি গল্প শেয়ার করতে চলে এসেছি । নতুন নতুন গল্প শেয়ার করতে সবসময় ভালো লাগে । আর মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে লিখতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । কারন মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে গল্প লিখতে গেলে সেই গল্পটা সুন্দরভাবে ফিনিশিং দিয়ে শেষ করা যায় , আর বানিয়ে বানিয়ে গল্প লিখতে হলে নিজের মতো করে বানিয়ে অনেক কিছু লেখা হয়ে যায় । আর দেখা যায় কি যে এগুলো কোন নাটক সিনেমার গল্প বা অন্য কোন মানুষের গল্পের সাথে হুবুহু মিলে যায় তখন সে গল্পটা লিখে আর নিজের কাছেই ভালো লাগে না । তাই মানুষের জীবনের কিছু মুহূর্তগুলোকে যদি সুন্দরভাবে গল্প আকারে তুলে ধরা যায় তাহলে সেটা মন্দ হয় না । আজকে আমি সেরকমই একটি গল্প নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম ।
বেশ কিছুদিন আগে সেরকম একজন মহিলা সম্বন্ধে জানতাম । মহিলাটি দেখতে খুব সুন্দর ছিল অল্প বয়স এবং তার অনেক ফুটফুটে একটি মেয়েও ছিল । মেয়েটিও দেখতে খুব সুন্দর ছিল মেয়েটির নাম ছিল ফুল । ফুলের মতই দেখতে কিউট ছিল । ছোট্ট ফুলকে পরিবারের সবাই অনেক পছন্দ করতো ।ফুলরা যৌথ ফ্যামিলিতে বসবাস করত যদিও ফ্যামিলিতে অল্প সংখ্যক লোকজন ছিল । তারা সবাই সবাই ফুলকে অনেক ভালোবাসতো সেই সাথে ফুলের মাকেও সবাই অনেক পছন্দ করত ।
ফুলের মার অনেক অল্প বয়সে বিয়ে হয়ে যায় এবং ফুলের মার যার সাথে বিয়ে হয় ছেলেটা একটু মাস্তান টাইপের ছিল । সে বেশিরভাগ সময়ে ছোটখাটো ওকাজ করে জেলে যেত । সেখানে কিছুদিন কাটিয়ে আসতো । এটাও শুনেছি যে মাঝে মাঝে সে নাকি ফুলের মাকেও অনেক মারধর করতো । তারপর মহিলাটা বেশ হাসি খুশি থাকতো সবার মাঝে । ফুলের বাবার ওই রকম আচরণের কারণে এবং মাঝে মাঝে জেলে থাকার কারণে ফুলের মা একেবারে বেপরোয়া হয়ে অনেকের সাথে সম্পর্কে জড়িয়ে পরে । ওটা তার স্বভাব ছিল ।
যখন ফুলকে নিয়ে সে স্কুলে যেত তখন দেখতাম খুব সুন্দরভাবে সে স্কুলে আসতো সবাই তাকে অনেক পছন্দ করতো তার সুন্দরের কারণে তাকে এক নামে সবাই চিনতো এবং সবার সাথে সে খুব হাসিখুশি মিশতো । এমনকি স্কুলের শিক্ষকদের সাথে নিজের একটা রিলেশন করে তোলার চেষ্টা করত । আশেপাশের লোকজন সেটা নিয়ে অনেক বলাবলি করত তাতে তার কিছু যায় আসতো না । এভাবেই চলছিল মাঝে মাঝে ফুল তার দাদার সাথে স্কুলে আসতো । বেশিরভাগ সময়ই ফুলের মা ফুলকে নিয়ে স্কুলে আসতো । ফুলের বাবার যখন ফ্রি টাইম থাকতো তখন সেও ফুলকে নেওয়া আনা করতো ।
এভাবে খুব সুন্দরভাবে চলে যাচ্ছিল এবং ফুলের মায়ের সম্পর্কে লোকজন অনেক বলাবলি করছিল কিন্তু ফুলের মা এদিকে কোন তোয়াক্কাই করতে না সে তার মত চলতো । এমনকি অনেকই ফুলের মায়ের সম্বন্ধে জানতো কিন্তু অনেকেই তাকে চিনতো না তার সম্বন্ধে এরকম কথা শুনে সবাই ফুলের মাকে দেখার ইচ্ছা পোষণ করতো । হঠাৎ করে একদিন মেয়েকে নিয়ে স্কুলে গিয়েছে । মেয়েকে স্কুলের গেটে ঢুকিয়ে দিয়ে মহিলাটি কেবল বাইরে এসে দাঁড়িয়েছি । এর ভিতর কয়েকটা ছেলে এসে তার সামনে দাঁড়িয়ে পরে এবং কি নিয়ে যেন বেশ কিছু সময় ধরে কথা কাটাকাটি করতে থাকে । দুর থেকে লোকজন সেটা দেখছিল কিন্তু কেউ তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞাসা করেনি । কারণ সবাই ফুলের মায়ের সম্বন্ধে জানতো আর এ ধরনের ঘটনা প্রায়ই ঘটতো । এর ভেতরে হঠাৎ করে ছেলেগুলো ছুরি বের করে ।
চলবে.........
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস| samsung Galaxy s8 plus
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
একটা মেয়ে মানুষ কতটা অসহায় হতে পারে সেটা আপনার এই গল্পের মাধ্যমে বোঝা যায়। জীবনের তাগিদে ফুলের মা পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। শেষের দিকে ছেলেগুলো ছুরি বের করেছিল পরবর্তী ঘটনা জানার ইচ্ছা রয়ে গেল।
ফুলের মা পরিবেশের সাথে নিজেকে মানিয়ে নিয়েছে কিনা জানিনা কিন্তু তার স্বভাব মনে হয় ওরকম ছিল ।
আপনি অনেক সুন্দর করে ফুলের মায়ের গল্পটা আমাদের মাঝে শেয়ার করতেছেন। প্রথম পর্বের মাধ্যমে কিছু অংশ শেয়ার করলেন দেখে ভালো লাগলো। ফুলের মা এরকম একটা পরিবেশের মাঝে মানিয়ে নেওয়ার জন্য এরকমটা করতেছে। যার কারনে উনার কথা সবাই জানে কিন্তু অনেকে রয়েছে ওনাকে দেখেনি। মেয়েকে স্কুলে দেওয়ার পর ওই ছেলেগুলো উনাকে কেন রাস্তায় আটকে ছিল?? এর মাঝে আবার দেখলাম ছেলেগুলো ছুরিও বের করেছে। এর পরবর্তীতে কি হয় এটাই ভাবতেছি। আশা করছি শীঘ্রই পরবর্তী পর্ব শেয়ার করবেন।
উনি এরকম চরিত্রের মহিলা মানুষের মুখে মুখে অনেকের শুনেছে এবং দেখতেও সুন্দরী ছিল যার কারনে সবার দেখার ইচ্ছা ছিল তাকে ।
ফুলের মা ও ফুল দেখতে অনেক সুন্দর ফুটফুটে ছিলো।আসলে ফুলের বাবার উদাসিনতার কারণে হয়তো বা ফুলের মা এমন হতে বাধ্য হয়েছে। অন্যন্য লোকের সাথে সম্পর্ক জড়াতো ও চেষ্টা করতো।কিন্তুু ফুলের মায়ের সামনে ছেলেপেলে গুলো কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চাকু বের করেছে জেনে তো আমারি ভয় লাগছে।পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
অতিরিক্ত বার বাড়লে মানুষের যা হয় আর কি । পরবর্তী পর্ব খুব শিগগিরই দিয়ে দিব আপু ।
ফুলের মা অনেক বেশি সুন্দর ছিল বলে সবাই তার সাথে এরকম করত। কিন্তু সেও তাদের সাথে তাল মিলিয়ে চলত, কারণ এরকম যুগে এটার থেকে আর কিছুই করা যাবে না। আর এই কারণে দেখছি সবাই তাকে চিনতো, আর যারা দেখেনি তারা ও ওর বিষয়ে শুনেছে। ওই ছেলেগুলো ফুলের মায়ের সাথে এরকম আচরণ কেন করল এটাই তো বুঝলাম না। আর একেবারে শেষ পর্যায়ে ছেলেগুলো চুরি বের করেছিল। এর পরবর্তী ঘটনায় কি হতে চলেছে এটা দেখার অপেক্ষায় থাকলাম।
নিশ্চয় সে ছেলেগুলোর সাথে এমন কোন আচরণ করেছিল যার কারণে ছেলেগুলো এমনটা করেছিল ।
বাস্তব জীবনের গল্প সিনেমার গল্পকেও হার মানায়। তাই কাল্পনিক গল্পের থেকে বাস্তব গল্প অনেক বেশি ইন্টারেস্টিং । ফুলের বাবা যেহেতু একটু মস্তান টাইপের ছিল সেই রিলেটেড কারণে ফুলের মাকে এরকম ঘটনার স্বীকার হতে হলো নাকি আপু? নাকি সে সুন্দর ছিল সেই কারণে? যেহেতু গল্পের ফিনিশিংটা পেলাম না তাই পরবর্তীতে কি হয় সেটা জানার অপেক্ষাতে রইলাম।
জানিনা কেন এমন হয়েছে তবে সে ছেলেদেরকে বেশি পরিমাণে নাচাতো যার ফল সে পেয়েছে ।
এই ঘটনার একটা আভাস পেয়ে গেলাম আপু আপনার এই কথায়।