আজ আমি আপনাদের সামনে আবার একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজ আমি আপনাদেরকে হঠাৎ করে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার অনুভূতি শেয়ার করব। বেশ কিছুদিন হল আমি আমার বাবা অসুস্থ দেখে ফরিদপুরে এসেছি, একেবারে বাসায় বন্দি হয়ে রয়েছি। আপনার হাজবেন্ড এসেছিল সাথে তার সাথে একদিন আমরা সবাই মিলে বাইরে ঘুরতে গিয়েছিলাম। সে আমাদেরকে রেখে আবার ঢাকায় ফিরে গিয়েছে তারপর থেকে আমরা একেবারে ঘরেই রয়েছি। |
দুদিন ধরে ভাবছি যে বাইরে কোথাও থেকে ঘুরে আসা যাক, কিন্তু বাসায় বাবা মা দুজনই অসুস্থ এত ঝামেলা যাওয়ায় হচ্ছিল না। এদিকে ছেলেটাও খুব বায়না ধরেছে বাইরে যাবে তাই আজকে হঠাৎ করে ঠিক করলাম যে আজকে যাই হোক বাইরে যাবই। তারপর তাড়াতাড়ি গোসল খাওয়া দাওয়া করে রেডি হয়ে বের হয়ে যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল। আমরা সন্ধ্যার কিছু সময় আগে বের হয়েছি তারপর একটা রিকশা নিয়ে ঘন্টা হিসাব করে রিক্সাটা ভাড়া করেছি। তারপর রিক্সায় ঘুরতে ঘুরতে যখন আমাদের ঘন্টা শেষ হয়ে যাবে তার ১০-২০ মিনিট আগে মনে হল যে আমরা তো রেস্টুরেন্টেও যেতে চেয়েছিলাম। |
যেই বলা সেই কাজ আমরা ঘন্টা শেষ হওয়ার আগেই রিকশা থেকে নেমে পড়লাম একটা রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য। কিন্তু কোন রেস্টুরেন্টে যাব সেটাই ভাবছিলাম। আর ফরিদপুরে আগে আমি যখন ছিলাম তখন এত রেস্টুরেন্ট ছিল না। এখন ফরিদপুরে অনেক রেস্টুরেন্ট হয়েছে তাই কোন রেস্টুরেন্টের খাবার কি রকম সেটা তো আর আমি জানি না। সাথে আমার বোন ছিল ওকে বললাম ভালো একটা রেস্টুরেন্ট দেখে আমরা ঢুকে পরি। তখন আমরা টেরাকোটা নামে একটা রেস্টুরেন্টে ঢুকলাম। এই রেস্টুরেন্টের অনেক নাম শুনেছি কখনোই রেস্টুরেন্টের খাবার খাওয়া হয়নি তাই ভাবলাম যে এখানেই যাওয়া যাক। এখন আমি আপনাদেরকে রেস্টুরেন্টের ভেতরের কিছু ছবি ও খাওয়া-দাওয়ার কিছু ছবি শেয়ার করব। |
উপরের ছবি দুটো রেস্টুরেন্টের ঢোকার আগে গেটের সামনে দাঁড়িয়ে তোলা হয়েছে। ছবিটিতে আমার ছেলে ও আমার বোনের মেয়ে দুজনে দাঁড়িয়ে একটি ছবি তুলেছে। রেস্টুরেন্টের নাম সহ ছবিটি আছে লাইটিং করা ছিল দেখতে খুব ভালো লাগছিল। |
রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢোকার পরে বসে বসে এই ছবি দুটো তুলেছি। এটা রেস্টুরেন্টের ভিতরের ডেকোরেশন। রেস্টুরেন্টের ভিতর ডেকোরেশন মোটামুটি ছিল। |
এখানে রেস্টুরেন্টের খাবারের ছবিগুলো দেওয়া হয়েছে। আমরা দুটো সেট মেনু অর্ডার করেছিলাম সাথে কোল্ড কফি, ফ্রেঞ্চ ফ্রাই, কোল্ডড্রিংকস থাইছুপ অর্ডার করেছিলাম। খাবারের মান মোটামুটি লেগেছে আমার কাছে তেমন একটি ভালো লাগেনি। তারপরও রেস্টুরেন্টে বাচ্চাদেরকে নিয়ে অনেক ভালো একটি সময় কাটালাম ভালো লাগলো। সব মিলিয়ে আমাদের বিল এসেছিল 1500 টাকা। তারপর আমরা কিছু পার্সেলও নিয়ে এসেছিলাম বাসার জন্য। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
কয়েকদিন ঘরের মধ্যে বন্দী থেকে বেশ ভালোই সময় কেটেছিল আজকে আমাদের। রেস্টুরেন্টের সময়টা বেশ ভালই কাটিয়েছি। খাবারগুলো যদিও মোটামুটি ছিল তারপরেও খুব একটা খারাপ লাগেনি। আপনার পোস্টটি বেশ ভাল ছিল। বাচ্চারা বেশ ইনজয় করেছে। ধন্যবাদ।
আমার কাছে বাইরে যাওয়া দিয়ে কথা বাইরে ঘুরতে পেরেছি অনেক ভালো লেগেছে। রেস্টুরেন্টের খাবারের মান খারাপ হলেও সময়টা অতটা খারাপ লাগেনি ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনার বাবা অসুস্থ জেনে খারাপ লাগলো। আপনার বাবা ও মায়ের সুস্থতা কামনা করছি আপু। বয়স বাড়ার সাথে সাথে আমাদের বাবা মা আরও বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েন। এই সময়টাতে আপনি তাদের পাশে আছেন জেনে ভালো লাগলো। ভাইয়ার সাথে এবং আপনার বাচ্চার সাথে বাইরে রেস্টুরেন্টে খেতে গিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। আপনার ছেলে এবং আপনার বোনের মেয়েকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। তাদের দুজনের জন্য অনেক অনেক ভালোবাসা রইলো আপু।
ঠিকই বলেছেন আপু বয়স হয়ে গেলে সবাই অসুস্থ হয়ে পড়ে আর ভালো লাগেনা। ভাইয়ের সাথে রেস্টুরেন্টে জাইনি গিয়েছিলাম আমি আর আমার বোন বাচ্চাদেরকে নিয়ে। আসলেই অনেক ভালো সময়টা কেটেছে ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
গতবার গিয়ে আমিও ঘন্টা হিসেবে রিকশায় ঘুরেছিলাম। খুবই ভালো লেগেছিল পুরনো সব জায়গা গুলো দেখতে। টেরাকোটা রেস্টুরেন্টের নাম আমিও অনেক শুনেছি, কিন্তু কখনো যাওয়া হয়নি। এত নাম ডাক ওয়ালা রেস্টুরেন্ট এর খাবার মান বেশি ভালো না। তাহলে কিভাবে হবে। বাচ্চারা খুব মজা পেয়েছে মনে হচ্ছে। রেস্টুরেন্টের ডেকোরেশন তো খুব চমৎকার লাগছে দেখতে। পরেরবার গেলে আমিও যাবো । ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে কোথাও যেতে বললে তো আপনি যেতেই চান না, আবার বলছেন আমি ছিলাম না তখন আপনারা ঘুরলেন। আবার এসে যত পারেন ততো ঘুইরেন।