কিশোরগঞ্জ নিকলী হাওড়ের আরো কিছু ছবি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে চলে এসেছি । আজকে আমি আপনাদের সাথে নিকলী হাওড়ের বোটে বসে এবং হাওড়ে যাওয়ার সময় কিছু ছবি তুলেছিলাম সেটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব । আমরা প্রথমে কিশোরগঞ্জ গিয়েছিলাম । সেখানে একটা বাড়িতে থাকার পরে পরের দিন খুব সকালে রওনা দেওয়ার কথা ছিল তবে বের হতে হতে আমাদের প্রায় এগারোটা বেজে গিয়েছিল । আমরা নাস্তা করে অটো নিয়ে দিয়েছিলাম হাওড়ের উদ্দেশ্যে যাওয়ার জন্য । রাস্তা মোটামুটি ভালোই ছিল তবে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয়েছিল দেখে আবহাওয়াটা অনেকটাই আমাদের ফেভারে ছিল । আমরা যেই সময়টা গিয়েছিলাম তখন প্রচন্ড পরিমাণে গরম ছিল এবং মাঝে মাঝে বৃষ্টি হওয়ার কারণে গরম খুব একটা ফিল করিনি যাওয়ার পথে । কিশোরগঞ্জ থেকে অটোতে করে হাওড়ে যেতে আমাদের প্রায় ঘন্টা দুয়েক সময় লেগেছিল । এরপর আমরা হাওড়ের প্রায় কাছাকাছি চলে এসেছিলাম । ভেতর দিয়ে অলিগলি হয়ে রাস্তা দিয়ে আমাদেরকে যেতে হয়েছিল । হাওড়ের কাছে এসে আমরা আমাদের অটো ছেড়ে দিয়েছিলাম । সেখানে থেকে আমরা বোটে ওঠার আগে রাস্তার সাইডে কিছু দোকান ছিল সেখান থেকে আমরা হালকা কিছু খাবার ও পানি কিনে নিয়েছিলাম ।কারণ আমরা সারাদিনই বসে থাকবো এই কারণে এই জিনিস আমাদের খুব বেশি প্রয়োজন । তারপর আমরা বোটে চলে গিয়েছিলাম বোটে ওঠার আগে আমি দুই একটা ছবি তুলেছি এবং বোটে বসে কয়েকটি ছবি তুলে নিয়েছিলাম ।
প্রথম যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটাকে সম্ভবত ভেসাল বলে ।আমরা হাওড়ে যাওয়ার পথে অটোতে বসে এই ছবিটা তুলেছিলাম । আমার কাছে এই দৃশ্যগুলো দেখতে খুব ভালো লাগে তবে চলতি পথে কিছু কিছু সুন্দর দৃশ্য চোখে পড়ায় আমি অটোতে বসেই ছবিগুলো তুলে নিয়ে ।
এখন দেখতে পাচ্ছেন ছোট্ট একটা ব্রিজের ছবি । এটা হাওড়ে যাওয়ার পথে তুলেছিলাম । এই ব্রিজটা দেখার পরে আমরা অটো থামিয়ে ব্রিজের উপরে দাঁড়িয়ে বেশ খানিকটা সময় উপভোগ করছিলাম । ব্রিজটা অনেক ফাঁকা কোন গাড়ি ছিল না । নিজেরাও কয়েকটা ছবি তুলে নিয়েছিলাম এই ব্রিজে দাঁড়িয়ে এবং সাথে আশেপাশেরও কিছু ছবি তুলে নিয়েছিলাম ।
এই ছবিটা একেবারে হাওরের কাছে চলে এসেছি রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছবিটা তুলেছি । এখান দিয়েও আমাদের বোটে ওঠা যেত তবে আমাদের বোটটা একটু দূরে দাঁড়ানোর কারণে আমাদের একটু কষ্ট করে বোটে উঠতে হয়েছিল । নিচে যে বোটটি দেখতে পাচ্ছেন সেটি ছিল আমাদের বোট । নিচে নেমে বোটে উঠতে বেশ খানিকটা কষ্ট হয়েছিল অনেকেরই তবে আমি সুন্দরভাবে উঠতে পেরেছিলাম । বোটের উপর সুন্দর ছাউনি দেওয়া থাকে দুপুরবেলা । আবার যখন বিকেল হয়ে যায় তখন ওরা ছাউনিটা খুলে দেয় তখন উপর থেকে আকাশ ও নিচে পানি খুব সুন্দর দৃশ্য উপভোগ করা যায় । আর আবহাওয়াটা দারুন ছিল সেদিন ।
এখানে দেখতে পাচ্ছেন হাওড়ের ভিতরে দূরে কয়েকটা ছেলে পানিতে গোসল করছে সেটা দেখে আমার কাছে অনেকটা ভয় করছিল । কারণ হাওড়ে একেবারে থৈ থৈ পানি এই অথৈ পানির ভিতরে ওরা কিভাবে কোন সাহসে গোসল করে সেটাই ভাবলাম যদি তলিয়ে যায় । হয়তোবা ওরা গোসল করে অভ্যস্ত তাই ওরা খুব সুন্দরভাবে গোসল করতে পারছে কোন ভয় ছাড়াই দেখতে পাচ্ছেন । ওপরে সুন্দর আকাশ বসে বসে এই দৃশ্যগুলো উপভোগ করতে আসলেই অনেক ভালো লাগে ।
এই ছবিটিতে দেখতে পাচ্ছেন দূরে কিছু একটা দেখা যাচ্ছে ।ওটা হলো হাওরের মাঝের অনেক বিশাল একটি গ্রাম ।চারিদিকে পানি ছাড়া কিছুই নেই আর মাঝখানে এরকম একটা গ্রাম দেখা যাচ্ছে । আমি তো প্রথমে বিশ্বাসী করতে পারিনি এটা গ্রাম হতে পারে । পরে যখন একেবারে কাছে চলে গেলাম তখন দেখলাম যে আসলেই একটা গ্রাম রয়েছে । জানিনা এখানকার লোকজন কিভাবে বাইরের মানুষের সাথে যোগাযোগ করে হয়তো বোটে করে তারা যাতায়াত করে । কিন্তু জিনিসটা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে । চারিদিকে পানি এবং মাঝখানে মানুষের বসবাস । দেখতে পাচ্ছেন নৌকায় করে মানুষজন চলাফেরা করছে হয়তো বা এখানকার মানুষজন এভাবেই নৌকা ব্যবহার করে তাদের দূর দূরান্তের কাজকর্ম সারে ।ভালোই লেগেছিল হাওড়ের ঘোরাঘুরির সুন্দর কিছু মুহূর্ত ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
এরকম ফটোগ্রাফি গুলো খুবই কমই দেখা হয়েছে। আর আজকে আপনার কাছ থেকে এরকম ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ একদম অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন৷ আর হাওরের এরকম সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি আপনার কাছ থেকে দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো৷ অসংখ্য ধন্যবাদ হাওড়ের এরকম কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য৷
আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে অসাধারণ লেগেছে শুনে খুব খুশি হলাম ।
নিকলী হাওড়ের খুব সুন্দর কিছু দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে। বিশেষ করে ব্রিজের ফটোগ্রাফি টা খুব সুন্দর হয়েছে। আকাশটা বেশ দারুণ ছিল। তাই ফটোগ্রাফি গুলা আরো বেশি ভালো এসেছে। হাওরের মাঝে বিশাল গ্রাম দেখে সত্যিই অবাক হলাম। নৌকা ছাড়া তাদের যাতায়াতের কোন উপায় নেই। ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট দেখে। ধন্যবাদ আপনাকে ।
আসলে আকাশটা অনেক সুন্দর । এই পরিবেশে ফটোগ্রাফি করতে আসলেই খুব ভালো লাগে ।
এত সুন্দর ফটোগ্রাফি দেখে আপু আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। নিকলী হাওড়ের বেশ কিছু দারুন ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।ফটোগ্রাফি গুলো এক কথায় অসাধারণ যেমন সুন্দর লাগছে বিশাল নদী তেমনি অপূর্ব লাগছে সেই বিশাল আকাশ।
অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট ও সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদেরকে দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।
ফটোগ্রাফি গুলো যেমন অসাধারণ ছিল জায়গাটিও অসাধারণ ছিল ।