গল্প: অনিকের জীবন যুদ্ধ (১ম পর্ব)
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে অনেকদিন পরে আপনাদের সাথে একটি গল্প শেয়ার করতে চলে এসেছি ।আসলে আশেপাশের মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে লিখতে গেলে সে লেখার কোন শেষ নেই । এভাবে মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে যদি ছোটখাটো করে গল্প আকারে লেখা যায় তাহলে সেটি সুন্দর একটি গল্প হয় । তাছাড়া বানিয়ে বানিয়ে লেখতে একই ধরনের গল্প হয় সব সময় মিলে যাওয়ার একটা সম্ভাবনা থাকে । আর একই রকম গদবাঁধা গল্পই হয়ে যায় ।এজন্য মানুষের জীবন কাহিনীর কিছু গুরুত্বপূর্ণ অংশ যদি আপনি গল্প আকারে তুলে ধরেন তাহলে সুন্দর একটি গল্প তুলে ধরা যায় । আজকে আমি একটি গল্প আপনাদের সাথে শেয়ার করছি । সেটা আমারই পরিচিত একজনের জীবন কাহিনী ।
একজন বৌদ্ধ ফ্যামিলি আছে তাদের দুটি সন্তান আছে একটি ছেলে দেশের বাইরে থাকে আর ছোট ছেলে থাকে দেশে । ছোট ছেলেটার নাম অনিক । অনিক বিয়ের উপযুক্ত হয়ে গিয়েছে । এর ভিতরে হঠাৎ করে অনিকের বাবা মারা গেল । তারপর অনিক আর তার মাকে নিয়ে সংসার। এর ভিতরে অনিক তার এক খালাতো বোনের সাথে রিলেশনে জড়িয়ে গেল । খালাতো বোনটার প্রাই তাদের বাড়িতে এসে থাকতো এবং সেখান থেকেই আস্তে আস্তে তাদের সম্পর্কের সূত্রপাত ঘটে । মেয়েটার নাম ছিল রিয়া । তাদের ফ্যামিলির লোকজনও তাদের দুজনকে পছন্দ করত এবং অনিকের মাও রিয়াকে অনেক পছন্দ করত । নিজের বোনের মেয়ে বলে কথা ।
যার কারনে দুই ফ্যামেলি মিলে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যায় । কিছুদিন রিলেশনে থাকার পরে দুজনের বিয়ে হয়ে যায় । খুব সুন্দর ভাবে তাদের সংসার চলছিল এবং তারা তাদের সংসারে একটি ফুটফুটে কন্যা সন্তানের জন্ম হয় । এদিকে ওরা দুজনেই স্বাবলম্বী তারা দুজনই বাইরে কাজ কাম করে । তাদের অবস্থাও অনেক ভালো ঢাকা শহরে নিজেদের বাড়িতে তারা থাকে । তারপরও তারা লেখাপড়া শিখে উচ্চশিক্ষিত যার কারণে নিজেরাই কিছু একটা করার চেষ্টা করে । এভাবে করে আস্তে আস্তে বাচ্চাটা ও বড় হতে থাকে এবং রিয়াও চাকরির সুবাদে ভালো একটা কোম্পানিতে ঢুকে । সেখানে সে দিন রাত অনেক পরিশ্রম করে নিজের ভালো একটা পজিশন তৈরি করে ।
অনিকও একই কোম্পানিতে জব করত তবে অনিক এর থেকে রিয়া অল্পতেই প্রমোশন পেয়ে উপরের দিকে উঠে যায় । প্রথম দিকে ভালোই চলতে থাকে । আস্তে আস্তে রিয়া অনিকের সাথে খারাপ ব্যবহার করতে শুরু করে এবং সে তার নিজের অবস্থান নিয়ে বেশি ব্যস্ত হয়ে পড়ে । বউ স্বামীর থেকে ভালো পজিশনে থাকলে যা হয় আর কি । তাদের সংসারেও ধীরে ধীরে অশান্তি তৈরি হতে থাকে । রিয়া ফ্যামিলির লোকজনদের সাথে ভালো ব্যবহার করে না । রিয়া আস্তে আস্তে অনেক বড় একটা পজিশনে চলে যায় এবং অনিক আগের জায়গাতেই রয়ে যায় । এরপর অফিসের লোকজন এবং অনিক সন্দেহ করতে থাকে যে হয়তো বা বসের সাথে রিয়ার কোন অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে যার কারনে সে অল্পতে এতটা উপরে উঠতে পেরেছে ।
এদিকে রিয়া নিজের থাকার জন্য বড় একটা ফ্ল্যাট পায় সেটা আরো বেশি চোখে লেগে যায় । এটা নিয়ে তাদের বড়সড় ঝামেলা তৈরি হয়ে যায় এবং তাদের সংসার ভাঙ্গার পর্যায়ে চলে আসে । অনিক সে অফিসের চাকরিটা ছেড়ে দেয় । এরপর রিয়া তার ছোট বাচ্চাটাকে নিয়ে নিজের ফ্ল্যাটে চলে যায় । এভাবে কিছুদিন চলতে থাকে তারপর আস্তে আস্তে তাদের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে যায় । এতে অনিক অনেক বেশি ভেঙে পড়ে এবং নেশার ভেতরে ঝুঁকে পড়ে ।
চলবে........
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ডিভাইস| samsung Galaxy s8 plus
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
বাহ বেশ সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপু । পড়ে বেশ ভালো লাগলো ।একটা কথা আপনি ঠিকই বলেছেন পরিবারে যখন স্বামীর থেকে বউ কোন বড় পজিশনে চলে যায় বা বেশি ইনকাম করে তখনই পরিবারে দেখা দেয় সমস্যা ।এখানেও তেমনটি ঘটেছে। দেখা যাক পরবর্তী পর্বে কি হয়। অপেক্ষায় রইলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
আমার গল্পটি পড়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ।
অনেক সুন্দর একটা বাস্তবিক কাহিনী আপনি গল্পের মাধ্যমে তুলে ধরেছেন আপু। কিন্তু অনিকের কথা শুনে অনেক খারাপ লেগেছে। রিয়া অল্পতেই অনেক উঁচু একটা পজিশনে চলে গিয়েছিল। আর দেখছি তার থাকার জন্য একটা ফ্লাটও পেয়েছে। দেখতে দেখতে তাদের দুজনের মধ্যে ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে। আর তাদের সম্পর্কটা এভাবেই ভেঙে গিয়েছে দেখে অনেক খারাপ লেগেছে। রিয়ার এরকম পরিবর্তন দেখে একটু অন্যরকম লাগলো। অনিকের জীবনে শেষ পর্যন্ত কি হবে এটাই ভাবতেছি।
আমার গল্পটি আপনি মনোযোগ দিয়ে পড়েছেন এবং সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন দেখে ভালো লাগলো ।
রিয়া অনেক উঁচু পজিশনে চলে যায় যার কারণে এই সমস্যাটা হয়। আসলে অনিকের বিষয়টি জানতে পেরে খুবই খারাপ লাগলো। আসলে ডিভোর্স হয়ে গেলে জীবনের যেন হতাশা নেমে আসে। আর ডিভোর্সের কারণে সম্পর্ক নষ্ট হয় তেমনি জীবনেরও বেঁচে থাকার অনুপ্রেরণা গুলা হারিয়ে যায়। দেখা যাক অনেকে শেষ পর্যন্ত কি হয়। সেই পর্ব করার অপেক্ষায় রইলাম। একদম বাস্তব কাহিনীর গল্পের মাধ্যমে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাইয়া গল্পটি পড়ে মন্তব্য করে দেয়ার জন্য ।
আপু ঠিক বলেছেন আশেপাশের মানুষের জীবন কাহিনী নিয়ে গল্প লিখতে গেলে লেখার কোনো শেষ হবে না। কিন্তু নিজে বানিয়ে লিখতে গেলে একই হয়ে যায়। তারজন্য আমিও সবসময় বাস্তব ঘটনা নিয়ে গল্প লিখতে পছন্দ করি। যাই হোক সুখের সংসারের এমন সুন্দর গল্প পড়তে গিয়ে মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছিলাম। কিন্তু হঠাৎ করে এমন কালো মেঘ দেখে থমকে গেলাম। তারজন্য অনেক ছেলেরা তাদের বউকে দিয়ে চাকরি করাতে চায় না। তারা মনে করে বউ চাকরি করলে পাখা গজাবে আর এতে সংসারে অশান্তি হতে পারে। ঠিক যেমনটা রিয়া আর অনিকের মধ্যে হয়েছে। রিয়া যেভাবে প্রমোশন পেয়ে উপরে চলে যাচ্ছে এতে সন্দেহ হতেই পারে। তাদের সম্পর্ক অবশেষে ডিভোর্সে চলে গেলো জেনে সত্যি খারাপ লাগলো। এরপর তাদের দু'জনের জীবন কোনদিকে মোড় নিয়েছে জানার অপেক্ষায় রইলাম।
আপু গল্পটি পড়ে এবং সুন্দর একটি মতামত দিয়েছেন দেখে অনেক ভালো লাগলো ।
বেশ ভালোই তো চলছিল অনিক আর রিয়ার সংসার। কিন্তু রিয়ার অতি উন্নতিই কাল হয়ে দাঁড়ালো তাদের সংসারে। তাদের সংসার ই ভেঙ্গে গেল। হয়তো অনিকের সন্দেহ ই সঠিক। তা না হলে অফিস থেকে কখনো এত বড় ফ্ল্যাট দেয় নাকি। রিয়া একসময় নিশ্চয়ই তার ভুল বুঝতে পারবে। যাইহোক আপু খুব সুন্দর লিখেছেন গল্পটি। ভালো লাগলো পড়ে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
ওর সন্দেহটাই ঠিক ছিল আমারও তাই মনে হয় ।
আসলে এরকম গল্প পড়তে আমার অনেকটাই ভালো লাগে৷ আপনি সবসময় খুব সুন্দর কিছু গল্প শেয়ার করে আসছেন আমাদের মাঝে এবং এই গল্পগুলো কিছুটা বাস্তবিক হওয়ার কারণে খুবই ভালো লাগে৷ আসলে অনেক স্বামী রয়েছে যারা তাদের স্ত্রীকে চাকরি করে দেয় না৷ কারণ তারা এই সন্দেহে থাকে যে তাদের স্ত্রীকে চাকরি দেওয়া হলে তারা কোন ধরনের খারাপ কাজে লিপ্ত হয়ে যেতে পারে৷ তেমনি সেরকম একটি ঘটনা এখানে অনিক ও রিয়ার সাথে হয়েছে৷ রিয়া যেভাবে প্রতিনিয়ত তার চাকরির ক্ষেত্রে প্রমোশন পেয়ে যাচ্ছে তাতে অনিকের অনেক সন্দেহ হচ্ছে৷ শেষ পর্যন্ত তাদের ডিভোর্স হয়ে গিয়েছে শুনে খুবই খারাপ লাগছে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
অনেকে দেয় না আবার অনেকে দেয় সবার তো আর অনিকের বউয়ের মতো না ।
হুম৷ একদম ঠিক বলেছেন।