খাবারের কিছু ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আমি আপনাদের সাথে মজার মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব । আসলে মজার মজার খাবার খেতে আমি খুব পছন্দ করি এবং এসব খাবারের ছবি তুলতে ইদানিং ভালই লাগে । আগে তো নিজের ছবি তুলায় ব্যস্ত থাকতাম ইদানিং খাবার ছবি দেখলে আগে খাওয়ার থেকে ছবি তোলার কথাই মনে পড়ে । এখন আমার ছোট ছেলেটাও বুঝে গিয়েছে যে আমি ছবি তুলবো । ও বলে তুমি তো দেখার সাথে সাথে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে যাবে ঠিকমতো খেতেও দিবা না এজন্য আগে থেকে ছবিটা তুলে নাও । কারণ এমন অনেক সময় হয়েছে যে ও মুখে দিবে ওর কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে গিয়ে আগে ছবিটা তুলেছি । তখন মাঝে মাঝে ও খুব বিরক্ত হয় । কিন্তু কি করবো মাঝে মাঝে খাবার দেখলে আমি নিজে খেয়ে দেখি এবং সাথে আপনাদের সাথে শেয়ার না করলে কি ভালো লাগে নাকি । এজন্য ছবিগুলো সবসময় তুলে রাখি ।
বেইলিরোডের সেই অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটার পর এখন তো আর বেইলি রোডে খাবারের সমরহ দেখা যাচ্ছে না । গতকালকে গিয়েছিলাম সবাই মিলে রাস্তার ধারে বসে চিকেন চাপ ও লুচি খাওয়ার জন্য । আমরা তো গিয়ে অবাক সেখানে কোন খাবারের দোকানে নেই সব নাকি উঠিয়ে দিয়েছে । এখানে লোকজনের অতিরিক্ত পরিমাণে ভিড় জমে যাওয়ার কারণে খাবার দোকান গুলো ওরা উঠিয়ে দিয়েছে । পরে শেষমেষ খাবার না পেয়ে বাসায় চলে আসতে হয়েছে । একদিকে খাবারের দোকানগুলো না পেয়ে খারাপ লেগেছে আবার এক দিক দিয়ে মনে হলো যে ভালোই হয়েছে অগ্নিকাণ্ডের যে ভয়াবহ ঘটনা ঘটেছে তার জন্য এরকম অহরহ দোকানপাট কিছুটা বন্ধের দরকার রয়েছে । যাই হোক আজকে আমি আপনাদের সাথে যে ছবিগুলো শেয়ার করছি সেগুলো বাইরে থেকে কিছু তোলা এবং কিছু খাবার আমার নিজের হাতে তৈরি করা ।
প্রথমে ফুচকার ছবি দিয়ে শুরু করলাম । ফুচকা পছন্দ করে না এমন মানুষ মনে হয় পৃথিবীতে নেই বললেই চলে । আমার কাছে তো অনেক বেশি পরিমাণে ভালো লাগে । এটা হচ্ছে রেগুলার ফুচকা এই ফুচকার সাথে ওরা একটিমাত্র টক দিয়েছে । অথচ বেইলিরোডের অন্য সাইডে একটা ফুচকার দোকান আছে আমি নরমালি সেই দোকান থেকে ফুচকা খেয়ে থাকি । সেই দোকানে ওরা একসাথে পাঁচ ছয় রকমের টক দিয়ে থাকে এবং টপগুলো ওরা দোকানের সাথে এমন ভাবে রেডি করে রাখে যে নিজ হাতে গিয়ে নিতে হয় । আগে ওরা দিয়ে দিতো এখন সিস্টেম করেছে যে ফুচকাটা ওরা রেডি করে দিচ্ছে এবং টকটা তখন নিজের হাতে যে যেটা পছন্দ করে সেটা নিতে হয় । ওই দোকানের ফুচকাটা খেতে আমার কাছে ভালো লাগে এটাও মোটামুটি ভালোই ছিল ।
এটা হচ্ছে আমার পছন্দের লুচি আর চিকেন চাপ । এটা গরম গরম দোকানে বসে খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে । আর যদি বাসায় এনে খাওয়া হয় তাহলে এর টেস্টটাই নষ্ট হয়ে যায় ।কারণ গরম গরম লুচি ওরা ভেজে সাথে সাথে দেয় এবং ছোট ছোট এক একটা লুচি একগালেই খেয়ে ফেলা যায় । গরম গরম খেতে এই খাবারগুলো ভালো লাগে আর চিকেন চাপের সাথে ওরা একটা সস দেয় সাথে কিছু টক দেয় সেটা খেতে সত্যি অন্যরকম টেস্ট লাগে । এইটা খাওয়ার জন্য গতকালকে গিয়েছিলাম কিন্তু নিরাশ হয়ে ফিরে আসতে হয়েছে ।
আর এটা হচ্ছে নাচোস । এখানের নাচোস আমি কখনো খাইনি । আমি নরমালি রেস্টুরেন্ট থেকে অর্ডার করে কিংবা বার্গার এক্সপ্রেস থেকে বসে সেখান থেকে খেয়েছি । সেখানেরটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে । এখানে যদিও আমি খাইনি বাচ্চাদের জন্য অর্ডার করা হয়েছিল । তবে ওরা খুব মজা করে খাচ্ছে দেখেছি । আসলে ভালোই লাগে ওরা বিভিন্ন ধরনের সস সাথে চিকেন দেয় খেতে সত্যি ভালো লাগে । আমার তো খুবই পছন্দের একটি খাবার নাচোস ।
এটা হট কেকের মজাদার একটি কেক । কেকটা খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে । গতকালকে যখন আমরা নিরাশ হয়ে রাস্তার কোন খাবার না পেয়ে ফিরে আসি । অবশ্য একেবারে খালি মুখে ফিরে আসেনি । আমরা একটা জুসের দোকানে বসে ফালুদা খেয়েছি জুস খেয়েছি সাথে সিঙ্গারাও খেয়েছি । এরপর বাসায় ফিরে এসেছি । বাসায় আসার পরে ওনাদের ম্যারেজ ডের জন্য দেখি ওরা ছোট্ট একটা কেক অর্ডার দিয়েছে । তখন আমাদেরকে ফোন দিলে সবাই মিলে কেকটা কাটা হয় এবং একসাথে বসে কেক খেয়েছি । চকলেট কেক সত্যি খুবই মজা লেগেছে আমার কাছে । এ দোকানের কেক গুলো অনেক মজা ।
এখন যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এটা হচ্ছে একটা চকলেট ।ভেতরটা কিছুটা কেকের মতো বাইরেটা চকলেট ভিতরে ক্রিমি লেয়ারের চকলেট খেতে খুবই মজা । আমার ছেলেকে পাশের বাসা থেকে দিয়েছিল । এই চকলেটটা খেতে সত্যি অনেক মজা । ওনারা আমেরিকা থেকে আসার সময় চকলেট গুলো বেশ কিছু নিয়ে এসেছিল । আমরাও খেয়েছি খেতে সত্যি ভালো লেগেছিল দেখতেও সুন্দর ।
এখানে আমি আমার নিজের হাতে বানানো পোলা ও রোস্টের ছবি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । কদিন আগে বোন ওর ফ্যামিলিসহ আমার বাসায় এসেছিল তখন আমি এগুলো রান্না করেছিলাম । পোলাওটা দেখতে যেমন ভালো লাগছে খেতেও অনেক ঝরঝরে হয়েছিল । আমি অবশ্য ঝরঝরে পোলাও খেতে পছন্দ করি একটু নরম হলে সেটা আর খেতে ভালো লাগে না । বিশেষ করে আমার হাজব্যান্ড তো নরম একেবারে খেতেই পারে না । ওর জন্য আরো বেশি সাবধানে ঝরঝরে করে রান্না করতে হয় । আর রোস্টাও অনেক মজা হয়েছিল । আমার রোস্ট সবাই খেতে পছন্দ করে । দেখতে কিন্তু লোভনীয় লাগছিল ।
নিচের ছবিটি হচ্ছে সবার কমন একটি খাবার রুই মাছ ভুনা ।রুই মাছ এভাবে করে মাখামাখা করে ভুনা করলে গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে ভালো লাগে । অনেকে পোলাও দিয়ে খেয়ে থাকে তবে আমার কাছে পোলাও এর সাথে মাছ খেতে তেমন একটা ভালো লাগে না । তবে কেউ আসলে সাথে আয়োজন করে রাখি কেউ ইচ্ছা করলে খাবে । সেদিনকার রুই মাছ ভুনাটা অনেক ভালো হয়েছিল গরম গরম ভাত দিয়ে খেয়েছি মজা লেগেছিল ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
লোভ লাগার মত খাবারের কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি ছিল লোভনীয় তবে ফুচকার ফটোগ্রাফিটা ফুচকাপ্রেমীরা দেখলে লোভ সামলাতে পারবে না। ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। এই ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো। আসলে এত মজাদার খাবার দেখে যেন খেতে ইচ্ছা করছে।
ধন্যবাদ আপনাকে ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে । আসলে এগুলো দেখলে খেতেই মন চায় ।
দারুন দারুন খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন আপু। প্রথমে ফুচকা ফটোগ্রাফি দেখে তো লোভ লেগে যাচ্ছে। আপনি ঠিকই বলেছেন ফুচকা পছন্দ করে না এমন মানুষ খুজে পাওয়া যাবে না।আপনার সবগুলো ফটোগ্রাফি অনেক সুন্দর হয়েছে আপু। অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু আমার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে অনেক ভালো লেগেছে । আর ফুচকা আমার অনেক পছন্দের একটি খাবার এটা যদিও সবাই পছন্দ করে ।
আপু আপনি খেয়ে ফটোগ্রাফি করে শেয়ার করেন৷ আর আমরা দেখে লোভ করি এটা ঠিক ৷ হিহিহিহি
যেমন আজকের খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জিভে জল এসে গেছে ৷ এতো এতো খাবার দেখে লোভ সামলানো যায় ৷ তবে ভালো লাগলো ফটোগ্রাফি গুলো ৷
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
মজাদার ও লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফী বেশ লোভনীয় ছিল এবং দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। সবগুলো খাবারের ফটোগ্রাফির সাথে খুব সুন্দর বর্ণনা দিয়েছেন। তবে বিশেষ করে আমার কাছে চকলেটের ফটোগ্রাফি এবং মুরগির রোস্টের ফটোগ্রাফি বেশ ভালো লেগেছে। মজাদার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি বেশ চমৎকার চমৎকার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এইধরনের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে অনেক লোভ লেগে যায়। আপনি খাওয়ার আগে সেগুলো ছবি তুলেন জেনে খুবই ভালো লাগলো, আমার কাছে ফুসকা,হট কেক,নাচোস,এগুলো দেখে তো জিভে জল চলে আসতেছে। ফটোগ্রাফির সাথে সুন্দর বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এত লোভনীয় খাবার যদি একসাথে চোখের সামনে চলে আসে তাহলে কি কোন ভাবে লোভ সামলে থাকা সম্ভব। বিশেষ করে ফুচকা এবং লুচি দেখে কোনভাবেই লোভ সামলাতে পারছি না।
একদম ঠিক বলেছেন ফুচকা ও লুচি আমারো অনেক পছন্দ । এগুলো দেখলে সবারই লোভ লাগে । ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য ।
আপনি আজকে বেশ লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। প্রত্যেকটা খাবার আমার ভীষণ পছন্দের। প্রতিটা খাবার ভীষণ লোভনীয় লাগছে। বিশেষ করে পোলাও রোস্ট এবং মাছ ভুনা খেতে আমার কাছে একটু বেশি ভালো লাগে। ধন্যবাদ এতো মজাদার খাবার ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু যখন খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখি মনটা খুব খারাপ হয়ে যায়। কারণ খাবার গুলো এভাবে শেয়ার করি যে আমরা সবাই নিয়ে খেতে পারি না। শুধু দেখে দেখে জিভে জল আনা ছাড়া কোন উপায় থাকে না হা হা হা। আপনি খুব মজার মজার খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন। আপনার শেয়ার করা প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি অনেক লোভনীয় দেখাচ্ছে।