আসসালামু আলাইকুম

---

---

আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।

---

---

আজ আমি আপনাদের সামনে মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজ আমি আপনাদেরকে ঈদ স্পেশাল জর্দা রান্না করে দেখাবো। এ জর্দাটা আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে কিন্তু আমরা বাসায় মাত্র তিনজন মানুষ ছোট বাচ্চা তো খায় না আর বাচ্চার বাবাও জর্দাটা একদম পছন্দ করে না ।তারপরও আমি প্রতি ঈদে রান্না করি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে আমি একা একাই খাই ।বাসমতি চাল দিয়ে সাথে বিভিন্ন ধরনের জিনিস দিয়ে রান্না করলে এই জর্দাটা খেতে খুবই ভালো লাগে। আমার বাসায় তেমন কিছু ছিল না শুধু মিষ্টি আর মোরব্বা ছিল সেটা দিয়ে আমি এই জর্দা রান্না করেছি খেতে কিন্তু খুবই মজা হয়েছিল আপনারা চাইলে একবার ট্রাই করে দেখতে পারেন চলুন তাহলে রান্না করতে শুরু করি

প্রয়োজনীয় উপকরণ

বাসমতি চাল―১কাপ
ঘি―১/২কাপ
চিনি―২কাপ
মিষ্টি―৩পিছ
মোরব্বা―পরিমাণমতো
এলাচ―৩টি
জর্দার রং―৩ফোটা

কার্যপ্রণালী

প্রথমে চালগুলো ধুয়ে একটা পাতিলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি দিয়ে সিদ্ধ হতে দিয়েছি। এখানে চালগুলো আমি পুরোপুরি সিদ্ধ করব না একটু শক্ত থাকতেই চালগুলোকে নামিয়ে নিয়ে একটা চালনিতে চেলে নিয়েছি ।সাথে সাথে ঠান্ডা পানি দিয়ে দিয়েছি যাতে চালগুলো আর সিদ্ধ হতে না পারে ।তারপরে অন্য একটি চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভিতরে হাফ কাপ ঘি দিয়ে দিয়েছি তারপর ঘির ভিতরে কিছুটা পরিমাণ সিদ্ধ করা ভাত দিয়ে দিয়েছি।

তারপর সেই ভাতের ভিতরে এক কাপ পরিমাণ চিনি দিয়ে দিয়েছি তারপর তার ওপর দিয়ে আবার কিছুটা ভাত দিয়ে দিয়েছি। তারপর তার উপরে আবার আরো একটা পরিমাণ চিনি দিয়ে দিয়েছি। হালকা একটু নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।

তারপর ঢাকনা খোলার পর দেখুন যে চিনিটা গলে গিয়ে বেশ খানিকটা পানি উঠে এসেছে। তারপর হালকা হাতে আমি একটু নাড়াচাড়া দিয়ে দিব বেশি জোরে জোরে নাড়া যাবে না তাহলে চালগুলো ভেঙে যেতে পারে। নাড়াচাড়া দিয়ে আমি পানিটা টেনে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করব ।পানিটা যখন অনেকটাই টেনে আসবে তখন উপর দিয়ে কেটে রাখা মোরব্বা ও মিষ্টি গুলো দিয়ে দিয়েছি। তারপর আবারও হালকা হাতে নেড়ে দিয়েছি।

কিছু কিছু জায়গায় জর্দার একটু একটু গুড়া রং ছিটিয়ে দিয়েছি এবং কোনরকমে একটু নেড়ে দিয়েছি।

তারপর পানিটা পুরোপুরি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করব ।পানিটা যখন পুরোপুরি শুকিয়ে আসবে তখন আমার রান্নাটা হয়ে গিয়েছে বুঝতে হবে। আমি চুলা বন্ধ করে দিয়েছি।

এখন একটা প্লেটে তুলে নিয়েছি দেখুন আমার জর্দাটা দেখতে কতটা ইয়ামি হয়েছে। খেতে কিন্তু খুবই মজাদার হয়েছিল এই জর্দা গুলো আমার কাছে গরম গরম খেতেই বেশি ভালো লাগে আমি সব সময় গরম গরমই খাই যদি ফ্রিজেও রাখি তারপরও আমি গরম করে খাই আমার কাছে সেটা খেতেই বেশি ভালো লাগে।

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার	@tauhida
ডিভাইস	samsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

@tauhida