★ব্যাগ হাতে রঙীন কাগজ দিয়ে একটি মেয়ে তৈরি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ডাই প্রজেক্ট নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আপনাদেরকে রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর একটি পুতুল তৈরি করে দেখাবো। রঙিন কাগজের তৈরি জিনিসগুলো বানাতে যেমন ভালো লাগে তেমনি দেখতেও এতটা কিউট লাগে যে শুধু বানাতে ইচ্ছা করে। আজকে যখন আমি রঙিন কাগজের সুন্দর একটি মেয়ের ছবি দেখলাম তখনই সাথে সাথে আমার মনে হল যে এটি আমাকে বানাতেই হবে। কাল রাত বারোটার সময় এটা আমি বানাতে সাথে সাথে বসে গিয়েছিলাম । যতক্ষণ না পর্যন্ত বানাতে পেরেছি ততক্ষণ পর্যন্ত চেষ্টা করে গিয়েছে এবং শেষ পর্যন্ত বানিয়ে ফেলতে পেরেছিলাম ।বানানোর পরে এতটাই পারফেক্ট হয়েছে যে আমার নিজের কাছেই খুব ভালো লেগেছে , জানিনা আপনাদের কাছে কেমন লাগবে।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
বিভিন্ন কালারের রঙীন কাগজ
কম্পাস
কাঁচি
গ্লু
কালো কলম
লাল কলম
কার্যপ্রণালী
প্রথমে বিভিন্ন কালারের কয়েকটি রঙিন কাগজ নিয়ে কম্পাস দিয়ে বৃত্ত এঁকে গোল করে কেটে নিয়েছি। তারপরে প্রত্যেকটা কাগজ মাঝখান থেকে একটা ভাঁজ দিয়েছি। শুধু গোলাপি কালারের কাগজটা ভাঁজ না দিয়ে ওভাবে রেখে দিয়েছি কারণ এটা দিয়ে আমি পুতুলের মুখটা তৈরি করব।
প্রথমে পিংক কালারের একটি কাগজ নিয়েছি । এটা কিন্তু পিংক কালারের কাগজ দেখতে লাল লাগছে ছবিতে। তারপর পিংক কালারের কাগজটার উপরের দিকে একটু গ্লু লাগিয়ে নিয়ে তার উপরে একটু কাগজ লাগিয়ে দিয়েছি। তারপর তার উপরে লাল কালারের দুটো কাগজ লাগিয়ে মাথার অংশটুকু তৈরি করে নিয়েছি। এরপর নিচের দিকে একটু অরেঞ্জ কালারের কাগজ লাগিয়েছি থুতনি তৈরি করে নেওয়ার জন্য।
তারপর অরেঞ্জ কালারের কাগজের উপরে একটু সাদা কাগজ লাগিয়ে দিয়েছি এবং কানের দুই সাইডে দুটো কাগজ লাগিয়ে কানের মত তৈরি করে নিয়েছি। এরপর আরও একটি লাল কালারের রঙিন কাগজ নিয়ে কোনা করে ভাঁজ দিয়ে নিচের দিকে গোল করে কেটে নিয়েছি ছবিতে যেভাবে করে ভাঁজে দিয়ে কেটেছি ঠিক সেই রকম ভাবেই কাটতে হবে।
এরপর ও লাল কাগজটা নিয়ে নিচের দিকে লাগিয়ে দিয়েছি জামার অংশ তৈরি করে নিয়েছি। এরপর জামার দুই পাশে আরো দুটো দুটো করে কাগজ লাগিয়ে নিয়েছি হাতা বানানোর জন্য। হাতার নিচের দিকে হাত তৈরি করার জন্য আরো দুটো পিংক কালারের কাগজ লাগিয়ে দিয়েছি। তারপর গোল করে আরো একটি খয়েরি কালারের কাগজ কেটে নিয়েছি ব্যাগ তৈরি করার জন্য।
এরপর বানানো হয়ে গেলে ব্যাগটা নিয়ে হাতে ধরিয়ে দিয়েছি। ব্যাগের সাথে ম্যাচিং করে জুতা পরিয়ে দিয়েছি।
এরপর চোখ ও নাক এঁকে নিয়েছি কালো ও লাল কলম দিয়ে । ব্যাস এভাবেই বিভিন্ন কালারের রঙিন কাগজ দিয়ে তৈরি হয়ে গিয়েছে ব্যাগ হাতে সুন্দর একটি মেয়ে।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
রঙিন কাগজ দিয়ে যে কোন কিছু তৈরি করতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আর আপু আপনি দেখছি আমাদের মাঝে ব্যাগ হাতে রঙীন কাগজ দিয়ে একটি মেয়ের আর্ট তৈরি করেছি। অসাধারণ ছিল প্রতিটি ধাপ ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য।
আমার রঙিন কাগজের তৈরি অরিগামিটা আপনার কাছে অসাধারণ লেগেছে শুনে ভালো লাগলো।
আপু চেষ্টা করলে সবই সম্ভব। যা আজ আপনি আবারো প্রমাণ করলেন। আপনার অক্লান্ত পরিশ্রম এবং আত্মবিশ্বাস আপনাকে এত সুন্দর একটি মেয়ে বাংলাতে সহায়তা করেছে। তাও আবার রঙিন কাগজ দিয়ে। রঙিন কাগজ দিয়ে মেয়ে বানানোর প্রতিটি ধাপ বেশ সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।
ঠিকই বলেছেন আপু চেষ্টা করলে সবই সম্ভব এর জন্য মাঝেমধ্যে চেষ্টা করি ভিন্ন ধরনের কিছু বানানোর।
রঙিন কাগজ দিয়ে চমৎকার একটি মেয়ে তৈরি করেছেন। মেয়েটিকে দেখতে খুবই কিউট লাগছে। কাগজের তৈরি জিনিস গুলো বানাতে এবং দেখতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। কাগজের কালার কম্বিনেশনও খুব সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। এত সুন্দর একটি মেয়ে তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
কাগজের তৈরি জিনিস গুলো বানাতে হলে কালার কম্বিনেশন টা ঠিক রাখা জরুরী। কালার ভালো হলে দেখতেও ভালো লাগে।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর একটি মেয়ে তৈরি করেছেন। মেয়েটি হাতে ব্যাগ নিয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে। সত্যি এই দৃশ্য যেন অসাধারণ ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন। আপনার দক্ষতা দেখে মুগ্ধ হলাম।
আসলে ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে আছে দেখে মনে হয় বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছেও তাই লেগেছে।
রঙিন কাগজ দিয়ে কোন কিছু তৈরি করলে দেখতে খুবই ভালো লাগে। আপনি ব্যাগ হাতে রঙিন কাগজ দিয়ে একটি মেয়ে তৈরি করেছেন। আপনি খুবই দক্ষতার পরিচয় দিয়েছেন। আপনি খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে তৈরি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ব্যাগ হাতে দাঁড়িয়ে থাকা মেয়েটি আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ।
বাহ খুব সুন্দর করে আপনি রঙ্গিন কাগজ দিয়ে একটি বালিকা তৈরি করেছেন। বালিকাটি দেখতে খুবই কিউট লাগছে। আসলে রঙিন কাগজ দিয়ে যে কোন জিনিস তৈরি করলে দেখতে খুব সুন্দর লাগে। আপনি রঙিন কাগজ দিয়ে মেয়ে তৈরি করার প্রক্রিয়া চমৎকারভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে ডাই পোস্ট উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অন্তরের অন্তস্থল থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই।
রঙিন কাগজের জিনিসগুলো দেখতে আসলেই কিউট লাগে তাই আমি প্রতিনিয়ত চেষ্টা করি নতুন নতুন জিনিস তৈরি করার।
আপনি যখন রঙিন কাগজের তৈরি এই মেয়েটাকে দেখেছিলেন, তখন রাত বারোটার সময় সাথে সাথে বসে পড়েছিলেন এটি তৈরি করার জন্য। রঙিন কাগজের তৈরি এরকম জিনিস গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে আমার কাছে। তৈরি করা শেষে কিন্তু একেবারে পারফেক্ট হয়েছে এটি এবং কি খুবই সুন্দর লাগছে দেখতে। চোখ মুখ আঁকার পর আরো বেশি দারুণ লাগছে দেখতে। খুবই কিউট একটা মেয়ে তৈরি করে ফেলেছেন রঙিন কাগজ দিয়ে। সত্যি আপু আপনার দক্ষতা রয়েছে এটা তো বলতেই হয়।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া কাগজের তৈরি এরকম জিনিস গুলো দেখতে আসলেই অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি তো দেখছি এটা দেখার সাথে সাথে, রাতের বারোটা বাজে এটি তৈরি করার জন্য বসে পড়েছিলেন। রঙিন কাগজ দিয়ে যেকোনো কিছু তৈরি করলে এমনিতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে আমার কাছে। খুবই কিউট লাগছে কিন্তু এই ছোট্ট মেয়েটাকে দেখতে। এরকম কাজগুলো করতে খুবই ভালো লাগে আমার কাছেও। আমি তো ভেবেছিলাম, এটা হয়তো পুতুলের ফটোগ্রাফি করেছেন, পরে দেখলাম কাগজ দিয়ে এটি তৈরি করেছেন। সব মিলিয়ে চমৎকার একটা পোস্ট তুলে ধরলেন।
আমি এমনিতেই দুইটা আরাইটার আগে ঘুমাই না এইজন্য বেশিরভাগ জিনিসই আমি বারোটার পরেই বানানোর চেষ্টা করি।
আপু আপনি অসম্ভব সুন্দর একটি সৃজনশীলমূলক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। রঙ্গিন কাগজ দিয়ে তৈরি মেয়েটিকে দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে। ব্যাগ হাতে নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকা অসাধারণ সুন্দর একটি ডাই পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আমার রঙিন কাগজের তৈরি ডাই পোস্ট আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।