আজ আমি এসেছি আমার ঈদের দিনের ঘোরাঘুরি আপনাদের সাথে ভাগ করে নিতে। ঈদ মানে আনন্দ ঈদ মানেই খুশি ঈদ আসবে আর বাইরে ঘোরাঘুরি হবেনা তা কি হয় বলেন। ঈদের সময় আমার যে দু একজন আত্মীয়-স্বজন ঢাকায় ছিল তারা সবাই ঢাকার বাইরে গিয়েছে তাই বলতে গেলে আমরা একাই ঢাকা রয়েছি কারো বাসায় ঘুরতে যাওয়ার তো কোনো সুযোগই নাই ।আর তারপরে আবার করোনার ভিতরে আমরা তেমন একটা মানুষের বাসায় যাইও না শুধু আমাদের পাশের বাসায় একটা ফ্যামিলি আছে তাদের সাথে আমরা ওঠাবসা করি এবং এবং তাদের সাথেই আমরা প্রত্যেকটা ঈদ শেয়ার করি। এবারের ঈদও তার ব্যতিক্রম হয়নি কারণ সারাদিনের ঈদের মেহমান বলতে তারাই রাতের বেলা আমার বাসায় খাবে। আর সারাদিনে আমরা তিনজন ছাড়া আর কাজের লোক ছাড়া আর কেউ নেই ।তারপর বাচ্চা আবার সারাদিন পাশের বাসায় থাকে। |
আস্তে আস্তে আমি আমার রান্না গুলো শেষ করি কয়েকটা মিষ্টি রান্না করি এবং আমি শুধু বিরিয়ানি রান্না করে আমার কাজগুলো গুছিয়ে ফেলি। তারপর খাওয়া দাওয়া করে দুপুরবেলা একটু রেস্ট নিয়ে রেডি হয়ে যাই ঘোরার জন্য ।প্রতিবারই আসলে আমরা বাসার আশেপাশে যেখানে ঘোরার জায়গা আছে বিশেষ করে ঢাকা ইউনিভার্সিটি ওই এলাকাটায় আমরা সব সময় গিয়ে থাকি। এবার আগে থেকেই ঠিক করে রেখেছি এবার ওই এলাকায় যাব না এবার আমরা একটু রিকশায় করে দূরে ঘুরতে যাব। কারণ রিকশায় ঘুরতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে আর বিশেষ করে ঈদের সময় ঢাকার রাস্তা এত ভালো থাকে কোন জ্যাম থাকেনা থাকে না বললেই চলে। তাই এই সময়টা রিক্সায় করে ঘুরতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমরা আজকে ঠিক করেছি আমরা সংসদ ভবনের ওই এলাকায় যাব। আমি যাব রিক্সায় কিন্তু বাচ্চা কিছুতেই রিকশায় যাবে না সে গাড়িতে করে যেতে চায় কিন্তু রিক্সায় না ঘুরলে বাইরে যাওয়ার মজাই নাই। বাচ্চার মন একটু খারাপ বাইরে গিয়ে রাস্তার পাশে দাঁড়িয়ে আছে গাড়ির জন্য পরে আমরা রিকশায় উঠে গিয়েছি দেখে বাচ্চার খুব মন খারাপ। আমি তখন অনেক বুঝিয়ে শুনিয়ে তাকে বললাম যে এখন রিক্সায় যাই আসার সময় গাড়িতে আসব , পরে কিছুটা হলেও মনটা ভালো হয় রাস্তার আশেপাশের দৃশ্য দেখে। এখন আমি ঈদের ঘুরাঘুরি সাথে কিছু ছবিও তুলেছি সেই ছবিগুলো আপনাদের সাথে শেয়ার করে নিব। |
উপরের যে ছবি দুটো দেখতে পাচ্ছেন দেখুন দুর থেকে সংসদ ভবন দেখা যাচ্ছে এই জায়গাটা যে কি সুন্দর তা আপনাদেরকে বলে বোঝাতে পারবো না। এই যে পানির সাইড দিয়ে যে একটা ইটের বাউন্ডারির মতো দেখতে পাচ্ছেন সেই জায়গাটায় আমার খুব ইচ্ছা ছিল সেখানে গিয়ে একটু পানির পাশে বসে এত সুন্দর বাতাস চারিদিকে গাছ গাছপালা একেবারে অন্যরকম একটা অনুভূতি হয়ে গিয়েছে ওই জায়গাটায় গিয়ে। এত সুন্দর লাগছিল আমার বাচ্চাটা দেখে বলছে মা দেখো কত সুন্দর একটা নদী এই নদীর পাড়ে আমার বসার ইচ্ছা থাকলেও বসতে পারিনি কারণ এই বাউন্ডারির সাইড দিয়ে অনেক পুলিশ দাঁড়ানো রয়েছে বাচ্চা নিয়ে ওই দিকে যাওয়ার কোন সুযোগই নেই ।দূর থেকেই দেখতে হয় তারপরও জায়গাটা যে এত সুন্দর লেগেছে সবাই একটু সরে সরে দূরে বসে আছে। আর দূর থেকে পানির দৃশ্যটি দেখতে অপরূপ লাগছিল ।তারপর আবার উপরে অত সুন্দর একটি আকাশ মনটা ভরে গিয়েছে জায়গাটা দেখে। |
এখন যে ছবিটি দেখতে পাচ্ছেন এইখান দিয়ে ছোট্ট একটা রাস্তা আছে পাশ দিয়ে হেঁটে যাওয়ার জন্য যাতে মেইন রাস্তা দিয়ে মানুষকে হেঁটে যেতে না হয়। সাইড দিয়ে যাওয়ার রাস্তা এই পাশ দিয়ে আবার এভাবে বাউন্ডারি দিয়ে ঘেরা ভিতর দিয়ে সংসদ ভ্রমণের এরিয়া এখান দিয়ে কত সুন্দর সুন্দর গাছ ভিতর দিকে তাকালে বোঝা যায় যতটুকু পেরেছি একটা ছবি তুলে নিয়েছি। |
উপরের যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন আমার কাছে মনে হচ্ছে এই গাছটা ড্রাগন গাছ ড্রাগন গাছ যে এত বড় হয় তা আমার জানা ছিল না গাছটা দেখতে খুব ভাল লেগেছে আমার কাছে। |
উপরে এখন যে গাছটা দেখতে পাচ্ছেন আমি জানিনা এটা কি গাছ তবে দূর থেকে এ গাছটি দেখতে কি যে ভালো লাগছে একেবারে গোল হয়ে ঘিরে আছে মনে হচ্ছে একটা ছাতার মতো হয়েছে গাছটা। মনে হচ্ছে গাছটা উপর থেকে কেটে কেটে একেবারে সুন্দর করে সাজিয়ে গুছিয়ে রাখা হয়েছে আসলে গাছটা অনেক বড়। গাছের নিচে খুব ইচ্ছা ছিল সেখানে গিয়ে বসার কিন্তু লোকজন অনেক ছিল। |
এখন যে ছবিগুলো দেখতে পাচ্ছেন প্রত্যেকটা ছবি আমরা চন্দ্রিমা উদ্যানের ভিতরে গিয়ে তুলেছি এখানে শুধু মানুষ আর মানুষ। ঈদের দিনে এত মানুষ এখানে ঘুরতে এসেছে তা না দেখলে বুঝতেই পারতাম না। একে তো করোনা তারপরেও সবাই এখানে চলে এসেছে মনে হচ্ছে ঘুরার জন্য আসলেই জায়গাটা ঈদের দিনে ঘোরার জন্য একেবারে পারফেক্ট । খোলা আকাশের নিচে এভাবে বসে থাকতে কি যে ভালো লাগে আমরা বসে বসে আইসক্রিম, ঝালমুড়ি এগুলো খেয়েছি ।আর যে ফুচকা দেখতে পাচ্ছেন ফুচকাগুলো খাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল তবে খেতে পারিনি অনেক ভিড় ছিল শুধু ছবিটা তুলে রেখেছি আপনাদেরকে দেখানোর জন্য। এখানে সব ধরনের ব্যবস্থা রয়েছে ঠান্ডা পানি নিয়ে ছেলেরা ঘুরে বেড়াচ্ছে ফুলের মালা নিয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছে তারপরে খোলা মাঠের ভিতরে বল নিয়ে দৌড়াদৌড়ি করছে। আমার বাচ্চাটা এই জায়গাটায় গিয়ে খুব খুশি হয়েছে। আসলে জায়গাটা খুব ভালো ঘোরার জন্য কিন্তু আমাদের বাসা থেকে জায়গাটা একটু দূর হয়ে যায় সেজন্য আমরা এখানে আসতে পারি না। ঈদের দিন রাস্তা ফাঁকা থাকায় আমরা সরাসরি রিক্সা নিয়েই চলে এসেছি অল্প সময়ের ভিতরেই। রিক্সায় ঘোরাও হলো আবার সুন্দর একটি জায়গাও দেখা হল।ফিরার সময় আমরা গাড়িতে করে ফিরেছি বাচ্চার খুশির জন্য আবার ওখান থেকে আসার সময় রিকশা পাওয়াও যায় না। |
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
আপনার বাসা থেকে সংসদ ভবনের রিক্সা করে গিয়েছেন তার মানে তো বেশ সময় লেগেছে। অবশ্য ঈদের সময় ঢাকা অনেকটা ফাঁকা থাকে। রিকশায় ঘুরে মনে হয় ভালই মজা পেয়েছেন। তাছাড়া আপনার বাসার দাওয়াত এবার মিস করে ফেললাম। ঈদের খাওয়া দাওয়া এসে খাবো। খুব ভালো সময় কাটিয়েছেন ফ্যামিলির সঙ্গে দেখে বোঝা যাচ্ছে। সংসদ ভবন এলাকাটা আমার কাছেও খুবই ভালো লাগে। কিন্তু ঈদের সময় এখানে এত ভিড় থাকে যে যেতে একদমই ভালো লাগেনা।
খুব একটা সময় লাগে নি কারণ ঈদের সময় রাস্তা অনেকটাই ফাঁকা থাকে তাই খুব সহজেই চলে যাওয়া যায় আর রিক্সায় করে যদি নাই ঘুরি আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগে না ধন্যবাদ।
ঈদের দিনে ভালই ঘুরাঘুরি করেছেন। যদি ও আমরা তেমন একটা ঘুরতে পারিনাই। শরীর অতিরিক্ত ক্লান্ত ছিল এবং কর্মব্যস্ততা ছিল সব মিলিয়ে বাইর হওয়ার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। ধন্যবাদ আপনাকে ঘোরাঘুরি কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
যতই কর্ম ব্যস্ত থাকি আর যাই থাকি না কেন ঈদের দিন একটু বাইরে বের না হলে আমার কাছে ভালোই লাগে না।
হ্যাঁ হয়তো একটা সময় আমরা ও এমন করতাম, তবে এই বছর সুযোগ হয়ে ওঠেনি। ধন্যবাদ আপনাকে ফিডব্যাক দেওয়ার জন্য।
আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে তো আমি মুগ্ধ হলাম। বিশেষ করে ড্রাগন ফল গাছটি দেখে আমার কাছে অসাধারণ লাগলো। এত বড় ড্রাগন ফল গাছ আমি আগে দেখেছি বলে মনে হয় না। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি এবং আপনার ঘুরাঘুরির মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ড্রাগন ফলের গাছ আমি দেখেছি ছোট কিন্তু এত বড় কখনো দেখিনি এই প্রথম দেখলাম ধন্যবাদ।
পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে ঈদের দিনের ঘোরাঘুরির অনেক চমৎকার একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন সেই সাথে কিছু সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন। যদিও এবার ঈদে তেমন একটা ঘোরাঘুরি করার সুযোগ হয়ে ওঠেনি। আপনার এই সুন্দর মুহূর্ত আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া অনেকদিন পরে ভালোই একটু ঘোরাঘুরি করার সুযোগ পেলাম অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।