আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সামনে বিভিন্ন ধরনের রংবেরঙের দোকানপাটের কিছু ছবি । বেশ কিছুদিন আগে গিয়েছিলাম ঘুরতে তারপরও অনেকদিন হয়ে গিয়েছে শীতের সময় গিয়েছিলাম । বইমেলার কাজ চলছিল তখন সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে । আমরা বেশ কয়েকজন মিলে সেখানে সন্ধ্যার দিকে ঘুরতে গিয়েছিলাম । ঘুরতে গিয়ে দেখলাম যে ভেতর দিকটা অনেক কাজ কাম চলছে । মেলার স্টল বসানো হচ্ছে সে কাজকাম চলছে । আমরা গেট দিয়ে ঢুকতে দেখলাম যে মেলার বাইরে রাস্তার দুই সাইড দিয়ে অসংখ্য দোকানপাট বসেছে । এখানে লোকজন ভালোই বেচাকেনা করছে এবং খাওয়া-দাওয়ার জন্য বিভিন্ন দোকানপাট রয়েছে । বিশেষ করে গেটের বাইরে খাওয়া দাওয়ার দোকান দেখলাম এখানে খাবারদাবার এতটাই পপুলার যে মানুষজন অনেক ভিড় করে খাবার দাবার খাচ্ছে । যদিও আমরা এখান থেকে খাবার খাইনি । বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে গিয়েছিলাম এরকম খোলামেলা পরিবেশে খাবার খেতে ইচ্ছা করে নাই । তবে খাবারগুলো দেখে অনেক লোভনীয় লাগছিল । রাস্তার পাশ দিয়ে দোকানপাটের কিছু ছবি আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি ।

প্রথম যে ছবিটা দেখতে পাচ্ছেন সেখানে দেখা যাচ্ছে যে একজন মহিলা একটা কিছু বিছিয়ে তার উপরে অসংখ্য মুক্তার মালা ছড়িয়ে ছিটিয়ে রেখেছে । এই মুক্তার মালা গুলো দেখতে খুব ভালো লাগে তবে এগুলা অরজিনাল মুক্তার মালা না । তবে এই মালাগুলো দেখতে খুব ভালো । এর আগে আমিও কয়েকটা কিনে নিয়েছিলাম আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল । যদিও পড়া হয়নি কখনো । আমি অবশ্য বেইলিরোড থেকে কিনে ছিলাম এগুলো অরজিনাল না হলেও দেখতে খুব সুন্দর ।

একইভাবে নিচে ওরা দোকানটা সুন্দরভাবে সাজিয়েছে বিভিন্ন রেশমি চুরি দিয়ে । এই রেশমি চুরি গুলো দেখতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে এবং হাত ভর্তি করে রেশমি চুরি পরতে খুব খুব ভালো লাগে । তবে দুঃখের বিষয় আমি হাতে চুরি খুব একটা পড়তে পারি না । কারণ আমার হাতে ঢুকাতে গেলে ভেঙে যায় এবং অনেক কষ্ট হয় যার কারণে খুব একটা পরি না । অনেকদিন আগে একবার পরতে গিয়ে হাতটা অনেকটাই কেটে গিয়েছিল এই ভয়ে আরো চুরি পরি না । তবে চুরি গুলো দেখলে কিনতে ইচ্ছা করে এখানে অনেক কালার এর চুরি দেখতে পেলাম ।

এখানে রংবেরঙের কানের দুল নিয়ে বসেছিল । এই কানের দুল গুলো দেখতে খুব ভাল ছিল । প্রত্যেকটা ড্রেসের সাথে ম্যাচিং করে এগুলো পড়লে কিন্তু খারাপ লাগে না । আমি অবশ্য কেনার জন্য দাম করিনি তবে দেখতে ভালো লাগছিল দেখে ছবিটা তুলে নিয়েছি । এই ধরনের কানের দুল গুলো পড়লে কিন্তু ভালোই লাগে অনেক লোকজন এগুলো দেখছে আর কিনছে ।

কিছুদিন গিয়ে দেখলাম যে আরো একটি রেশমি চুরির দোকান । এখানে একটি মহিলা রেশমি চুড়ি গুলো বিক্রি করছে ।মহিলাটি চুরিগুলো নিয়ে বসে রয়েছে তার আশেপাশে কোন লোকজন দেখতে পেলাম না । কারণ এখানে অনেকগুলো চুরির দোকান রয়েছে সব দোকানে কি আর মানুষজন যায় নাকি । একসাথে অনেকগুলো দোকান হলে যা হয় আর কি । তবে চুড়িগুলো বিভিন্ন কালারের ছিল দেখতে ভালো লাগছিল ।

এই দোকানে দেখলাম যে ওরা কাঠের মালা সাজিয়ে রেখেছে । কিছু ম্যাগাজিন রেখেছে সাথে আরো অন্য ছোট ছোট কিছু একটা সাজিয়ে রেখেছে দেখতে ভালো লাগছিল । যদিও সেখানে লোকজন ছিলনা । তবে মহিলারা এগুলো নিয়ে অধীর আগ্রহে বিক্রি করার জন্য অপেক্ষা করছে তবে লোকজন গুলো সামনে দিয়ে হেঁটে হেঁটে চলে যাচ্ছে দোকানে তেমন একটা ভিড় করছে না । এসব জিনিস মানুষজন খুব একটা কিনে না মনে হচ্ছে ।

আবার কিছুদূর যাওয়ার পরে দেখলাম যে ভাপা পিঠার দোকান রয়েছে । এখানে ভাপা পিঠা বানিয়ে সাজিয়ে সাজিয়ে রাখছে । ভাপা পিঠাগুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে তবে এখানকার পরিবেশটা আমার কাছে তেমন একটা ভালো লাগেনি । চারিদিকে ধুলাবালি তার ভিতরে আবার পিঠাগুলো এরকম খুলে রেখে দিয়েছে এসব দেখে আর খাওয়ার ইচ্ছে জাগেনি ।

আবার একটা ফুচকার দোকান দেখতে পেলাম । ফুচকার দোকানে যদিও ভিড় ছিল লোকজন ফুচকা খাওয়ার জন্য ভিড় জমিয়েছে । ফুচকা এমন একটি খাবার যেখানেই বসুক না কেন মানুষজন খাওয়ার জন্য ভিড় জমাবেই । আমরা যদিও এখান থেকে কিছু খাইনি ।