★পেঁয়াজ ও টমেটোর মজাদার ভর্তা রেসিপি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে টমেটোর মজাদার ভর্তা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি । এই শীতের ভিতরে টমেটো এত বেশি পরিমাণে খাওয়া হয়ে থাকে এবং কিভাবে কি করে খাওয়া যায় তাই চিন্তা করতে থাকি। তরকারির ভিতর দিয়ে ভাজি করে সালাদ করে এবং বিভিন্ন রকম ভর্তা করে সবসময় খেয়ে থাকি। এর আগে আমি একবার টমেটো ভর্তা আপনাদের সাথে শেয়ার করেছিলাম। তবে সেই ভর্তাটা ছিল একেবারে ভিন্ন পদ্ধতিতে করা আর আজকেরটাও অন্যরকম পদ্ধতিতে করেছি। আজকের ভর্তা খেতে অসাধারণ টেস্ট হয়েছিল । টমেটো ভর্তা থাকলে শুধু একটা তরকারি দিয়েই খাওয়া যায় এত টেস্টি লাগে। ঝালটা একটু বেশি দিতে হবে তা না হলে অতটা টেস্টি হয় না। আমি ঝাল এমনিতেই খুব বেশি পরিমাণে খাই তাই আমি ঝাল এবং ধনিয়া পাতা দুটোই বেশি করে দিয়ে থাকি সবকিছুতেই । এখন আমি আমার এই মজাদার ভর্তার রেসিপিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করছি।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
পেঁয়াজ
মরিচ
লবন
সরিষার তেল
ধনিয়া পাতা
কার্যপ্রণালী
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে টমেটো গুলো কেটে নিয়েছি এবং পেঁয়াজগুলো ছিলে নিয়েছি। মরিচের বোটা ফেলে মরিচগুলো ধুয়ে নিয়েছি ।তারপর ধনিয়া পাতা গুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি। এরপর চুলায় করাই বসিয়ে তার ভেতরে একটু সরিষার তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তার ভেতরে দিয়ে দিয়েছি পেঁয়াজ।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
পেঁয়াজগুলো দিয়ে কিছু সময় নেড়ে চেড়ে ভেজে নিয়েছি ।তারপর তার ভিতরে কাঁচামরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি ।কাঁচামরিচ গুলো দেয়ার সময় অবশ্যই কাটা মরিচের মাথাটা ভেঙে নিবেন, তানাহলে মরিচ গুলো তেলের ভিতরে দেওয়ার সাথে সাথে ফুটে গায়ে আসার সম্ভাবনা আছে। এরপর একটু নেড়েচেড়ে তার ভিতর ধনিয়া পাতা দিয়ে দিয়েছি। এরপর ধনিয়া পাতা দিয়ে আরো কিছু সময় নেড়েচেড়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর তার ভিতরে টমেটো গুলো দিয়ে দিয়েছি। টমেটোগুলো দিয়ে বেশ খানিকটা সময় নেড়েচেড়ে ভেজে নিতে হবে । যতক্ষণ না পর্যন্ত টমেটোগুলো নরম হয়ে আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত ভাজতে হবে। টমেটো গুলো অনেকটাই নরম হয়ে গেলে একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি এবং যতক্ষণ না ঠান্ডা হবে ততক্ষণ পর্যন্ত এভাবেই রেখে দিতে হবে।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
ঠান্ডা হয়ে গেলে ব্লেন্ডারে নিয়ে নিয়েছি ব্লেন্ড করার জন্য ।তারপর তার ভিতরে একটু লবণ দিয়ে ভালোমতো ব্লেন্ড করে নিয়েছি । এরপর চুলায় আবার একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে আবার কিছু তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল দিয়ে তার ভেতরে ব্লেন্ড করা টমেটোগুলো ছেড়ে দিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
এরপর আবার হালকা একটু লবণ দিয়ে দিয়েছি। তারপর লবণ দিয়ে বেশ খানিকটা সময় এভাবে জাল করে নিতে হবে। যতক্ষণ না পর্যন্ত পানিটা একেবারে টেনে আসবে ততক্ষণ পর্যন্ত জাল করে নিয়েছি। এরপর পানিটা পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি। দেখুন আমার ভর্তার কালারটা অনেকটাই চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে। এরপর বাটিতে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করেছি। খুবই মজাদার একটি খাবার আপনারা অবশ্যই একবার ট্রাই করে খেয়ে দেখবেন।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
এতো রাতে আপনার রেসিপি দেখে তো আপু জিভে জল চলে এল! ঝাল হলে কিন্তু ভালোই হয় 😁। টমেটো তো কাচাই খাওয়া যায়! আর ভর্তা একটু শুকনা মরিচের কম্বিনেশন এ ঝাল দিয়ে করলে কথায় নেই। ব্লেন্ডার দিয়ে করে নেয়াতে মিহি হয়েছে
যেকোনো ভর্তাই ঝাল ঝাল খেতে ভালোই লাগে। আর ব্লেন্ডার করার কারণে আরো মিহি হয়ে খেতে টেস্টি হয়ে গিয়েছে ।ধন্যবাদ আপনাকে।
পেঁয়াজ ও টমেটোর মজাদার ভর্তা রেসিপি আমাদের বাসায় মাঝে মধ্যেই তৈরি হয়। খেতে ভীষণ মজাদার। এধরনের খাবার হলে জমিয়ে খাওয়া যায়। আপনার রেসিপি পোস্ট গুলো সব সময়ই ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
ভালোই হয়েছিল খেতে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ছোট ছোট করে পেয়াজ মরিচ কেটে টমেটো কুচি কুচি করে কেটে একসাথে সরিষার তেল দিয়ে মাখিয়ে খেয়েছি তবে এভাবে কখনো টমেটো ভর্তা রেসিপি খাওয়া হয়নি। দেখে যতটুকু বুঝতে পারছি খেতে অনেক মজা হবে বিশেষ করে গরম ভাতের সাথে খাওয়ার মজাটা বেশি স্মরণীয় থাকবে 😋 এমন লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের কে উপহার দেওয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপুমনি।
খেতে আসলেই অনেক মজা হয়েছিল । গরম গরম ভাত দিয়ে খেতে অসাধারণ লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
টমেটোর ভর্তা তো কোনদিন খাওয়া হয়নি তবে সালাত খেয়েছি। আজকে প্রথম আপনার কাছ থেকে টমেটো ভর্তা রেসিপি দেখে বেশ ভালই লাগলো। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। ধন্যবাদ আপনাকে টমেটো ও পেঁয়াজ ভর্তার মজাদার রেসিপি টা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সালাদ তো সবসময়ই খাওয়া হয় মাঝেমধ্যে এরকম ভর্তা করে খেয়ে দেখবেন খুবই মজা লাগে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
একদম ইউনিক একটি রেসিপি পোস্ট দেখতে পেলাম আপু আপনার পোস্টের মাধ্যমে।খুবই সুন্দর করে আপনি পেঁয়াজ ও টমেটোর রেসিপিটি তৈরি করেছেন।দেখে মনে হচ্ছে খেতেও ভালো ছিল।ধন্যবাদ আপনাকে আপু ইউনিক রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
খেতে ভালো হয়েছিল আপু টমেটোতো এমনিতেই মজাদার খাবার, এরকম করে ভর্তা খেলে আরো ভালো লাগে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
এই সময়ে টমেটো পেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে বিশেষ করে টমেটো দিয়ে প্রস্তুত করার রেসিপি আরো বেশী ভালো লাগে।। আর গরম ভাতের সাথে গরম গরম টমেটো ভর্তা তো আরো বেশি মজাদার খেতে।। তবে আপনার মত করে কখনো ভর্তা খাওয়া হয়নি।। আপনার প্রস্তুত প্রণালী বলে দিচ্ছি খেতে কতটা মজা হয়েছিল।।
অনেক ইউনিক একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এভাবে পেঁয়াজ আর টমেটোর ভর্তা কখনো খাইনি। আপনার রেসিপিটি দেখে জিভে জল চলে এসেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
পেঁয়াজ ও টমেটোর মজাদার ভর্তা রেসিপি দেখেই তো জিভে পানি চলে এলো আপু। ভর্তা হচ্ছে এমন একটা রেসিপি, যা অনেকসময় মাছ-মাংসকেও হার মানায়। আপনার রেসিপির কালারটা জাস্ট অসাধারণ হয়েছে। গরম ভাত দিয়ে এই রেসিপিটা খেতে সত্যিই খুব ইয়াম্মি লাগবে। যাইহোক এত লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।