আজকে আবার আপনাদের সামনে হাজির হয়ে গেলাম নতুন একটি পোস্ট নিয়ে । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ডালিয়া ফুলের সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি । আসলে আমাদের দেশে কত রকমের যে ফুল রয়েছে তা আমরা বলে শেষ করতে পারবো না । তার ভিতরে ডালিয়া ফুল অন্যতম । মোট ৪২ প্রজাতির ডালিয়া ফুল রয়েছে । সাদা আর লাল হল ডালিয়া ফুলের বৈশিষ্ট্য । তাছাড়া আরও বিভিন্ন ডালিয়া ফুল আমরা দেখতে পারি । ডালিয়া ফুল গাছে বেশ কয়েক দিন বাঁচতে পারে তবে ছিঁড়ে এনে যদি কোন একটি ফুলদানিতে রাখা হয় খুব তাড়াতাড়ি শুকিয়ে যায় । আমাদের পাশে যে রমনা পার্ক রয়েছে সেখানে দেখলাম ওরা বিভিন্ন ধরনের কালারের ডালিয়া ফুল গাছ লাগিয়েছে এবং একসাথে যখন অনেকগুলো ফুল ফুটে থাকে তখন দেখতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে ।

আমি আজকে যে ফুলের ছবিগুলো তুলেছি সেগুলো একুশের বই মেলা থেকে তুলেছি । একুশের বইমেলায় যখন ঢুকেছি তখন ডালিয়া ফুলের আলাদা একটি বাগান দেখতে পেলাম । ছোট্ট করে গেটের সাইডে ওরা বাগানটি সুন্দরভাবে পরিপাটি করে রেখেছে । তাছাড়া ফুলের আরো অনেক গাছ এদিক সেদিক তাকালে আমরা দেখতে পেরেছি তবে সেগুলোর কাছে যেতে পারেনি অনেক দূরে লাগানো ছিল ।আর এখন যে ফুলগুলো তুলেছি সেগুলো কাছে তো সহজে ঘেষতেই পারছিলাম না কারণ ফুলগুলো এত সুন্দর ছিল সবাই সেই ফুলকে ঘিরে ছবি তোলায় ব্যস্ত হয়ে পরেছে ।আমিও এই ছবিগুলো তোলার জন্য অনেক সময় অপেক্ষা করে তারপর ছবিগুলো তুলে নিয়েছি মানুষের ভিড়ের মধ্য দিয়ে । আর ফুলের সৌন্দর্য দেখে তো সত্যি মুগ্ধ হয়ে যেতে হয় । এত সুন্দর সুন্দর ডালিয়া ফুলের নিজের একটি বাগান করি কিন্তু সে ইচ্ছা তো আমার কখনোই পূরণ হবে না । এজন্য দূর থেকে দেখে ছবিগুলো তুলে নিয়ে সৌন্দর্য উপভোগ করার চেষ্টা করি ।

এখানে উপরে ও নিচে আমরা দুই ধরনের কালারের ডালিয়া ফুল দেখতে পাচ্ছি । উপরের কালার ডালিয়া ফুলটা আমি আজকে প্রথম দেখলাম । এত সুন্দর বেগুনি কালারের ডালিয়া ফুল হতে পারে সেটা তো আমার জানাই ছিল না ।একেবারে ডিপ বেগুনি কালারের ডালিয়া সত্যি সামনাসামনি দেখতে এর কালার টা আরো বেশি সুন্দর লেগেছিল । রাতের বেলা ছবিটা তুলেছি বিধায় কালারটা একেবারে পারফেক্ট হয়নি তবে অনেক ভালো হয়েছে । নিচের যে কালারটা দেখতে পাচ্ছেন সেটিও বেগুনি কালারের । তবে দুটো কালারের ভেতরে বেশ খানিকটা পার্থক্য রয়েছে । দেখতেই পারছেন ছবিতে দুটো কালারি দেখতে অনেক বেশি সুন্দর ছিল ।

এখন যে ফুলের কালার দেখতে পাচ্ছেন এটা হল লালের ভিতরে সাদা শেডের একটি ফুল । লাল রঙের ফুল দেখলে এমনিতেই মুগ্ধ হয়ে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করে । লাল কালার তো আমার অনেক বেশি পছন্দ । এজন্য লাল কালারের যে কোন জিনিস দেখলে সত্যিই খুব ভালো লাগে । এই ফুলটা যখন দেখেছি তখন আমার মনে হয়েছিল ফুলটা ছিঁড়ে নিয়ে আসি তবে আবার ভাবলাম যে ফুল গাছে মানায় । তারপরও ইচ্ছা করলে কি আর ফুল যখন তখন ছিঁড়ে নেয়া যায় শুধু শুধু দেখে মনটা ভরে নিলাম।

এখন যে কালারের ফুল দেখতে পাচ্ছেন এগুলো হলো পিঙ্ক কালারের ভিতরে হালকা সাদা সেড রয়েছে । এই ফুলের তিনটা ছবি আমি শেয়ার করেছি দেখতে পাচ্ছেন । একটা ফুলের কলি পুরোপুরি ফুটে গিয়েছে একটা ফুলের কলি এখনো কিছুটা বাকি রয়েছে । একটা পুরোপুরি ফোটে না আবার অন্যটা মাঝখানটা একেবারে ফাঁকা হয়ে গিয়েছে । তিনটা ফুলের ধরন তিন রকম দেখতে কিন্তু সত্যি অনেক সুন্দর লাগছিল কালারটা অনেক বেশি সুন্দর ছিল ।

এখানে আরও একটি লাল কালারের ফুল দেখা যাচ্ছে এই ফুলটা দেখতে পাচ্ছেন আগের ফুলটা থেকে একটু অন্যরকম । এই ফুলের ভেতরটা সম্পূর্ণ ফুটে গিয়েছে । মাঝখানটা কত সুন্দর ছোট ছোট পাঁপড়ি দিয়ে ভরে রয়েছে । অনেক বেশি সুন্দর দেখতে এবং কালারটা অসম্ভব সুন্দর । আর নিচের কালার ফুলটা একটি ভিন্ন । এটার ভেতরটা সম্পূর্ণটা ফুটে গিয়েছে দেখতে অন্যরকম লাগছে । এসব ফুল যদি পুরোপুরি না ফুটে ভেতরে একটু কলির ভাব থাকে তাহলে দেখতে বেশি ভালো লাগে ।

এখানে আরো একটি বেগুনি কালারের ফুল রয়েছে ।প্রত্যেকটা ফুলের কালার একেবারে কাছাকাছি একটা থেকে আর একটা কোন ভাবে আলাদা করার উপায় নেই তবে প্রত্যেকটা ফুলই কিন্তু আলাদা । আলাদা গাছে ফুটেছে এবং আলাদা কালার রয়েছে । একটু ভিন্নতা প্রত্যেকটা ফুলের ভিতর রয়েছে ।

এ ধরনের ফুলের গাছগুলো নিচে মাটিতে লাগলে সেই গাছে প্রচন্ড পরিমাণে ফুল ফোটে থাকে এবং দেখতে খুব ভালো লাগে । এগুলো যদি আমরা টবে লাগানোর চেষ্টা করি তবে হয়তো বা দুই একটা ফুল ফুটবে তারপর গাছটা কেমন যেন নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য যাদের পর্যাপ্ত পরিমাণে জায়গা রয়েছে তারা ইচ্ছা করলে সুন্দর একটি বাগান করে নিতে পারে ।দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে এবং বাগানটাকে একেবারে মনোমুগ্ধ করে রাখে এই একটা ফুলের সৌন্দর্য ।