মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে মজার মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব । যেকোনো ধরনের মজার খাবার দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি এই খাবারগুলো যখন কেউ শেয়ার করে সেগুলো খেতেও খুব মন চায় । এজন্য আজকে আমি সেরকমই কিছু মজাদার আইটেম নিয়ে আপনাদেরকে লোভ লাগাতে চলে এসেছি । এই সবগুলো খাবারই ঈদের সময় খেয়েছি খুব মজা করে । এই ধরনের খাবারগুলো কিন্তু সবার সামনে পরিবেশন করতেও খুব ভালো লাগে । আমি আবার যে কোন ধরনের খাবার খেতে খুব পছন্দ করি কেউ যদি এত সুন্দর করে পরিবেশন করে সামনের উপর সবসময় রেডি করে দেয় তাহলে তো খুব মজা করে খেতে পারি । কিন্তু নিজে যখন তৈরি করি তখন কিন্তু খুব কষ্ট হয় তারপরও তো মাঝেমধ্যে করতে হয় । অন্যের খাবারের ছবি দেখে যেমন আমি লোভ লাগাই খেতে পাই না আজকে তেমনি ভাবে আমার খাবার গুলো আপনারা দেখবেন লোভ লাগবে কিন্তু খেতে পারবেন না আর আমি মজা নিব ।
প্রথমে দুধের তৈরি একটি মজাদার খাবার দিয়ে শুরু করলাম ।এই খাবারটি হল মজাদার শাহী টুকরা । এটি ঈদের সময় সকালের নাস্তা হিসেবে পরিবেশন করলে কিন্তু জমে উঠে খেতেও কিন্তু খুবই মজা লাগে । পাউরুটি দিয়ে দুধে ডুবিয়ে এবং দুধের সর দিয়ে উপরে খুব মজা করে তৈরি করা হয় । খেতে কিন্তু খুবই ইয়ামি একটি খাবার ।
এরপর দেখতে পাচ্ছেন কাতল মাছ ও রুই মাছের ফ্রাই । বড় বড় কাতল মাছগুলো আমি ঈদের দিন তৈরি করেছিলাম । এই কাতল মাছ এভাবে করে ফ্রাই করলে পোলাও দিয়ে খেতে খুবই ভালো লাগে । পোলাও ছাড়াও আমার কাছে এমনি এমনি ভাজা মাছগুলো মুচমুচ করে খেতে কিন্তু সত্যিই খুব ভালো লাগে । আর নিচেরগুলো হলো রুই মাছের ফ্রাই । রুই মাছের ফ্রাইও কিন্তু একই রকম টেস্ট । এগুলো মুচমুচ করে খেতে সত্যি অসাধারণ লাগে । আমি তো প্রায়ই তৈরি করি আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে ।
এরপর আরেকটি মজাদার খাবার আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম । এগুলো হল হাঁসের রোস্ট । সবসময় মুরগির রোস্ট করে থাকি এবং খেয়ে থাকি । ঈদের দিন হাঁসের রোস্ট মুরগির রোস্ট দুই খাবারই আমি খেয়েছিলাম । হাঁসের এভাবে করে রোস্ট করলে সে মাংসটা খেতে কিন্তু সত্যিই অনেক মজাদার ।হাঁসের মাংস নরমালি রান্না করলে শুধু হাড্ডি দেখা যায় কিন্তু এভাবে যদি রোস্ট করে আপনারা খান তাহলে হাড্ডির পাশাপাশি মজার মাংস খেতে পারবেন । খেতে কিন্তু খুবই ভালো লাগে হাঁসের রোস্ট । আর নিচের ছবিটা হচ্ছে পোলাও ।এসব মজার মজার খাবারের সাথে পোলাও না হলে কি চলে নাকি বলেন । ঈদের দিনের মেইন আকর্ষণ হলো তো পোলাও ।পোলাও সামনে থাকলে যে কোন ধরনের মজাদার ঝাল খাবার দিয়ে খেয়ে ফেলা যায় । পোলাও খেতে আমি খুব পছন্দ করি । আমিতো দু তিন দিন একসাথে পোলাও কয়েক বেলায় খেয়ে ফেলতে পারি ।
উপরে এখন যে খাবারটি দেখতে পাচ্ছেন এগুলো হলো গাজরের হালুয়া । গাজরের হালুয়া খেতে কিন্তু সত্যি ভালো লাগে । আর একেবারে প্রচুর পরিমাণে ঘি দিয়ে যদি এই হালুয়াটা তৈরি করা যায় তাহলে অসাধারণ ফ্লেভারে সারা বাড়ি মৌ মৌ করে । এই হালুয়াটা ঘি দিয়ে পারফেক্ট ভাবে তৈরি করা হয়েছিল । এটা খেতে গিয়ে যে গাজরের হালুয়া সেটা আমি বুঝতেই পারেনি । গাজরের হালুয়া খেতে এতটা টেস্ট হবে সেটা আমার জানাই ছিল না । পাশের বাসার ভাবি এই খাবারটা তৈরি করেছিলেন । সত্যি অসাধারণ লেগেছিল আমার কাছে । কালার টা দেখে বুঝতে পারছেন কতটা টেস্টি হয়েছে ।
তারপর শেয়ার করলাম আমার পছন্দের দুধ সেমাই । দুধ সেমাই খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে । এই দুধ সেমাই পাশের বাসার ভাবি রান্না করেছিল । ভাবির হাতের দুধ সেমাই আমার কাছে সব সময় খেতে খুব ভালো লাগে । উনি অনেক বেশি পরিমাণে দুধ দিয়ে রান্না করেন । আমিও অনেক দুধ দেই তবে একেকজনের রান্না একেক রকম হয়ে থাকে । ভাবির দুধ সেমাইটা সত্যি অনেক মজাদার হয় ।
এটি আরো একটি মজাদার খাবার । এটি ময়দা দিয়ে তৈরি করে চিনির শিরায় ডুবিয়ে রাখা হয় । একেবারে ফুলে টুপটুপ হয়ে যায় খেতে কিন্তু সত্যি ভালো লাগে । এই পিঠার নাম আমি জানি না তবে এটি একটি মজার পিঠা ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
খুবই মজার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। আপনার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে জিভে জল চলে এলো। সবগুলো খাবারের ফটোগ্রাফি খুবই লোভনীয় ছিল। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। মজাদার শাহি টুকরা এর আগে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু ছিল। মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে ঐ ধরনের খাবার গুলো দেখলে খেতে ইচ্ছা করে অনেক লোভ লাগে।
অনেক লোভনীয় কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। মজার বিষয় হচ্ছে ঝাল রেসিপি আর মিষ্টি রেসিপি উভয় তুলে ধরেছেন এখন কোনটা রেখে কোনটা খাই সেটাই তো বুঝতে পারছি না হা হা হা।
একটাও খেতে দেবো না আপনাকে শুধু ছবি দিয়েছি দেখার জন্য ।
খুবই চমৎকার কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন আপু।প্রতিটা ফটো বেশ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।দুর্দান্ত হয়েছে প্রতিটা ফটো।খুবই নিখুঁতভাবে প্রতিটা ফটো উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু লোভনীয় কয়েকটি খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য।
আমার খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো আপু ।
আপনি তো দেখছি মজাদার এবং লোভনীয় সব খাবারের ফটোগ্রাফি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। যেগুলো দেখে আমার অনেক বেশি লোভ লেগে গিয়েছে। আপনার তোলা প্রত্যেকটা খাবার দেখে আমার তো জিভে জল চলে আসলো অলরেডি। দেখেই তো বোঝা যাচ্ছে অনেক মজাদার ছিল সবগুলো খাবার। ঈদের সময় কিন্তু অনেক মজার মজার খাবারের আয়োজন করেছিলেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এতো মজাদার খাবার গুলোর ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য। খুব ভালো লাগলো পুরো পোস্ট।
আমিতো লোভ লাগার জন্য দিয়েছি আপনাদের লোভ লেগেছে জেনে ভালো লাগছে।
আপনার তোলা সব কয়টি সুস্বাদু এবং লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আসলে এরকম খাবার গুলো খেতে যেমন সুস্বাদু লাগে ঠিক তেমনি স্বাস্থ্যসম্মত। সুস্বাদু খাবারের ফটোগ্রাফি শেয়ার করার পাশাপাশি প্রত্যেকটি খাবারের খুবই চমৎকার বর্ণন উপস্থাপন করেছেন। সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর একটি ফটোগ্রাফির পোস্ট আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ধন্যবাদ আপনাকে লোভ লেগেছে জেনে ভালো লাগলো ।
বেশ মজাদার কিছু খাবারের ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। খাবারগুলো সত্যি খুবই লোভনীয় ছিল। ভালো লাগলো বিভিন্ন রেসিপি একসাথে একটি অ্যালবামের মধ্যে দেখতে পেরে। প্রত্যেকটা খাবার সুস্বাদু ও মজাদার।
খাবারগুলো যেমন লোভনীয় ছিল খেতেও কিন্তু অনেক মজার ছিল ।
রুই বা কাতলা মাছের এইরকম ভাজি করা টুকরা দেখতে সত্যি লোভ লাগে। আমার অনেক পছন্দের। মুরগির রোস্ট অনেক খেয়েছি। কিন্তু সত্যি বলতে হাঁসের রোস্ট কখনো খাইনি। এটা আমার কাছে ইউনিক লেগেছে। গাজরের হালুয়া এবং দুধ সেমাই টা দেখে বেশ সুন্দর লাগছে। সবমিলিয়ে দারুণ করেছেন ফটোগ্রাফি গুলো। ধন্যবাদ আমাদের সাথে ফটোগ্রাফি গুলো শেয়ার করে নেওয়ার জন্য আপনাকে।।
খেতে কিন্তু অনেক মজাদার ছিল সব ধরনের খাবারই । অনেক মজা লেগেছে খেতে ।
এরকম সুন্দর খাবারের ফটোগ্রাফি দেখে লোভ সামলানোটা বেশ কষ্টকর। প্রতিটি খাবারের ফটোগ্রাফি বেশ চমৎকার হয়েছে আপু। বিশেষ করে কাতল মাছ আর রুই মাছের ফ্রাই আর দুধ সেমাই টা বেশ দারুন লেগেছে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আসলেই মজার খাবার দেখলে লোভ সামলানো যায় না । সবাই যখন লোভ দেয় তখন আমারও লোভ লাগে অনেক ।
খাবারের ফটোগ্রাফি গুলো দেখলে খেতে ইচ্ছে করে। লোভনীয় খাবারের ফটোগ্রাফি করেছেন। মুরগির রোস্ট অনেক বার খাওয়া হয়েছে। তবে কখনো হাঁসের রোস্ট খাওয়া হয়নি। অনেক ভালো লাগলো আপনার তোলা ফটোগ্রাফি গুলো দেখে ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
হাঁসের রোস্ট একবার খেয়ে দেখবেন খেতে কিন্তু ভালো লাগে অনেক ।