★মজাদার ডিমের কোরমা রেসিপি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আবার নতুন একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে ডিমের কোরমা রেসিপি শেয়ার করব। আমি ডিমের কোরমা অন্যের বাসায় অনেক খেয়েছি তবে নিজে কখনো তৈরি করে খাইনি। আজকে ভাবলাম যে সবাই যেহেতু এত সুন্দর করে তৈরি করে আমিও তৈরি করে দেখি কেমন লাগে। আবার কোরমা রান্না করতে গিয়ে দেখি বাসায় টক দৈ নাই তখন আর কি দই ছাড়াই রান্না করে ফেললাম। আমি এখানে টক-দইয়ের পরিবর্তে দুধ ও তেতুল ব্যবহার করেছি। খেতে এত বেশি টেস্টি হয়েছিল তা বলে বোঝাতে পারবো না। আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে প্রথমবার হিসেবে খুবই মজার কোরমা হয়েছিল।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
পেঁয়াজ
মরিচ
লবণ
তেল
মরিচের গুড়া
পেঁয়াজ বাটা
আদা বাটা
রসুন বাটা
ঘি
চিনি
তেঁতুল
আলুবুখারা
দুধ
কার্যপ্রণালী
প্রথমে ডিমগুলোকে সিদ্ধ করে ছিলে একটা বাটিতে নিয়ে নিয়েছি। তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে তেল দিয়ে দিয়েছি এবং তেলের ভিতরে একটু লবণ দিয়ে দিয়েছি। তারপরে ডিমগুলো তেলের ভিতর দিয়ে হালকা ভেজে নিয়ে একটা বাটিতে তুলে রেখেছি।
এরপর ওই তেলের ভিতরে কেটে রাখা পেঁয়াজ ও মরিচ দিয়ে দিয়েছি। পেঁয়াজ ও মরিচ একটু নরম হলে তার ভেতরে পেঁয়াজ বাটা, আটা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি। এরপর একটু মরিচের গুড়া দিয়ে মসলাটা ভালোমতো সবকিছুর সাথে মিশিয়ে নিয়েছি।
এরপর মসলাটাকে বেশ খানিকটা সময় নেড়েচেড়ে একেবারে কষিয়ে নিয়েছি। এরপর মসলার ভেতরে ডিম গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মিশিয়ে নিয়ে তার ভিতরে দুধ দিয়ে দিয়েছি। এখানে দুধ দিয়ে আমি কোরমা রান্না করবো।
দুধ দেওয়ার পরে একটা বলক আসলে তার ভিতরে আলু বোখারা ও তেতুল দিয়ে আরও একটু সময় রান্না করে নিয়েছি। তারপর এক চামচ পরিমাণ চিনি দিয়ে আর একটু জ্বাল করে নিয়েছি । এরপর একটু ঘি দিয়ে দিয়েছি।
এরপর আরো কিছু সময় জ্বাল করে যখন রান্নাটা একেবারে গ্রেভি হয়ে আসবে তখন চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি। রান্না হয়ে গিয়েছে তখন একটা বাটিতে দেখে গরম গরম পরিবেশন করেছি।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আপু আমি কখনো ডিমের কোরমা খাইনি। এবং তৈরিও করিনি। আপনার কাছ থেকে রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। তাই অবশ্যই একবার বাসায় ট্রাই করবো। আপু আমি আপনার মত এরকম করে যখন দেখি বাসায় টক দি নেই তখন লেবু আর দুধ দিয়ে টক দই বানিয়ে ফেলি। ধন্যবাদ আপু ডিমের কোরমার মজাদারের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপু ডিমের কোরমা আমি অনেক খেয়েছি তবে নিজে তৈরি করিনি কখনো। এইবার প্রথমবার তৈরি করলাম খেতে কিন্তু ভালোই হয়েছিল। আপনি একদিন ঝটপট তৈরি করে ফেলবেন ভালো লাগে খেতে পোলাও দিয়ে।
এভাবে ডিমের কোরমা রেসিপি রান্না করে কখনো খায়নি। তবে আপনার রেসিপিটি দেখে খেতে খুব ইচ্ছা করছে আপু। খুবই সুন্দরভাবে পর্যায়ক্রমে আপনি রেসিপিটি আমাদের সাথে বর্ণনা করেছেন। সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
একদিন আমার রেসিপিটি দেখে তৈরি করে দেখবেন ভালো লাগে খেতে বেশ। তেঁতুল দেওয়ার কারণে একটু অন্যরকম লাগে।
সেই অন্য রকম খাবারই তো প্রয়োজন আপু। আমার মন্তব্যের সুন্দর ফিডব্যাক দেয়ার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ডিমের কোরমা খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখতে অনেক লোভনীয় হয়েছে। রেসিপির কালার অনেক সুন্দর এসেছে। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
আসলেই আপু কালার টা অনেক সুন্দর এসেছিল এবং খেতে খুব মজা হয়েছিল।
ডিমের কোরমা আমার ছেলের খুব পছন্দ। তাই পোলাও রান্না করলেই ডিমের কোরমা রান্না করতে হয়।আর খেতে খুবই মজার হয় পোলাও এর সাথে।আপনি আজ প্রথম রান্না করলেন।দেখে তো বেশ লাগছে।রান্নার ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন। কালারটা খুব সুন্দর এসেছে।ধন্যবাদ আপু মজার এই ডিমের কোরমা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
পোলাওয়ের সাথে ডিমের কোরমা সত্যি অনেক ভালো লাগে। প্রথম বার রান্না করেছি আমি নিজে সবসময় অন্যেরটা খেয়েছি। নিজেরটা অনেক বেশি মজা লেগেছিল।
অন্যের বাসার গুলো তো সবসময় খেয়েছেন, এখন নিজের হাতে বানানো কোরমা যদি আমাদের না খাওয়ান তাহলে কেমনে হবে 😁😁।
ভাইয়া ডিমের কোরমা খাওয়ার দাওয়াত রইলো চলে আসেন।
আপু ডিমের কোরমা রেসিপিটি খেতে আমার কাছে বেশ লাগে। আমার বাসাতেও পোলাও রেসিপি তৈরি করলেই ডিমের কোরমা রেসিপিও তৈরি করা হয়। তবে কখনো এই রেসিপিতে তেতুল যোগ করে খাওয়া হয়নি। তেতুল যোগ করার কারণে হয়তোবা স্বাদের পরিমাণ অনেকটাই বেড়ে গেছে। ধন্যবাদ আপু, খুবই মজার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
তেতুল ও আলুবোখারা আমি নিজে থেকে এড করেছি পরে দেখলাম যে এড করাতে খেতে একটু ভিন্নরকম টেস্ট হয়েছে।খেতে সত্যিই অসাধারণ ছিল।
ডিমের কোরমা পোস্টের টাইটেল কি পড়তেই জিভে জল চলে আসলো।
এই রেসিপিটি আমার খুবই ফেভারিট প্রায় বাসায় প্রস্তুত করে খাওয়া হয়।।
আপনি প্রথমবারের মতো প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতে খুব মজা পাবেন নিশ্চয়।।
আজকে আপনার ফেভারিট খাবারের রেসিপি টা দিয়ে দিলাম আপনি দেখে দেখে লোভ নিতে থাকেন।
আপু এত মজা করে ডিমের কোরমা রান্না করলেন আর আমাকে একটু দাওয়াত করলেন না। বলেন তো মনে কেমন লাগে। এত কাছাকাছি থেকেও আমি এত সুন্দর রান্নাটি মিস করে নিলাম। রান্না দেখেই তো মনে হচ্ছে যে এক বসাতেই ২-৩টি ডিম খেয়ে নেওয়া যেত। যাক নাই বা দিলেন দাওয়াত। তবুও বলবো বেশ মজার ছিল আজকের রেসিপিটি।
মনে দুঃখ নিয়ে এখান থেকে দুই তিনটা ডিম নিয়ে নিজের মনে করে খেয়ে ফেলতে পারেন।
অনেক সময় বাড়িতে অনেক কিছু তৈরি করতে গেলে হাতের কাছে সব সময় সব জিনিস থাকে না। তারপরও এর মধ্য দিয়েই তৈরি করতে হয়। যদিও টক দই ছিল না তারপরও আপনি ডিমের কোরমা তৈরি করে ফেলেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে কতটা স্বাদ হয়েছে। দেখে কিন্তু ভীষণ ভালো লাগছে এবং খেতেও ইচ্ছে করছে আপু। খুবই সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
দেখতে যেমন ইয়াম্মি লাগছে খেতেও কিন্তু সত্যিই অনেক টেস্ট হয়েছিল।