আমার বাংলা ব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভালো আছেন আশা করছি। আমিও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভালোই আছি।
আজ আমি আপনাদের সামনে খুবই মজাদার একটি শাকের রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আর সেটি হল বইতা শাক রেসিপি। শাকটি আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে। অনেকদিন হলো এই শাকটি খাওয়া হয়না এটা শীতকালীন শাক শীতকালে ছাড়া এটা পাওয়া যায় না। শীতের ভিতর হঠাৎ করে একদিন দেখি আমার বাসায় আগে যে কাজের মেয়েটা কাজ করতো সে মেয়েটা অনেকদিন হল কাজ ছেড়ে বাড়ি চলে গিয়েছে। হঠাৎ করে এসে এসে উপস্থিত তখন দেখি ও ওদের বাড়ি থেকে বেশকিছু শাক নিয়ে এসেছে। আমি দেখে খুশি হয়ে গিয়েছিলাম অনেক দিন খাওয়া হয়না খাব বলে। তখন আমি কিছু চিংড়ি মাছ দিয়ে খুব মজা করে শাকটি রান্না করেছি। এখন সে মজাদার শাকটি আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করব।
প্রথমে আমি শাকগুলোকে ভালো করে বেছে কেটে ধুয়ে নিয়েছি। আমি সবসময় কেটে ধুয়ে নেই। তারপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে তার ভিতরে শাকগুলো দিয়ে দিয়েছি এবং তার ভেতরে কিছু কাটা পেঁয়াজ ও মরিচ দিয়েছি ও উপর দিয়ে লবণ দিয়ে দিয়েছি। |
তারপর কিছু সময় জাল করার পরে দেখবো শাকের ভেতর থেকে বেশ খানিকটা পানি বের হয়েছে, পানি শুকিয়ে আসা পর্যন্ত জ্বাল করতে থাকবো। এখানে আমি ঢাকনা দিয়ে ঢাকিনি ঢাকনা দিয়ে ঢাকলে শাকের কালার চেঞ্জ হয়ে যায়। |
তারপর চুলায় আরো একটি কড়াই বসিয়ে তার ভিতরে প্রয়োজন মত তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল কিছুটা গরম হয়ে আসলে তার ভিতরে কেটে রাখা রসুন কুচি দিয়ে দিয়েছি। রসুন কুচি বাদামি করে ভেজে তার ভেতরে চিংড়ি মাছ গুলো দিয়ে দিয়েছি ।চিংড়ি মাছ গুলো বেশ খানিকটা সময় নেড়েচেড়ে হালকা বাদামি করে ভেজে নিয়েছি। |
চিংড়ি মাছ গুলো বাদামি করে ভাজা হয়ে গেলে তার ভিতরে আগে থেকে সিদ্ধ করে রাখা শাক গুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে ভালোমতো চিংড়ি মাছের সাথে মিশিয়ে নিয়েছি ।তারপরে যতক্ষণ পর্যন্ত পানিটা পুরোপুরি শুকিয়ে না আসবে ততক্ষন পর্যন্ত রান্না করে নিয়েছে। আমার রান্না হয়ে গিয়েছে আমি চুলা বন্ধ করে দিয়েছি। |
এখন একটা বাটিতে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করেছি। খুবই মজাদার হয়েছিল কিন্তু শাকটি। এমনিতেই শাকটি খুবই মজা তারপরে আবার বেশি করে চিংড়ি মাছ দেয়ার কারণে আরো বেশি মজা হয়েছিল খেতে। |
আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
এই বইতাশাক খেতে খুবই সুস্বাদু। আপনার এই রেসিপিটি ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনি অনেক সুন্দরভাবে রান্নার প্রতিটি ধাপ তুলে ধরেছেন। আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। আপনার এই রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
অনেক ধন্যবাদ আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
এই শাকের নাম সবসময় শুনেই এসেছি। কিন্তু কখনো খাওয়া হয়নি। আপনি খুব সুন্দর ভাবে সম্পূর্ণ রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন। চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করলে যে কোন কিছুই খুব সুস্বাদু হয়। আপনাকে ধন্যবাদ আপু সুন্দর এবং লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
একবার খেয়ে দেখেন আপু ভালই লাগে খেতে এখন তো পাবেন না শীতকাল আসলে পেতে পারেন ধন্যবাদ।
খুব ইউনিক একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপনি। আপনার রেসিপি টা বেশ ভালো লেগেছে। বইতা শাক এর নাম আমি এর আগে আর কখনও শুনিনি। এই প্রথম আমি শুনলাম এবং রেসিপি টা দেখলাম। আপনার উপস্থাপনা ও বেশ ভালো ছিল। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
শোনাচ্ছেন হয়তো একেক জায়গায় একেক নামে পরিচিত আমরা ঢাকার মানুষ এটাকে বইতা শাক হিসেবে চিনি।
আপনি ঠিক বলেছেন হয়তো আপু। একেক এলাকায় একেক নাম থাকে।
যে কোন শাখের প্রতি ছোটবেলা থেকেই দুর্বল,আমার শাক খেতে খুবই ভালো লাগে ।আর যদি হয় চিংড়ি মাছ দিয়ে তাহলে তো কথাই নাই।রেসিপির ধাপ গুলো খুবই ভালো করে আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন ।ধন্যবাদ আপু
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
বাইতা শাক আমার কাছে খুবই ভালো লাগে খেতে। আপনার বাইতা শাক দেখে আমার জিভে জল চলে এসেছে। আপনি চিংড়ি মাছ দিয়ে রান্না করার কারণে আমি আর লোভ সামলাতে পারছিনা। কারণ চিংড়ি মাছ আমার খুবই প্রিয়। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন বাইতা শাক এর রেসিপি। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি রিসিপে আমাদের সকলের মাঝে ভাগ করে নেওয়ার জন্য।
এই শাক আমারও অনেক পছন্দ।ধন্যবাদ আপু।
এই শাকটা আমাদের দিকেও মাঠে পাওয়া যায়। চিংড়ি দিয়ে এই শাক কখনো খাইনি। চিংড়ি দিয়ে যেকোনো শাক অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। চিংড়ি দিয়ে শাকের রেসিপি টা দারুণ তৈরি করেছেন। দেখেই অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ধন্যবাদ
আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আবার যখন হয় তখন একবার খেয়ে দেখবেন খুবই মজা ধন্যবাদ আপনাকে।
বইতা শাক ছোটবেলায় খেয়েছি। গ্রামের সাথে অনেক পাওয়া যায়। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর করে বইতা শাক দিয়ে চিংড়ি মাছের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম চিংড়ি মাছের রেসিপি অনেক সুস্বাদু হয়ে থাকে। খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপের বর্ণনা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। এরকম সুন্দর একটি শাক ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
এ শাকগুলো গ্রামের দিকে পাওয়া যায় আর চিংড়ি দিয়ে করলে খুবই মজা লাগে খেতে ধন্যবাদ।
চিংড়ি দিয়ে বইতা শাক রেসিপি খুবই মজাদার রেসিপি আজকে আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। সত্যিই অসাধারণ। চিংড়ি মাছের রেসিপি গুলো খেতে খুবই মজা। আপনার উপস্থাপন খুবই ভাল হয়েছে। আমার অনেক ভালো লেগেছে রেসিপিটি। শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
চিংড়ি দিয়ে শাকের রেসিপি বা দেখতে অনেক লোভনীয় যাচ্ছে খেতে নিশ্চয়ই বাড়ি শুরু হয়েছিল শাক ভাজি আমারও খুব ফেভারেট দেখেই জিভে জল চলে আসলো
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।