আসসালামুআলাইকুম আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যরা কেমন আছেন ?আশা করি সবাই যার যার জায়গায় ভালো আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে বেশ আছি ।আজ আমি আপনাদের সামনে খুবই মজাদার একটি রেসিপি নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি ।এখন তো গাজরের সময় অল্প দামে পাওয়া যায় তাই আমি ভাবলাম যে এখনই উপযুক্ত সময় গাজরের পায়েস রান্না করে আপনাদের সাথে শেয়ার করার। অনেক দিন ধরেই ভাবছি গাজরের পায়েস রান্না করবো ।এটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে তাই আজ আমি গাজরের পায়েস রান্না করে চলে এসেছি আপনাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আশা করছি আমার আজকের রেসিপিটি আপনাদের পছন্দ হবে ।তাহলে চলুন কথা না বাড়িয়ে রান্না করতে চলে যায়।
)
- দুধ―২লিটার
- কনডেন্সড মিল্ক―১/২কৌটা
)
)
কার্য প্রক্রিয়া
)
| প্রথমে গাজরগুলো ভালো করে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি ।তারপর গ্রেটার দিয়ে গাজর গুলোকে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি। |
|---|
| সবগুলো গাজর কেটে নেওয়ার পর আমার আড়াই কাপের মতো গাজর হয়েছে। তারপর চুলায় একটি পাত্রে ২ লিটার দুধ দিয়েছি। |
|---|
| দুধে একটা বলক আসার পরে হাফ কাপ পরিমাণ দুধ একটা কাপে তুলে রেখেছি। |
|---|
| তুলে রাখা দুধটা একটু ঠাণ্ডা হলে তার ভিতরে ২ টেবিল চামচ চালের গুঁড়া ও ২ টেবিল চামচ গুঁড়া দুধ গুলিয়ে নিয়েছি ।তারপর অন্য একটি চুলায় কড়াই বসিয়ে তাতে দেড় টেবিল চামচ পরিমাণ ঘি দিয়ে দিয়েছি। |
|---|
| তারপর ওই ঘি এর ভিতর কাঠবাদাম ও চারটি এলাচ দিয়েছি ।একটু ভেজে নিয়েছি তারপর কেটে রাখা গাজরগুলো এ পর্যায়ে ঘি এর ভিতরে দিয়ে দিয়েছি। |
|---|
| গাজরগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে ভালোমতো ঘি এর সাথে মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর যতক্ষণ না গাজরের ভিতরের পানি টেনে গিয়ে গাজরগুলো ঝরঝরে না হয় ততক্ষণ পর্যন্ত গাজরগুলো ঘি এর সাথে ভেজে নিতে হবে। |
|---|
| এ পর্যায়ে দুধ যখন জাল হতে হতে একেবারে অর্ধেক হয়ে যাবে তখন সেই দুধের ভিতর আমি ভেজে রাখা গাজরগুলো দিয়ে দিয়েছি। |
|---|
| গাজরগুলো দিয়ে ৩,৪ মিনিট রান্না করে নিতে হবে এখানে আমার গাজরগুলো আগেই ভাজতে-ভাজতে অর্ধেক সিদ্ধ হয়ে গিয়েছে তাই বেশি সময় যাল দিতে হবে না ।তারপর ৩,৪ মিনিট পরে আমি হাফ কাপ পরিমাণ কনডেন্স মিল্ক দিয়ে দিয়েছি। এখানে আমি কোন চিনি ব্যবহার করব না আমি কনডেন্স মিল্ক দিয়েই রান্নাটা করবো। |
|---|
| কনডেন্সড মিল্ক দিয়ে আরও কয়েকটা বলক আসার পরে আমি গুলিয়ে রাখা চালের গুঁড়ো ও দুধ দিয়ে দিব। চালের গুঁড়ো এভাবে করে একটু গুলিয়ে দিলে খাবারটা একটু ঘন হয় দেখতেও ভালো লাগে খেতেও অনেক মজা লাগে। |
|---|
| এরপর আরো কিছুক্ষণ জ্বাল দেওয়ার পর আমার রান্নাটা পুরোপুরি হয়ে গিয়েছে আমি চুলাটা বন্ধ করে দিয়েছি। |
|---|
| আমি গাজরের পায়েসটা একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি। দেখুন কত সুন্দর দেখতে হয়েছে খেতেও কিন্তু অসাধারণ টেস্ট হয়েছিল। |
|---|
আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
| ফটোগ্রাফার | @tauhida |
|---|
| ডিভাইস | samsung galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
@tauhida
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।
গাজরের পায়েস তৈরীর রেসিপি দেখতে অনেক সুন্দর লাগতেছে । তাহলে বোঝা যাইতেছে খেতে অনেক মজা হবে । তাছাড়া রেসিপিটি এর ধাপ গুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন । এত সুন্দর একটি পেজ তৈরীর রেসিপি আমাদের সামনে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
হ্যাঁ ভাইয়া খাবারটি অনেক মজা হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
দারুণ মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। রেসিপিটি খেতে আসলেই খুবই ভালো লাগে। আর দেখতে অনেক মজা লাগছে, তবে কখনোই এভাবে গাজর দিয়ে পায়েস রান্না করে খাওয়া হয়নি, কিন্তু একবার ট্রাই করে দেখতে হবে কেননা আপনার রান্নাটা অনেক মজাদার লাগছে।
অবশ্যই একবার ট্রাই করে দেখবেন খাবারটা আসলেই অনেক মজাদার হয়েছিল অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
খুবই সুস্বাদু ও ইয়াম্মি একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু, যা দেখে লোভ লেগে গেলো। দেখেই বোঝা যাচ্ছে লোভনীয় একটি রেসিপি। গাজরের পায়েস যদিও কখনো খাওয়া হয়নি তবে আমার অনেক পছন্দ হয়েছে। অবশ্যই বাসায় আপনার ধাপ গুলো ফলো করে তৈরী করার চেষ্টা করব। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কখনো খাননি অবশ্যই একবার খেয়ে দেখবেন ভাইয়া খুবই মজাদার একটি খাবার। একবার খেলেই বুঝবেন কত টেস্টি।ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি গাজরের পায়েস তৈরি করেছেন দেখে তো আমার ভিশন খেতে ইচ্ছা করছে অনেক সুন্দর হয়েছে আমিও শিখে নিলাম বাসায় তৈরী করে খাবো এভাবেই এগিয়ে যান আপনার জন্য শুভকামনা রইল
আপনি শিখে ফেলেছেন অবশ্যই একবার ট্রাই করে দেখবেন খুবই মজাদার একটি খাবার আমার কাছেতো অনেক ভালো লাগে ধন্যবাদ।
গাজরের পায়েস তৈরি রেসিপি দারুন হয়েছে আপু। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আপনার রেসিপি তৈরির প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
হ্যাঁ আপু ভালই সুস্বাদু হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে।
গাজরের পায়েস আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আমিও পূর্বে তৈরি করেছিলাম। সত্যি অনেক ফ্লেভারফুল খেতে, খুবই সুস্বাদু হয়।আপনার রেসিপিটি দেখে আপু আজকে সত্যি খেতে ইচ্ছে করতেছে। অনেক সুন্দর করে আপনি উপস্থাপন করেছেন। আর একটি লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আমার কাছেও খাবারটি অনেক সুস্বাদু লাগে আপু ।অনেক ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
গাজরের পায়েস ওয়াও ।।
প্রথম দেখলাম এর আগে কখনো এরকম ভাবে প্রস্তুত করে খাওয়া হয়নি ।।তবে দেখে লোভ হচ্ছে খাওয়ার জন্য ।মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে 😋😋কালারটা দারুণ ফুটেছে রেসিপিটা আমার কাছে নতুন এবং ইউনিক মনে হয়েছে ।শুভেচ্ছা রইলো আপনার জন্য।।
ঠিকই বলেছেন ভাইয়া খাবারটা খুবই সুস্বাদু হয়েছিল একবার ট্রাই করে দেখবেন অনেক মজা ধন্যবাদ আপনাকে।
গাজরের হালুয়া খেয়েছি, তারসাথে গাজরের লাড্ডুও খেয়েছি৷ তবে এখনো গাজরের পায়েশ খাওয়া হয় নি। আপনার এই রেসিপিটি দেখে আমার খুব ভালো লাগলো, আর এই পায়েশ খাওয়ার ইচ্ছা জাগতেছে।যেভাবে রান্না করেছেন তা দেখে বোঝাই যাচ্ছে এটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
অনেক ধন্যবাদ একবার খেয়ে দেখবেন অনেক মজা।
অও,আপু এটি আমার কখনো খাওয়া হয় নি।আমি ঠিক জানি না এর স্বাদ কেমন, তবে দেখে বেশ মজার খেতে হবে মনে হচ্ছে।কালারটি বেশ লোভনীয় ও সুন্দর হয়েছে রেসিপিটা👌অবশ্যই আমি একদিন চেষ্টা করবো এটি তৈরি করার।ধন্যবাদ আপু।
কখনো খাননি আপু একবার অবশ্যই খেয়ে দেখবেন খুবই স্বাদ হয়েছিল ধন্যবাদ আপনাকে আপু।