উত্তরা ডিয়াবাড়ীতে ঘুরতে যাওয়ার অনুভূতি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব উত্তরা দিয়া বাড়িতে ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত । প্রায়ই অনেকের মুখে শুনি যে উত্তরা দিয়াবাড়ি নাকি ঘুরতে যাওয়ার জন্য সুন্দর একটি জায়গা। এজন্য অনেক দিন থেকে দিয়াবাড়িতে যাওয়ার খুব ইচ্ছা ছিল । আবার ছেলেকে নিয়ে যখন স্কুলে যায় তখন গার্ডিয়ানরা ধরেছিল যে চলেন উত্তরা দিয়া বাড়িতে গিয়ে ঘুরে আসি । সেখানে নাকি সুন্দর কাশফুল রয়েছে আর কাশফুলের ভেতরে ঘুরতে ভালোই লাগে । আবার সেখানে গিয়ে অনেকে সুন্দর সুন্দর ছবি পোস্ট করে ফেসবুকে সেগুলো দেখতে ভালো লাগে । এজন্য খুব ইচ্ছা ছিল যে একদিন যাব । আর সুযোগটা যখন হয়ে গেল তখন গিয়ে ঘুরে আসলাম । কিন্তু গিয়ে আমি একেবারে হতাশ হয়ে গিয়েছি । কারণ জায়গাটা আমার কাছে একটুও ভালো লাগেনি ।
আমরা ওখানে যাওয়ার জন্য আগের দিন প্ল্যান করে রেখেছিলাম যে আমরা দুপুরের পরপরই রওনা দিব । তবে বাসা থেকে বের হতে হতে বেশ খানিকটা দেরি হয়ে গিয়েছে ।কারণ সবাই মিলে বের হতে সময় লেগেছিল । আর আমরা মেট্রোরেলে করে সেখানে যাব আর এজন্য বাসা থেকে মেট্রোরেল স্টেশন পৌঁছাতে বেশ খানিক সময় নিয়ে নিয়েছিল কারণ রাস্তায় প্রচন্ড পরিমাণে জ্যাম ছিল । যার কারণে স্টেশন পর্যন্ত যেতে যেতেই আমাদের সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল এবং আমরা যেখান থেকে ট্রেনে উঠেছিলাম সেখান থেকে উত্তরা একেবারে শেষ মাথা । সেখান থেকে আবার একটা অটো নিয়ে আমাদেরকে যেতে হয়েছে ।
আমরা যেতে যেতে প্রায় সন্ধ্যা পার হয়ে গিয়েছিল । সন্ধ্যার পরে যতটুকু দেখেছি সেইটুকুতে মনে হয়েছে যে এত দূরে কষ্ট করে আসাটাই বৃথা হয়েছে । সেখানে দেখার মতো আমি কিছুই খুঁজে পাইনি । কাশফুল হয়তোবা ছিল ভেতরের দিকে গেলে পাওয়া যেত তবে খুব একটা কাশফুল এখন না থাকার সম্ভাবনাই তাই আর ভেতর দিকে রাতের বেলা ঢুকিনি । আমরা অনেক জন মিলে গিয়েছিলাম । দিয়া বাড়িতে ঢুকতেই গেটের সামনে দেখলাম যে একটা লোক বেলুন নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে এবং সেগুলোকে গুলি করে ফাটানো হচ্ছে । সেটা দেখে আমার ছেলে ধরেছে সেগুলি করবে । সেখানে দাঁড়িয়ে কিছু বেলুন আমরা ফাটিয়েছিলাম ।
তারপর সেখানে একটা লেক রয়েছে সে লেকের পাড়ে দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ছবিও তুলে নিলাম । সেখানে খাবার জন্য কিছু দোকানপাট রয়েছে কিন্তু এই এলাকা আমার কাছে একটুও ভালো লাগেনি যার কারণে সেখানে বসে খাওয়াটাও আমার আমার ইচ্ছাই করেনি । সেখান থেকে ফেরার পথে একটা মেলার মত বসেছে সেখানে দেখলাম যে বেশ কিছু খাবারের দোকান তারা করেছে সেখানে বসে আমরা কিছু খাবার খেয়েছি । যদিও সেই জায়গাটাও তেমন একটা স্বাস্থ্যসম্মত লাগেনি তারপরও আমরা খেয়েছি । আবার মাটির ভারে করে চাও খেয়েছি । মাটির ভারে করে অনেকদিন চা খাওয়ার ইচ্ছা ছিল সে সুযোগটা হয়ে গেল আর খেয়ে নিলাম । কিন্তু চাটাও খুব একটা সুস্বাদু লাগেনি । তারপরও সবকিছু মিলিয়ে সবাই মিলে একসাথে ঘুরাফেরা করেছি এটাই ভালো লেগেছে । বিশেষ করে মেট্রোরেলে প্রথম চরে নিয়েছি সেটাই নতুন একটা অভিজ্ঞতা হলো এবং সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছি সেই আনন্দটা হল ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
আপু উত্তরা দিয়াবাড়ি সম্পর্কে এতদিন যা জেনেছি সেদিন যাওয়ার পরে আমাদের সম্পূর্ণ ধারণাই মিথ্যে হয়ে গিয়েছিল। আমার মনে হয় আমরা ভুল দিয়া বাড়ির জায়গাটায় গিয়েছি। অন্য জায়গায় হয়তো সুন্দর হবে। যাই হোক সেদিনকের অভিজ্ঞতা খুবই খারাপ ছিল। কিন্তু সবাই মিলে ঘুরতে গিয়েছিলাম যার কারণে বেশ ভালোই সময় উপভোগ করেছিলাম ।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সেই মুহূর্তগুলো মনে করিয়ে দেবার জন্য।
ঢাকার ভিতরে দিয়াবাড়ি একটাই এই জায়গাটা এরকমই ।কাশফুলের এলাকায় যেতে পারলে হয়তো একটু ভালো লাগতো কিন্তু এখন তো কাশফুল নাই ।