আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । নতুন নতুন রেসিপি পোস্ট করতে ভালো লাগে সব সময় এজন্য আমি সব সময় মজার মজার রেসিপি নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হই । একটা সময় অনেক বেশি পরিমাণে রেসিপি পোস্ট করেছি । এখন একটু ঘুরিয়ে ফিরিয়ে পোস্টগুলো করা হয় পোস্টের ভিন্নতা আনার জন্য ।আজকে আমি শীতের সবজি দিয়ে সামুদ্রিক কাইক্কা মাছের ঝোল রান্না করেছি সেটা খেতে খুবই টেস্টি হয়েছিল । কারণ শীতে সবজি এমনিতেই খেতে মজা লাগে বিশেষ করে ফুলকপিটা । আর এই মজার মাছটি এভাবে মজা করে রান্না করে খেতে আসলেই ভালো লেগেছিল ।

প্রথমে মাছ ও সবজি গুলো ভালো করে কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি । তারপর চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভিতরে তেল দিয়ে দিয়েছি । তেল হালকা গরম হলে তার ভিতরে কাটা পেঁয়াজ ও মরিচ দিয়ে দিয়েছে । পেঁয়াজ ও মরিচ হালকা নরম করে ভেজে তার ভিতর সব বাটা মশলা ও গুড়া মসলা গুলো দিয়ে দিয়েছি ।

মসলাগুলো দিয়ে সবকিছু ভালো করে নেড়ে চেড়ে মিশিয়ে নিয়ে বেশ খানিকটা সময় কষিয়ে নিয়েছি । এরপর পানি দিয়ে আবার আর একটু সময় মসলাটাকে কষিয়ে নিয়েছি । মসলাটা কষানোর উপরে খাবারের টেস্টটা নির্ভর করে । এরপর মসলা সুন্দরভাবে কষানো হয়ে গেলে উপর দিয়ে তেল ভেসে উঠলে তার ভেতরে মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি ।

এরপর মাছগুলো দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে সামান্য একটু পানি দিয়ে আবার ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি মাছগুলো কষানোর জন্য । এরপর মাছ কষানো হয়ে গেলে ঢাকনা খুলে একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি । তারপর ওই মসলার ভেতরে সবজিগুলো দিয়ে নেড়ে চেড়ে আরো একটু পানি দিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি সবজিগুলো সুন্দরভাবে সিদ্ধ হওয়ার জন্য ।

কিছুক্ষণ পরে ঢাকনা খুলে দেখবে যে সবজিগুলো সুন্দরভাবে সিদ্ধ হয়ে নরম হয়ে এসেছে । তারপর তার ভিতরে মাছগুলো দিয়ে হালকা হাতে নেড়ে চেড়ে আবার মাছ রান্নার জন্য পানি দিয়ে দিয়েছি । আমি সবসময় একটু বেশি পরিমাণে কারণ আমি একটু ঝোল রাখি । এরপর ঢাকনা খুলে দেখবে যে পানিটা অনেকটাই শুকিয়ে এসেছে সে ক্ষেত্রে উপর দিয়ে ধনিয়া পাতা ও জিরার গুঁড়া দিয়ে দিয়েছি ।

এরপর ধনিয়া পাতা দিয়ে আরো একটু সময় জ্বাল করে নিয়েছি । তারপর রান্নাটা হয়ে গেলে চুলা বন্ধ করে দিয়েছি । এরপর বাটিতে ঢেলে গরম গরম পরিবেশন করেছি ।