★কান কথা নাটকের রিভিউ★10%shy-fox
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
আজকে আমি একটি বাংলা নাটকের রিভিউ করতে যাচ্ছি ।আর নাটকটির নাম হল কান কথা। এই নাটকে অভিনয় করেছে জিয়াউল ফারুক অপূর্ব ও তাসনিয়া ফারিয়া। অপূর্বর নাটক আমার কাছে খুব ভালো লাগে ।আমি অপূর্বর একটা নাটকও আগে মিস করতাম না এই প্রথম আমি কোন নাটকের রিভিউ করতে যাচ্ছি, জানিনা কতটুকু করতে পারব তারপরও চেষ্টা করছি। স্টিমিট এ কাজ করার আগে আমি অনেক নাটক দেখতাম বেশ কিছুদিন হল কোন নাটক দেখা হয়না। আগেতো ঈদের নাটক একটাও আমি মিস দিতাম না প্রত্যেকটা নাটক দেখতাম ,টিভিতে মিস হয়ে গেলেও সেগুলো ইউটিউব এ একটা একটা করে দেখতা।ম বেশ কিছুদিন হল কোন নাটক দেখা হয় না তাই আমি ভাবছি একটু বিনোদনও দরকার আছে। তাই মাঝে মাঝে কিছু নাটক দেখার চেষ্টা করছি। আজ আমি কানকথা নাটকটি ইউটিউবে দেখেছি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। নাটকটি এখন আপনাদের সামনে তুলে ধরছি।
নাটকের কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্যাবলীঃ
নাটকের নাম | কান কথা |
---|---|
পরিচালক | মো:মেহেদী হাসান জনি |
গল্প | রেদওয়ান রিয়াদ |
অভিনয় | জিয়াউল ফারুক অপর্ব,তাসনিয়া ফারিন |
দৈর্ঘ্য | ৪২ মিনিট। |
ভাষা | বাংলা। |
মুক্তির তারিখ | ০৬.০৫.২০২২ইং। |
মূল কাহিনী
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
নাটকটির শুরুতে দেখে যায় যে তাসনিম ফারিনের আজকে বিয়ে সে ড্রেসিন টেবিলের সামনে বসে খুব সেজেছে, শুধু দেখছে তার ঠিক আছে কিনা আর বলছে যে এখানে একটু কম হয়ে গেল এখানে একটু কম হয়ে গেল ।পাশে তার বান্ধবী ও তার ছোট বোন দাড়িয়ে আছে তারা বলছে যে তোমার সব সাজ ঠিক আছে। বাসায় বিয়ে এর থেকে বেশি সাজলে ভালো লাগে না বাসায় বিয়ের জন্য এটাই পারফেক্ট সাজ ।এর ভেতরে ওর মা এসে তাদেরকে তারা দিয়ে যায় তখন ফারিন বলে যে মা তুমি এত তাড়াহুড়া করছো কেন ছেলেরা তো এখনো এসে পৌঁছায়নি। বিয়ের ক্ষেত্রে বরযাত্রীরা সবসময় একটু দেরি করে আসে। তারপর ওর মা বলল তারাতারি করো বলে চলে গেল। ফারিন রেডি হয়ে বসে আছে এর ভিতর ফারিনের এক মামী এসে বলে যে তুমি রেডী হয়ে গেছো কি সুন্দর লাগছে মাশাআল্লাহ ।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
আমাদের মেয়ে একটা লক্ষী মেয়ে। তখন জিজ্ঞাসা করে তুমি কি বরের ছবি দেখেছে মেয়ে বলে যে না আমি বরের ছবি দেখি নি তখন মামী বলে যে বরের ছবি না দেখে রাজি হয়েছ ।আমাদের এত সুন্দর মেয়ে উল্টাপাল্টা কিছু হয়ে যায় বুঝ কিন্তু।মামী একটু বেশি কথা বলে সবাই জানে। মামী তখন গয়নাগাটি নিয়ে কথা বলে যে এগুলো শোনার না এমিটেশন ।তখন ওরা বলে যে এগুলো ইমিটেশনের গয়না আমরাই ওদেরকে ইমিটেশনের গয়না দিতে বলেছি। ওরা বুঝতে পারে যে মামি অনেক বেশি কথা বলছে। তখন মামী কিছু সেলফি তুলে চলে যায়। এদিকে বাড়িতে রান্নার সব আয়োজন চলছে। তারপর অপূর্বদের বাড়িতে দেখা গেল অপূর্বর বাবা সোফায় বসে আছে। অপূর্ব বাবাকে দেখে পালিয়ে যেতে চাচ্ছে। তখন ওর বাবা ওকে দেখে বলে তুই এখনো রেডি হসনি ওদের বাড়ি থেকে বার বার আমাকে ফোন দিয়ে পাগল করে ফেলছে তখন অপূর্ব বাবার দিকে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকে । অপূর্বর ছোট চাচা আসে অপূর্বর বাবা বলে দেখো এখনো রেডি হয়নি বাড়ি থেকে বারবার ফোন দিচ্ছে তখন এটা বলে অপূর্বর বাবা চলে যায় ।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
তখন অপূর্ব চাচা অপূর্বকে রেডি হতে বলে । তখন বলে আমি এখন বিয়ে করতে চাচ্ছি না কেন তোমরা আমাকে জোর জবরদস্তি করে বিয়ে দিচ্ছ। আমি মাত্র চাকরীতে ঢুকেছি নিজের টাকায় বিয়ে করবো ভেবেছি এখন বাবার টাকায় বিয়ে করতে হচ্ছে, সবাই বলবে যে বাবার টাকায় বিয়ে করছে লোকে কথা শোনাবে। তখন অপূর্বর চাচা বলে কে বলেছে তুই তোর বাবার টাকায় বিয়ে করছিস তুই এখন তোর বাবার টাকায় বিয়ে কর পরে তখন টাকা দিয়ে দিস। তখন অপূর্ব আর ওর চাচার ভিতরে কিছু কথা হয় অপূর্বর চাচা বলে মেয়েটা খুব ভালো। মেয়েটির ছবি না দেখে বিয়েতে রাজি হয়েছিস মেয়েটিও তোর ছবি না দেখে বিয়েতে রাজি হয়েছে। তখন অপূর্ব বাধ্য হয়ে রেডি হতে চলে যায়। এর ভিতর মেয়েদের বাড়িতে মেয়ের মামা আর বাবা খুব তাড়াহুড়ো করছিল যে বরযাত্রী চলে আসবে ঠিক সেই মুহূর্তে অপূর্বদের বাড়ি থেকে ফোন করে অপূর্ব মামা চলে যায় আর বাবা তখন ফোন ধরে অপূর্বর বাবা বলেছে আমরা এখন রওনা দিচ্ছি।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
তখন মেয়ের বাবা বলে ওরা রওনা দিয়েছে এখুনি চলে আসবে । এর ভিতর বরযাত্রীরা গাড়ি নিয়ে বেরিয়ে পড়েছে। ওরা প্রায় বাড়ির কাছাকাছি চলে এসেছে ফারিনদের বাড়ির সব ছেলেমেয়েরা দাঁড়িয়েছে গেটে। অপূর্বরা গেট দিয়ে ঢুকতে চায় ওরা বাধা দেয় ।তখন ছেলেপক্ষ বলে যে কেন আমাদেরকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না তখন মেয়েপক্ষ বলে যে আমাদের কিছু দাবি দাওয়া আছে সেগুলো পূরণ করলে আমরা ঢুকতে দেবো। ছেলের বোন বলে আপনাদের সাথে তো আমাদের কোনো দেনাপাওনা নেই তখন মেয়েপক্ষ বলে যে অনেক আগে থেকে আপনাদের সাথে দেনা পাওনা আছে সে দেনাপাওনা ক্লিয়ার না করলে আমরা ঢুকতে দেবো না। তখন ওরা বলে যে আপনাদের কত দিতে হবে , তখন ওরা ২০ হাজার টাকা দাবি করে।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
তখন অপূর্ব ফিরে চলে যেতে চায় তখন অপূর্বর বন্ধু আবার ডেকে নিয়ে আসে তখন ওরা একটি খাম দেয় এবং বলে যে এইখানে যা আছে আপনারা খুশি হয়ে যাবেন । পড়ে ওইখাম রেখে গেট ছেড়ে দেয় সবাই ভেতরে ঢুকে। ফারিনের ছোটবোন অপূর্বর সাথে কথা বলে অপূর্বর বন্ধুদের সাথে কিছুক্ষণ হাসি-ঠাট্টা করে তারপর বলে যে আমি হলাম একমাত্র শালি আমাকে খুশি রাখতে পারলে সব কিছু হবে। তখন অপূর্ব একটা খাম বের করে শালির হাতে দিয়ে বলে যে এটা হল জুতা আর হাত ধোয়ার বকশিশ আগে থেকে তোমাকে খুশি করে রাখলাম তুমি ব্যাপারটা দেখো। তখন বলে যে আমার দুলাভাই পছন্দ হয়েছে ।বলে ও ভিতরে চলে যায় ।তখন ফাইন কে যেয়ে বলে যে দুলাভাই দেখতে খুব হ্যান্ডসাম শুধু একটু গোঁফ আছে।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
তখন মামী এসে বলে যে ছেলের সাথে মেয়ে মানাবে হয় ছেলের বয়স বেশি এজন্য ওর বিয়ে বিয়ে হয়নি। ছেলের বয়স একটু বেশি তখন একটু টেনশনে পড়ে যায় মেয়েটা।তখন ওর মস আসে ফারিন বলে যে মা ছেলের বয়স একটু বেশি তোমরা আমার কাছে লুকিয়েছো। তখন মা বলে কোথায় বয়স বেশি একটু গোঁফ আছে তাই একটু বয়স লাগে। তখন ফারিন বলে বোঝ কিন্তু কোনো ঝামেলা হলে তোমাদের ঘাড়ে এসে পরবো। তারপরে হরিণের মা চলে গেলে ফরেন ফারিনের বোন কান্না করে দেয় যে আপু তুমি চলে গেলে আমি কার সাথে থাকবো একা হয়ে যাব ।ফারিন তখন বলে যে তুই একা হয়ে জাবি মানে তুই যখন তখন আমাদের বাড়িতে চলে আসবি ।তখন বোন বলে যে তখন তো দুলাভাই থাকবে তখন ফারিন হেসে দিয়ে বলে যে দুলাভাইকে বের করে দিয়ে আমরা দুজন থাকবো। তারপর ব ছোট বোন খুশি হয়ে দুলাভাইয়ের কাছে দিয়ে কিছু সেলফি তোলে।এর ভিতরে দুলাভাইয়ের ছোট ভাই ছোট বোনের দিকে তাকিয়ে চোখ মারে তখন তার ছোট ভাইয়ের কাছে গিয়ে বলে যে এখন কাছে এসেছি এখন চোখ মারেনতো তখন ওরা দুজন কতক্ষণ হাসি ঠাট্টা করে ।এর ভিতর অপূর্বর বোন ও বন্ধুরা সবাই যায় মেয়ে দেখতে ওরা মেয়ে দেখে পছন্দ হয় ।তখন অপূর্বর বোন নতুন ভাবির সাথে সবাইকে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং সবাই সাথে সাথে একটি সেলফি তুলে নেয়।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
তখন অপূর্বর ভাই ছবিগুলো নিয়ে অপূর্বকে দেখায় অপূর্ব ছবি দেখে মুচকি একটা হাসি দেয়। ভিতরে ফারিনের বাবা-মা ও অপূর্ব বাবা চাচারা বসে গল্প করতে থাকে।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
অপূর্ব ভাই ও ফারিনের বোন দুজনে মিলে কথা বলছিল অপূর্বর ভাই বোনের কয়েকটি ছবি তুলেছো সেই ছবিগুলো ডিলিট করতে বলছিল। ভিতরে ফারিনের মামী এসে ওর ছোট বোনকে ডেকে নিয়ে যায় তখন বলে যে সর্বনাশ হয়ে গিয়েছে ছেলের তো আগে একটি বিয়ে হয়েছিল ডিভোর্স হয়ে গেছে।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
এই কথা শোনার সাথে সাথে মেয়েটা চিন্তায় পড়েছে দৌড়ে গিয়ে ওর মামাকে বলে। তখন ওর মামা শুনে ফারিনের মাকে বলে ।ফারিনের মা শুনে চিন্তিত হয়ে ওর বাবাকে সবকিছু বলে ওর বাবা তখন চিন্তায় পড়ে যায় ।এর ভিতর ফারিনের ছোট বোন যেয়ে ফারিনকে সবকিছু খুলে বলে ও শুনে ওর চেহারাটা চেঞ্জ হয়ে যায়।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
ওর বোনের কানে কানে কি যেন বলে। এর ভিতর ফারিনের বাবা-মামা অপূর্বর বাবা চাচার সাথে কথা বলে যে আমরা আপনার ছেলের সাথে আমাদের মেয়ে বিয়ে দিব না। তখন ওরা বলে যে এটা কি মগের মুল্লুক নাকি আপনারা ছেলেপক্ষ ডেকে নিয়ে এসে এখন বিয়ে দিবেন না। আমাদের ছেলের কী সমস্যা আপনাদের মেয়েটিকে কি ঘরের খুঁটি বানিয়ে রাখবেন। এই নিয়ে দুই পক্ষের তর্কাতর্কি লেগে যায়।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
তখন দুই পক্ষ ঠিক করে বোধে কথা বলার জন্য। এদিকে অপূর্ব ভেতর থেকে সব কথাগুলো শুনতে পায়। ওর বন্ধু তখন ওর কাছে আসলে বলে যে কি হয়েছে সবাই কেন চিৎকার করছে ।তখন বন্ধু অপূর্বকে বলে তুই থাক আমি দেখে আসছি ।তখন অপূর্ব বলে ওখানে যেয়ে ফোন দে আমি ফোনে সব কথা শুনব। অপূর্ব সব কথা শুনতে থাকে ছেলেপক্ষকে শর্ত দেয় যে ৫০ লক্ষ টাকা দেনমোহর দিতে হবে ।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
তখন ছেলের বাবা ওর চাচাকে বলে আমাদের ছেলের বয়স হয়ে গিয়েছে বিয়ে দিতে হবে তাই ওরা শবকিছুতেই রাজি হয়। যেটাই বলি রাজি হয় দেখে মেয়ের মামা বলে যে ওদের অবশ্যই কোন সমস্যা আছে শর্ত আরো বাড়িয়ে দেওয়া হোক। তখন ওরা ২০ ভরি গহনা দেওয়ার কথা বলে ছেলেপক্ষ সেটাতেও রাজি হয় ।তখন ওরা আরো টেনশনে পড়ে যায় তখন ওরা আরও কিছু শর্ত দেয় যে মেয়ে ইচ্ছা মত চলাফেরা করতে পারবে মেয়ে বাড়ির কোন কাজ করতে পারবে না সব শর্তে রাজি হয়ে যায় তারপরও ওরা বিয়ে দিবে না বলে। এদিকে অপূর্ব ভেতর থেকে সব কথা শুনে বাহিরে বের হয়ে আসে।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
এবং বলে যে আপনারা কেন এমন করছেন আমাদের সাথে। আমার ফ্যামিলির লোকজন সব কথা মেনে নিচ্ছে আপনারা তারপরও রাজি হচ্ছেন না আমাদের প্রবলেমটা কোথায় ।তখন মেয়ের বাবা বলে যে তোমাদের প্রবলেম হলো তোমার আগে বিয়ে হয়েছিল ডিভোর্স হয়ে গেছে। কথা শুনে অপূর্ব যেন আকাশ থেকে পড়ে। তখন অপূর্ব বলে যে আমরা আপনার মেয়ে বিয়ে দেবেন না ঠিক আছে কিন্তু মিথ্যা অপবাদ নিয়ে আমরা এখান থেকে যাব না। একথা আপনারা কার কাছ থেকে শুনেছেন তখন ফারিন এর বাবা ফারিনের মাকে দেখিয়ে বলে যে সে বলেছে তখন ফারিন এর মা বলে যে ফারিনের মামা আমাকে বলেছে মামা বলে যে ফারিন এর ছোট বোন আমাকে বলেছে ছোট বোন বলে যে মামী আমাকে বলেছে এবং মামি আমাকে বলেছে যে কথা 100% সত্য ।তখন মামিকে ধরা হলে মামী ভয়ে কাঁপতে থাকে এবং মামি বলে যে ছেলের গোঁফ আছে আমার ছেলেকে দেখে মনে হয়েছে ছেলের বয়স বেশি আমার পছন্দ হয়নি এজন্য আমি মিথ্যা বলেছি। তখন সবাই তাকাতাকি করে এবং মেয়ে পক্ষের সামনে সব কিছু ক্লিয়ার হয়ে যায় তখন মেয়েপক্ষ লজ্জায় মাথা নত করে এর ভিতরে ফারিন চলে আসে।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
তখন অপূর্ব ফারিনকে বলে সবাইতো সব কিছু বলল এখন আপনি কিছু বলুন। তখন ফারিন হাতজোড় কে বলেছে আমি আপনাদের কাছে ক্ষমা চাচ্ছি আমি আপনাদেরকে ভুল বুঝেছিলাম। তারপর অপূর্ব ফারিনকে বলে যাক শেষমেষ আপনি আপনার ভুল বুঝতে পেরেছেন এটাই বড় কথা। তখন মেয়ে পক্ষ ক্ষমা চায়।ফারিনকে বাবা বলে যে এই বিয়েটা কি হচ্ছে কিনা অপূর্ব কিছু সময় চুপ করে থাকে তারপর মাথায় পাগড়ি পড়ে বলে যে বিয়েটা হচ্ছে তবে একটা শর্ত আছে শর্তটা আছে সর্তটা হলো যে আমার গোঁফ নিয়ে যেন কেউ কোন কথা না বলে।
ছবিঃ ইউটিউব থেকে স্ক্রিনশট এর মাধ্যমে নেওয়া হয়েছে।
আমার গোঁফ কাটার কথা কেউ যেন না বলে। তখন সবাই হেসে ফেলে এবং ফারিন ওর দিকে তাকিয়ে আস্তে করে বলে যে আপনার গোফই আমার বেশি ভাল লাগে। এখানেই নাটকটা শেষ হয়ে যায়।
শিক্ষা
এই নাটকটি থেকে আমি শিক্ষা নিলাম যে কখনো অন্যের কথায় কান দেওয়া যাবে না। অন্যের কথায় কান না দিয়ে নিজে যেটা দেখেছেন চোখের উপর সেটাই বিশ্বাস করুন। অন্যের কথায় কান দিলে সমস্যা ছাড়া ভাল কিছু হবে না ।তাই কখনো কারো শোনা কথায় কান দিবেন না।
ব্যক্তিগত মতামত
নাটকটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে ।নাটকটি ফ্যামিলির সবাইকে নিয়ে একসাথে বসে দেখার মতো একটি নাটক। নাটকটিতে একটি বিয়ে নিয়ে কি কি কথা হয় সেটি এখানে তুলে ধরা হয়েছে।
ব্যক্তিগত রেটিং
নাটকটিকে আমি ৯ /১০ দিচ্ছি।
খুবই সুন্দর একটি নাটকের রিভিউ আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। নাটকটি আমি কয়েকদিন আগে দেখেছিলাম অনেক ভালো লেগেছে আমার কাছে। আসলে শুধু নাটকের ক্ষেত্রে নয় বাস্তব জীবনেও আমাদের অন্যের কথা শুনে চলা উচিত নয়। এই ধরনের কানকথার কারণে সমাজে বিশৃংখলা সৃষ্টি হয়।
নাটকটি আমার কাছেও অনেক ভালো লেগেছে। ঠিকই বলেছেন কোন ক্ষেত্রে অন্যের কথায় কান দেওয়া ঠিক না নিজে যেটা ভালো বুঝি সেটাই করা উচিত ধন্যবাদ আপনাকে।
কান কথা নাটকের রিভিউ চমৎকার ভাবে উপস্থাপনা করেছেন। আমি নাটকটি দেখবো চমৎকার একটি নাটক। অনেক সুন্দর করে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকুন।
দেখেন ভাইয়া নাটকটি ভালোই আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে।
এই নাটকটা আজ পর্যন্ত আমার দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউ দেখে বুঝতে পারলাম খুবই আনন্দ এর মাধ্যমে শিক্ষণীয় একটি নাটক। অবশ্য আপনি শিক্ষণীয় বিষয় টা তুলে ধরেছেন সব মিলিয়ে বললো খুবই ভালো লেগেছে আমার।
এ নাটকটি নতুন নাটক এবারের ঈদে দেখানো হয়েছে ।এই নাটক থেকে বোঝা গেল যে কখনো কারো কান কথায় কান দেয়া ঠিক না ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি নাটকের রিভিউ পড়ে খুবই ভালো লাগলো। এখানে মামির চরিত্রন আমাদের সমাজে অহরহ আছে ।বিয়ে ভাঙ্গার জন্য এইরকম এখন আমি যথেষ্ট। আমরাও খুব খুব সহজে কোনকিছু যাচাই-বাছাই না করে কিছু কথা বিশ্বাস করি এবং সমস্যার সৃষ্টি করে ফেলে দেই। চিল কান নিয়ে গেছে বলে চিল এর পেছনে ছুটি কিন্তু কান গেছে কিনা সেটা আগে দেখিনা। আপনার রিভিউ পড়ে কিছু অনেক কিছু শিখতে পারলাম। এত সুন্দর ভাবে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে নাটকটি রিভিউ করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
ঠিকই বলেছেন আপু এই ধরনের মামীরা সব সময় সুযোগ খোঁজে যে কখন কি করা যায় এ ধরনের মামীরা সব জায়গায় আছে। অনেক ধন্যবাদ আপু কষ্ট করে আমার পোষ্টটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য দেওয়ার জন্য।
চিলে কান নিয়ে গেছে এটা শুনে চিলের পেছনে না ছুটে নিজের কানে হাত দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ। আসলেই নাটক টা অনেক শিক্ষনীয়। একটা ছোট কানভাঙানি অনেক বড় সমস্যার জন্ম দিতে পারে। দারুণ রিভিউ করেছেন আপু নাটক টার। যদিও আমি এখনো দেখিনি নাটক টা
ঠিকই বলেছেন এটাই করা উচিত কিন্তু মানুষ তা করেনা। নাটকটা অনেক সুন্দর ভাইয়া দেখেন ভালো লাগবে।
বাহ আপনি অনেক চমৎকার একটি নাটকের রিভিউ পোস্ট দিয়েছেন। অপূর্ব আমি কোন নাটক মিস করি না এই নাটক আমি দেখেছিলাম আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছিল। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর নাটকের রিভিউ আমাদের মধ্যে শেয়ার করার জন্য।
অপূর্বর নাটক আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে আমিও অপূর্বর নাটক আগে একটাও মিস দিতাম না ইদানিং খুব একটা দেখা হয় না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
প্রথমে চোখে একটূ কম দেখেছিলাম।কান কথা কে মনে করেছি কান কাঁটা। হাহা। পড়ে ভাল ভাবে দেখে সিউর হলাম। নাটকটি দেখা হয়নি। রিভিও করেছেন সুন্দর ভাবে। অর্ধেক দেখা ত এখানেই হয়ে গেছে। ভাল লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে