ফুলকপি,আলু ও মূলার মিশ্রনে শিংমাছ রান্নার রেসিপি ,10% beneficiary to @shy-fox
আসসালামু আলাইকুম
আমার প্রিয় বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ?আশা করি সবাই যার যার জায়গা থেকে ভাল আছেন সুস্থ আছেন। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আজ আমি আপনাদের সামনে শীতের কিছু সবজি দিয়ে শিং মাছ রান্না করে দেখাবো ।আমি সবসময় শিং মাছ আলু কিংবা আলু বেগুন দিয়ে রান্না করে খেয়ে থাকে। এখন শীত চলে এসেছে হঠাৎ বাইরে গিয়েছিলাম দেখলাম রাস্তার পাশে ভ্যানে করে নানান ধরনের সবজি নিয়ে বসে আছে ।তখন সেখান থেকে নিজের ইচ্ছামত অনেকগুলো সবজি বাসায় কিনে নিয়ে আসলাম সাথে কিছু মুলাও আনলাম। আমি সচরাচর মুলা খুব একটা খায় না এটা আমার হাজব্যান্ড খুব পছন্দ করে খেতে তার জন্যই কিনা ।আজ আমি এই শীতকালীন সবজি দিয়েই শিং মাছ রান্না করবো। আজকে আমি আলু ফুলকপি ও মুলা দিয়ে আমার শিং মাছ গুলো রান্না করেছি। প্রথমে যখন রান্না করেছিলাম ভেবেছিলাম জানিনা খেতে কেমন লাগবে পরে খেয়ে দেখি খুবই মজা হয়েছে বেশি করে ধনিয়াপাতা দিয়েছিলাম আরো অন্য রকম একটি ফ্লেভার এসেছে। শিং মাছ আমার অনেক বেশী খাওয়া হয় শিং মাছ আমার পছন্দের একটি মাছ। শিং মাছ খুবই উপকারী একটি মাছ তারপরে আবার এই মাছে তেমন কাঁটা থাকে না খেতেও অনেক সুবিধা। এই শিং মাছ বিশেষ করে কেউ অসুস্থ হলে পুষ্টিকর খাবার হিসেবে তাকে খাওয়ানো হয়।। শিং মাছ গুলো আমি নরমালি আমার বাচ্চাকে অনেক বেশি খাইয়ে থাকি। আমারে মজাদার রেসিপিটা আপনাদের সাথে শেয়ার করছি। আশা করছি আপনাদের সবার কাছে ভালো লাগবে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক ।
রান্নার জন্য প্রয়োজনীয় উপকরণ ও পরিমাণ নীচে দেওয়া হলো:
উপকরণ | পরিমান |
---|---|
শিং মাছ | ৮পিছ |
ফুলকপি | ১টার অর্ধেক |
মূলা | ১টি |
পেঁয়াজ | ১/২কাপ |
মরিচ | ৩টি |
তেল | পরিমাণমত |
লবন | পরিমাণমত |
হলুদ | ১/২চা চামচ |
আদাবাটা | ১চা চামচ |
রসুন বাটা | ১চা চামচ |
পেঁয়াজ বাটা | ৪টেবিল চামচ |
জিরার গুঁড়া | ১/২চা চামচ |
মরিচের গুঁড়া | ১চা চামচ |
প্রস্তুত প্রণালী:
১ম ধাপঃ
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে আমি সবজি ও মাছ গুলো কেটে ধুয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
২য় ধাপঃ
![]() | ![]() |
---|
তারপর চুলায় একটি কড়াই বসিয়ে করাই ভালো করে গরম করে তাতে তেল দিয়ে দিয়েছি। তেল গরম হয়ে গেলে তার ভিতরে কেটে রেখে পেঁয়াজ ও মরিচ গুলো দিয়ে দিয়েছি।
৩য় ধাপঃ
![]() | ![]() |
---|
পেঁয়াজ মরিচ বাদামি করে ভাজা হয়ে গেলে তার ভিতরে আমি পেঁয়াজ বাটা ,আদা বাটা ও রসুন বাটা দিয়ে দিয়েছি সবকিছু দিয়ে ভালোমতো মিশিয়ে নিয়েছি।
৪র্থ ধাপঃ
![]() | ![]() |
---|
এ পর্যায়ে আমি হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া, লবণ দিয়ে দিয়েছি। সবকিছু দিয়ে আরো একবার ভালোমতো মিশিয়ে নিয়েছি।
৫ম ধাপঃ
এ পর্যায়ে আমি মসলার ভিতরে হালকা একটু পানি দিয়ে মশলাগুলোকে ভাল করে ভুনে নেব যাতে কাঁচা কোন গন্ধ না আসে।
৬ষ্ঠ ধাপঃ
![]() | ![]() |
---|
মসলাগুলোকে খুব ভালো করে ভুনে নিতে হবে ।মসলাগুলো খুব ভালোমতো ভুনা হয়ে গেলে তার ভিতরে আমি কেটে রাখা মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি। মাছগুলো দিয়ে নেড়েচেড়ে মসলার সাথে ভালো মতো মিশিয়ে নিয়েছি।
৭ম ধাপঃ
এ পর্যায়ে আমি মাছগুলো কষানোর জন্য একটু পানি দিয়ে দিয়েছি।
৮ম ধাপঃ
![]() | ![]() |
---|
এখানে মাছগুলো ভালোমতো কষানো হয়ে গিয়েছে ।দেখুন উপর দিয়ে কত সুন্দর তেল ভেসে উঠেছে। তখন মাছগুলোকে আমি একটা বাটিতে তুলে রেখেছি।
৯তম ধাপঃ
১০ম ধাপঃ
১১তম ধাপঃ
![]() | ![]() |
---|
মাছগুলো তুলে নেওয়ার পর যে মশলাটা অবশিষ্ট থাকবে সেই মসলা গুলোর মধ্যে আমি কেটে রাখা সবজিগুলো দিয়ে দিয়েছি। সবজি গুলো দিয়ে ভালোমতো মসলার সাথে আবার একটু মিশিয়ে নিয়েছি। তারপর ওই সবজিগুলোর মধ্যে আমি সবজিগুলো কষানোর জন্য পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিয়েছি।
১২তম ধাপঃ
দেখুন এই পর্যায়ে আমার সবজিগুলো সিদ্ধ হয়ে পানিটা একেবারে টেনে এসেছে।
১৩তম ধাপঃ
![]() | ![]() |
---|
এ পর্যায়ে আমি সিদ্ধ হওয়া সবজির মধ্যে কষানো মাছগুলো দিয়ে দিয়েছি ।মাছ গুলো দিয়ে ভালোমত সবকিছুর সাথে নেড়েচেড়ে আবার একটু মিশিয়ে নিয়েছি।
১৪তম ধাপঃ
![]() | ![]() |
---|
তারপর আমার মাছ পুরোপুরি রান্না হওয়ার জন্য আমি তরকারিতে পরিমাণমতো পানি দিয়ে দিয়েছি। এবং পানিটা টেনে আসলে তার ভিতর আমি কিছু ধনিয়া পাতা দিয়ে দিয়েছি।
১৫তম ধাপঃ
১৬তম ধাপঃ
![]() | ![]() |
---|
ধনিয়া পাতা দিয়ে আরো দুইটা তিনটা বলক আসলে আমার পানিটা আরও একটি টেনে আসবে সে পর্যায়ে আমি ওই তরকারির ভিতর ভেজে রাখা জিরার গুঁড়ো দিয়ে দিয়েছি। জিরার গুঁড়ো দিয়ে আরো দুইটা বলক দিয়ে নিয়েছি।
১৭তম ধাপঃ
এই পর্যায়ে আমার তরকারিটা রান্না হয়ে গিয়েছে ।আমি আমার চুলাটা অফ করে দিয়েছি।।
১৮তম ধাপঃ
এ পর্যায়ে আমি আমার খাবারটা একটা বাটিতে তুলে নিয়েছি। এখন গরম গরম পরিবেশন করতে হবে।
আশা করছি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | অপ্পো এফ1 |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলা আমার মাতৃভূমি।বাংলাতে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতে ভালোবেশি।
এই ধরনের রেসিপি দেখলে খাওয়ার ইচ্ছেটা কার না জাগে।শীতকালীন মৌসুমে ফুল কফি দিয়ে তরকারি রান্না করলে খুবই সুস্বাদু লাগে। শিং মাছ স্বাদের মাছ গুলো মধ্যে একটি। আপনার রেসিপির উপস্থাপন গুলো চমৎকার ছিল। 😍😍
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
আসলেই আপনি বলেছেন শীতের সময় সবজি দিয়ে মাছ রান্না করলে খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে আমার কাছে একটু ব্যতিক্রম লাগে শীতের সময় রাতে রান্না করা তরকারি যদি সকালবেলা খাই একটু বেশি ভালো লাগে। ভাত ও ঠান্ডা তরকারি ও ঠান্ডা শীতের সকালে ঠান্ডা ঠান্ডা মিলে জানে না আমার কাছে কেন এত ভালো লাগে। অসম্ভব সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপনি।
আমি আবার আপনার উলটো ঠান্ডা তরকারি ভাত কোনটাই আমি খেতে পারি না। অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আমার আম্মু ফুলকপি এবং মাছ গতকাল রান্না করেছিল খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল । আপুর রেসিপি টা দেখিও অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। ফুলকপি এবং মাছ এটি আমাদের শীতকালের রেসিপি এটি খেতে আসলে অনেক সুস্বাদু। ধন্যবাদ আপু অনেক সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার মার্ক ডাউনের ব্যবহারটি আমার অনেক ভালো লেগেছে ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই আপু শীত আসলে অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায়। শীতের সবজির মধ্যে ফুলকপি আমার খুব প্রিয়। মুলা খুব একটা ভালো লাগে না। আলু মুলা এবং ফুলকপি সমন্বয়ে শিং মাছটা খুব ভালো রান্না করেছেন।আপনার রেসিপি গুলা বরাবরই অনেক সুন্দর হয়। এবং আপনার পোষ্টের মার্কডাউনের ব্যবহার অনেক সুন্দর ছিল। সবমিলিয়ে পোস্ট টা দারুন হয়েছে। এভাবে আরো ইউনিক রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করতে থাকুন।ধন্যবাদ।
মুলা ভাই আমার কাছেও তেমন একটা ভালো লাগে না তারপর একটু একটু খায় ।ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি বলতে আপু আমিও তেমন মুলা খাই না মুলা খেতে আমার মোটেও ইচ্ছা করে না তবে ফুলকপি এবং আলু আমার খুবই পছন্দের মাছ রান্না করার সময় তাতে যদি ফুলকপি এবং আলু দেওয়া হয় তাহলে খুবই সুস্বাদু লাগে আপনি মুলা ফুলকপি এবং আলু দিয়ে শিং মাছ রান্না করেছেন আপনার রেসিপি টা দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে শিং মাছ আমার কয়েকটি প্রিয় মাছের মধ্যে একটি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত অনেক সুন্দরভাবে আপনার রেসিপিটা আমাদের সবার মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
মুলা আমিও তেমন একটা পছন্দ করি না তবে শীতকাল আসলে মূলা খাওয়ার চেষ্টা করি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
সত্যি কথা বলতে আপুর শীতকাল আসলেই যেন ফুলকপি ধুম পড়ে যায় এবং শীতকালের সময় ফুলকপি খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আমার আম্মু রান্না করে আমি প্রথমে খেতে চায় না কিন্তু এমন সময় এত সুন্দর লাগে খেতে অত্যন্ত ভালোভাবে জমে ওঠে। আপনি ফুলকপি,আলু ও মুলার মিশ্ররে শিংমাছ রান্নার রেসিপি এত জমজমাট ভাবে রান্না করেছেন। আমার খুবই ভালো লেগেছে এবং প্রতিটি ধাপ অত্যন্ত সুন্দর হবে আপনি তুলে ধরেছেন এবং আপনার রান্নার ধরনটা আমার খুবই ভালো লাগলো
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনি শিং মাছের রেসিপি টা সত্যিই স্পেশাল ছিল। শিং মাছ মানবদেহের জন্য খুবই উপকারী একটা মাছ। ছোটবেলা থেকেই শুনে আসছি শিং মাছ খেলে নাকি রক্ত শূন্যতা পূরণ হয়। আপনি আপনার বাচ্চাদেরকে শিং মাছ বেশি বেশি খাওয়া না এটা শুনে আরো বেশি ভালো লাগলো। আপনি আপনার বাচ্চাদের প্রতি যত্নশীল একজন মা। আর শীতকালে মাছের সাথে তিন-চারটা সবজি একসাথে মিশিয়ে রান্না করলে বেশ মজাদার হয়। শীতকাল মানেই স্পেশাল খাওয়া-দাওয়ার মধ্যে কোন ট্রাভেল হয় না এবং কি শাকসবজির শাদ অনন্য থাকে। আপনি অনেক সুন্দর করে রেসিপি উপকরণ গুলো দিয়েছেন এবং খুব সুন্দর করে বিষয়বস্তুগুলো আমাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছেন। আমাদের সাথে ভাগাভাগি করে নেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ফুলকপি, আলু ও মুলার মিশ্রণে শিংমাছ রান্নার রেসিপি অনেক সুন্দর হয়েছে। রান্নাটি সত্যি অনেক সুস্বাদু। আমার কাছেও পছন্দের। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ফুলকপির সঙ্গে মাছ আমার খুব প্রিয় খাবার। আর সিং মাছ তো কোন কথাই নেই। বিসিবির ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। সেইসঙ্গে আপনার পোষ্টের মার্ক ডাউন এর ব্যবহার বেশ ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ।
শিং মাছের উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ প্রচুর। শিং মাছকে আবার জিওল মাছ বলে অনেকই চিনে থাকেন। শিং মাছের পুষ্টিগুণ অনেক থাকায় এই মাছের চাহিদা ব্যাপক।শিং মাছের উপকারিতা আমাদের শরীরের জন্য প্রচুর উপকারে আসে। এতে বিভিন্ন ধরনের উপাদান রয়েছে যা আমাদের শক্তি বৃদ্ধি করে।শীতের সময় সবজি খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে।আপনার রেসিপিটা খুবই সুন্দর হয়েছে।শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ আপনাকে।