★পার্কে ঘোরাঘুরি★
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজ আমি আপনাদের সামনে একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজ আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব হঠাৎ করেই সবাইকে নিয়ে পার্কে যাওয়ার অনুভূতি। বেশ কিছুদিন হল আমার বাসায় কিছু গেস্ট এসেছে। ফরিদপুর থেকে বাসায় আসার সময় আমরা একসাথেই এসেছি। এজন্য আসার পরে আর ঘর থেকে বের হতে মন চাইছিল না, তারপরও দুদিন বাসায় বসে থাকার পরও ভাবলাম ছেলেমেয়েদেরকে নিয়ে একটু পার্কে থেকে ঘুরে আসি। তাছাড়া ওরাও বাইরে যাওয়ার জন্য খুব বলছিল কিন্তু বাইরে যাওয়াই হচ্ছিল না তাই সবাই মিলে রমনা পার্কে উদ্দেশ্যে বেরিয়ে পড়লাম। আমরা আজকে একটু তাড়াতাড়ি বের হয়েছিলাম কারণ বাচ্চারা যাতে ভালো মতো জায়গাটা ঘুরে দেখতে পারে। এজন্য আমরা দুপুরে খাওয়া-দাওয়া করেই তাড়াতাড়ি করে রেডি হয়ে গিয়েছিলাম। তিনটা রিকশা নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম।
রিকশা গুলো একসাথে রওনা দিলেও এক একটা রিকশা একেক রাস্তা দিয়ে রমনা পার্কের দিকে যেতে লাগলাম। তারপর দুটো রিক্সা আমরা একসাথেই ছিলাম কিন্তু তৃতীয় রিক্সাটা এলোমেলো হয়ে গেল। ওরা নতুন ঢাকায় এসেছে একটু টেনশন হচ্ছিল যে আবার ভয় পেয়ে না যায়। তারপর ফোন দিয়ে বললাম যে রমনা পার্কে গেটের সামনে তোমরা ওয়েট করো আমরা আসছি। আমরা যাওয়ার সময় এতটাই এতটাই গল্পে মশগুল হয়েছিলাম যে ভুল করে ঘুরিয়ে অন্য রাস্তা দিয়ে নিয়ে গিয়েছে আমরা টেরই পায়নি। তারপর হঠাৎ করে তাকিয়ে দেখলাম যে আমরা অন্য রাস্তায় চলে এসেছি। কিছুদূর যাওয়ার পরে আমরা বুঝতে পারলাম যে আমরা অন্য রাস্তায় চলে এসেছি। তখন আমরা আবার ঘুরে সেদিক যেতে চাইলাম কিন্তু ট্রাফিক পুলিশ আর আমাদেরকে সেই রাস্তায় যেতে দিল না। আমরা আবার ওই রাস্তা দিয়ে একটু বেশি সময় রিক্সা দিয়ে তারপর পার্কে গিয়ে পৌছালাম। তারপর দেখলাম যে আমাদের অন্য রিক্সাটা আগেই সেখানে এসে আমাদের জন্য অপেক্ষা করছে। তারপর আমরা সবাই মিলে পার্কের ভিতর ঢুকে পড়লাম।
রমনা পার্কটা অনেক বিশাল এরিয়া নিয়ে বিশেষ করে এই গেটটা দিয়ে আমরা কখনো ঢুকিনি। আজকে এই গেট দিয়ে ঢোকার সাথে সাথে শিশু পার্ক আমাদের চোখে পড়লো। কিন্তু শিশু পার্কে ভিতরে এতই লোকজন ছিল যে বাচ্চাদের নিয়ে ঢুকতে ইচ্ছা করছিল না। কিন্তু ওরা ঢোকার জন্য অস্থির হয়ে গেল। তারপর সেখানে গিয়ে কিছু কিছু রাইডস ওরা চড়লো।
তারপর আমরা বেশ কিছু ছবি তুললাম। বিশেষ করে রমনা পার্কের দুই সাইডে গাছ ও ফুলের ছবিগুলো দেখতে অনেক বেশি সুন্দর লাগে। এখানে এসে সবাই অনেক ফটো সেশন করে কিন্তু আমরা যারা আমার বাংলা ব্লগে তাদের তো নিজেদের ফটো তোলার কোন সময় সুযোগ নেই আশেপাশে কি আছে না আছে সেগুলো তোলায় আমরা ব্যস্ত হয়ে পড়ি। আমরা পার্কের ভিতর বেশ খানিকটা সময় ছিলাম। এ পার্কে সবাই ঘোরাঘুরি করতে আসে অনেকে আবার হাটাহাটি করে ব্যায়াম করে আবার বসে গল্প করে সময় কাটায়।
আবার ছোট ছোট ছেলে মেয়েরা দেখা যায় যে বাসা থেকে প্রস্তুতি নিয়ে আসে খেলাধুলা করার জন্য। কেউ ক্রিকেট খেলছে কেউ ব্যাডমিন্টন খেলছে, কেউ আবার ছোঁয়াছুয়ি করছে। আবার এখানে আরও একটি জিনিস চোখে পড়ে যেদিনই যাই সেদিনই এখানে অনেকেই ক্যামেরাম্যান নিয়ে আসে কিছু ছবি তোলার জন্য। বিশেষ করে বিয়ের ছবি তোলে এসে। তারপরে আবার বেশিরভাগ সময় দেখা যায় যে প্রেগন্যান্ট মহিলারা সাত মাসের সময় তাদের স্বাদ করার জন্য এখানে এসে ক্যামেরাম্যান নিয়ে বিভিন্ন পোজ দিয়ে ছবি তুলে যেটা আমার কাছে অনেক বেশি আশ্চর্য লাগে। এবারও এরকম কিছু লোকজনকে দেখলাম ছবি তুলায় অনেক বেশি ব্যস্ত। তারপর আমরা আরো কিছু সময় পার্কে বসে আড্ডা দিয়ে সবাইকে নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম। আসার পথে আমরা ফুচকা বার্গার এগুলো খেয়েছি। এগুলো অন্য আরেকদিন আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
আপনার বাসা থেকে তো রমনা পার্ক খুবই কাছে। রিকশায় গেলে এই এক সমস্যা। ঢাকার শহরে রিক্সার পেছনে এক রিক্সা লেগে থাকা যায় না। যেকোনো ভাবেই আলাদা হয়ে যেতেই হয়। আপনাদের বাচ্চাদের রিক্সা হারিয়ে গিয়েছিল জন্য আপনারা টেনশন করছিলেন। যাক সবাই মিলে অনেক মজা করেছেন দেখেই বোঝা যাচ্ছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে।
ঘোরাঘুরি করতে কে না পছন্দ করে। আমার কাছে তো খুবই ভালো লাগে ঘুরে ঘুরে করতে তার সাথে ফটোগ্রাফি তো আছেই। দেখে তো মনে হচ্ছে খুবই ভালো সময় কাটিয়েছেন। ঘোরাঘুরি করার মুহূর্ত খুবই সুন্দর ভাবে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন যা দেখে খুবই ভালো লাগলো। খুবই সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফিও করেছেন দেখছি।
বাসায় গেস্ট এসেছে তাছাড়া পরিবারের সকল সদস্যকে নিয়ে পার্কে দারুন সময় অতিবাহিত করলেন। কিন্তু পার্কে যাওয়ার পথে রিক্সায় যে ঘটনাগুলো ঘটেছে আসলে সত্যিই এরকম ঘটনা অনেক কিছু সম্পর্কে অভিজ্ঞতা লাভ করায়। ভালই লাগলো পার্কের দারুন এরকম নীরব নিস্তব্ধ পরিবেশে সময় কাটাতে আমারও ভালো লাগে।
কিছুদিন আগে আমার বাসায় গেস্ট এসেছিল। ওদেরকে নিয়ে এক জায়গায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। আমার পেছনের রিক্সায় ওরা ছিল। হঠাৎ করে দেখি তাদের রিক্সা নাই। আমি তো বেশ টেনশনে পড়ে গিয়েছিলাম। এরপর অনেকক্ষণ অপেক্ষা করার পর তারা এসেছে। আসলে এরকম পরিস্থিতিতে খুবই টেনশন হয়। যাইহোক আপু মাঝে মাঝে পার্কে গেলে ভালই লাগে। এছাড়া পার্কে ঘোরাঘুরি করলে বাচ্চারা অনেক খুশি হয়।
অনেক দিন যাওয়া হয় না রমনা পার্ক। শেষ কবে গিয়েছিলাম একদমই মনে নেই। ভালোই লাগছিল আপনার ঘোরাঘুরির গল্প গুলো পড়তে। আর ঢাকা শহরে রিকশাতে উঠলে আমি নিজেও খুব ভয়ে থাকি। কোন দিক থেকে যে কোন গলির ভেতর দিয়ে নিয়ে যায়। মাথা গুলিয়ে যায় একদম। সবাই মিলে খুব সুন্দর কিছু সময় কাটিয়েছেন বেশ বুঝতে পারলাম।
আপু ছোট্ট একটু সংশোধন করে দেবেন কেমন 🙏🙏। শুভেচ্ছা রইলো।
আপু, আগে যখন স্টুডেন্ট ছিলাম তখন কয়েকবার রম পার্কে গিয়েছিলাম। আপনি ফরিদপুর থেকে আসা আত্মীয়দের নিয়ে রমনা পার্কে গিয়েছেন শুনে ভালো লাগলো। সত্যি আপু এখানে যারা আসে তারা একটা প্রস্তুতি নিয়েই আসে। কেউ আসে ছবি তুলতে কেউ আসে খেলাধুলা করতে, কেউ আবার আসে ফটোসেশন করতে। রমনা পার্কটা ঢাকা শহরের মধ্যে আসলেই ঘুরার একটা যায়গা। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।