মজাদার আমের টক রেসিপি
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সামনে অনেকদিন পর একটি রেসিপি পোস্ট করতে চলে এসেছি । এই গরমের ভেতরে কোন রকমে রান্না করে রান্নাঘর থেকে বের হয়ে এসিতে ঢুকতে পারলেই যেন বাঁচা যায় । এর ভিতরে ছবি তোলার কথা তো কল্পনাই করতে পারি না । আর এই গরমের ভিতর একটু টক জাতীয় জিনিস খেতে সব সময় ভালো লাগে । আমের সিজন এসেছে আর আমের টক খাব না এটা তো হতেই পারেনা । এজন্য ঝটপট আমের টক বানাতে চলে গেলাম । যত গরম পড়বে আর এই টক জাতীয় জিনিস খেতে ততটাই ভালো লাগে । এজন্য গরমের ভিতরে কষ্ট করে হলেও আমি টক বানাতে চলে গিয়েছি । বানাতে গিয়ে বুঝেছি যে কতটা কষ্টকর রান্না ঘরে দাঁড়িয়ে থাকা ।এমনিতে রান্না করতেও কষ্ট লাগে তবে একটু বাড়তি কিছু করতে গেলে কষ্টটা যেন একটু বেশি লাগে । তারপরও টকটা বানানোর পরে কিন্তু খুব মজা হয়েছিল । এটা কাশ্মীরি আমের আচারের রেসিপির মত তৈরি করেছি খেতে কিন্তু অন্যরকম মজা হয়েছে ।
প্রয়োজনীয় উপকরণ
চিনি
লবণ
ভিনেগার
পাঁচফোড়ন
চিলি ফ্লেক্স
বিট লবণ
মরিচের গুঁড়া
শুকনা মরিচ
হলুদের গুঁড়া
কার্যপ্রণালী
প্রথমে আমগুলোকে ছিলে নিয়ে তারপর লম্বা লম্বা করে পিস পিস কেটে নিয়েছি । এরপর পানিতে কিছু সময় ভিজিয়ে রেখেছি । তারপর পানি থেকে উঠিয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি ।তারপর আমের ভিতর চিনি দিয়ে দিয়েছি এরপর ভিনেগার দিয়ে দিয়েছি । নেড়েচেড়ে চিনি ভিনেগার সহ আমগুলো আধা ঘন্টার জন্য রেস্টে রেখে দিয়েছি ।
এই ভিনেগারটা দিয়ে চিনিটা গোলে আম থেকে পানি বের হবে এটা দিয়েই টকটা আমি করব । চুলায় একটি করাই বসিয়ে তার ভেতরে পাঁচফোড়ন ও মরিচ গুলো একটু টেলে নিয়ে তারপরে ব্লেন্ডারে হালকা ভেঙ্গে নিয়েছি । এর ভেতরে দেখুন আম থেকে কতটা পরিমাণে পানি বের হয়েছে এই পানিটা দিয়ে টকটা হয়ে যাবে ।
এরপর চুলায় একটি প্যান বসিয়ে তাতে আমগুলো ঢেলে দিয়েছি । এরপর তার ভিতরে একটু লবণ দিয়ে দিয়েছি । তারপর একটু বলক আসলে তার ভিতরে ভেঙে রাখা পাঁচফোড়ন ও চিলি ফ্লেক্স দিয়ে দিয়েছি । এরপর হলুদের গুড়া ও মরিচের গুড়া দিয়ে দিয়েছি যাতে সুন্দর একটা কালার আসে ।
এবার বেশ কিছু সময় রান্না করে নিয়েছি । তারপর নাড়তে নাড়তে দেখুন পানিটা অনেকটাই টেনে এসেছে সে পর্যায়ে একটু বিট লবণ দিয়ে দিয়েছি । তারপর আরও একটু সময় নিলে পানিটা আরো একটু শুকিয়ে নিয়েছি । তারপর পানিটা অনেকটা টেনে আসলে কালারটাও চেঞ্জ হয়ে গিয়েছে । সেই মুহূর্তে একটা বাটিতে ঢেলে নিয়েছি খেতে খুবই মজাদার হয়েছিল আমার আমার টকটি ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
@tauhida
*** VOTE @bangla.witness as witness OR SET @rme as your proxy
https://steemitimages.com/p/3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeF5StuMqDPqgYjRhUxqFbXTvH2r2mDgNbWweA4YGBo825oLh4oqEqeynn5EZL11LdCrppngkM?format=match&mode=fit
আপনি এটা কিসের লিঙ্ক দিয়ে রাখলেন বুঝতে পারলাম না।
আপনার আজকের রেসিপি দেখে অনেক লোভ লেগে গেল।আমের টক নাম শুনলেই খুব খেতে ইচ্ছা করে। এই সময় কাঁচা আম দিয়ে তৈরি করা আমের টক খেতে সবাই অনেক পছন্দ করে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে আমের টক তৈরির প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। যে কেউ এটা দেখে শিখে নিতে পারবে। ধন্যবাদ আমাদের মাঝে সুন্দর এই লোভনীয় রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
ঠিকই বলেছেন এগুলোর নাম শুনলেই খেতে ইচ্ছা করে আর কাঁচা আমের এই টকটা খেতে কিন্তু আসলেই অনেক ভালো লাগে । শিখে নিয়েছেন একদিন তৈরি করে দেখবেন আপু ভালো লাগে ।
ঠিক বলেছেন আপু গরমে কোনমতে রান্না করে বের হতে পারলে বাঁচা যায় আমি তো রান্না ঘরেই ঢুকি না আর।সত্যি যতো গরম পড়ে তত টক জাতির খাবার খেতে মন চায়।আপনি চমৎকার সুন্দর ও সুস্বাদু করে আমের টক রেসিপি করেছেন এবং তা আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধাপে ধাপে রন্ধন প্রনালী চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর গুছিয়ে টক আমের টক তৈরি পদ্ধতি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
আপনি রান্নাঘরে ঢুকেন না তাহলে তো বেঁচে গেলেন । রান্না তো করে খেতে হবে আপু নিজের হাতের রান্না ছাড়া অন্য কেউ তো নাই রান্না করে দেওয়ার এজন্য নিজেকেই করতে হয় ।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে নতুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মজাদার আমের টক রেসিপি। আসলে এই রেসিপিটি আমার অনেক প্রিয় একটি রেসিপি আপনার এই রেসিপি দেখেই জিভে জল চলে আসছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এতো সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য।
এই খাবারগুলো সবার কাছেই ভালো লাগে আপনার জিভে জল চলে এসেছে কিন্তু আমার কিছুই করার নেই শুধু লোভ লাগানো ছাড়া ।
আমের টক রেসিপিটি বেশ লোভনীয় হয়েছে। আম আমার অনেক প্রিয়। আপনার রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইলো।
যেমন লোভনীয় হয়েছে খেতেও কিন্তু খুবই মজা হয়েছিল ।
এই ধরনের রেসিপিগুলো বেশ ভালই লাগে। মজাদার আমের টক রেসিপি আপনি বেশ দারুনভাবে সম্পূর্ণ করেছেন। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। প্রয়োজনীয় উপকরণ গুলি সঠিক মাত্রায় তুলে ধরেছেন। শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
আসলে এ ধরনের রেসিপি গুলো দেখলেই খেতে ইচ্ছা করে এবং দেখতেও ভালো লাগে । ধন্যবাদ আপনাকে ।
আপু আপনার আমের টক রেসিপিটি দেখে আর লোভ সামলাতে পারছি না। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এভাবে কখনো আমের টক তৈরি করা হয়নি আপনার রেসিপি দেখে শিখে নিলাম অবশ্যই এভাবে একদিন বাসায় ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সে তো সত্যিই অনেক সুস্বাদু হয়েছিল । এভাবে করে একবার করে দেখতে পারেন বাইরে রেখে অনেক দিন পর্যন্ত খাওয়া যায় ।
আমের অনেক সুন্দর রেসিপি করে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে বেশ লোভনীয় মনে হলো আমার কাছে। আর এই জাতীয় রেসিপি গুলোর কথা মুখে আনলেই যেন জীভেতে জল চলে আসে। যাই হোক অনেক সুন্দর ভাবে আমের আচার জাতীয় রেসিপি তৈরি করেছেন। খুবই ভালো লাগলো সুন্দর রেসিপি দেখে। অসাধারণ রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
তা ঠিকই বলেছেন এ জাতীয় রেসিপির কথা শুনলেই খেতে ইচ্ছা করে ।
এই গরমে রান্না করা যেমন কঠিন তেমনি রেসিপি তৈরি করা অনেক কঠিন। বিশেষ করে সময় নিয়ে রেসিপি তৈরি করতে গেলে অবস্থা একেবারে খারাপ হয়ে যায়। যাই হোক আপু আপনি এত সুন্দর করে আমের টক রেসিপি তৈরি করেছেন দেখে ভালো লাগলো। মনে হচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছিল।
এই কঠিন কাজটি তো আমাদের প্রতিনিয়ত করে যেতে হচ্ছে কিছুই করার নেই আপু ।