★মাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাওয়া★

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।




আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গিয়েছি। আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব মাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার একটি সুন্দর অনুভূতি । ক'দিন ধরেই ভাবছি আম্মাকে নিয়ে একটি রেস্টুরেন্টে যাব। কিন্তু আম্মা কিছুতেই রাজি হচ্ছিল না। আর ছেলেটাও মাঝে মাঝে বায়না ধরে যাওয়ার জন্য। আম্মাকে রাজি করতে পারছি না দেখে যেতে পারছিনা। আমার কদিন ধরে ইচ্ছা করছে আম্মাকে নিয়ে একটু বাইরে কোথাও খেয়ে আসি কিন্তু সে বাইরের খাবার খেতে চায়না। ঐদিন গিয়েছিলাম টেস্ট করাতে আমি আগে থেকেই মনে মনে চিন্তা করেছিলাম যে আজকে যেহেতু বাইরে বের হয়েছি যেভাবেই হোক আম্মাকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে যাব। এদিকে ছেলেও বাইরে যাওয়ার পর থেকে বায়না করছে যে মা আজকে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার জন্য ।


আম্মার একটা টেস্ট বাকি ছিল সেই টেস্টটা করানো হলো এবং অন্যান্য টেস্টের রিপোর্টটা দিয়ে দিল তারপর আমরা কিছু সময় বসার পর নতুন টেস্ট এর রিপোর্টটা দিয়ে দিল ।এর ভিতর ডাক্তারের সময় ছিল তাই চলে গেলাম ডাক্তারের চেম্বারে রিপোর্ট গুলো দেখাতে। পরের দিন বসবে না আবার দেরি হয়ে যাবে। আজকে চেম্বারে গিয়ে ভালোই কিছুটা ভিড় ছিল। আমাদেরকে বেশ খানিকটা সময় বসতে হয়েছিল ।অনেকক্ষণ বসার পরে রিপোর্ট গুলো দেখালাম। রিপোর্টগুলো দেখে ডাক্তার মোটামুটি বেশ কিছু ব্যায়াম ,ওষুধ ও কিছু নিয়ম কানুন ধরিয়ে দিল। আবার ২১ দিন পরে আরো দুটো টেস্ট করে তারপর যেতে বলেছে। সাথে মাংস ডিম ডাল এগুলো ২১ দিন খেতে নিষেধ করেছে। সেজন্য চিন্তা করলাম যে ২১ দিন যেহেতু মাংস খাওয়া যাবে না তাহলে আজকে রেস্টুরেন্টে যেতেই হবে। আজকে গিয়ে ভালো করে মাংস খেয়ে আসি ।

20230530_000540.jpg

20230530_000528.jpg


আমি আমার হাজবেন্ডের সাথে আলাপ করে ঠিক করে নিয়েছি যে আমরা আমাদের বাসা থেকে একটু দূরে খিলগাঁও যে রেস্টুরেন্টগুলো রয়েছে সেখানে যাবো। কারণ রিকশায় করে একটু ঘুরাও হবে আবার ওখানে গিয়ে ভালো কিছু খাওয়া হবে । নিচে নেমে এসে আম্মাকে বললাম যে চলো আমরা রিক্সায় করে ঘুরে আসি যেতে রাজি হলে পরে বললাম যে আমরা রেস্টুরেন্টে যাবো। তখন কি আর করার যেতে রাজি হয়ে গেল। আমাদের বাসা থেকে খিলগাঁও বেশ খানিকটা দূরে আমরা সারে নটার সময় ওখান থেকে রওনা দিয়েছি যেতে যেতে দশটা বেজে গেল। আমরা যে রেস্টুরেন্টে যাওয়ার উদ্দেশ্যে গিয়েছিলাম সেখানে গিয়ে দেখলাম যে রেস্টুরেন্টটা তখন ওরা ক্লোজ করে দিয়েছে আজকের মত। কি আর করা সেখান থেকে আমরা বাইরে বের হয়ে আসলাম আর মনে মনে ভাবলাম অন্য কোন রেস্টুরেন্টে যাওয়া যাক। তখন বাজে রাত সোয়া দশটা তখন আমরা আশেপাশে কিছু ভালো রেস্টুরেন্ট খুঁজতে থাকলাম। দেখলাম যে বাইরে থেকে একটা রেস্টুরেন্ট দেখতে ভালই লাগছে আবার রেস্টুরেন্টের নামও আগে শুনেছি কোন কিছু চিন্তা না করে আমরা সেই রেস্টুরেন্টের ভিতরে ঢুকে গেলাম।

20230530_000511.jpg

20230530_000458.jpg


তারপর আম্মা কি খাবে জেনে নিলাম সে বলল যে আমি যেটা খাব সে সেটাই খাবে । পরে আমি আর আম্মা একই রকমের খাবার অর্ডার দিলাম। ফ্রাইড রাইস, চিকেন ফ্রাই, কোলড্রিংস, চিকেন রোল ।ছেলেটার জন্য দিলাম চিকেন ফ্রাই, ফ্রেন্স ফ্রাই, কোল্ড ড্রিংকস চিকেন রোল এবং আমার হাসবেন্ড বার্গার সাথে চিকেন রোল অর্ডার করলো এবং এর সাথে চিকেন স্যান্ডউইচ ও ছিল।

20230530_000445.jpg

20230530_000429.jpg

20230530_000338.jpg


খাবারগুলো বেশ ভালোই ছিল। খাবার আসতে আমি বেশ কয়েকটা ছবি তুলে নিলাম। সবকিছু মিলিয়ে আমাদের খাবারের বিল এসেছিল ১৩৫০ টাকা। খাবারের দামটা আমার কাছে ভালোই রিজেনেবল মনে হয়েছে। খিলগাঁও এর আশেপাশে অনেক কলেজ রয়েছে যে কারণে খিলগাঁও রেস্টুরেন্টগুলোতে বেশিরভাগ সময় স্টুডেন্টরা আসে এজন্য এই সব রেস্টুরেন্টে ওরা খাবারের প্রাইস টা একটু রিজনেবলই রাখে। এজন্য আমরা একটু দূর হলেও সেখানে যাওয়ার চেষ্টা করি মাঝে মাঝেই।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  
 last year 

বাহ আম্মাকে নিয়ে তো ভালই ঘোরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া করেছেন জেনে বেশ ভালো লাগলো । আসলে আম্মা বাইরে মোটেই যেতে চায় না । রেস্টুরেন্টে তো আরও বেশি যেতে চায় না । তবে ডক্টর ২১ দিন মাংস ডিম খাওয়া নিষেধ করল আর আপনি সঙ্গে সঙ্গেই খেতে চলে গেলেন । এর পর থেকে নিয়ম কানুন মেনে চলাই ভালো । ধন্যবাদ ।

 last year 

ডক্টর বলেছে ২১ দিন ওষুধ চলাকালীন মাংস ডিম ও ডাল খাওয়া যাবেনা। তাই আমি ওষুধ শুরু করার আগেই বাইরে থেকে ঘুরিয়ে নিয়ে আসলাম। এখন সবকিছুই মেনে চলি আমরা।

 last year 

ঔষধ চলাকালীন ২১ দিন ডিম,মাংস খেতে নিষেধ করেছেন। তাই আপনি মেডিসিন কোর্স শুরু করার আগেই রেস্টুরেন্টে গিয়ে মজার মজার খাবার খেয়েছেন মাকে নিয়ে তা ভালোই করেছেন।একটু ঘোরাঘুরি ও হলো আর খাওয়া-দাওয়া ও হলো।খুব ভালো লাগলো আপু।,আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।

 last year 

আসলে বাইরে কোথাও গেলে একটু ঘুরাঘুরি হয় ও সাথে মজার মজার খাবার খাওয়া হয় তখন ভালই লাগে।

 last year 

ডাক্তার ডিম, চিকেন খেতে মানা করেছে আর এগুলোই আজকে বেশি করে খেয়ে নিলেন। আম্মাকে না বলে নিয়ে গিয়ে ভালো করেছেন আম্মা কোথাও যেতে চায় না । তাছাড়া খাবারের দাম গুলো আমার কাছে অনেক রিজনেবল মনে হয়েছে। এতগুলো খাবার খেয়েছেন মাত্র ১৩৫০ টাকা বিল এসেছে। বেশি রাত হয়ে যাওয়ার কারণে অনেক রেস্টুরেন্টই বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। একটি রেস্টুরেন্ট খোলা পেয়ে ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছেন বোঝা যাচ্ছে।

 last year 

ঐ এলাকার রেস্টুরেন্টগুলোতে খাবারের দাম একটু কম কারণ ওখানে সব স্টুডেন্টরা যায় এজন্য স্টুডেন্টদের জন্য দামটা কম দেওয়া হয়েছে এবং খাবারের মানও অনেক ভালো।

 last year 

যেহেতু ২১ দিন ধরে মাংস, ডিম ও ডাল খাওয়া যাবে না, তাই টেস্ট করে আসার সময় আপনারা রেস্টুরেন্টে গিয়ে বেশ ভালোই খাওয়া দাওয়া করেছিলেন। আন্টি বাহিরে যেতে এবং বাহিরের খাবার খেতে পছন্দ করেন না তাই আপনি বলার পরেও যেতে চাননি। যাইহোক আপনাদের খাবারের ফটোগ্রাফি দেখেই বুঝতে পারছি খুবই লোভনীয় ছিল প্রত্যেকটা খাবার। খাওয়া দাওয়া করার এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করলেন দেখে ভালো লেগেছে। আশা করছি এখন আন্টি সব নিয়মকানুন মেনে চলছে।

 last year 

যেতে চায় না দেখে জোর করে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সেখানে গিয়ে ভালোই লেগেছিল। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।

 last year 

আন্টি বাহিরের খাবার খেতে এত বেশি পছন্দ করে না, তাই রেস্টুরেন্টে ও আসতে রাজি হচ্ছিলেন না। ওনাকে টেস্ট করানোর জন্য নিয়ে গিয়েছিলেন, তখন ডাক্তার কয়েকটা খাবার খেতে ওনাকে বারণ করেছিল। এরপর আপনারা ভাবলেন যেহেতু ২১ দিন মাংস খেতে পারবে না, তাই আজকে রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাওয়া যাক। এরপর আন্টিকে নিয়ে রেস্টুরেন্টে গিয়ে সবাই মিলে বেশ মজা করে খাবার খেয়েছিলেন। আশা করছি এখন থেকে আন্টি খুবই সুন্দর ভাবে নিয়মকানুন গুলো মেনে চলছে। মেনে চললেই ভালো হয়। সম্পূর্ণটা খুবই সুন্দরভাবে উপভোগ করলাম।

 last year 

আসলেই সবাই মিলে একসাথে কোথাও গেলে তখন ভালই লাগে। ধন্যবাদ আপু মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

এত দিন মাংস ডিম খাওয়া যাবে না! 😳🙄 আমি তো অবাক হয়ে গেলাম আপু। ডাক্তার যখন বলেছেন তখন তো মানতেই হবে। কিছু করার নেই। অ্যান্টি দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠুক এটাই প্রার্থনা করি সব সময়। আর খিলগাঁও একটা সময় বেশ যেতাম আমি। এখন আগের থেকে আরো ভালো হয়েছে জায়গাটা। সবগুলো খাবারের মধ্যে চিকেন স্যান্ডুইচ টাই আমার বেশি প্রিয় আপু 😍। বেশ ভালো লাগলো পোস্ট টা দেখে।

 last year 

স্যান্ডউইচ টা আমার কাছেও খেতে ভালো লাগে তবে এখানের থেকে আমার কাছে খানাসেরটা বেশি ভালো লাগে খেতে। ধন্যবাদ ভাইয়া মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.19
JST 0.034
BTC 88275.41
ETH 3281.06
USDT 1.00
SBD 3.00