রঙীন কাগজ দিয়ে কুমির তৈরি,10%shy-fox
আসসালামু আলাইকুম আজ আমি আবার রঙিন কাগজ দিয়ে বানানো জিনিস আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে এসেছি ।রঙিন কাগজের তৈরি জিনিস বানাতে যেমন ভালো লাগে তেমন সময় লাগে খুব তাই একটু সময় নিয়ে বসতে হয়। বেশ কিছুদিন হল তেমন একটা সময় করে উঠতে পারছিনা। আর আজ আমি যে জিনিসটি বানিয়েছি সেটি হল কুমির ।অনেকদিন ধরেই ভাবছি একটি কুমির তৈরি করব দেখে রেখেছি কিন্তু বানানোর সুযোগ হয়ে উঠছে না তাই ভাবলাম কি আজ যত যাই হোক বানাবোই, তাই ঝটপট বানাতে বসে পড়লাম এবং বানিয়ে ফেললাম সুন্দর একটি কুমির, আর সাথে সাথে চলে আসলাম আপনাদেরকে দেখাতে। জানিনা আমার বানানো কুমিরটি আপনাদের কাছে কেমন লাগবে ।তারপরও আপনাদেরকে বানানোটি দেখাচ্ছি।
গ্লু
পেন্সিল
কালো কলম
কাঁচি
স্কেল
প্রথমের ৬/৩০ সেন্টিমিটার সাইজের একটি রঙিন কাগজ নিয়ে কাগজটিকে ভাঁজ দিয়ে দিয়ে একেবারে ছোট করে নিয়েছি। তারপর দেখুন কাগজটি খোলার পরে দেখতে এরকম হয়েছে। তারপর আবার ৬/১০ সেন্টিমিটার সাইজের আরো একটি রঙিন কাগজ নিয়ে এক সাইডে ভেঙে অন্যপাশে উপর দিকে একটু মাঝখান থেকে ভেঙে নিয়েছি।
তারপর কাগজটি একটু গোল করে কেটে দিয়ে আগে থেকে বানানো কাগজটির সাথে লাগিয়ে দিয়েছি।
তারপর ৪/১২ সেন্টিমিটার সাইজের আরো দুইটি রঙিন কাগজ নিয়ে পেন্সিল দিয়ে দাগিয়ে হাত ও পা এঁকে নিয়ে কাঁচি দিয়ে কেটে নিয়েছি। তারপরে কাটা কাগজগুলো আগে থেকে বানিয়ে রাখা ওই কুমিরের উপর নিচের দিকে উপরের দিকে লাগিয়ে দিয়েছি।
আবার ৬/২১ সেন্টিমিটারের আরো একটি রঙিন কাগজ নিয়ে মাঝখান থেকে একটি ভাঁজ দিয়ে গোল করে কেটে উপরে মাথার দিকে ঠোঁটের মতো বানিয়ে নিয়েছি ।তারপর আরো একটি ছোট্ট কাগজ নিয়ে মাঝখান থেকে একটা ভাঁজ দিয়ে দিয়েছি।
তারপর কাগজ দুই কাগজে দুটো চোখ লাগিয়ে দিয়েছি। চোখ দুটো কুমিরের মাথার সাথে লাগিয়ে দিয়েছি এবং কাল কলম দিয়ে একটু দাগ দিয়ে দিয়েছি।
তারপর আরো দুটো চিকন চিকন সাদা কাগজ নিয়ে কেটে কেটে কুমির দাঁত বানিয়ে নিয়েছি এবং দাঁতগুলো লাগিয়ে দিয়েছি গ্লু দিয়ে।
তারপরে কুমিরের মাথাটা আগে থেকে বানিয়ে রাখা কুমিরের বডির সাথে লাগিয়ে দিয়েছি। এভাবেই তৈরী হয়ে গিয়েছে আমার রঙিন কাগজের খুব সুন্দর একটি কুমির।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।
ওরে বাবা, কুমির গুলো যেন আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি তো দেখে একদম ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। রঙিন কাগজ দিয়ে অনেক সুন্দর ভাবে কুমির তৈরি করেছেন। রঙিন কাগজের তৈরি করা হয় প্রত্যেকটা জিনিস দেখতে ভীষণ ভালো লাগে। আপনার তৈরি করা কুমির যেন সত্যি কারের বলে মনে হচ্ছে। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আসলেই আপু রঙিন কাগজের তৈরি করা জিনিস দেখতে ভালোই লাগে ।অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আসলেই আপনার দক্ষতা আছে বলতে হয়। রঙিন কাগজ দিয়ে কুমির তৈরি করেছেন। আমার এই কাজগুলোকে খুবই ভালো লাগে। নিজের সৃজনশীলতার উদ্ভব ঘটিয়েছেন। মেধার বিকাশ ঘটিয়েছেন। সত্যিই ভালো ছিল। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন এবং কুমিরটি খুবই পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন দেখাচ্ছে। খুব সূক্ষ্ম হাতের কাজ। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
অনেক ধন্যবাদ ভাই আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
রঙিন কাগজ দিয়ে কুমির তৈরি দেখতে খুবই সুন্দর লাগছে । কুমির তৈরির ধাপ গুলো সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন যা বুঝতে সুবিধা হয়েছে ।শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
রঙিন কাগজ ব্যবহার করে খুবই সুন্দর ভাবে একটি কুমির তৈরি করেছেন আপু। রঙিন কাগজ দিয়ে কুমির তৈরি করার এই প্রক্রিয়াটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন সুন্দর একটা জিনিস তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
জাস্ট অসাধারণ রঙিন কাগজ ব্যবহার করে আপনি খুবই চমৎকার ভাবে একটি কুমির তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার তৈরীকৃত এই রঙিন কাগজের কুমির টি দেখতে অসম্ভব সুন্দর দেখাচ্ছে। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত খুবই চমৎকার ভাবে ধাপে ধাপে আমাদের সকলের মাঝে কুমির তৈরীর প্রক্রিয়া টি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
বাহ চমৎকার লাগল আপনার এই কুমির এর ডাই পোস্ট আপু। খুবই সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন এবং সাজানো গোছানো উপস্থাপন করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু। 💞💞
আপনাকেও অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনার ভালো লেগেছে জেনে ভালো লাগলো।
রঙিন কাগজ দিয়ে খুবই চমৎকার করে একটি কুমির তৈরি করেছেন আপু। যা দেখতে ভীষণ সুন্দর লাগছে। আপনি খুব যত্ন করে এই কুমিরটিকে তৈরি করেছেন তা দেখে বোঝা যাচ্ছে। অত্যন্ত সুন্দর রঙিন কাগজের একটি কুমির আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য এবং এর প্রতিটি ধাপ তুলে ধরার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আপু রঙিন কাগজ দিয়ে খুব সুন্দর একটি কুমির বানিয়েছেন তো। কালারিং কাগজগুলোও একদম পারফেক্ট কুমির বানানোর জন্য। উপস্থাপনা বেশ সুন্দর ছিল। ধন্যবাদ আপনাকে শুভেচ্ছা রইল
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আপু রঙ্গিন কাগজ দিয়ে খুবই সুন্দর একটি কুমির বানিয়েছেন তো, দেখতে তো খুবই ভালো লাগছে। আপনার কুমির বানানোর আইডিয়াটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি কুমির রঙ্গিন কাগজ দিয়ে বানিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আসলে কাগজের তৈরি জিনিস গুলো বানানোর থেকে বানাতে বসাটাই বেশি কঠিন মনে হয় আমার কাছে। কারণ আলসেমি করে বসা হয়না বা সময়ের অভাবে বসা হয়না। আপনার আজকের কাগজের তৈরি কুমিরটি খুবই চমৎকার হয়েছে। কাগজ দিয়েও যে এত সুন্দর কুমির বানানো যায় তা আপনার আজকের কুমিরটি না দেখলে বিশ্বাসই করতাম না।
ঠিকই বলেছেন আপু আমার কাছেও তাই মনে হয় আবার বসলেই বানানো হয়ে যায় ধন্যবাদ আপনাকে।