★ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়া★

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

আসসালামু আলাইকুম



আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।



Polish_20230327_201841722.jpg


আজ আমি এসেছি আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে এসেছি। আজকে আমি আপনাদেরকে সাথে শেয়ার করব ছেলেকে নিয়ে ডাক্তারের কাছে যাওয়ার কিছু কথা । বেশ কিছুদিন ধরে ভাবছি ছেলেকে নিয়ে একটু ডাক্তারের কাছে যাবো তেমন কোন সমস্যা না তবে বাচ্চাদের ছোটখাটো কিছু দেখলেই কেমন যেন অস্থিরতা কাজ করে। আল্লাহর রহমতে আমার ছেলেটা সারাদিন খেলাধুলা করে যদি একটু জ্বরও আসে তারপর সে ওই অবস্থা নিয়েই সারাদিন দোরের উপর থাকে। তেমন খাওয়া-দাওয়া খুব একটা করতে চায় না শুকনা শরীর তার পরও সারাদিন সে দোরের উপর থাকে এজন্য মোটামুটি অতটা টেনশন হয় না।যখন দেখি ও চুপচাপ আছে তখনই আমার টেনশন শুরু হয়ে যায়।


বেশ দেখছি ছেলেটার কাধের কাছে একটু ফোলা ফোলা সেটা নিয়ে ভাবছি যে ডাক্তার দেখাবো। আবার ভাবলাম যে অনেকেই বলে যে ঠান্ডা থেকে এই জিনিসটা হয় এজন্য খুব একটা পাত্তা দেয়নি । কিন্তু আজ অনেকদিন হয়ে গিয়েছে সেটা যাচ্ছে না এজন্য নিজের কাছে কেমন যেন লাগছে তাই ভাবলাম যে ডাক্তারকে একটু দেখিয়ে আসি। তার আগে এক ডাক্তারের সাথে ফোনে কথা বলেছি সে বলেছে যে এটা তেমন কোন সমস্যা না কিন্তু তারপরও ভালো একজন ডাক্তার দেখালে ভালো হয়। নিজের কাছে একটু চিন্তামুক্ত থাকা যাবে। এদিকে ডাক্তারের সিরিয়াল দিতে হলে সকাল আটটার সময় উঠে সিরিয়াল দিতে হবে। এটা একটা বিরাট সমস্যা কারণ সকালবেলা ঘুম থেকে ওঠা একটা সমস্যা তারপর সকাল আটটায় তো উঠায় হয় না। প্রথম দিন উঠতে পারিনি এজন্য সিরিয়ালটা দিতে পারিনি। এজন্য পরের দিন ফোনে এলার্ম দিয়ে রেখেছি ৮ টার সময় উঠে ফোন দিয়েছি ওই সময় সিরিয়াল দিতে পারিনি। পরে আবার নয়টার সময় উঠে সিরিয়ালটা দিতে হয়েছে।


ছোটবেলা থেকেই আমার ছেলেটাকে এই ডাক্তার দেখায় উনি অনেক ভালো একজন ডাক্তার এবং একজন বয়স্ক ডাক্তার এজন্য ওনাকে দেখাতেই আমার কাছে ভালো লাগে। এদিকে ডাক্তার দেখাবো দেখে আমার তো ভেতরে ভেতরে টেনশন লাগছে তারপর ছেলেটাও দেখছি মাঝে মাঝে আমার কাছে এসে বলছে মা ডাক্তারের কাছে যাব আমার ভয় লাগছে ডাক্তার আমাকে দেখলে কি করবে ইনজেকশন দিবে নাকি। ওর ভয় দেখে আমার ভয়টাও আস্তে আস্তে বেড়ে যাচ্ছে কিন্তু আমিও বারেবার ওকে বোঝানোর চেষ্টা করছি যে ডাক্তার কিছুই করবে না।


তারপরও যথারীতি স্কুল থেকে এসে ছেলেকে রেডি করিয়ে চলে গেলাম ডাক্তারের কাছে। গিয়ে দেখি যে মাত্র ডাক্তার এসেছে এজন্য ততটা ভিড় নেই আমরা ডাক্তারের কেবিনে চলে গেলাম। যাওয়ার সাথে ডাক্তার বাচ্চার নাম জিজ্ঞাসা করল। যতবার ডাক্তারের কাছে গিয়েছি ততবারই সে আমার ছেলের নাম নিয়ে এক মিনিট গবেষণা করে। ওর নামের অর্থ কি এসব প্রত্যেকবারই সে জিজ্ঞাসা করবে এবং খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে সে অর্থটা সে নিজেই বের করবে। তারপর সে দেখা শুরু করল এবং যে জিনিসটা তাকে দেখালাম তখন সে বলল এটা কোন সমস্যা না। অনেক বাচ্চারই সবারই এরকম থাকে তবে শুকনা দেখে জিনিসটা উপর দিয়ে ফুলে উঠেছে। মানুষের শরীরে এরকম অনেক ফোলা জায়গায রয়েছে যারা একটু হেলদি তাদেরটা ততটা বোঝা যায় না তবে যাদের স্বাস্থ্যটা একটু খারাপ তাদেরটাই বোঝা যায়। ডাক্তার তখন আবার জিজ্ঞেস করল যে আপনার আমরা কিসের জন্য ওকে নিয়ে এসেছেন ওর কি সমস্যা? তখন আমরা বললাম যে এটার জন্য এসেছি ডাক্তার হেসে দিয়ে বললো যে এটা কোন সমস্যাই না। যেটা শুনে আমার ভেতরে একটা শান্তি অনুভূত হলো । কারণ ছেলের কোন সমস্যার কথা শুনলে আমি অসুস্থ হয়ে পড়ি আগে আর আমার ছেলের বয়স হিসেবে ওজনটাও সামান্য একটু কম রয়েছে।


ডাক্তার বলে যে ও খুব চালাক ও সারাদিন যা খায় দৌড়াদৌড়ি করে বেশিটাই সে খরচ করে ফেলে। তবে সারাদিন দৌড়াদৌড়ি করে এটা তো অনেক ভালো একটা দিক। বলল যে এটা কোন সমস্যা না তারপরও একটা টেস্ট দিয়েছে যাতে পুরোপুরি আমরা চিন্তা মুক্ত থাকতে পারি। ডাক্তার বলেছে আপনার যখন সময় সুযোগ হয় তখনই চেষ্টা করাতে পারবেন এখনই করাতে হবে এমন কোন জরুরী না। তারপর আমরা কেবিন থেকে বের হয়ে ছোট্ট একটা ওষুধ দিয়েছে ক্রিমির জন্য সেটা নিয়ে বাসায় চলে আসলাম।

animasi-bergerak-terima-kasih-0078.gif

আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।

ফটোগ্রাফার@tauhida
ডিভাইসsamsung Galaxy s8 plus

ধন্যবাদ

@tauhida

আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি।

logo.gif

@tauhida

2N61tyyncFaFVtpM8rCsJzDgecVMtkz4jpzBsszXjhqan9xBEnshRDSVua5J9tfneqYmTykad6e45JWJ8nD2xQm2GCLhDHXW9g25SxugWCoAi3D22U3571jpHMFrwvchLVQhxhATMitu.gif

Sort:  
 2 years ago 

বাচ্চাদের কিছু হলে মায়েদের চিন্তার শেষ থাকে না। আপু আপনার ছেলে সুস্থ আছে জেনে ভালো লাগলো। ডক্টর দেখিয়েছেন ভালোই করেছেন। নাহলে চিন্তায় চিন্তায় আপনি নিজেই অসুস্থ হয়ে যেতেন। বাবাটা সুস্থ ভাবে বেড়ে উঠুক এই দোয়া করি আল্লাহর কাছে। অনেক অনেক শুভকামনা রইলো আপু।

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন আপু, ওর কিছু হলে আমারই তো একেবারে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ হয়ে যায় আমিই অসুস্থ হয়ে পড়ি। দোয়া করবেন আমার ছেলেটার জন্য। ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

চিন্তার মধ্যে থাকার চেয়ে একটা ব্যবস্থা করে ফেললে মনের শান্তি হয়।আপনার ছেলের কাধের পাশে ফুলে যাওয়া নিয়ে যে চিন্তা হতো সেটা ডাক্তার দেখানোর পর উধাও হয়ে গিয়েছে।আসলে বাবা মায়েদের এটাই হয়, সন্তানদের কিছু হলে তখন নিজেরা চিন্তা করতে করতেই অসুস্থ হয়ে যায়।আপনার ছেলের নাম নিয়ে ডাক্তার প্রতিবারই কিছুটা গবেষণা করে জেনে মজা লাগলো,তবে ছেলের নামটা জানতে পারলে ভালো লাগতো।

 2 years ago 

ঠিকই বলেছেন ভাইয়া কোন কিছু হলে ডাক্তারের কাছে গেলে চিন্তা অনেকটাই দূর হয়ে যায় । আর আমার ছেলের নাম হল ফানা। ওর জন্য দোয়া করবেন । ধন্যবাদ আপনাকে।

 2 years ago 

অনেক চমৎকার নাম রেখেছেন আপনার ছেলের। অনেক অর্থবহ একটি নাম যার কারণে ডাক্তার প্রতিবার গেলেই তার নামের অর্থ বের করতো।

 2 years ago 

যাক আপু ফোলা ফোলা এটা কোন সমস্যা নেই শুনে একটু চিন্তা মুক্ত হলাম। আমি ভাবছিলাম এটা কেন হল! ঠিক বলেছেন আপু ডাক্তারের কাছে গিয়ে নিশ্চিন্ত হলে একটু ভালো লাগে। যাইহোক আপু আপনার বাচ্চার নামটা কিন্তু আমাদেরকে বলেননি। তাহলে আমরাও একটু আপনাকে খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে প্রশ্ন করতাম 😁। আপনার বাচ্চার জন্য অনেক অনেক সুস্থতা কামনা করছি।

 2 years ago 

আপু আমার ছেলের নাম হলো ফানা। এবার আপনিও খুঁটিয়ে খুটিয়ে প্রশ্ন করেন আমিও উত্তর দেওয়ার জন্য রেডি আছি । ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

যাক আমি তো প্রথমে ভেবেছিলাম না জানি কি হয়েছে ৷ আসলে ছোট্ট বাচ্চাদের কোন কিছু হলে বাবা মার কেমন লাগে সেটা জানি ৷ যা হোক অবশেষে ডাক্তার পরামর্শ নিলেন ৷ এখন চিন্তা মুক্ত যা হোক ছোট্ট বাবুর জন্য শুভকামনা রইল অবিরাম ৷

 2 years ago 

ঠিক বলেছেন ভাইয়া বাচ্চাদের কিছু হলে বাবা মাই বেশি অস্থির হয়ে যায়। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

আপু যখন আপনার পোস্ট পড়তে শুরু করলাম তখন মনে হয়েছিল হয়তো বড় কোনো সমস্যা হবে কিন্তু শেষে যখন জানতে পারলাম তেমন কোন সমস্যা নেই তখন খুব ভালো লাগলো। যাইহোক ছেলেমেয়েদের কিছু হলে সত্যি বাবা-মা ঠিক থাকতে পারে না। আমারও মাঝে মাঝে একই অবস্থা হয়। ছেলের কিছু হলে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যায়। আমার ছেলেটিও একই রকম। তার জ্বর হলেও বুঝার উপায় নেই সে তার মতো দৌড়াদৌড়ি খেলাধুলা করতেই থাকে। আপনার ছেলের জন্য দোয়া রইল যাতে খুব তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে ওঠে।

 2 years ago 

আল্লাহর রহমতে তেমন কিছুই হয়নি। তবে ওই জিনিসটা নিয়ে আমার কাছে একটু টেনশন লাগছিল এজন্য ডাক্তার দেখিয়ে আনলাম। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।

 2 years ago 

ছেলেমেয়েদের কিছু হলেই মা বাবা অস্থির হয়ে যায়।ছেলেমেয়েরা ডাক্তারের কথা শুনলেই ইনজেকশনের ভয় পায় । যাইহোক ডাক্তার বলেছে চিন্তার কিছু নেই তাই চিন্তা মুক্ত হলেন। আপনার ছেলের সম্পূর্ণ সুস্থতা কামনা করি ।

 2 years ago 

ছেলের অসুস্থতার কথা শুনে মায়ের অসুস্থ হয়ে যাওয়াটাই স্বাভাবিক। আর এটাই আদর্শ মায়ের একটি বৈশিষ্ট্য। সন্তানের দেহ শুকিয়ে গেলে প্রত্যেক মায়ের দুশ্চিন্তা হয়ে থাকে। যাহোক, আপনার ছেলেকে ডাক্তারের পরামর্শ অনুসারে নিয়ম মতো কৃমির ওষুধটি খাওয়ায়ে দেবেন। আপনার ছেলের জন্য অনেক অনেক দোয়া ও শুভকামনা রইল।

Coin Marketplace

STEEM 0.15
TRX 0.16
JST 0.028
BTC 68859.62
ETH 2444.01
USDT 1.00
SBD 2.34