একটি দুষ্টু বিড়ালের মাছ খাওয়ার গল্প
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
ছবি ইউটিউব থেকে তোলা
আজ আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব অনেকদিন আগে দুষ্টু একটি বিড়ালকে নিয়ে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনা । বেশ কয়েকদিন আগে ছেলের বাবা রাস্তায় গিয়েছিল হাঁটতে । হাঁটতে গিয়ে অনেকগুলো শিং মাছ পেয়েছিল প্রায় কেজি দেরেক । শিং মাছ গুলো টাটকা ও ফ্রেশ ছিল একেবারে জীবন্ত মাছ গুলো দেখে সে বাসায় নিয়ে এসেছিল । তারপর বুয়া আসলে মাছগুলো কেটে ধুয়ে পরিষ্কার করে ফ্রিজে রেখে গেল । আমাদের এখানে বিকেল বেলার রাস্তায় বের হলে বিশেষ করে সন্ধ্যার পরে বিভিন্ন ধরনের মাছ নিয়ে লোকজন বসে । একেবারে ফ্রেশ মাছগুলো তখন অনেকে নিয়ে আসে সেখান থেকে রাতের বেলা মাছগুলো কিনতে পারলে অনেক ভালো মাছ পাওয়া যায় ।
যথারীতি মাছ গুলো পরের দিন আমি ফ্রিজ থেকে বের করেছি রান্না করার জন্য । মাছগুলো আমি রান্না ঘরে পানিতে ভিজিয়ে রেখে ভেতরে এসে কি যেন কাজ করছিলাম । এর ভিতর একবার গিয়ে পানিটা চেঞ্জ করে দিয়ে এসেছি যাতে মাছগুলো তাড়াতাড়ি ছুটে যায় এবং তাড়াতাড়ি রান্নাটা বসাতে পারি । তারপর আরো বেশ খানিকটা সময় পড়ে রান্নাঘরে গিয়ে দেখি আমার মাছের প্যাকেট নেই । আমি এখানে সম্পন্ন মাছটা একসাথে রেখে দিয়েছিলাম । সবগুলো একসাথে পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি মনে করেছিলাম এখান থেকে কিছু রান্না করে তারপর আলাদা আলাদা প্যাকেট করে রাখবো ।
এরপর রান্নাঘরে আসার পরে মাছ আর কোথাও খুঁজে পাচ্ছি না । আমি ভেবেছিলাম হয়তোবা বুয়া মাছগুলো কোথাও রেখেছে । তাই আমি গিয়ে তাকে জিজ্ঞাসা করলাম । বুয়া ঘরের ভিতরে কাজ করছে ওকে জিজ্ঞাসা করলাম রান্নাঘর থেকে মাছ কোথায় রেখেছে ও বলল যে আমি তো রান্নাঘরে কোন মাছ দেখিনি । এরপর আমি রান্না ঘরে এদিক ওদিক মাছগুলো খুঁজতে লাগলাম । কিন্তু কোথাও মাছ পেলাম না । এদিকে রান্না ঘরের জানালাটা সামান্য একটু ফাঁকা ছিল হঠাৎ করে আমার মাথায় আসলো জানালা দিয়ে মাছগুলো আবার বিড়াল এসে খেয়ে গেল কিনা । আবার একটু পরে মনে হলো আটতলার উপরে বিড়াল কোথা থেকে আসবে ।
আমাদের জানালার সাইডে একটু গলির মত আছে সেখানে গিয়ে আমি জানালা দিয়ে উঁকি দিলাম । গিয়ে দেখলাম যে একটা মোটা বিড়াল একেবারে পুরা মাছের প্যাকেটটা নিয়ে ছিড়ে সুন্দরভাবে বসে বসে খাচ্ছে । এখনো পুরা মাছটি ও ছুটাতে পারেনি, কারণ মাছগুলো একেবারে বরফ হয়েছিল । কিছু কিছু ছুটিয়েছে সেটা দেখে তো একেবারে আমার মাথায় হাত তখন কি আর করার আমি শুধু তাকিয়ে তাকিয়ে দেখলাম । ও সুন্দরভাবে মাছগুলো খেয়ে নিচ্ছে ।এরপর ভেতরে এসে ওর বাবাকে বললাম সে বলল যে এখন তো আর কিছু করার নেই মাছগুলো যেহেতু নিয়েই গেছে ।
আমি বুঝলাম না কোনদিনও আমি এখানে বিড়াল দেখিনি হঠাৎ করে এই বিড়ালটা কোথা থেকেই বা আসলো । আর মাছের পুরা প্যাকেট ধরে কিভাবে নিল । মাছ গুলোর জন্য এখনো আমার আফসোস হয় একেবারে ফ্রেশ বড় বড় কিছু শিং মাছ ছিল । আর শিং মাছ এমনিতেই আমার অনেক পছন্দের মাছ । মাছ গুলো চোখের সামনে বিড়াল কিভাবে খেয়ে নিল ।হয়তোবা সেদিনকার মাছের বরাদ্দটা বিড়ালের জন্যই ছিল আমাদের জন্য ছিলই না । আজ হঠাৎ করে ঘটনাটা মনে পড়ে গেল তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
হাটতে গিয়ে পছন্দের তরতাজা পছন্দের লোভনীয় শিং মাছ কিনে এনেছেন কিন্তুু বিড়াল সেই পছন্দের মাছ গুলো নিয়ে গেছে খুব দুঃখজনক ঘটনা। আসলে এমন ঘটনায় মন খারাপ করা ছারা কিচ্ছু করার থাকে না।বিড়ালটি কোনদিন আসেনি কিন্তুু সেদিন এসে সব মাছ নিয়ে গেছে আর এই লোভে এই বিড়াল সুযোগ পেলেই চলে আসবে আপু তাই সবকিছু সাবধানে রাখবেন। ধন্যবাদ আপু বিড়ালের মাছ চুরি করে নিয়ে যাওয়ার অনুভুতি শেয়ার করার জন্য।
একবার মাছ নিয়ে গেলে সেই লোভে বারবার আসে ।
তাহলে আপু দুষ্টু বিড়ালে আপনার প্রিয় শিং মাছ গুলো খেয়ে ফেলেছে। তবে সব জায়গাতে এরকম দেখা যায় মাছ ভিজিয়ে রাখলে বিড়ালে নিয়ে যায়। যদিও আপনাদের বাসা অনেক উপরে তালার মধ্যে ছিল তারপরও বিড়ালের মাছগুলো জানালা দিয়ে নিয়ে গেল। আসলে পছন্দের খাবারের জিনিসগুলো যখন বিড়ালে নিয়ে যায় তখন অনেক খারাপ লাগে। দুষ্টু বিড়ালের কান্ড দেখে সত্যি অনেক খারাপ লাগলো আপনার শিং মাছগুলো নিয়ে গেল তাই। ধন্যবাদ পোস্টটি সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
বাসার উপরে হলে কি হবে এখনো ইদানিং মাঝে মাঝে বিড়াল দেখি । এখন তো জানলা আটকিয়ে রাখি জন্য বাসায় আসতে পারে না ।
বিড়ালের এই মাছ চুরির ঘটনা সব বাড়িতেই ঘটে আপু। একটু শুধু সুযোগ পেলেই হয় বিড়াল গুলো সুযোগের সৎ ব্যবহার করে দেয় । কিছু দিন আগে আমদের ইলিশ মাছ চুরি করে নিয়ে গেছিল বিড়ালে। এত দামী মাছ চুরি হওয়াতে আমাদের অনেক টাকার লস হয়েছিল। আমাদেরও সেই দিন রান্না ঘরের জানালাটা সামান্য একটু ফাঁকা ছিল। যাই হোক আপু, ফ্রেশ বড় বড় শিং মাছের জন্য আর আফসোস করে লাভ নেই । ওইগুলো ওই দুষ্টু বিড়ালের কাপলে ছিল তাই মজা দিয়ে সে খেয়েছে।
বেড়ালের কাজই হলো মাছ চুরি করে খাওয়া যে মাছই হোক না কেন ওরা খুব মজা নিয়ে খেয়ে ফেলে ।
বিড়াল মনে মনে বলতেছিল আজকে সে সোনার খনি পেয়ে গিয়েছে হা হা হা। প্যাকেট ভর্তি শিং মাছ সবগুলোই নিয়ে গেল আর সেখানে বসে মজা করে খাচ্ছিল আর আপনার সেটা দেখা ছাড়া আর কিছু করার ছিল না যাই হোক বিড়ালটা অনেকদিন হয়তো মাছ খায় না তাই নিয়ে গিয়েছিল।
আসলে সোনার খনি পেয়ে গিয়েছিল একসাথে কতগুলো মাছ পেয়েছিল ।
শিং মাছ খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আমাদের এখানেও আপু, সন্ধ্যার সময় অনেক মানুষজন মাছ নিয়ে বসে থাকে। আমাদেরও এমনও হয়েছে, আমাদের বাসায় মাছ রেখে আম্মু একটু বাইরে গেছিল। তিনটার মধ্যে একটা মাছ নিয়ে উধাও হয়ে গেছে বিড়াল।তারপর আস্ত একটা ৩ কেজি ওজনের ব্রয়লার।বাড়ির উঠানে রেখে ঘরের মধ্যে গেছিল তারপর যে কে নিয়ে গেল, আমরা জানতেই পারলাম না। তখন তো আর দেখা ছাড়া কোন উপায় নাই, মাছগুলো সুন্দর করে খাচ্ছিল আর আপনি দেখছিলেন। আপু, ওদের বিশাল শক্তি। আমরা কখনোই কল্পনা করতে পারিনি যে, ওরা মাছ গুলি নিয়ে যাবে। যাক ঘটনাটি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন, আমরাও জানতে পারলাম। এবার থেকে অনেক সাবধানে থাকবেন।
ওগুলো বিড়াল ছাড়া কে নিবি বিড়ালই নিয়েছিল ।এজন্য বিড়ালের সামনে থেকে লুকিয়ে রাখা উচিত কখন কি নিয়ে দৌড় দেয় বলা যায় না ।
ঐ বিড়াল টা তাহলে আপনাদের মাছ খেতেই এসেছিল আপু। পুরোটা পড়ে বেশ খারাপ লাগল। কিন্তু কী করবেন বলেন। মাঝে মাঝে বিড়াল এইরকম কান্ড করে বসে। এতো শখের শিং মাছ গেল বিড়ালের পেটে। আর ঐগুলো যেন এইরকম সুযোগের অপেক্ষায় থাকে।
দুঃখ তো ভুলেই গিয়েছি তারপরও মাঝে মাঝে মনে পড়ে । ওই মাছগুলো ওর জন্য বরাদ্দ ছিল এজন্য ওর পেটে গিয়েছে ।
শিং মাছ আমারও অনেক প্রিয়। আসলে এত উপরের আট তালার মধ্যে বিড়াল কিভাবে গেল। আসলে প্রিয় জিনিসগুলো যখন নষ্ট হয়ে যায় বা কিছু নিয়ে যায় তখন অনেক খারাপ লাগে। হয়তোবা আপনি মাছগুলো ভিজিয়ে ভালোভাবে ঢাকনা দেন নাই। এই কারণে মোটা বিড়াল নিয়ে খুব মজা করে খেয়েছে। এরকম ঘটনা আমাদের বাড়িতেও হয়েছে। পানিতে মাছ ভিজিয়ে রাখার পর সব মাছ নিয়ে গেল। তবে আপু সামনে কিছু পানিতে ভেজালে একটু খেয়াল রাখবেন। গল্পটি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
আসলে মজা করে খেয়েছিল আমার চোখের সামনেই খেয়েছে আমি দেখেছি ।
আপনার বিড়ালের মাছ খাওয়ার গল্পটি পড়ে সত্যিই বেশ মজা পেলাম ।আসলে এগুলো বিড়ালের কাজ। একটু সুযোগ পেলেই ভেজানো মাছ নিয়ে যায়। এ ধরনের ঘটনা অনেকবার দেখেছি ।আপনার ঘটনাটি আমি ও আমার মেয়ে মজা করে পড়লাম। এখন আর দুঃখ করে লাভ কি মাছগুলো বিড়ালেরই ভাগ্যে ছিল। যাই হোক ধন্যবাদ।
এরকম ঘটনা আমার সাথে একবারই ঘটেছে জন্য আমি একবার দেখে দুঃখ পেয়েছি ।
আহারে আপনার সামনেই তো দেখছি বিড়ালটা আপনাদের মাছগুলো নিয়ে বেশ মজা করে খাচ্ছিল। তবে শুনে অবাক হলাম যে আপনারা আট তলার উপর থাকেন এবং সেখান থেকেই বিড়ালে মাছ নিয়ে নিয়ে গিয়ে সাইডের গলিতে বসে খাচ্ছে। তাহলে তো দেখছি কোথাও কোন জিনিস আগলা করে রেখে শান্তি নেই। যাইহোক ধন্যবাদ আপনাকে এই দুষ্টু বিড়ালের ঘটনাটা আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কোথাও কোন জিনিস খোলা রাখার উপায় নিয়ে বিশেষ করে জানালা খুলে রাখা অবস্থায় ।