আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি পোষ্ট নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে কিছু মাছের ফটোগ্রাফি শেয়ার করব । মাছের যেকোনো ধরনের ফটোগ্রাফি দেখতে ভালো লাগে আর টাটকা মাছের ছবি তুলতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে । আমি প্রায়ই দিন মাছ বাজারে গিয়ে টাটকা মাছ কিনে নিয়ে আসি এবং সেখান থেকে মাছের ছবিগুলো তুলে থাকি। এই মাছগুলোর ছবি তুলেছিলাম অনেক দিন আগে । খিলগাঁও রেলগেটে একটি মাছ বাজার বসে সেখানে গিয়েছিলাম এবং সেখানে রাতের বেলা গিয়েছিলাম লাইটের আলোতে মাছ গুলো কেমন চকচক করছিল দেখতে ভালো লাগছিল । সেখান থেকে কিছু মাছ কিনেও নিয়ে এসেছিলাম আবার কিছু ছবিও তুলে নিয়েছিলাম । ওরা মাছগুলোকে এমন সুন্দরভাবে পানির ভিতরে করে রাখে এবং যখন বিক্রি করে তখন মাছগুলোকে একটা ডালার উপর তুলে রাখে মাছগুলো ছটফট করতে থাকে সে মাছগুলো দেখতে ও কিনতেও ভালো লাগে ।

প্রথমে কিছু টেংরা মাছের ছবি দিয়ে শুরু করেছি । এখানে উপরের দিকে দেখতে পাচ্ছেন কিছু মাঝারি সাইজের টেংরা মাছ আর নিচের দিকে একটু ছোট সাইজের টেংরা । মাছগুলো ছোটই ছিল এর থেকে আরো অনেক বড় বড় টেংরা মাছ সবসময় বাজারে গেলে দেখতে পাই কিন্তু ঐদিন এর থেকে বড় টেংরা মাছ ছিল না । টেংরা মাছের ইদানিং দেখলাম প্রচুর পরিমাণে দাম চাই আগে টেংরা মাছের খুব একটা দাম ছিল না ইদানিং মনে হয় মানুষ টেংরা মাছ অনেক বেশি পরিমাণে খায় । এই কারণে টেংরা মাছের দাম মনে হয় বেশি বেড়ে গিয়েছে । তাছাড়া বাজারে সব মাছের দামি মোটামুটি একটু বাড়তি মনে হলো । এ টেংরা মাছগুলো আলু বেগুন দিয়ে বেশি করে ধনিয়া পাতা দিয়ে চচ্চড়ি করে খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে ।

এখানে কিছু রুই মাছ ও কিছু তেলাপিয়া মাছ রয়েছে । রুই মাছ আমি প্রচুর পরিমাণে খেয়ে থাকি তবে তেলাপিয়া মাছ একদমই খাওয়া হয় না । সেই লাস্ট কবে খেয়েছি সেটাও মনে নেই । মাঝে মাঝে ভাবি যে কিছু তেলাপিয়া মাছ কিনে নিয়ে আসি তবে বাজারে গেলে আর কিনতে ইচ্ছা করে না । তেলাপিয়া মাছ খেতে কেমন লাগে তাও জানিনা । তবে মাছগুলো দেখতে অনেক ফ্রেশ লাগছিল ।

পাবদা মাছ আর শিং মাছ এই মাছ দুটি আমার একেবারে কমন একটি মাছ । বাজারে গেলে এই মাছগুলো আমি সবসময় কিনে থাকি । আর এ মাছগুলো খেতে আমার কাছে ভালো লাগে । বিশেষ করে তাজা তাজা পাবদা মাছগুলো যেদিন কিনে নিয়ে আসি সেদিন যদি কেটে রান্না করা যায় তখন সেই মাছটা খেতে সত্যি অনেক ভালো লাগে । ফ্রিজে রাখার পরে মাছের টেস্ট কিছুটা পরিবর্তন হয় । ফ্রেশ ফ্রেশ মাছের মজাই আলাদা । আর শিং মাছটা আমার সব সময় খাওয়া হয় ।আলু দিয়ে ভুনা করলে কিংবা বেগুন আলু দিয়ে সুন্দরভাবে ঝোল করলে এটা খেতে খুব ভালো লাগে । শিং মাছ আমার অনেক পছন্দ ।

এখানে কিছু শোল মাছ ও টাকি মাছের ছবি শেয়ার করেছি । এ দুটো মাছই পছন্দ তবে টাকি মাছ খুব একটা খাওয়া হয় না ।ছোট টাকি মাছ ভর্তা করে খেতে ভালো লাগে তবে এই মাছগুলো ভর্তা করা ভালোই বেশ ঝামেলা এ কারণে আমি টাকি মাছ খুব একটা কিনি না । আর শোল মাছ ঝোল করে হোক চচ্চড়ি করে হোক খেতে সত্যি খুব ভালো লাগে । বিশেষ করে আলু দিয়ে যদি কষা কষা করে ভুনা করা হয় তবে সেটা খেতে অন্যরকম মজা লাগে । শোল মাছ আমার অনেক পছন্দের একটি মাছ । তাছাড়া লাউ দিয়ে শোল মাছ খেতে অনেক মজা লাগে ।

এখানে কিছু রুই মাছের ছবি দেওয়া রয়েছে কতগুলো রুই মাছ রয়েছে বড় সাইজ এবং কতগুলো ছোট সাইজের । রুই মাছগুলোকে মনে হয় নৌসি মাছ বলা হয় । এ মাছগুলো আমি কখনোই কিনি না আমি সবসময় বড় সাইজের রুই মাছ কিনি । বড় সাইজের রুই মাছ গুলোই আমার কাছে ভাললাগে । নিচের মাছটির কি নাম সেটা জানি না তবে মাছটি দেখতে ভালো লাগছিল দেখে ছবিটা তুলে নিয়েছি ।

এখানে আরো কয়েক পদের মাছ রয়েছে বোয়াল মাছ আর আইর মাছ । বিশেষ করে এই বাজারে গেলে সন্ধ্যার পরে সব ধরনের মাছই পাওয়া যায় । আপনি পকেট ভরে টাকা নিয়ে গেলে ইচ্ছামত মাছ কিনে আনতে পারবেন । আর এখানের মাছগুলো অনেক ফ্রেশ । নিচের মাছ গুলো দেখতে পাচ্ছেন এগুলো হয়তো চাপিলা মাছ । আমি নামটা সঠিক জানিনা তবে দেখতে খুব ভালো লাগছিল । এই মাছগুলো আলু দিয়ে চচ্চড়ি করে খেতে খুব ভালো লাগে ।