অনেক দিন পর নিজের কলেজে যাওয়ার আনন্দ
আসসালামু আলাইকুম
আমার বাংলাব্লগের বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন ভাল আছেন নিশ্চয়ই। আমিও আল্লাহর রহমতে ভালই আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আবার আপনাদের সামনে নতুন একটি ব্লগ নিয়ে হাজির হয়ে গেলাম । আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করব ফরিদপুর শহরে গিয়ে আমাদের প্রিয় রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে কিছু সময় কাটানোর সুন্দর কিছু মুহূর্ত । এবার ফরিদপুরে গিয়ে বেশ কিছুদিন থাকার কারণে কয়েক জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম যার কারণে ভালই লেগেছিল । প্রথম যখন গিয়েছি তখন আবহাওয়াটা তেমন একটা ভালো ছিল না তাই বাইরে বের হতে পারেনি । পরে যে কয়টা দিন ছিলাম বাইরে ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করেছি ।
এই ছবিটা যখন তুলেছি তখন একেবারে সন্ধ্যা হয়ে গিয়েছিল সূর্যটা ডুবুডুবু অবস্থায় ছবিটা তোলা তাই অন্ধকারে ভরে গিয়েছে ।
এই ভবনটা ছিল তানজিরা ম্যাডামের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ভবন ।এই বিল্ডিং এর সামনে কত সময় দাঁড়িয়ে কত দিন অপেক্ষা করেছি আপুর জন্য ছুটি হলে দুজন মিলে একসাথে তারপর বাসায় গিয়েছি ।
এটা হল প্রশাসনিক ভবন আমরা আমাদের যাবতীয় কলেজের কাজকর্ম এই ভবনে করতাম ।
ঘুরে বেড়ানোর পাশাপাশি আমরা আমাদের প্রয়োজনীয় কাজগুলোও সেরে নিয়েছি । ফরিদপুর গেলে আমরা তিন বোন এক হই যার কারণে আমাদের সময়টা অনেক ভালো কাটে । ওয়াহিদা একদিন বলল যে ও নাকি চুল কাটবে আমাকে কেটে দিতে বলল তখন আমি ওকে বললাম যে নিজেরা না কেটে চল যাই দুজনে মিলে পার্লার থেকে চুল কেটে আসি । পরে পার্লারে প্রথম দিন গেলাম কিন্তু অনেক ভিড় থাকার কারণে সেদিন অনেক সময় অপেক্ষা করে ফিরে চলে এসেছি । এরপর আর একদিন গেলাম সেদিনও গিয়ে দেখি পার্লারে বউ সাজানোর কাজ চলছে । এজন্য আজকেও একটু দেরি হবে । আমাদেরকে বাইরে থেকে ঘুরে আসতে বলল । আমরা তখন ভাবলাম যে এখানে বসে থেকে অযথা সময় নষ্ট না করে বাইরে থেকে ঘুরে আসাই ভালো ।
পার্লারের পাশেই আমাদের কলেজ থাকার কারণে আমরা ভাবলাম যে অনেকদিন হলো কলেজের মাঠে যাওয়া হয় না যাই একটু ঘুরে আসি । সেখানে গিয়ে তো আমি একেবারে অবাক হয়ে গেলাম কারণ আমরা যখন এই কলেজে পড়েছি তখন এখানকার অবস্থা এরকম ছিল না । এখন বেশ উন্নতি করেছে । এটা যদিও ডিগ্রী শেখা ছিল আর আমরা অনার্স শাখায় পড়েছি । সেটা এখান থেকে একটু দূরে ছিল এবং বাসে করে যেতে হতো সেই সময়টা ভালোই লাগতো বাসে করে কলেজে যেতে । ফেরার পথে এই কলেজ মাঠে বসে আমরা বাদাম খেতাম আর আড্ডা দিতাম । এবার গিয়ে দেখলাম বিভিন্ন পরিবর্তন যা আমার কাছে অনেক ভালো লাগলো এবং এখানে ঢুকেই পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পড়ে গেল ।
আমার ছেলেটা এরকম খোলা মাঠ পেয়ে খুবই খুশি হল এবং সে একা একাই অনেক দৌড়াদৌড়ি করল । মাঠে ছেলেরা যখন ফুটবল খেলছিল ক্রিকেট খেলছিল সেটা দেখে সে খুব বায়না করছিল যে মা আমি ওদের সাথে খেলবো । কিন্তু আমি কিছুতেই ওকে বোঝাতে পারছি না ওত বড় বড় ছেলেদের সাথে কিভাবে খেলবে । বারবার আমাকে বলছিল যে তুমি একটু বলে দাও । কিন্তু সেটা আর হলো না পরে মন খারাপ করে ফিরে আসতে হয়েছিল তাকে । আমি আর ওয়াহিদা সেখানে বসে আরো বেশ খানিকটা সময় কাটালাম এবং বসে ঝালমুড়িও খেলাম । কলেজ মাঠে গিয়ে বসবো আর ঝালমুড়ি খাব না সেটা কি হয় নাকি । অনেকে দেখলাম যে বাচ্চাকাচ্চা নিয়ে এসেছে এবং বাচ্চাদেরকে ছেড়ে দিয়েছে খোলা মাঠে খেলার জন্য এবং বাচ্চারা খুব ইনজয় করছে । এ ধরনের খোলা মাঠে বিকেলবেলা ঘুরে বেড়াতে আসলেই খুব ভালো লাগে যেটা আমরা ঢাকা শহরে খুব মিস করি । অনেকদিন পরে সময়টা খুব ভালো কেটেছিল আমাদের ।
কলেজে ঢুখেই দেখলাম যে বিশাল বড় করে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ম্যুরাল তৈরি করা হয়েছে । যেটা দেখতে আসলেই খুব ভালো লাগে । এভাবে দেয়ালে সুন্দরভাবে মানুষের চিত্রকল্প গুলো সত্যি খুব প্রশংসার দাবিদার দেখেই চোখে পড়ে এগুলো সব নতুন তৈরি করা হয়েছে ।
আশা করছি আমার আজকের এই ব্লগটি আপনাদের সকলের কাছে ভালো লেগেছে। আজকের মত এখানেই বিদায় নিচ্ছি। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন।
ফটোগ্রাফার | @tauhida |
---|---|
ডিভাইস | samsung Galaxy s8 plus |
ধন্যবাদ
আমি তৌহিদা, বাংলাদেশ আমার মাতৃভূমি।বাংলাদেশে আমার জন্ম।আমি আমার মাতৃভূমিকে ভালোবাসি। আমি বিবাহিতা, এক সন্তানের মা। আমি রান্না করতে ও খেতে ভালোবাসি,আমি ঘুরতেও অনেক ভালোবাসি। |
---|
আসলে আপু যে স্কুল কলেজে পড়ালেখা করে ওই স্কুল কলেজে অনেকদিন পর গেলে এমনিতে বেশ ভালো লাগে। তবে আপনি ফরিদপুরে বেড়াতে গিয়ে বেশ কিছু জায়গাতে ঘুরাঘুরি করেছেন। তবে আপনাদের কলেজের পরিবেশটা খুব সুন্দর। আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঘুরতে গেলে নিজের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
তা ঠিকই বলেছেন অনেকদিন পরে কলেজে গিয়েছিলাম এবং আশেপাশের জায়গাটার অনেক পরিবর্তন হয়েছে যার কারণে ভালই লেগেছিল ।
পুরো পোস্ট পড়ে বুঝলাম সময়টা বেশ দারুন কেটেছিল। পার্লারে যাওয়ার পাশাপাশি কলেজের ক্যাম্পাসটাও ঘুরে দেখেছেন। তানজিরা আপুর উদ্ভিদবিজ্ঞান ভবনের সামনে গিয়ে নিশ্চয়ই তানজিরা আপুর কথা মনে পড়ছিল??
ফরিদপুর গেলে সময়টা অনেক ভালো কাটে । আর এ ধরনের জায়গা গুলো ঘুরতে ভালো লাগে ।
অনেকদিন পর নিজের কলেজে ঘুরতে গিয়েছিলেন এজন্য খুশি লাগছে জেনে বেশ ভালো লাগলো আপু। সত্যি বলতে এখানে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে তাই সবসময়ই এই জায়গাটিতে যাওয়ার প্রতি মন টানে। অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ আপ।
ফরিদপুর শহরে আমাদের অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে সেই ছোট থেকে বড় হয়েছি যার কারণে যে দিকে তাকাই শুধু পুরনো স্মৃতিগুলো মনে পরে । এজন্য গেলে ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করি ।
আরে বাহ দারুন কিছু আলোকচিত্র তুলে ধরেছেন ৷আপনাদের তিন বোনের কত সৃতি মূহুর্ত জানতে পরালাম ৷ যদিও এখন সময় আপনাদের দুরে রেখেছে আসলে এটাই নিয়তি প্রতিটি মেয়েকে স্বামীর ঘড় করতে হবে এটাই নিয়ম ৷ তবে যাই হোক তানজিরা ম্যাডামের উদ্ভিদ বিজ্ঞানের ভবন দেখে ভালো লাগলো ৷
সবমিলে আপনি ফরিদপুরে অনেক সুন্দর একটা সময় অতিবাহিত করেছিলেন ৷ অনেক ধন্যবাদ আপু৷
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপনাকে । আমার পোস্টে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম ।
পার্লারে ভিড় থাকার কারণে আপনারা ঘুরাঘুরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন জেনে ভালো লাগলো ঘুরাঘুরি করতে সকলেই অনেক বেশি ভালোবাসে, আপনারা অনেকদিন পরে আপনাদের নিজেদের কলেজে গিয়েছিলেন এবং সেখানে গিয়ে খুব সুন্দর একটা মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন বোঝাই যাচ্ছে, আসলে অনেকদিন পরে প্রিয় ক্যাম্পাসে গেলে পুরনো স্মৃতি মনে পড়বে এটাই স্বাভাবিক। সুন্দর মুহূর্তটা তুলে ধরার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
পার্লারের ভিতর বসে থেকে সময় নষ্ট না করে একটু ঘুরাঘুরি করলাম ভালো লাগলো ।
তাহলে আপু অনেকদিন পর নিজের পুরনো কলেজে ঘুরতে গেলেন। আসলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখার পর মেয়েদের বিয়ে হয়ে গেলে তেমন যাওয়া হয় না। মাঝেমধ্যে অনেক দিন পর গেলে তখন নিজের কাছে অনেক ভালো লাগে। তবে আপনাদের কলেজের পরিবেশ কিন্তু বেশ চমৎকার। তবে আপনার ছেলে খেলার মাঠ পেয়ে অনেক খুশি এবং খেলাধুলা করতেছে।যাহোক কলেজে অনেকদিন পর ঘুরতে গেলেন আনন্দ মুহূর্তগুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
ফরিদপুরে যাওয়া হয় তবে কখনো কলেজের ওই দিকটা যাওয়া হয় না । আজ কাজের জন্য গিয়ে ঘুরে এসেছি । ছেলেটা অনেক মজা পেয়েছে নিজের কাছেও ভালো লেগেছে ।
সেদিনটা সত্যি ভীষণ ভালো লেগেছিল। পুরনো স্মৃতি সব মনে পড়ছিল। আর অনেক কিছুরই পরিবর্তন লক্ষ্য করেছিলাম ।তবে ফানা বেশ আনন্দ করে ঘুরে বেড়াচ্ছিল। বেশ ভালো কেটেছিল আমাদের সময়টা।
ওইদিন তো আসলেই অনেক ভালো কেটেছিল । ফানা অনেক মজা করেছিল সেদিন ।
আপু এবার ফরিদপুর গিয়ে পার্লারে যাওয়ার পাশাপাশি নিজের কলেজে গিয়ে সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। অনেকদিন পর নিজের সেই পুরনো ক্যাম্পাসে গেলে অতীতের সেই স্মৃতিগুলো মনের মাঝে বিচরন করতে থাকে।তানজিরা আপুর উদ্ভিদ বিজ্ঞান ভবনে গিয়ে আপুর জন্য অপেক্ষা করে থাকতেন সেই স্মৃতিগুলো মনে ভীড় করলো আপু।সত্যি এই অনুভূতিগুলো লিখে প্রকাশ করা যায় না।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
আসলে এই কলেজের সাথে অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে গেলে ভালোই লাগে এজন্য একটু ঘুরে আসলাম ।